লিভিং ইনসাইড

অনলাইন কেনা-কাটায় প্রতারণা, বাঁচবেন কীভাবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২৩ নভেম্বর, ২০২১


Thumbnail

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে নিত্য নতুন অনেক অনলাইন প্রতিষ্ঠানেরই জন্ম হয়েছে। এদের মধ্যে কোনটি ভুয়া বুঝবেন কীভাবে? অনলাইন কেনাকাটায় আবার একটু অসতর্ক হলেই প্রতারণার ভয়। তাই নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকুন, স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করুন। চলুন জেনে নিই, কী বলছেন অনলাইন মার্কেটিং এবং প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।

আসল ওয়েবসাইট চিনতে হবে

প্রতারক চক্র প্রযুক্তির জ্ঞান কাজে লাগিয়ে অনেক সময় প্রতিষ্ঠানের আসল ওয়েবসাইটের ডিজাইন হালকা পরিবর্তন করে ক্রেতাদের ধোকায় ফেলে দেয়। আবার অনেক সময় ওয়েবসাইটের নামের অক্ষর পরিবর্তন করা হয়, যা ক্রেতারা খেয়াল করেন না। এই বিষয়টি একটু খেয়াল রাখতে হবে। 

এ রকম প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে সত্যিকারের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন কিনা সেটা বোঝার জন্য দুটো বিষয়ের উপর খেয়াল রাখতে হবে। এর মধ্যে আসল ওয়েবসাইটের অ্যাড্রেসের শুরুতে অবশ্যই https থাকবে এবং ওয়েবসাইটটির একটি পূর্ণ ডোমেইন নেইম থাকবে, অর্থাৎ (WWW.) এর পরে কোন একটি নাম এবং শেষে ডটকম (.COM) থাকবে।

ঠিকানা ও রিভিউ

অনলাইন থেকে পণ্য কেনার সময় ওয়েসবসাইটির ঠিকানা কোথায় তা দেখে নিতে হবে এবং ফোন নাম্বার আছে কিনা তাও দেখতে হবে, প্রয়োজনে ফোন দিয়ে সত্যতা যাচাই করে নিতে হবে। এছাড়া দেখে নিতে হবে পণ্যটির সঠিক রিভিউ। অনেক সময় প্রতারক চক্র ভুয়া রিভিউ দিয়ে ক্রেতাদের প্রতারিত করে থাকে। রিভিউ’র পাশাপাশি দেখতে হবে ক্রেতাদের মন্তব্যগুলো।

শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বব্যাপি প্রতারণার একটি বড় হাতিয়ার হলো চটকদার বিজ্ঞাপন ও অতিরিক্ত মূল্য ছাড়। এ দুটির ফলেই ক্রেতারা যাচাই-বাছাই না করে পণ্য কিনে প্রতারিত হয়ে থাকেন। আর এমন অফার খুবই সীমিত সময়ের মধ্যে দেওয়া হয়ে থাকে, যাতে ক্রেতারা প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে পড়েন। তাই এসব ক্ষেত্রে হুটহাট অর্ডার করার আগে অবশ্যই সতর্ক হওয়া উচিত।

পেইজের বয়স

অনলাইনে পণ্য কেনাকাটা করার ক্ষেত্রে ফেসবুক একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। কিন্তু সচেতনতার অভাবে এই ফেসবুক থেকেই প্রতারণার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে থাকে। এ জন্য দেখতে হবে ফেসবুক পেইজটি কবে তৈরি করা হয়েছে। পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে এর আগে তারা কোনো লাইভ প্রোগ্রাম করেছে কিনা। ফেসবুক পেইজে ক্রেতাদের কমেন্টের রিপ্লাই দেওয়া হয়েছে কিনা। এছাড়া পেইজটিতে যে সব পোস্ট বুস্ট করা হয়েছে, সেগুলোর তুলনায় অন্য পোস্টগুলোতে যদি লাইক-কমেন্ট অস্বাভাবিক কম থাকে তাহলে সতর্ক হতে হবে। দেখতে হবে ঠিকানা এবং রিভিউ অপশন আছে কি-না।

পণ্য যাচাই-বাছাই

কোনা পণ্য অর্ডার করার আগে সেটির বিবরণ বিস্তারিত আছে কি-না সেটি দেখে নিতে হবে। এছাড়া পণ্যের মাপ, ওজন ইত্যাদির তথ্য জেনে নিতে হবে। প্রয়োজনে চ্যাটিংয়ে গিয়ে আরও প্রশ্ন করুন। সন্দেহ হলে বিজ্ঞাপনের ছবি ছাড়াও পণ্যটির আসল ছবি চাইতে পারেন। সবশেষে প্রতিষ্ঠানটির রিটার্ন এবং রিফান্ড পলিসি আছে কি-না, থাকলে সেটা কেমন এবং গ্রাহকবান্ধব কি-না, সেটাও যাচাই করুন।

অগ্রিম পেমেন্ট

অনলাইন কেনা-কাটায় প্রতারণার একটি বড় হাতিয়ার, গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ নেওয়া। কোনো প্রতিষ্ঠিত অনলাইন না হলে বা প্রতিষ্ঠানটির সম্পর্কে সঠিক তথ্য না পেলে অগ্রিম পেমেন্ট না করাই ভালো।

এছাড়া অনলাইনে বা ফেসবুকে লোভনীয় অফারের কোনো পপআপ, ইমেইলে পাওয়া কোনো ফিশিং লিংকে ক্লিক করা কিংবা পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করে অনলাইনে কেনাকাটা করা থেকে বিরত থাকাই ভালো।



মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

বর্ষাকালে পাহাড়ে ঘুরতে গেলে নিতে হবে যেসব প্রস্তুতি

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২০ অগাস্ট, ২০২৩


Thumbnail

প্রকৃতি উপভোগ করতে হয় নিজেকে ও জীবনকে আনন্দ প্রদানের জন্য। তবে যদি আনন্দ পেতে গিয়ে জীবনটাই হারিয়ে যায়, তবে আফসোসের সীমা থাকে না। বর্ষায় পাহাড়ে ভ্রমণ পরিকল্পনা করার আগে বাড়তি সতর্ক থাকতে হয়।

বর্ষায় পাহাড়ে যাওয়ার আগে যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে:

১) হাতে অতিরিক্ত দিন রাখুনঃ চার দিনের ভ্রমণ পরিকল্পনা থাকলে হাতে এক-দু’দিন সময় বাড়তি রেখে টিকিট কাটুন। বর্ষায় পাহাড়ে মাঝেমধ্যেই ধস নামে, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রাস্তায় বেরোনোও বন্ধ হতে পারে, তাই বাঁধাধরা সময় হাতে নিয়ে গেলে আপনার ঘোরার মজাটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

২) দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় পাহাড়ে ভ্রমণ নয়ঃ পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করার আগে আবহাওয়া কেমন থাকবে সে বিষয়ে খোঁজ নিন। ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলে কখনোই পাহাড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করবেন না। কারণ এই সময় পাহাড়ের রূপ বদলে যায় হঠাৎ করেই। ঝিরিতে পানি বেড়ে যায়, সৃষ্টি হয় ফ্ল্যাশ ফ্লাডের। পাহাড়ের এই রূপ যদিও সুন্দর, তবে কাছ থেকে দেখতে যাওয়া ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ।

৩) লোকাল গাইড নেবেন অবশ্যইঃ পাহাড় ভ্রমণে যেতে চাইলে লোকাল গাইড নেবেন। ভ্রমণের খরচ কমানোর জন্য গাইড ছাড়া নিজেরাই পাহাড়ি দুর্গম অঞ্চলে প্রবেশের পরিকল্পনা করবেন না।

৪) জুতো ও জামাকাপড়ে নজরঃ বর্ষায় ঘুরতে যাওয়ার আগে রেনকোট কিনতে ভুলবেন না। এই সময় পাহাড়ের আবহাওয়া বেশ ঠান্ডা হয়ে যায়, তাই হালকা শীতের পোশাকও সঙ্গে রাখতে হবে। একটা ভাল ওয়াটারপ্রুফ জুতো কিনুন। বর্ষায় ভাল জুতো না হলে পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ হবে।

৫) মশা মারার ধূপ ও ক্রিমঃ বর্ষায় চারদিকে পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়ে। তাই যেখানেই যাচ্ছেন সঙ্গে মশা মারার ধূপ, মশা থেকে দূরে থাকার জন্য গায়ে মাখার ক্রিম সঙ্গে রাখুন।

৬) প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখুন সঙ্গেঃ পানিবাহিত রোগের পাশাপাশি এই সময় ঠান্ডা, জ্বর, সর্দি, কাশির মতো রোগ দেখা দেয়। আবার হঠাৎ পরড়ে গিয়ে ব্যথা পাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই জ্বর, ব্যথা কিংবা প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখবেন। কারণ দুর্গম পাহাড়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা পাওয়াটা সহজ নয়।

৭) আবহাওয়ার পূর্বাভাসের দিকে নজরঃ পাহাড়ে পৌঁছনোর পর কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে বা ট্রেক করতে যাওয়ার আগে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখতে ভুলবেন না। বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলে ট্রেকে না যাওয়াই ভাল। মাঝপথে নইলে বিপদে পড়তে হবে।

৮) স্থানীয়দের উপর ভরসাঃ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে কিংবা বৃষ্টি হলে সেই পরিস্থিতি কোথায় ঘুরতে যাওয়া নিরাপদ হবে, তার জন্য গুগলের উপর ভরসা না করে স্থানীয়দের উপর ভরসা রাখাই ভাল। ভারী বর্ষার মধ্যে নিজে নিজে কোথাও বেরিয়ে পড়া নিরাপদ হবে না, একান্তই কোথাও বেরোতে হলে স্থানীয় ড্রাইভার সঙ্গে রাখুন।


বর্ষাকাল   পাহাড়  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

বারান্দায় বা ছাদের টবে সহজেই মরিচের চাষ পদ্ধতি

প্রকাশ: ০৮:০৭ এএম, ২৩ জুলাই, ২০২৩


Thumbnail

একটু রোদ আর সামান্য যত্নে সহজেই চাষ করা যায় মরিচ গাছ। বাসার বারান্দায় বা ছাদে এমন স্থান বেছে নিতে হবে, যেখানে আলো-বাতাস আছে। মরিচ ছায়ায়ও ভালো হয়। তবে মাঝে মাঝে রোদে দিতে হবে বা জানালার কাছে রাখতে হবে। ছাদে অথবা বারান্দায় মরিচ চাষের ক্ষেত্রে মাটি অথবা প্ল্যাস্টিকের টব ব্যবহার করা ভালো। এছাড়া পলিব্যাগ, টিনের কৌটা বা প্ল্যাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।

মরিচ গাছের জন্য মাঝারি আকৃতির টব হলেই চলে। মাঝারি আকৃতির টবে চারটি মরিচ গাছের চাষ করা সম্ভব। বীজ বপন করার আগে অবশ্যই ২৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সাধারণত মরিচ চাষের উপযুক্ত সময় হলো মে-জুন। এছাড়া শীতকালের শুরুতে অক্টোবর মাসেও মরিচের বীজ বপন করা যায়। এসময় বীজ বপন করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।

বপনের ক্ষেত্রে টবের অথবা উপযুক্ত পাত্রের মাটিতে শুকনা বীজ ছড়িয়ে দিন বা বুনে দিন। কিছুদিন পরে দেখা যাবে বেশকিছু চারা গাছ গজিয়েছে। সেখান থেকে শক্তিশালী চারাগুলো রেখে বাকি চারাগুলো উপড়ে ফেলুন। শুকনো মরিচের ভেতরে যে বীজ থাকে সেগুলোও বের করে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

প্ল্যাস্টিকের কনটেইনার ব্যবহার করলে অতিরিক্ত পানি বের করে দেওয়ার জন্য আগেই কনটেইনারটিতে কয়েকটি ছোট ছিদ্র করে নিতে পারেন। গাছের গোড়ায় দিনে একবার অবশ্যই পানি দেবেন। সব সময় সঠিক নিয়মে পরিমাণমতো পানি দিন। পানি দিলে অনেক সময় গাছ হেলে যেতে পারে। তাই গাছের গোড়ায় কাঠি বেঁধে দিন। গাছে পানি দেওয়ার সময় লক্ষ্য রাখুন পাতা যেন ভিজে না যায়। পাতা ভিজে গেলে রোগবালাই হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। পানি জমে গাছ মারা যেতে পারে; তাই টব থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখুন।

যখন মরিচের চারা বড় হয়, সে সময়ে মাটি আর্দ্র রাখা খুবই জরুরি। যথেষ্ট আলো বাতাস ও পানির প্রয়োজন হয় মরিচ গাছ বাড়ার জন্য। এদের ছাদে, বারান্দা অথবা জানালার পাশের রৌদ্রোজ্জ্বল স্থানে রাখুন। খুব বেশি রোদ যেন না লাগে। সকাল অথবা বিকেলে মরিচ গাছের যত্ন নিন।

মরিচের কচি চারার ডগা খাওয়ার জন্য পিঁপড়া বা ছোট পাখি আসে। তাই টবের চারপাশে কীটনাশক চকের দাগ দিয়ে রাখতে পারেন অথবা পাউডার জাতীয় কীটনাশক দিতে পারেন। পাখির হাত থেকে বাঁচার জন্য শক্ত নেট ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া পানিতে কয়েক ফোটা তরল সাবান মিশিয়ে গাছে স্প্রে করতে পারেন। অথবা পোকামারা কীটনাশক ব্যবহার করুন।

মরিচ গাছে ফুল এলে দু-তিন দিন পরই ফুল ঝরে যাবে। ধীরে ধীরে মরিচ বড় হবে। কিছুদিন পর থেকে মরিচ সংগ্রহ করতে পারেন। মরিচ বড় হলে টান দিয়ে না ছিড়ে কাঁচি দিয়ে সাবধানে কেটে নিন। তাহলে গাছের কোনো ক্ষতি হবে না। গাছ বেশি পরিমাণ ফলন দেয়।

একটি মরিচ গাছ থেকে মোটামুটি দুই দফায় ভালো মরিচ পাওয়া যায়। ঝাল মরিচের একটি গাছে এক দফায় কমপক্ষে ৫০ থেকে ৭৫টি করে, দুই দফায় ১০০ থেকে ১৫০টি মরিচ পাওয়া সম্ভব। যার ওজন প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম।

পাকা মরিচ ১৫ দিন পরপর সংগ্রহ করা যায়। মরিচ গাছ নির্বাচন করে পরিপূর্ণ পাকা মরিচ সংগ্রহ করতে হবে। তারপর ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে বীজ বের করে নিতে হবে। বীজ শুকিয়ে আর্দ্রতা ৬-৮ শতাংশ করে নিয়ে বায়ুরোধী পাত্র বা পলিথিন প্যাকেটে সংরক্ষণ করতে হবে।


মরিচ চাষ   ছাদ   টব  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

বর্ষায় ক্ষতিকর কেন্নোর উপদ্রব কমাতে যেসব বিষয়ে নজর দেয়া জরুরি

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৭ জুলাই, ২০২৩


Thumbnail

পুরোদমে শুরু গেছে বর্ষাকাল। প্রায় প্রতিদিনই দেখা মিলছে বৃষ্টির। বছরের এই সমইয়টা অনেকে উপভোগ করেন, আবার অনেকে অঝোর ধারায় বৃষ্টি মোটেও পছন্দ করেন না। কারণ বর্ষাকাল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি কিছু সমস্যাও নিয়ে আসে।

অনেকে এই সময়ে সহজে জামাকাপড় শুকাতে চায় না, চুল ভেজা থাকে, সেইসঙ্গে বাসাবাড়িতে পোকামাকড়ের উপদ্রব লেগে থাকে। পিঁপড়া, মশার পাশাপাশি ঘরে কেন্নোর উপদ্রবও দেখা যায়। স্যতঁস্যাঁতে পরিবেশের কারণেই মূলত বর্ষকালে বাড়িতে কিংবা বাড়িসংলগ্ন বাগানে কেন্নোর আনাগোনা বেড়ে যায়।

বাড়ির ফাঁকফোঁকর বা জানালে দিয়ে ঘরে সহজেই প্রবেশ করে কেন্নো। তবে কিছু সহজ উপায় মেনে বর্ষাকালে খুব সহজেই কেন্নোর উপদ্রব থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

কেন্নোর উপদ্রব কমাতে এবং এর ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে কিছু বিষয় অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবেঃ

১। কেন্নো যেহেতু আদ্র জায়গাই বেশি পছন্দ করে, তাই ঘর যদি আর্দ্র ও স্যাঁতস্যাতে হয় তাহলে সমস্যা বাড়বে। ঘর, বারান্দা, রান্নাঘর, দেওয়াল এবং বাড়ির চারপাশ যত আর্দ্রতা মুক্ত থাকবে, ততই কেন্নো আসার সম্ভাবনাও কমবে। দিনের বেলায় জানালা, দরজা খুলে দিন, যাতে ঘরে ভালো করে রোদ আসে।

২। কেন্নো মারার জন্য ঘরের কোণে, দরজার ফাঁকের মধ্যে, জানলার পাশে, বাগানে ডায়াটোমেসিয়াস আর্থ পাউডার ছড়িয়ে রাখুন। এই পাউডারের সংস্পর্শে এলে কেন্নোর শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যায় এবং এরা শুকিয়ে মারা যায়।

৩। কেন্নো তাড়াতে ব্যবহার করতে পারেন বোরিক অ্যাসিড। এটি কেন্নোর শরীরের হজম ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়। স্যাঁতস্যাঁতে বা ভেজা জায়গায় বোরিক অ্যাসিড ছড়িয়ে দিন। তবে বাচ্চা বা পোষা জীব থাকলে বোরিক অ্যাসিড ব্যবহার করবেন না।

৪। ঘরের দেওয়াল বা মেঝের কোথাও কোনো ফাঁক বা ফাটল থাকলে তা ভরাট করুন। নোংরা ও আবর্জনা যেন জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। বাড়িতে কোথাও ভাঙাচোড়া কিছু থাকলে তা সারিয়ে ফেলুন, পাশাপাশি ওয়ারিং ও প্লাম্বিংয়ে কোনো সমস্যা থাকলে তারও মেরামত করুন।

৫।কেন্নো ধরতে ফাঁদ পাতুন। ফাঁদ তৈরির জন্য লাগবে একটি প্লাস্টিকের পানির বোতল, একটি ইঞ্চি ছয়েক লম্বা পাইপ, টেপ, ছোটো করে কাটা কয়েক টুকরো পাকা ফল। প্রথমে বোতলে ফলের টুকরো ভরে নিন। তারপর বোতলের মুখে পাইপটি ইঞ্চি দুয়েক ঢুকিয়ে ভালো করে টেপ দিয়ে আটকে দিন। এইভাবে বোতলটি মাটিতে শুইয়ে রাখুন। ফল পচতে শুরু করলে কেন্নো বোতলের ভিতরে প্রবেশ করবে। কেন্নো জমলে বোতলটি ফেলে দিন।

৬। টি ট্রি অয়েল, পেপারমিন্ট অয়েলের সাহায্যে কেন্নোকে দূরে রাখা যায়। পানির সঙ্গে মিশিয়ে এই তেলগুলো ব্যবহার করুন। ঘরের সীমানা, দরজার ফাঁকের মধ্যে, বাড়িতে কোনো গাছ থাকলে তার মাটিতে, বাগানে বা এমন কোনো স্থান যেখানে কেন্নো থাকার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে এসেনশিয়াল অয়েল ছড়িয়ে দিতে পারেন।

ঘরে ঠিকমতো বাতাস চলাচল হওয়াও জরুরি। কোথাও যাতে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব না থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। পানি জমতে দেবেন না। নর্দমা পরিষ্কার রাখুন।

 



মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

কাঁচা মরিচ সংরক্ষণের সহজ চারটি পদ্ধতি

প্রকাশ: ০৮:২৩ এএম, ০৩ জুলাই, ২০২৩


Thumbnail

রান্না করতে গেলে চাল, ডাল, লবণের পরেই প্রয়োজন হয় কাঁচা মরিচের। এর ঝাল ও ঘ্রাণ অনেকের কাছে ভীষণ প্রিয়। তবে সম্প্রতি সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে কাঁচা মরিচের দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। তাই এখন আর ভাংতি টাকায় পাওয়া যাচ্ছে না কাঁচা মরিচ। ক্রেতাকে সর্বনিম্ন খরচ করতে হচ্ছে বাজারভেদে ৫০ টাকা। কাঁচা মরিচের এই ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে এখনই লাগাম টেনে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন ক্রেতারা। এই অবস্থায় বেশি দিন কীভাবে এই মরিচ সংরক্ষণ করা যায় সেই বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।

অনেক সময় কাঁচা মরিচ বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায় না। মাঝে মাঝে রেফ্রিজারেটরে রাখলেও পচে যায় বা শুকিয়ে যায়। কাঁচা মরিচ কিনে বাড়িতে এনে ঠিকমতো রাখা হয় না বলে তা পচে যায় এবং তীব্র গন্ধ হয়। কিন্তু কাঁচা মরিচ সহজে ও কম খরচে সংরক্ষণ করে রাখার কয়েকটি প্রচলিত পদ্ধতি আছে। সে পদ্ধতিগুলো জেনে নিলে খুব সহজেই অনেক দিন পর্যন্ত সুরক্ষিত রাখতে পারবেন কাঁচা মরিচ। পদ্ধতিগুলো হলঃ-

১। অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের ব্যবহারঃ

অ্যালুমিনিয়ামের ফয়েলে টিফিন প্যাক করেন অনেকে। সেভাবেই ফয়েল পেপারে বোঁটা ছাড়ানো মরিচ রাখুন। দুই প্রান্ত ভালো করে মুড়িয়ে দিন। কাঁচা মরিচ অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়িয়ে রেফ্রিজারেটরে রাখতে পারেন। ফ্রিজে রাখার ৫ ঘণ্টা পর ফ্রিজ থেকে বের করে হিমায়িত মরিচগুলো বায়ুরোধক পাত্রে ঢুকিয়ে ফের রেখে দিন রেফ্রিজারেটরে। এভাবে রাখলে দীর্ঘ সময় কাঁচা মরিচ ভালো রাখা সম্ভব।

২। বোঁটা ছিঁড়ে রাখুনঃ

দীর্ঘ দিনের জন্য সংরক্ষণ করতে চাইলে কাঁচা মরিচ বোঁটা ছিঁড়ে সংরক্ষণ করুন। কাঁচা মরিচ কিনে এনেই রেফ্রিজারেটরে ঢুকিয়ে রাখবেন না। এয়ারটাইট বক্সে সংরক্ষণ করতে হবে। তবে রাখার আগে বক্সের নিচে নরম কাপড় বিছিয়ে দেবেন। আর মরিচের বোঁটা ছিঁড়ে রাখতে হবে। এতে সহজে পচবে না। এবার বক্সটি অন্য একটি নরম কাপড়ে ঢেকে দিতে হবে। এই কাপড় মরিচের পানি ধীরে ধীরে শুষে নেবে। এভাবে রাখলে ফ্রিজের বাইরে অনেকদিন ভালো থাকবে।

৩। বায়ুরোধী ব্যাগঃ

বাইরে থেকে বাতাস ঢুকতে পারে না এমন কোনো পাত্রে কাঁচা মরিচ রাখবেন না।কাঁচা মরিচ রাখতে পারেন বায়ুরোধী কোন ব্যাগে। এভাবে রাখতে চাইলেও আগে মরিচের বোঁটা ছিঁড়ে নিতে হবে। এরপর মরিচগুলো ব্যাগে রেখে ব্যাগটি রেফ্রিজারেটরে রাখুন। তবে মনে রাখবেন, যে উপায়ই অবলম্বন করুন না কেন, তাতে দুই সপ্তাহের বেশি কাঁচা মরিচ সতেজ রাখা সম্ভব হবে না।

৪। রোদে শুকিয়ে নিনঃ

কাঁচা মরিচগুলো ভালো করে ধুয়ে বোটা ছাড়িয়ে নিন। পচা মরিচগুলো আলাদা করে ফেলুন। এবার একটি বড় কাগজের উপর মরিচগুলো ছড়িয়ে রোদে শুকিয়ে নিন কয়েকদিন ধরে। তবে এখন যেহেতু বর্ষাকাল তাই রোদের দেখা পাওয়া মুশকিল। তাই এ সময় গ্যাসের চুলায় হালকা গরম করে কাঁচা মরিচ শুকিয়ে নিতে পারেন।


কাঁচা মরিচ   সংরক্ষণ  


মন্তব্য করুন


লিভিং ইনসাইড

কুরবানির গোশত কতদিন খাওয়া যাবে?

প্রকাশ: ০৬:১৭ পিএম, ২৮ জুন, ২০২৩


Thumbnail

কুরবানি ইসলামি শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কুরআন ও হাদিসে এর গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিজরতের পর প্রতি বছর কুরবানি করেছেন। তিনি কখনও কুরবানি পরিত্যাগ করেননি; বরং কুরবানি পরিত্যাগকারীদের ওপর অভিসম্পাত করেছেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি কুরবানি করল না, সে যেন আমার ঈদগাহে না আসে।’

১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ে যেসব প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্ক, মুকিম ব্যক্তির কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে অর্থাৎ স্বীয় হাজাতে আসলিয়্যাহ (পানাহার, বাসস্থান, উপার্জনের উপকরণ ইত্যাদি) ছাড়া অতিরিক্ত এ পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়, যা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্যের মূল্যের সমপরিমাণ (টাকার অঙ্কে আনুমানিক ৫৫ হাজার টাকা) হয়, সে ব্যক্তির ওপর কুরবানি করা ওয়াজিব।

কুরবানির পর পশুর গোশত কি করবেন; কিংবা কত দিন ধরে তা জমা করে রেখে খাবেন। এ সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনাই বা কী? কেননা কুরবানি আল্লাহর নৈকট্য লাভে আত্মত্যাগের অনন্য ইবাদতও এটি।

কুরবানি যেহেতু আত্মত্যাগের অন্যতম ইবাদত, সেহেতু কুরবানির গোশত সম্পর্কেও রয়েছে ইসলামের সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা। এ সম্পর্কে অনেকেরই রয়েছে অস্পষ্ট ধারণা বা জ্ঞান। যেমন-

কেউ কেউ বলে থাকেন- ‘কুরবানির গোশত জমিয়ে রাখা যাবে না।’
আবার অনেকে বলেন- ‘কুরবানি করে গোশত সাদকা করে দিতে হয়।’
কারও কারও ধারণা- ‘৩দিনের বেশি কুরবানির গোশত জমিয়ে রাখা যাবে না।’

কুরবানির গোশত সম্পর্কে উল্লেখিত ধারণাগুলো ভুল। কুরবানির গোশত নিজেরা খেতে পারবে, অন্যকে হাদিয়া দেয়া যাবে এবং সংরক্ষণ করা যাবে। এ ব্যাপারে হাদিসে পাকে দিক-নির্দেশনা রয়েছে-

হজরত সালামা ইবনে আকওয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের যে লোক কুরবানি করেছে, সে যেন তৃতীয় দিনে এমন অবস্থায় সকাল অতিবাহিত না করে যে, তার ঘরে কুরবানির গোশতের কিছু থেকে যায়।

পরবর্তী বছর সাহাবিগণ বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমরা কি তেমন করব, যেমন গত বছর করেছিলাম? তখন তিনি (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন- ‘তোমরা নিজেরা খাও, অন্যকে খাওয়াও এবং সঞ্চয় করে রাখ। কারণ গত বছর মানুষের মধ্যে ছিল অনটন। তাই আমি চেয়েছিলাম, তোমরা তাতে সহযোগিতা কর।’ (বুখারি, মুসলিম)

উল্লেখিত হাদিসে অন্যকে আহার করাও বলতে সমাজের গরিব অসহায়দের দান এবং ধনিদের উপহার দেয়া কথাই বুঝানো হয়েছে। কিন্তু কি পরিমাণ গোশত অন্যকে দান-সাদকা বা হাদিয়া দেবে সে সম্পর্কে কুরআন এবং সুন্নাহতে কোনো সুস্পষ্ট বিধান দেয়া নেই।

তবে ওলামায়ে কেরাম কুরবানির পশুর গোশত বিতরণের একটি মতামত পেশ করেছেন। আর তা হলো-

কুরবানির পশুর গোশত তিন ভাগ করে নিজেদের জন্য এক ভাগ রাখা; গরিব-অসহায়দের মাঝে এক ভাগ দান করা এবং আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে এক ভাগ বণ্টন করা মোস্তাহাব।’

সুতরাং ওলামায়ে কেরামের এ নির্দেশনা অনুযায়ী কুরবানির গোশত বণ্টন করা উত্তম। অতঃপর হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী দুর্ভিক্ষ কিংবা সমাজে অভাব-অনটন না থাকলে যতদিন ইচ্ছা ততদিন কুরবানির গোশত সংরক্ষণ করে খাওয়া যাবে। অন্য হাদিসে এসেছে-হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্নিত তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে আমরা মদিনায় ফিরে আসা পর্যন্ত কুরবানির গোশত সঞ্চয় করে রাখতাম।’ (বুখারি)

কুরবানি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন