লিভিং ইনসাইড

ওজন কমাতে রসুন খান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০২ এএম, ০৫ অক্টোবর, ২০২১


Thumbnail

ওজন নিয়ে কমবেশি সবাই বেশ বিপদেই থাকেন। ওজন  কমাতে কতজনই না কতকিছু করেন! কেউ কঠোর ডায়েট অনুসরণ করেন আবার কেউ জিমে গিয়ে পরিশ্রম করেন। শরীরের ওজন একবার বেড়ে গেলে তা কমানো ততটা সহজ নয়। বিশেষ করে পেটের চর্বি কমানো বেশি কঠিন।

যদিও ওজন কমাতে ব্যায়াম ও ডায়েট দু’টোই জরুরি। তবে ওজন কমানোর যাত্রায় ডায়েটে পুষ্টিকর খাবার রাখা জরুরি। যদি আপনি অস্বাস্থ্যকর খাবার খান, আবার ব্যায়ামও করেন তাহলে কিন্তু ওজন কমবে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ৭০ শতাংশ পুষ্টিকর খাদ্য ও ৩০ শতাংশ ব্যায়ামের মাধ্যমেই আপনি সহজেই ওজন কমাতে পারবেন। বর্তমানে ওজন কমানোর জন্য ডায়েট সম্পর্কে জানতে আপনি ইন্টারনেটে হাজারও আর্টিকেল, ভিডিও ইত্যাদি খুঁজে পাবেন।

যদিও সব ডায়েট সবার জন্য উপযুক্ত নয়। তবে কিছু সহজ ডায়েট ট্রিকস অনুসরণ করলে বিস্ময়কর কাজ করতে পারে। যেমন খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা সবাই কমবেশি জানেন। তবে অতিরিক্ত ওজন কমাতেও এই রান্নাঘরের উপাদানটি বেশ কার্যকর।

রসুন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি রক্তনালীকে শিথিল করে, রক্তচাপ কমায়, রক্তপ্রবাহ বাড়ায় ও রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচায়।

এক কোয়া রসুন খেলে আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে। এছাড়াও রসুনে আছে ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন সি, ফাইবার, ক্যালসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদানসমূহ।


ওজন কমাতে রসুন কীভাবে কাজ করে?

রসুনে থাকা একাধিক পুষ্টি উপাদান শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর খাবার ও নিয়মিত শরীরচর্চার সঙ্গে সকালে খালি পেটে রসুন খেলে দ্রুত ওজন কমবে।

এটি শক্তির মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ও অতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে। রসুনে থাকা পুষ্টিগুণ বিপাকক্রিয়ার হার বাড়ায়। যা ওজন কমানোর লক্ষ্যকে সমর্থন করে।

জানলে অবাক হবেন, খালি পেটে রসুন খেলে পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা থাকে। এটি অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখে। এ কারণে দ্রুত ওজন কমে। জার্নাল অব নিউট্রিশনে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন চর্বি পোড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

রসুনে ডিটক্সিফাইং বৈশিষ্ট্যও আছে। যা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে, যা হজমে বাঁধা দেয়। এর ফলে অতিরিক্ত ওজনও কমতে শুরু করে।

ওজন কমাতে রসুন কীভাবে খাবেন?

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে রসুনের ২টি কোয়া চিবিয়ে খেতে পারেন। যদি বমি বমি ভাব বা কোষ্ঠকাঠিন্য অনুভব করেন তাহলে এড়িয়ে যান।

গর্ভবতী নারী, শিশু, নিম্ন রক্তচাপ, রক্তক্ষরণজনিত রোগ ও ডায়াবেটিস রোগীদের খালি পেটে রসুন খাওয়ার এড়িয়ে যান।



মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

জানুন চায়ে গুড় মিশিয়ে খেলে পাবেন যে উপকার

প্রকাশ: ০৬:৫৫ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দিন দিন মানুষ স্বাস্থ্যের বিষয়ে যত সচেতন হচ্ছেন, চিনি ছাড়ার প্রবণতা ততই বাড়ছে। কিন্তু তাই বলে মিষ্টিকে খাদ্যতালিকা থেকে পুরোপুরি বাদও দেয়া যায় না। তাই আজকাল অনেকেই চিনির পরিবর্তে গুড়ের দিকে ঝুঁকছেন। নিরামিষ, আমিষ সমস্ত রান্নায় চিনির পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে গুড়।

কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় চায়ের ক্ষেত্রে। দিনে বার কয়েক চা খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। কেউ কেউ মিষ্টি ছাড়া চা খেতেই পছন্দ করেন। আবার অনেকে চায়ে মিষ্টি না হলে খেতেই পারেন না। সেক্ষেত্রে চায়েও কিন্তু গুড় মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে!

লাইফস্টাইল বিষয়ক এক ওয়েবসাইট জানিয়েছে, গবেষণা বলছে, গুড় অসংখ্য পুষ্টিগুণে ভরপুর। স্বাস্থ্যের নানা উপকার তো করেই, পাশাপাশি গুড়ের চা শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতেও খুব কার্যকর। তাই স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা প্রতিদিনের ডায়েটে রাখতেই পারেন এই চা।

গুড়ের চা কী ভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে —

হজমে সাহায্য করে : গুড় খুব দ্রুত খাবার হজমে সাহায্য করে। অনেকেই মনে করেন যে, গুড়ে থাকা চিনি শরীরে চর্বি জমায়। কিন্তু এই ধারণা সঠিক নয়। বরং গুড় ভাল হজমে সাহায্য করে, মেটাবলিজম বাড়ায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।

মেটাবলিজম বাড়ায় : মেটাবলিজম বা বিপাক এক ধরনের প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে শরীর খাবার থেকে প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয় করে। তাই খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসের উপরই নির্ভর করে দেহের বিপাক প্রক্রিয়া কী রকম হবে। মেটাবলিজম ঠিক থাকলে ওজনও নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। গবেষণায় দেখা গেছে, গুড় পটাশিয়াম সমৃদ্ধ, যা শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে, পেশী তৈরি এবং মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। আর বিপাক ঠিক থাকলে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি বার্ন হয়, যার ফলে ওজন কমে।

অ্যানিমিয়ার জন্য উপকারী : শরীরে আয়রনের মাত্রা কম হলেই অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা দেখা দেয়। অ্যানিমিয়ার কারণে অনেকের ওজন বাড়তেও দেখা যায়। গবেষণা বলছে, গুড়ের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। রোজ গুড় খেলে বা খাবারে গুড় মেশালে শরীরের আয়রনের ঘাটতি মেটে। তাই রক্তাল্পতা থেকে মুক্তি পেতে গুড় খেতেই পারেন। তবে গুড় কেবল ওজন কমাতেই সাহায্য করে না। পাশাপাশি গুড়ের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং আরও অনেক ধরণের মাইক্রো-নিউট্রিয়েন্ট। যে কারণে গুড় আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।


হজমে সাহায্য   মেটাবলিজম   অ্যানিমিয়া  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

চুল বেঁধে ঘুমালে কী হয়?

প্রকাশ: ০৫:১৮ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ঘুমের সময়ের কিছু অভ্যাস আমাদের জন্য উপকারী হতে পারে, কিছু হতে পারে ক্ষতিকর। যেমন ধরুন আপনার শোয়ার ভঙ্গীর ওপর নির্ভর করে অনেককিছু। আবার ঘুমের আগে খাবার খেলে হতে পারে হজমে সমস্যা। এমনকী আপনার চুল বেঁধে ঘুমাচ্ছেন নাকি খোলা রাখছেন তাও প্রভাব ফেলতে পারে শরীরে। চুল বেঁধে ঘুমানোর অভ্যাস থাকে অনেকেরই। 

তবে এই অভ্যাস কি আপনার জন্য উপকারী নাকি ক্ষতিকর? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত:

 অনেকে মনে করেন চুল টেনে বাঁধলে চুল দ্রুত লম্বা হয়। এটি আসলে ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, টাইট করে চুল বাঁধলে চুলের গোড়ায় টান পড়ে। তখন চুলের গোছা গোড়া থেকে আলগা হতে শুরু করে। তখন সামান্য টান পড়লেই উঠে আসে চুল, এমনকী চুল মাঝখান থেকেও ভেঙে যেতে পারে।

আপনি যদি চুল বেঁধে ঘুমাতে যান তাহলে ঘুমানোর সময়ে অজান্তেই চুলে টান পড়ে। তাই টাইট করে চুল বেঁধে ঘুমাতে নিষেধ করেন বিশেষজ্ঞরা। তবুও আপনি যদি আঁটসাঁট করে চুল বেঁধে ঘুমাতে যান তাহলে সকালে ঘুম থেকে উঠে চুল পড়তে দেখতে হতে পারে। 

চুল ভালো রাখতে হলে টেনে চুল বাঁধবেন না। কারণ এভাবে বাঁধলে চুলের গোড়ায় টান পড়ে। এতে চুল ছিঁড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। দুর্বল হয়ে যেতে পারে চুলের গোঁড়াও। চুল ছোট হলে খোলা রাখতে পারেন। বড় চুলে হালকা বেণী করতে পারেন। চুল পরিষ্কার কাপড়ে বেঁধে শোয়া অভ্যাস করুন। এতে গোড়ায় টান পড়ে না। ফলে চুল পড়ার ভয়ও থাকে না।

চুল বাঁধার ক্ষেত্রে কাপড়ের হেয়ার ব্যান্ড ব্যবহার করুন। সিল্ক বা সুতির কাপড়ে চুল জড়িয়ে ঘুমানোর অভ্যাসই ভালো বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এতে চুলে ঘষা লাগে না। চুল সুরক্ষিত থাকে। ফলে চুল পড়ে না। চুল আঁচড়ানোর সময় মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করবেন। কাঠের চিরুনি ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো।



মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

বর্ষাকালে পাহাড়ে ঘুরতে গেলে নিতে হবে যেসব প্রস্তুতি

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২০ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail

প্রকৃতি উপভোগ করতে হয় নিজেকে ও জীবনকে আনন্দ প্রদানের জন্য। তবে যদি আনন্দ পেতে গিয়ে জীবনটাই হারিয়ে যায়, তবে আফসোসের সীমা থাকে না। বর্ষায় পাহাড়ে ভ্রমণ পরিকল্পনা করার আগে বাড়তি সতর্ক থাকতে হয়।

বর্ষায় পাহাড়ে যাওয়ার আগে যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে:

১) হাতে অতিরিক্ত দিন রাখুনঃ চার দিনের ভ্রমণ পরিকল্পনা থাকলে হাতে এক-দু’দিন সময় বাড়তি রেখে টিকিট কাটুন। বর্ষায় পাহাড়ে মাঝেমধ্যেই ধস নামে, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রাস্তায় বেরোনোও বন্ধ হতে পারে, তাই বাঁধাধরা সময় হাতে নিয়ে গেলে আপনার ঘোরার মজাটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

২) দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় পাহাড়ে ভ্রমণ নয়ঃ পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করার আগে আবহাওয়া কেমন থাকবে সে বিষয়ে খোঁজ নিন। ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলে কখনোই পাহাড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করবেন না। কারণ এই সময় পাহাড়ের রূপ বদলে যায় হঠাৎ করেই। ঝিরিতে পানি বেড়ে যায়, সৃষ্টি হয় ফ্ল্যাশ ফ্লাডের। পাহাড়ের এই রূপ যদিও সুন্দর, তবে কাছ থেকে দেখতে যাওয়া ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ।

৩) লোকাল গাইড নেবেন অবশ্যইঃ পাহাড় ভ্রমণে যেতে চাইলে লোকাল গাইড নেবেন। ভ্রমণের খরচ কমানোর জন্য গাইড ছাড়া নিজেরাই পাহাড়ি দুর্গম অঞ্চলে প্রবেশের পরিকল্পনা করবেন না।

৪) জুতো ও জামাকাপড়ে নজরঃ বর্ষায় ঘুরতে যাওয়ার আগে রেনকোট কিনতে ভুলবেন না। এই সময় পাহাড়ের আবহাওয়া বেশ ঠান্ডা হয়ে যায়, তাই হালকা শীতের পোশাকও সঙ্গে রাখতে হবে। একটা ভাল ওয়াটারপ্রুফ জুতো কিনুন। বর্ষায় ভাল জুতো না হলে পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ হবে।

৫) মশা মারার ধূপ ও ক্রিমঃ বর্ষায় চারদিকে পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়ে। তাই যেখানেই যাচ্ছেন সঙ্গে মশা মারার ধূপ, মশা থেকে দূরে থাকার জন্য গায়ে মাখার ক্রিম সঙ্গে রাখুন।

৬) প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখুন সঙ্গেঃ পানিবাহিত রোগের পাশাপাশি এই সময় ঠান্ডা, জ্বর, সর্দি, কাশির মতো রোগ দেখা দেয়। আবার হঠাৎ পরড়ে গিয়ে ব্যথা পাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই জ্বর, ব্যথা কিংবা প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখবেন। কারণ দুর্গম পাহাড়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা পাওয়াটা সহজ নয়।

৭) আবহাওয়ার পূর্বাভাসের দিকে নজরঃ পাহাড়ে পৌঁছনোর পর কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে বা ট্রেক করতে যাওয়ার আগে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখতে ভুলবেন না। বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলে ট্রেকে না যাওয়াই ভাল। মাঝপথে নইলে বিপদে পড়তে হবে।

৮) স্থানীয়দের উপর ভরসাঃ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে কিংবা বৃষ্টি হলে সেই পরিস্থিতি কোথায় ঘুরতে যাওয়া নিরাপদ হবে, তার জন্য গুগলের উপর ভরসা না করে স্থানীয়দের উপর ভরসা রাখাই ভাল। ভারী বর্ষার মধ্যে নিজে নিজে কোথাও বেরিয়ে পড়া নিরাপদ হবে না, একান্তই কোথাও বেরোতে হলে স্থানীয় ড্রাইভার সঙ্গে রাখুন।


বর্ষাকাল   পাহাড়  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

বারান্দায় বা ছাদের টবে সহজেই মরিচের চাষ পদ্ধতি

প্রকাশ: ০৮:০৭ এএম, ২৩ জুলাই, ২০২৩


Thumbnail

একটু রোদ আর সামান্য যত্নে সহজেই চাষ করা যায় মরিচ গাছ। বাসার বারান্দায় বা ছাদে এমন স্থান বেছে নিতে হবে, যেখানে আলো-বাতাস আছে। মরিচ ছায়ায়ও ভালো হয়। তবে মাঝে মাঝে রোদে দিতে হবে বা জানালার কাছে রাখতে হবে। ছাদে অথবা বারান্দায় মরিচ চাষের ক্ষেত্রে মাটি অথবা প্ল্যাস্টিকের টব ব্যবহার করা ভালো। এছাড়া পলিব্যাগ, টিনের কৌটা বা প্ল্যাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।

মরিচ গাছের জন্য মাঝারি আকৃতির টব হলেই চলে। মাঝারি আকৃতির টবে চারটি মরিচ গাছের চাষ করা সম্ভব। বীজ বপন করার আগে অবশ্যই ২৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সাধারণত মরিচ চাষের উপযুক্ত সময় হলো মে-জুন। এছাড়া শীতকালের শুরুতে অক্টোবর মাসেও মরিচের বীজ বপন করা যায়। এসময় বীজ বপন করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।

বপনের ক্ষেত্রে টবের অথবা উপযুক্ত পাত্রের মাটিতে শুকনা বীজ ছড়িয়ে দিন বা বুনে দিন। কিছুদিন পরে দেখা যাবে বেশকিছু চারা গাছ গজিয়েছে। সেখান থেকে শক্তিশালী চারাগুলো রেখে বাকি চারাগুলো উপড়ে ফেলুন। শুকনো মরিচের ভেতরে যে বীজ থাকে সেগুলোও বের করে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

প্ল্যাস্টিকের কনটেইনার ব্যবহার করলে অতিরিক্ত পানি বের করে দেওয়ার জন্য আগেই কনটেইনারটিতে কয়েকটি ছোট ছিদ্র করে নিতে পারেন। গাছের গোড়ায় দিনে একবার অবশ্যই পানি দেবেন। সব সময় সঠিক নিয়মে পরিমাণমতো পানি দিন। পানি দিলে অনেক সময় গাছ হেলে যেতে পারে। তাই গাছের গোড়ায় কাঠি বেঁধে দিন। গাছে পানি দেওয়ার সময় লক্ষ্য রাখুন পাতা যেন ভিজে না যায়। পাতা ভিজে গেলে রোগবালাই হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। পানি জমে গাছ মারা যেতে পারে; তাই টব থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখুন।

যখন মরিচের চারা বড় হয়, সে সময়ে মাটি আর্দ্র রাখা খুবই জরুরি। যথেষ্ট আলো বাতাস ও পানির প্রয়োজন হয় মরিচ গাছ বাড়ার জন্য। এদের ছাদে, বারান্দা অথবা জানালার পাশের রৌদ্রোজ্জ্বল স্থানে রাখুন। খুব বেশি রোদ যেন না লাগে। সকাল অথবা বিকেলে মরিচ গাছের যত্ন নিন।

মরিচের কচি চারার ডগা খাওয়ার জন্য পিঁপড়া বা ছোট পাখি আসে। তাই টবের চারপাশে কীটনাশক চকের দাগ দিয়ে রাখতে পারেন অথবা পাউডার জাতীয় কীটনাশক দিতে পারেন। পাখির হাত থেকে বাঁচার জন্য শক্ত নেট ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া পানিতে কয়েক ফোটা তরল সাবান মিশিয়ে গাছে স্প্রে করতে পারেন। অথবা পোকামারা কীটনাশক ব্যবহার করুন।

মরিচ গাছে ফুল এলে দু-তিন দিন পরই ফুল ঝরে যাবে। ধীরে ধীরে মরিচ বড় হবে। কিছুদিন পর থেকে মরিচ সংগ্রহ করতে পারেন। মরিচ বড় হলে টান দিয়ে না ছিড়ে কাঁচি দিয়ে সাবধানে কেটে নিন। তাহলে গাছের কোনো ক্ষতি হবে না। গাছ বেশি পরিমাণ ফলন দেয়।

একটি মরিচ গাছ থেকে মোটামুটি দুই দফায় ভালো মরিচ পাওয়া যায়। ঝাল মরিচের একটি গাছে এক দফায় কমপক্ষে ৫০ থেকে ৭৫টি করে, দুই দফায় ১০০ থেকে ১৫০টি মরিচ পাওয়া সম্ভব। যার ওজন প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম।

পাকা মরিচ ১৫ দিন পরপর সংগ্রহ করা যায়। মরিচ গাছ নির্বাচন করে পরিপূর্ণ পাকা মরিচ সংগ্রহ করতে হবে। তারপর ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে বীজ বের করে নিতে হবে। বীজ শুকিয়ে আর্দ্রতা ৬-৮ শতাংশ করে নিয়ে বায়ুরোধী পাত্র বা পলিথিন প্যাকেটে সংরক্ষণ করতে হবে।


মরিচ চাষ   ছাদ   টব  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

বর্ষায় ক্ষতিকর কেন্নোর উপদ্রব কমাতে যেসব বিষয়ে নজর দেয়া জরুরি

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৭ জুলাই, ২০২৩


Thumbnail

পুরোদমে শুরু গেছে বর্ষাকাল। প্রায় প্রতিদিনই দেখা মিলছে বৃষ্টির। বছরের এই সমইয়টা অনেকে উপভোগ করেন, আবার অনেকে অঝোর ধারায় বৃষ্টি মোটেও পছন্দ করেন না। কারণ বর্ষাকাল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি কিছু সমস্যাও নিয়ে আসে।

অনেকে এই সময়ে সহজে জামাকাপড় শুকাতে চায় না, চুল ভেজা থাকে, সেইসঙ্গে বাসাবাড়িতে পোকামাকড়ের উপদ্রব লেগে থাকে। পিঁপড়া, মশার পাশাপাশি ঘরে কেন্নোর উপদ্রবও দেখা যায়। স্যতঁস্যাঁতে পরিবেশের কারণেই মূলত বর্ষকালে বাড়িতে কিংবা বাড়িসংলগ্ন বাগানে কেন্নোর আনাগোনা বেড়ে যায়।

বাড়ির ফাঁকফোঁকর বা জানালে দিয়ে ঘরে সহজেই প্রবেশ করে কেন্নো। তবে কিছু সহজ উপায় মেনে বর্ষাকালে খুব সহজেই কেন্নোর উপদ্রব থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

কেন্নোর উপদ্রব কমাতে এবং এর ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে কিছু বিষয় অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবেঃ

১। কেন্নো যেহেতু আদ্র জায়গাই বেশি পছন্দ করে, তাই ঘর যদি আর্দ্র ও স্যাঁতস্যাতে হয় তাহলে সমস্যা বাড়বে। ঘর, বারান্দা, রান্নাঘর, দেওয়াল এবং বাড়ির চারপাশ যত আর্দ্রতা মুক্ত থাকবে, ততই কেন্নো আসার সম্ভাবনাও কমবে। দিনের বেলায় জানালা, দরজা খুলে দিন, যাতে ঘরে ভালো করে রোদ আসে।

২। কেন্নো মারার জন্য ঘরের কোণে, দরজার ফাঁকের মধ্যে, জানলার পাশে, বাগানে ডায়াটোমেসিয়াস আর্থ পাউডার ছড়িয়ে রাখুন। এই পাউডারের সংস্পর্শে এলে কেন্নোর শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যায় এবং এরা শুকিয়ে মারা যায়।

৩। কেন্নো তাড়াতে ব্যবহার করতে পারেন বোরিক অ্যাসিড। এটি কেন্নোর শরীরের হজম ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়। স্যাঁতস্যাঁতে বা ভেজা জায়গায় বোরিক অ্যাসিড ছড়িয়ে দিন। তবে বাচ্চা বা পোষা জীব থাকলে বোরিক অ্যাসিড ব্যবহার করবেন না।

৪। ঘরের দেওয়াল বা মেঝের কোথাও কোনো ফাঁক বা ফাটল থাকলে তা ভরাট করুন। নোংরা ও আবর্জনা যেন জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। বাড়িতে কোথাও ভাঙাচোড়া কিছু থাকলে তা সারিয়ে ফেলুন, পাশাপাশি ওয়ারিং ও প্লাম্বিংয়ে কোনো সমস্যা থাকলে তারও মেরামত করুন।

৫।কেন্নো ধরতে ফাঁদ পাতুন। ফাঁদ তৈরির জন্য লাগবে একটি প্লাস্টিকের পানির বোতল, একটি ইঞ্চি ছয়েক লম্বা পাইপ, টেপ, ছোটো করে কাটা কয়েক টুকরো পাকা ফল। প্রথমে বোতলে ফলের টুকরো ভরে নিন। তারপর বোতলের মুখে পাইপটি ইঞ্চি দুয়েক ঢুকিয়ে ভালো করে টেপ দিয়ে আটকে দিন। এইভাবে বোতলটি মাটিতে শুইয়ে রাখুন। ফল পচতে শুরু করলে কেন্নো বোতলের ভিতরে প্রবেশ করবে। কেন্নো জমলে বোতলটি ফেলে দিন।

৬। টি ট্রি অয়েল, পেপারমিন্ট অয়েলের সাহায্যে কেন্নোকে দূরে রাখা যায়। পানির সঙ্গে মিশিয়ে এই তেলগুলো ব্যবহার করুন। ঘরের সীমানা, দরজার ফাঁকের মধ্যে, বাড়িতে কোনো গাছ থাকলে তার মাটিতে, বাগানে বা এমন কোনো স্থান যেখানে কেন্নো থাকার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে এসেনশিয়াল অয়েল ছড়িয়ে দিতে পারেন।

ঘরে ঠিকমতো বাতাস চলাচল হওয়াও জরুরি। কোথাও যাতে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব না থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। পানি জমতে দেবেন না। নর্দমা পরিষ্কার রাখুন।

 



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন