লিভিং ইনসাইড

ভিটামিন ডি-র অভাব কতটা বিপজ্জনক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:২১ এএম, ১৩ অক্টোবর, ২০২১


Thumbnail

শরীরের অন্যতম জরুরি একটি ভিটামিন, ভিটামিন ডি। এটি যে কেবল হাড় ও পেশির স্বাস্থ্য ভাল রাখে এমন নয়, যে কোনও সংক্রমণ ঠেকাতে ও শরীরের প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে জোরদার করে তুলতে তার বিরাট ভূমিকা রাখে।

ত্বকে নিয়মিত নির্দিষ্ট সময় ধরে রোদ লাগলে ভিটামিন ডি তৈরি হয় ঠিকই, কিন্তু সমীক্ষা বলে গরম ও রং কালো হয়ে যাওয়ার ভয়ে বেশির ভাগ মানুষই রোদ থেকে দূরে থাকেন। ব্যবহার করেন ছাতা, টুপি, সানগ্লাস, সানস্ক্রিন। ফলে দিনে ৩০-৪০ মিনিট খোলা শরীরে রোদ লাগানোর নিয়ম মানলে সমস্যা মেটে, তা হয় না। মাঠে বা পার্কে হাঁটাহাটি করলে কিছুটা কাজ হয়। সেটাও হয়ে ওঠে না। কারণ স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ জিমে ব্যায়াম করাই বেশি পছন্দ করেন। একটু অসাবধানতার কারণেই শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হচ্ছে না, মানুষ জন নানা সমস্যায় ভুগছেন। যেমন-

প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়া

ভিটামিন-ডি আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বার বার অসুস্থ হয়ে পড়া শরীরে ভিটামিন-ডি’র ঘাটতির সঙ্কেত হতে পারে।

হাড় এবং পিঠে ব্যথা

ভিটামিন-ডি শরীরে ক্যালসিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। যদি নিয়মিত শরীরে হাড় বা পিঠে ব্যথা বোধ করেন, তাহলে বুঝবেন এটা ভিটামিন-ডি’র অভাবের কারণে ঘটতে পারে।

শরীরের ঘা শুকাতে দেরি হলে

গবেষণায় দেখা গেছে ভিটামিন-ডি শরীরে নতুন চামড়া গজাতে সাহায্য করে। শরীরের যে কোনো অংশে হওয়া ঘা শুকানোর ব্যাপারেও বিশেষভাবে সাহায্য করে। তাই ঘা শুকাতে দেরি হলে বুঝবেন শরীরে ভিটামিন-ডি’র অভাব।

হাড় ক্ষয় হতে শুরু করলে

ক্যালসিয়ামের এভাবে শরীরের হাড় ক্ষয় হতে শুরু করে। ক্যালসিয়াম সংশ্লেষণের ক্ষেত্রে ভিটামিন-ডি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বৃদ্ধ বয়সে যারা হাড়ের সমস্যাতে ভোগেন, তাদের ক্যালসিয়ামসহ বেশ কিছু খনিজের অভাব পূরণ করতে বলা হয়, সেই সঙ্গে ভিটামিন-ডি’র দিকেও বিশেষ নজর বলে থাকেন চিকিৎসকরা।

মাংসপেশিতে ব্যথা

ভিটামিন-ডি’র অভাবে শরীরের মাংসপেশিতে ব্যথা যন্ত্রণার সৃষ্টি হয়। এই ভিটামিন শরীরের মাংসপেশিকে দৃঢ়তা প্রদান করে, যার ফলে ব্যথা যন্ত্রণার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

ক্লান্ত বোধ করা

সুস্থ জীবনধারা ও গভীর ঘুম হওয়ার পরেও যদি আপনি ক্লান্ত বোধ করেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে ভিটামিন-ডি’র ঘাটতি হচ্ছে। এই বিষয়টি কখনই এড়িয়ে যাবেন না, সেক্ষেত্রে কীভাবে এই ঘাটতি পূরণ করা যায় সেদিকে নজর দিন। 

অবসাদ বোধ

ভিটামিন-ডি’র অভাবে আপনার মনে অবসাদের সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি লক্ষ্য করা যায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, অবসাদগ্রস্থ ব্যক্তিকে সাপ্লিমেন্ট দেওয়ার পর সে অনেকটাই সুস্থ বোধ করেন।

চুল পড়া

অতিরিক্ত চুল ঝরা মানে, অবশ্যই আপনার শরীরে পুষ্টির অভাব আছে। শরীরে ভিটামিন-ডি’র অভাবে আপনার চুল বেশি মাত্রায় ঝরতে পারে।

কীভাবে ভিটামিন-ডি’ঘাটতি পূরণ করবেন?

আপনি যদি প্রতিদিন ১০ মিনিট সূর্যের আলোর নিচে বসতে পারেন তাহেল ভিটামিন-ডি’র ঘাটতি পূরণ হবে। এছাড়া ভিটামিন-ডি’র ঘাটতি পূরণের জন্য খেতে পারেন ফল, ছোট মাছ, পনির, ডিমের কুসুম, মাশরুম ও দুধ। জরুরি প্রয়োজনে নির্ধারিত মাত্রায় ভিটামিন-ডি’র ওষুধ নিতে পারলে এর ঘাটতি পূরণ হতে পারে।

করোনা সংকটকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে সুস্থ থাকাটাই গুরুত্বপূর্ণ। শরীরে যাতে কোন কিছুর অভাব না ঘটে সে দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া উচিত।



মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

চুল বেঁধে ঘুমালে কী হয়?

প্রকাশ: ০৫:১৮ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ঘুমের সময়ের কিছু অভ্যাস আমাদের জন্য উপকারী হতে পারে, কিছু হতে পারে ক্ষতিকর। যেমন ধরুন আপনার শোয়ার ভঙ্গীর ওপর নির্ভর করে অনেককিছু। আবার ঘুমের আগে খাবার খেলে হতে পারে হজমে সমস্যা। এমনকী আপনার চুল বেঁধে ঘুমাচ্ছেন নাকি খোলা রাখছেন তাও প্রভাব ফেলতে পারে শরীরে। চুল বেঁধে ঘুমানোর অভ্যাস থাকে অনেকেরই। 

তবে এই অভ্যাস কি আপনার জন্য উপকারী নাকি ক্ষতিকর? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত:

 অনেকে মনে করেন চুল টেনে বাঁধলে চুল দ্রুত লম্বা হয়। এটি আসলে ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, টাইট করে চুল বাঁধলে চুলের গোড়ায় টান পড়ে। তখন চুলের গোছা গোড়া থেকে আলগা হতে শুরু করে। তখন সামান্য টান পড়লেই উঠে আসে চুল, এমনকী চুল মাঝখান থেকেও ভেঙে যেতে পারে।

আপনি যদি চুল বেঁধে ঘুমাতে যান তাহলে ঘুমানোর সময়ে অজান্তেই চুলে টান পড়ে। তাই টাইট করে চুল বেঁধে ঘুমাতে নিষেধ করেন বিশেষজ্ঞরা। তবুও আপনি যদি আঁটসাঁট করে চুল বেঁধে ঘুমাতে যান তাহলে সকালে ঘুম থেকে উঠে চুল পড়তে দেখতে হতে পারে। 

চুল ভালো রাখতে হলে টেনে চুল বাঁধবেন না। কারণ এভাবে বাঁধলে চুলের গোড়ায় টান পড়ে। এতে চুল ছিঁড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। দুর্বল হয়ে যেতে পারে চুলের গোঁড়াও। চুল ছোট হলে খোলা রাখতে পারেন। বড় চুলে হালকা বেণী করতে পারেন। চুল পরিষ্কার কাপড়ে বেঁধে শোয়া অভ্যাস করুন। এতে গোড়ায় টান পড়ে না। ফলে চুল পড়ার ভয়ও থাকে না।

চুল বাঁধার ক্ষেত্রে কাপড়ের হেয়ার ব্যান্ড ব্যবহার করুন। সিল্ক বা সুতির কাপড়ে চুল জড়িয়ে ঘুমানোর অভ্যাসই ভালো বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এতে চুলে ঘষা লাগে না। চুল সুরক্ষিত থাকে। ফলে চুল পড়ে না। চুল আঁচড়ানোর সময় মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করবেন। কাঠের চিরুনি ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো।



মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

বর্ষাকালে পাহাড়ে ঘুরতে গেলে নিতে হবে যেসব প্রস্তুতি

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২০ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail

প্রকৃতি উপভোগ করতে হয় নিজেকে ও জীবনকে আনন্দ প্রদানের জন্য। তবে যদি আনন্দ পেতে গিয়ে জীবনটাই হারিয়ে যায়, তবে আফসোসের সীমা থাকে না। বর্ষায় পাহাড়ে ভ্রমণ পরিকল্পনা করার আগে বাড়তি সতর্ক থাকতে হয়।

বর্ষায় পাহাড়ে যাওয়ার আগে যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে:

১) হাতে অতিরিক্ত দিন রাখুনঃ চার দিনের ভ্রমণ পরিকল্পনা থাকলে হাতে এক-দু’দিন সময় বাড়তি রেখে টিকিট কাটুন। বর্ষায় পাহাড়ে মাঝেমধ্যেই ধস নামে, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রাস্তায় বেরোনোও বন্ধ হতে পারে, তাই বাঁধাধরা সময় হাতে নিয়ে গেলে আপনার ঘোরার মজাটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

২) দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় পাহাড়ে ভ্রমণ নয়ঃ পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করার আগে আবহাওয়া কেমন থাকবে সে বিষয়ে খোঁজ নিন। ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলে কখনোই পাহাড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করবেন না। কারণ এই সময় পাহাড়ের রূপ বদলে যায় হঠাৎ করেই। ঝিরিতে পানি বেড়ে যায়, সৃষ্টি হয় ফ্ল্যাশ ফ্লাডের। পাহাড়ের এই রূপ যদিও সুন্দর, তবে কাছ থেকে দেখতে যাওয়া ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ।

৩) লোকাল গাইড নেবেন অবশ্যইঃ পাহাড় ভ্রমণে যেতে চাইলে লোকাল গাইড নেবেন। ভ্রমণের খরচ কমানোর জন্য গাইড ছাড়া নিজেরাই পাহাড়ি দুর্গম অঞ্চলে প্রবেশের পরিকল্পনা করবেন না।

৪) জুতো ও জামাকাপড়ে নজরঃ বর্ষায় ঘুরতে যাওয়ার আগে রেনকোট কিনতে ভুলবেন না। এই সময় পাহাড়ের আবহাওয়া বেশ ঠান্ডা হয়ে যায়, তাই হালকা শীতের পোশাকও সঙ্গে রাখতে হবে। একটা ভাল ওয়াটারপ্রুফ জুতো কিনুন। বর্ষায় ভাল জুতো না হলে পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ হবে।

৫) মশা মারার ধূপ ও ক্রিমঃ বর্ষায় চারদিকে পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়ে। তাই যেখানেই যাচ্ছেন সঙ্গে মশা মারার ধূপ, মশা থেকে দূরে থাকার জন্য গায়ে মাখার ক্রিম সঙ্গে রাখুন।

৬) প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখুন সঙ্গেঃ পানিবাহিত রোগের পাশাপাশি এই সময় ঠান্ডা, জ্বর, সর্দি, কাশির মতো রোগ দেখা দেয়। আবার হঠাৎ পরড়ে গিয়ে ব্যথা পাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই জ্বর, ব্যথা কিংবা প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখবেন। কারণ দুর্গম পাহাড়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা পাওয়াটা সহজ নয়।

৭) আবহাওয়ার পূর্বাভাসের দিকে নজরঃ পাহাড়ে পৌঁছনোর পর কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে বা ট্রেক করতে যাওয়ার আগে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখতে ভুলবেন না। বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলে ট্রেকে না যাওয়াই ভাল। মাঝপথে নইলে বিপদে পড়তে হবে।

৮) স্থানীয়দের উপর ভরসাঃ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে কিংবা বৃষ্টি হলে সেই পরিস্থিতি কোথায় ঘুরতে যাওয়া নিরাপদ হবে, তার জন্য গুগলের উপর ভরসা না করে স্থানীয়দের উপর ভরসা রাখাই ভাল। ভারী বর্ষার মধ্যে নিজে নিজে কোথাও বেরিয়ে পড়া নিরাপদ হবে না, একান্তই কোথাও বেরোতে হলে স্থানীয় ড্রাইভার সঙ্গে রাখুন।


বর্ষাকাল   পাহাড়  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

বারান্দায় বা ছাদের টবে সহজেই মরিচের চাষ পদ্ধতি

প্রকাশ: ০৮:০৭ এএম, ২৩ জুলাই, ২০২৩


Thumbnail

একটু রোদ আর সামান্য যত্নে সহজেই চাষ করা যায় মরিচ গাছ। বাসার বারান্দায় বা ছাদে এমন স্থান বেছে নিতে হবে, যেখানে আলো-বাতাস আছে। মরিচ ছায়ায়ও ভালো হয়। তবে মাঝে মাঝে রোদে দিতে হবে বা জানালার কাছে রাখতে হবে। ছাদে অথবা বারান্দায় মরিচ চাষের ক্ষেত্রে মাটি অথবা প্ল্যাস্টিকের টব ব্যবহার করা ভালো। এছাড়া পলিব্যাগ, টিনের কৌটা বা প্ল্যাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।

মরিচ গাছের জন্য মাঝারি আকৃতির টব হলেই চলে। মাঝারি আকৃতির টবে চারটি মরিচ গাছের চাষ করা সম্ভব। বীজ বপন করার আগে অবশ্যই ২৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সাধারণত মরিচ চাষের উপযুক্ত সময় হলো মে-জুন। এছাড়া শীতকালের শুরুতে অক্টোবর মাসেও মরিচের বীজ বপন করা যায়। এসময় বীজ বপন করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।

বপনের ক্ষেত্রে টবের অথবা উপযুক্ত পাত্রের মাটিতে শুকনা বীজ ছড়িয়ে দিন বা বুনে দিন। কিছুদিন পরে দেখা যাবে বেশকিছু চারা গাছ গজিয়েছে। সেখান থেকে শক্তিশালী চারাগুলো রেখে বাকি চারাগুলো উপড়ে ফেলুন। শুকনো মরিচের ভেতরে যে বীজ থাকে সেগুলোও বের করে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

প্ল্যাস্টিকের কনটেইনার ব্যবহার করলে অতিরিক্ত পানি বের করে দেওয়ার জন্য আগেই কনটেইনারটিতে কয়েকটি ছোট ছিদ্র করে নিতে পারেন। গাছের গোড়ায় দিনে একবার অবশ্যই পানি দেবেন। সব সময় সঠিক নিয়মে পরিমাণমতো পানি দিন। পানি দিলে অনেক সময় গাছ হেলে যেতে পারে। তাই গাছের গোড়ায় কাঠি বেঁধে দিন। গাছে পানি দেওয়ার সময় লক্ষ্য রাখুন পাতা যেন ভিজে না যায়। পাতা ভিজে গেলে রোগবালাই হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। পানি জমে গাছ মারা যেতে পারে; তাই টব থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখুন।

যখন মরিচের চারা বড় হয়, সে সময়ে মাটি আর্দ্র রাখা খুবই জরুরি। যথেষ্ট আলো বাতাস ও পানির প্রয়োজন হয় মরিচ গাছ বাড়ার জন্য। এদের ছাদে, বারান্দা অথবা জানালার পাশের রৌদ্রোজ্জ্বল স্থানে রাখুন। খুব বেশি রোদ যেন না লাগে। সকাল অথবা বিকেলে মরিচ গাছের যত্ন নিন।

মরিচের কচি চারার ডগা খাওয়ার জন্য পিঁপড়া বা ছোট পাখি আসে। তাই টবের চারপাশে কীটনাশক চকের দাগ দিয়ে রাখতে পারেন অথবা পাউডার জাতীয় কীটনাশক দিতে পারেন। পাখির হাত থেকে বাঁচার জন্য শক্ত নেট ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া পানিতে কয়েক ফোটা তরল সাবান মিশিয়ে গাছে স্প্রে করতে পারেন। অথবা পোকামারা কীটনাশক ব্যবহার করুন।

মরিচ গাছে ফুল এলে দু-তিন দিন পরই ফুল ঝরে যাবে। ধীরে ধীরে মরিচ বড় হবে। কিছুদিন পর থেকে মরিচ সংগ্রহ করতে পারেন। মরিচ বড় হলে টান দিয়ে না ছিড়ে কাঁচি দিয়ে সাবধানে কেটে নিন। তাহলে গাছের কোনো ক্ষতি হবে না। গাছ বেশি পরিমাণ ফলন দেয়।

একটি মরিচ গাছ থেকে মোটামুটি দুই দফায় ভালো মরিচ পাওয়া যায়। ঝাল মরিচের একটি গাছে এক দফায় কমপক্ষে ৫০ থেকে ৭৫টি করে, দুই দফায় ১০০ থেকে ১৫০টি মরিচ পাওয়া সম্ভব। যার ওজন প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম।

পাকা মরিচ ১৫ দিন পরপর সংগ্রহ করা যায়। মরিচ গাছ নির্বাচন করে পরিপূর্ণ পাকা মরিচ সংগ্রহ করতে হবে। তারপর ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে বীজ বের করে নিতে হবে। বীজ শুকিয়ে আর্দ্রতা ৬-৮ শতাংশ করে নিয়ে বায়ুরোধী পাত্র বা পলিথিন প্যাকেটে সংরক্ষণ করতে হবে।


মরিচ চাষ   ছাদ   টব  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

বর্ষায় ক্ষতিকর কেন্নোর উপদ্রব কমাতে যেসব বিষয়ে নজর দেয়া জরুরি

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৭ জুলাই, ২০২৩


Thumbnail

পুরোদমে শুরু গেছে বর্ষাকাল। প্রায় প্রতিদিনই দেখা মিলছে বৃষ্টির। বছরের এই সমইয়টা অনেকে উপভোগ করেন, আবার অনেকে অঝোর ধারায় বৃষ্টি মোটেও পছন্দ করেন না। কারণ বর্ষাকাল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি কিছু সমস্যাও নিয়ে আসে।

অনেকে এই সময়ে সহজে জামাকাপড় শুকাতে চায় না, চুল ভেজা থাকে, সেইসঙ্গে বাসাবাড়িতে পোকামাকড়ের উপদ্রব লেগে থাকে। পিঁপড়া, মশার পাশাপাশি ঘরে কেন্নোর উপদ্রবও দেখা যায়। স্যতঁস্যাঁতে পরিবেশের কারণেই মূলত বর্ষকালে বাড়িতে কিংবা বাড়িসংলগ্ন বাগানে কেন্নোর আনাগোনা বেড়ে যায়।

বাড়ির ফাঁকফোঁকর বা জানালে দিয়ে ঘরে সহজেই প্রবেশ করে কেন্নো। তবে কিছু সহজ উপায় মেনে বর্ষাকালে খুব সহজেই কেন্নোর উপদ্রব থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

কেন্নোর উপদ্রব কমাতে এবং এর ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে কিছু বিষয় অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবেঃ

১। কেন্নো যেহেতু আদ্র জায়গাই বেশি পছন্দ করে, তাই ঘর যদি আর্দ্র ও স্যাঁতস্যাতে হয় তাহলে সমস্যা বাড়বে। ঘর, বারান্দা, রান্নাঘর, দেওয়াল এবং বাড়ির চারপাশ যত আর্দ্রতা মুক্ত থাকবে, ততই কেন্নো আসার সম্ভাবনাও কমবে। দিনের বেলায় জানালা, দরজা খুলে দিন, যাতে ঘরে ভালো করে রোদ আসে।

২। কেন্নো মারার জন্য ঘরের কোণে, দরজার ফাঁকের মধ্যে, জানলার পাশে, বাগানে ডায়াটোমেসিয়াস আর্থ পাউডার ছড়িয়ে রাখুন। এই পাউডারের সংস্পর্শে এলে কেন্নোর শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যায় এবং এরা শুকিয়ে মারা যায়।

৩। কেন্নো তাড়াতে ব্যবহার করতে পারেন বোরিক অ্যাসিড। এটি কেন্নোর শরীরের হজম ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়। স্যাঁতস্যাঁতে বা ভেজা জায়গায় বোরিক অ্যাসিড ছড়িয়ে দিন। তবে বাচ্চা বা পোষা জীব থাকলে বোরিক অ্যাসিড ব্যবহার করবেন না।

৪। ঘরের দেওয়াল বা মেঝের কোথাও কোনো ফাঁক বা ফাটল থাকলে তা ভরাট করুন। নোংরা ও আবর্জনা যেন জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। বাড়িতে কোথাও ভাঙাচোড়া কিছু থাকলে তা সারিয়ে ফেলুন, পাশাপাশি ওয়ারিং ও প্লাম্বিংয়ে কোনো সমস্যা থাকলে তারও মেরামত করুন।

৫।কেন্নো ধরতে ফাঁদ পাতুন। ফাঁদ তৈরির জন্য লাগবে একটি প্লাস্টিকের পানির বোতল, একটি ইঞ্চি ছয়েক লম্বা পাইপ, টেপ, ছোটো করে কাটা কয়েক টুকরো পাকা ফল। প্রথমে বোতলে ফলের টুকরো ভরে নিন। তারপর বোতলের মুখে পাইপটি ইঞ্চি দুয়েক ঢুকিয়ে ভালো করে টেপ দিয়ে আটকে দিন। এইভাবে বোতলটি মাটিতে শুইয়ে রাখুন। ফল পচতে শুরু করলে কেন্নো বোতলের ভিতরে প্রবেশ করবে। কেন্নো জমলে বোতলটি ফেলে দিন।

৬। টি ট্রি অয়েল, পেপারমিন্ট অয়েলের সাহায্যে কেন্নোকে দূরে রাখা যায়। পানির সঙ্গে মিশিয়ে এই তেলগুলো ব্যবহার করুন। ঘরের সীমানা, দরজার ফাঁকের মধ্যে, বাড়িতে কোনো গাছ থাকলে তার মাটিতে, বাগানে বা এমন কোনো স্থান যেখানে কেন্নো থাকার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে এসেনশিয়াল অয়েল ছড়িয়ে দিতে পারেন।

ঘরে ঠিকমতো বাতাস চলাচল হওয়াও জরুরি। কোথাও যাতে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব না থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। পানি জমতে দেবেন না। নর্দমা পরিষ্কার রাখুন।

 



মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

কাঁচা মরিচ সংরক্ষণের সহজ চারটি পদ্ধতি

প্রকাশ: ০৮:২৩ এএম, ০৩ জুলাই, ২০২৩


Thumbnail

রান্না করতে গেলে চাল, ডাল, লবণের পরেই প্রয়োজন হয় কাঁচা মরিচের। এর ঝাল ও ঘ্রাণ অনেকের কাছে ভীষণ প্রিয়। তবে সম্প্রতি সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে কাঁচা মরিচের দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। তাই এখন আর ভাংতি টাকায় পাওয়া যাচ্ছে না কাঁচা মরিচ। ক্রেতাকে সর্বনিম্ন খরচ করতে হচ্ছে বাজারভেদে ৫০ টাকা। কাঁচা মরিচের এই ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে এখনই লাগাম টেনে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন ক্রেতারা। এই অবস্থায় বেশি দিন কীভাবে এই মরিচ সংরক্ষণ করা যায় সেই বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।

অনেক সময় কাঁচা মরিচ বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায় না। মাঝে মাঝে রেফ্রিজারেটরে রাখলেও পচে যায় বা শুকিয়ে যায়। কাঁচা মরিচ কিনে বাড়িতে এনে ঠিকমতো রাখা হয় না বলে তা পচে যায় এবং তীব্র গন্ধ হয়। কিন্তু কাঁচা মরিচ সহজে ও কম খরচে সংরক্ষণ করে রাখার কয়েকটি প্রচলিত পদ্ধতি আছে। সে পদ্ধতিগুলো জেনে নিলে খুব সহজেই অনেক দিন পর্যন্ত সুরক্ষিত রাখতে পারবেন কাঁচা মরিচ। পদ্ধতিগুলো হলঃ-

১। অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের ব্যবহারঃ

অ্যালুমিনিয়ামের ফয়েলে টিফিন প্যাক করেন অনেকে। সেভাবেই ফয়েল পেপারে বোঁটা ছাড়ানো মরিচ রাখুন। দুই প্রান্ত ভালো করে মুড়িয়ে দিন। কাঁচা মরিচ অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়িয়ে রেফ্রিজারেটরে রাখতে পারেন। ফ্রিজে রাখার ৫ ঘণ্টা পর ফ্রিজ থেকে বের করে হিমায়িত মরিচগুলো বায়ুরোধক পাত্রে ঢুকিয়ে ফের রেখে দিন রেফ্রিজারেটরে। এভাবে রাখলে দীর্ঘ সময় কাঁচা মরিচ ভালো রাখা সম্ভব।

২। বোঁটা ছিঁড়ে রাখুনঃ

দীর্ঘ দিনের জন্য সংরক্ষণ করতে চাইলে কাঁচা মরিচ বোঁটা ছিঁড়ে সংরক্ষণ করুন। কাঁচা মরিচ কিনে এনেই রেফ্রিজারেটরে ঢুকিয়ে রাখবেন না। এয়ারটাইট বক্সে সংরক্ষণ করতে হবে। তবে রাখার আগে বক্সের নিচে নরম কাপড় বিছিয়ে দেবেন। আর মরিচের বোঁটা ছিঁড়ে রাখতে হবে। এতে সহজে পচবে না। এবার বক্সটি অন্য একটি নরম কাপড়ে ঢেকে দিতে হবে। এই কাপড় মরিচের পানি ধীরে ধীরে শুষে নেবে। এভাবে রাখলে ফ্রিজের বাইরে অনেকদিন ভালো থাকবে।

৩। বায়ুরোধী ব্যাগঃ

বাইরে থেকে বাতাস ঢুকতে পারে না এমন কোনো পাত্রে কাঁচা মরিচ রাখবেন না।কাঁচা মরিচ রাখতে পারেন বায়ুরোধী কোন ব্যাগে। এভাবে রাখতে চাইলেও আগে মরিচের বোঁটা ছিঁড়ে নিতে হবে। এরপর মরিচগুলো ব্যাগে রেখে ব্যাগটি রেফ্রিজারেটরে রাখুন। তবে মনে রাখবেন, যে উপায়ই অবলম্বন করুন না কেন, তাতে দুই সপ্তাহের বেশি কাঁচা মরিচ সতেজ রাখা সম্ভব হবে না।

৪। রোদে শুকিয়ে নিনঃ

কাঁচা মরিচগুলো ভালো করে ধুয়ে বোটা ছাড়িয়ে নিন। পচা মরিচগুলো আলাদা করে ফেলুন। এবার একটি বড় কাগজের উপর মরিচগুলো ছড়িয়ে রোদে শুকিয়ে নিন কয়েকদিন ধরে। তবে এখন যেহেতু বর্ষাকাল তাই রোদের দেখা পাওয়া মুশকিল। তাই এ সময় গ্যাসের চুলায় হালকা গরম করে কাঁচা মরিচ শুকিয়ে নিতে পারেন।


কাঁচা মরিচ   সংরক্ষণ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন