নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১
স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদ (স্বাচিপ) এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেন, করোনা সংক্রমণ কম হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি এখনও সেভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে না। ডেঙ্গুর প্রকোপটাও আগের চেয়ে একটু বেড়েছে। মেয়র তাপস আজ বলেছেন যে আমরা ডেঙ্গু মোকাবিলায় সক্ষম। এই বিষয়গুলো তিনি কীভাবে দেখছেন, জানতে চাইলে বলেন, প্রায় সাড়ে ছয় মাস পরে আমাদের করোনা পরিস্থিতি আগের চেয়ে একটু উন্নত হয়েছে। শনাক্ত এবং সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে চলে এসেছে। এই মুহূর্তে আমরা মনে করি যে শনাক্তের হার কমে এলেও কিন্তু যে কোনো সময় তা আবার বাড়তে পারে।
করোনার টিকা, করোনা ও ডেঙ্গু সংক্রমণ সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহমুদুল হাসান তুহিন।
অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এমন তৃতীয় ঢেউ কিংবা চতুর্থ ঢেউ হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন ভ্যারিয়েন্ট বের হবার একটা সম্ভাবনা সবসময় থেকেই যায়। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন, খেলার মাঠ, হাসপাতাল, চিত্তবিনোদন কেন্দ্র- সবজায়গাতেই সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও এটি নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে। তা নইলে যে কোনো সময় সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। পাশাপাশি আমাদের টিকাদান কর্মসূচিও একটি ধারাবাহিকতার মধ্যে চলে এসেছে। এই ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম আরও দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। অনেক সময় নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসবার সম্ভাবনা থাকে। আমাদের সরকারের টিকাদান কর্মসূচি যদি নির্বিঘ্নে পরিচালিত হয়, তাহলে কোনোরূপ শঙ্কা থাকার কথা নয়। আর নতুন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় যে টিকা উৎপাদনের প্রক্রিয়া চলছে, সেটিও দ্রুত সম্পন্ন হওয়া উচিত। তাহলে আমাদের এই জনগোষ্ঠীকে দ্রুত টিকার আওতায় আনা যাবে। তাহলেই আমরা তৃতীয় ঢেউ থেকে শঙ্কামুক্ত থাকব।
তিনি আরও বলেন, এখন আমাদের দেশে যেহেতু ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, করোনার প্রাদুর্ভাব একটু কমে এলেও ডেঙ্গু বিষয়ক শঙ্কা থেকে আমরা একদমই মুক্ত হয়েছি, তা বলা যাবে না। পাশাপাশি ঢাকা শহরেও ডেঙ্গু আক্রমণের হার একদম কম নয়। হাসপাতালে আমরা অনেক রোগী দেখি যার ডেঙ্গু এবং কোভিড দুটোই একসাথে হয়েছে। যদি কোনো অভিজ্ঞ চিকিৎসক থাকেন যারা আগে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা করেছেন এবং একইসাথে কোভিড রোগীর চিকিৎসা কেমন হবে তা সম্পর্কে জানেন, তাহলে আমরা তার কাছ থেকে একটি সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা বা গাইডলাইন নিতে পারি। আমরা মনে করি চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় এই মুহূর্তে আমাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না কিন্তু এটা তো কোনো সমাধান নয়। সমাধান হলো প্রিভেনশন। প্রিভেনশনের প্রেক্ষাপটে আমাদের দুটো জায়গায় কাজ করতে হবে। একটি জায়গা হলো সিটি কর্পোরেশন বা স্থানীয় সরকারে যারা আছেন, তারা এটি প্রিভেনশনের দায়িত্বে কাজ করবেন। চিকিৎসকদের কাজ হলো চিকিৎসার দায়িত্ব। চিকিৎসাব্যবস্থায় যেহেতু আমাদের সক্ষমতা আছে, সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে কাজের জায়গায় আরও একটু নজর দেয়া প্রয়োজন। সেটা প্রচার-প্রচারণা হোক কিংবা মশক নিধন অভিযান হোক, যেভাবে সম্ভব এটি তাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে। আরও একটি বিষয় হলো আমাদের এখনকার সময়ের দাবি। স্থানীয় সরকারের অধীনে একটি কীট পতঙ্গ বা এনটমোলজি ডিপার্টমেন্ট হওয়া উচিত বা কেন্দ্রীয় সেল গঠন করা উচিত। তারা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা দ্বারা কাজ করবে।
অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেন, তারা মশা নিয়ে কাজ করবে, কীভাবে মশা নিধন এবং নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা আন্তর্জাতিক বিশ্বের সাথে যোগাযোগ করে তাদের এই সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে হবে। পারিবারিকভাবে কিংবা ব্যক্তিগতভাবে আমাদের সবারই নিজেদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। নিজের সুরক্ষা নিজেকেই করতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, নিজের বাড়ি এবং আশেপাশে পরিষ্কার রাখতে হবে। স্কুল কলেজ, অফিস আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন জায়গাগুলো একটু চ্যালেঞ্জিং। এই জায়গাগুলো পরিষ্কার করার উদ্যোগে সিটি কর্পোরেশনকে তা নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ ও সমন্বয় করে নজরদারির মাধ্যমে এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে। তাহলেই আমরা ডেঙ্গু এবং কোভিড নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিআইডিএস যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেটাই হচ্ছে প্রকৃত চিত্র। বিআইডিএসের গবেষণার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। কারণ তারা কতগুলো গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে যেগুলোর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। সুতরাং বিআইডিএস যেটা বলছে সেটার সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না।