বয়সের ব্যবধান সব দম্পতির জন্য আলাদাভাবে কাজ করে। কারো জন্য ২ বছরের ব্যবধান ভালো কাজ করে, কারো ক্ষেত্রে হয়তো দশ বছরের ব্যবধান। অনেকে আছে যারা নিজের থেকে বেশ বয়স্ক সঙ্গী পেতে চায়। নিজের চাওয়ার মতো সঙ্গী খুঁজে পাওয়াটাই সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। তবে বেশিরভাগ সফল বিয়ের ক্ষেত্রে বর-কনের মধ্যে একটি নিখুঁত বয়সের ব্যবধান থাকে যা পছন্দের সঙ্গে সামঞ্জস্যের ভারসাম্য বজায় রাখে। কিছু ক্ষেত্রে বয়সের ব্যবধানই হয়ে উঠতে পারে সুন্দর দাম্পত্যের বড় বাধা। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
৭ বছর
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের ব্যবধান সাত বছরের মতো হলে সেটি তুলনামূলক বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। সেক্ষেত্রে দম্পতিদের মধ্যে সংঘর্ষ, ভুল বোঝাবুঝি এবং তর্ক কম হয়। বিয়ের ক্ষেত্রে দুইজনের একজনকে সব সময় পরিণত হতে হবে; তারা বিয়েকে ভেঙে পড়া থেকে রক্ষা করবে। এই বয়সের ব্যবধান অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি আদর্শ, কারণ এটি দম্পতিকে স্থিতিশীলতা অর্জন করতে এবং একে অপরকে ঘনিষ্ঠ দৃষ্টিকোণ থেকে বুঝতে সাহায্য করে।
১০ বছর
এমন অনেক বিয়ে আছে যেখানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পর্যাপ্ত ভালোবাসা এবং বোঝাপড়া থাকলে বয়সের ব্যবধান দশ বছর হলেও সমস্যা হয় না। যখন দুজন মানুষের জীবনের লক্ষ্য, আকাঙ্ক্ষা এবং দৃষ্টিভঙ্গি মিলে যায়, তখন দশ বছরের ব্যবধান হুমকিস্বরূপ নাও হতে পারে। তবে সাধারণ দম্পতির জন্য এটি কিছুটা বাড়াবাড়ি হতে পারে। কখনো কখনো কম বয়সী জন বেশি বয়সী জনের পরিপক্কতার স্তরে দাঁড়াতে পারে না এবং এটি অনেক সমস্যা তৈরি করতে পারে।
২০ বছর
এটি দম্পতির জন্য বয়সের ব্যবধান হিসেবে সেরা নয়। যদিও অনেক বিখ্যাত দম্পতি আছে যাদের বয়সের ব্যবধান ২০ বছরের বেশি। এটি আসলে পার্থক্য হিসেবে খুব বেশি। এক্ষেত্রে লক্ষ্য, আকাঙ্ক্ষা এবং মতামতের ব্যাপক পরিবর্তন হবেই। সব থেকে বড় সমস্যা হতে পারে সন্তান ধারণের প্রয়োজনীয়তা; স্ত্রী বয়স্ক হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সন্তান ধারণ করতে চাইবে কম বয়সী হলে ততটা আগ্রহী নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে চিন্তার স্তরের পার্থক্য সবচেয়ে অন্যতম বড় সমস্যা হতে পারে।
বয়সের ব্যবধান কি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ?
হ্যাঁ, বয়সের ব্যবধান সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। বয়সের ব্যবধান অনেক বেশি হলে মতামতের মধ্যে বিশাল পার্থক্য থাকবে, কারণ বর্তমান বিশ্ব প্রতিটি মুহূর্তে পরিবর্তিত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিয়ে স্বল্পস্থায়ী এবং বিভিন্ন সমস্যা ডেকে আনতে পারে। সাধারণভাবে, বয়সের ব্যবধান যত বেশি হয়, দম্পতিরা তত বেশি সমস্যার মুখোমুখি হয়।
মন্তব্য করুন
যারা
দীর্ঘ দিন ধরে ধূমপানের
অভ্যাস লালন-পালন করে
আসছেন, তাদের পক্ষে হঠাৎ ধূমপান ছেড়ে
দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
এমন অনেকেই আছেন যারা পরিবার,
বন্ধুবান্ধব, অফিসের সহকর্মী এমনকি, চিকিৎসকের নিষেধ উপেক্ষা করে এ অভ্যাস
চালিয়ে যাচ্ছেন। চিকিৎসকরা বার বার সতর্ক
করছেন যে, সুস্থ জীবনযাপন
করতে ধূমপানের অভ্যাস জীবন থেকে বাদ
দিতে হবে। অনেকে আছেন
যারা ধূমপান ছাড়তে চেয়েও পারছেন না। কোন কোন
অভ্যাস ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করবে তার জেনে
নিন।
আপনার চারপাশের
মানুষেরও
ক্ষতি
হচ্ছে
ধূমপান
যিনি করেন, তার স্বাস্থ্যের ঝুঁকি
থেকে যায়। তেমনই পরোক্ষ
ধূমপানের ফলে আশপাশে থাকা
মানুষেরও স্বাস্থ্যহানি ঘটছে। যা একেবারেই কাম্য
নয়। ধূমপান ত্যাগ করে নিজেকে এবং
চারপাশের মানুষজনকেও সুস্থ রাখুন। পরিবার ও সন্তানের কথা
ভেবে মানসিকভাবে প্রস্তুত হন।
জীবনযাপনে বদল আনুন
গবেষণা বলছে, আমিষ এবং মাংসজাতীয়
খাবার খাওয়ার পরই মূলত ধূমপান
বেশি উপভোগ্য হয়ে ওঠে। তাই
ধূমপান ত্যাগ করতে চাইলে কিছু
দিন বেশি করে ফলমূল
ও শাকসব্জি খেতে পারেন। এ
ছাড়া নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। বিশেষ করে যোগাসন, প্রাণায়ামের
অনুশীলন বেশি করে করুন।
মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন
অ্যালকোহল মিশ্রিত পানীয়, নরম পানীয়, চা
বা কফি খাওয়ার পরে
যোগ্য সঙ্গত হিসাবে ধূমপান করে থাকেন। ধূমপানের
অভ্যাস ত্যাগ করতে চাইলে প্রথমে
এই ধরনের পানীয় এড়িয়ে চলুন।
পছন্দের চকলেট খেতে পারেন
ধূমপানের অভ্যাস বদলে ফেলুন চকলেট
খেয়ে। চকলেট বা চুউইংগাম খাওয়ার
অভ্যাস তৈরি হলে ধূমপানের
আগ্রহ চলে যাবে।
প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
যে কোনও অভ্যাস থেকে বেরোতে খানিক সময় লাগে। তবে নিজের চেষ্টায় ধূমপানের আসক্তি ত্যাগ করতে না পারলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তাদের পরামর্শে নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপিরও সাহায্য নিতে পারেন।
মন্তব্য করুন
সারা
দিনে একবারও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গেলেন না। এ কারণে
কখনো কি এমন মনে
হয় যে আপনি গুরুত্বপূর্ণ
কিছু মিস করছেন? কিংবা
অন্যরা খুব ভালো জীবন
যাপন করছেন, যা থেকে আপনি
বঞ্চিত হচ্ছেন? তাহলে জেনে রাখুন, আপনার
মধ্যে একটি বিশেষ প্রবণতা
আছে, যেটার নাম ফিয়ার অব
মিসিং আউট (ফোমো)।
এটি এমন একটি বিষয়,
যা আপনার মধ্যে এমন এক অনুভূতির
জন্ম দেয় যে অন্যরা
হয়তো আপনার অনুপস্থিতিতে অনেক মজা করছেন
বা করবেন। অন্যদের দেখে মনে হওয়া
যে তাঁরা ভালো জীবন যাপন
করছেন, যা আপনি কোনো
কারণে পারছেন না। মোট কথা,
এটি আপনার মধ্যে এমন একটি অনুভূতির
সৃষ্টি করে যে আপনি
গুরুত্বপূর্ণ কিছু মিস করছেন।
কিন্তু বাস্তবতা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভিন্ন।
ফোমোর অনুভূতি প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টগুলো থেকে অনুপ্রাণিত হয়। উদ্বেগটি আপনাকে বোঝায় যে একটি উত্তেজনাপূর্ণ বা আকর্ষণীয় ঘটনা বর্তমানে অন্য কোথাও ঘটছে, যেটি সম্পর্কে আপনি অনবরত খোঁজ না রাখলে পিছিয়ে পড়বেন। জীবনকে আরও ভালো করে তুলতে পারে, এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থেকে বঞ্চিত হবেন। ফলে ক্রমাগত সংযুক্ত থাকার ইচ্ছা মানুষকে বারবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দ্বারস্থ করছে, যা তাঁকে এসব তথ্য সম্পর্কে সারাক্ষণ অবগত রাখে।
সে সম্পর্কে
মানুষ বর্তমানে আগের চেয়ে অনেক বেশি জানেন। আর এটা সম্ভব হয়েছে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমের
কারণে, যা দেখে অন্যদের জীবনের সঙ্গে নিজের জীবনকে মিলিয়ে ফেলার মতো ঘটনাও বাড়ছে। আগে
হয়তো আত্মীয়স্বজনেরাও খুব বিশেষ মুহূর্তগুলোয় উপস্থিত না থাকলে সেভাবে কেউ জানতেন না।
মুখে মুখে শুনলেও সেটা মানুষকে সেভাবে স্পর্শ করত না। আর একটু দূরের পরিচিত হলে তো
জানারও কোনো উপায় ছিল না। এখন নানা মাধ্যমে প্রযুক্তি আমাদের নিয়ে এসেছে একই ছাতার
নিচে। যেখানে কোনো বিষয়, ঘটনা, এমনকি সুখ—সবকিছুই একটি প্রতিযোগিতার মধ্যে আছে
বলে মনে হয়। মানুষ তাঁদের বাছাই করা সেরা ছবি দিয়ে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন, যা অন্যদের
উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দেয়। নিজের মধ্যে কী কী অভাব রয়েছে, সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়িয়ে তোলে।
নিজের মধ্যে এই ‘ফোমো’ অনুভূতি কমাতে চাইলে কিছু বিষয় মেনে চলার চেষ্টা করতে পারেন।
মনোযোগের পরিবর্তন
আপনার কিসের
অভাব রয়েছে, তার ওপর মনোযোগ দেওয়ার পরিবর্তে আপনার কী আছে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার
চেষ্টা করুন। আপনার কী নেই, সেই তালিকা যদি বেশি লম্বা করে ফেলেন, তাহলে নিজেকে অসুখী
মনে হবে। তাই নিজের যা আছে, সেটার মধ্যে সুখ খোঁজার চেষ্টা করুন।
ডিজিটাল ডিটক্স করার চেষ্টা করুন
ডিজিটাল ডিটক্স
মানে হচ্ছে, সব ডিজিটাল ডিভাইস থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিরতি নেওয়ার প্রক্রিয়া।
ফোমো থেকে দূরে থাকতে এবং আপনার বাস্তব জীবনের দিকে মনোযোগ সরিয়ে নিতে ডিজিটাল ডিভাইসের
ব্যবহার কমাতে হবে। এতে আপনার মধ্যে ফোমোর প্রবণতা কমে আসবে।
জার্নাল রাখুন
নানা রকম অভিজ্ঞতার
স্মৃতি ধরে রাখতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করাটা একটা সাধারণ প্রবণতা। কিন্তু
সে ক্ষেত্রে অনলাইনে দেওয়া আপনার অভিজ্ঞতাগুলো সবাই পছন্দ করছেন কি না, সে সম্পর্কে
আপনি উদ্বিগ্ন থাকতে পারেন। যার ফলে বারবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দিকে যাবেন। যদি
এমন হয়, তাহলে এর পরিবর্তে আপনি আপনার কিছু ছবি এবং স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য একটি ব্যক্তিগত
অ্যালবাম বা ডায়েরি রাখুন। এই অভ্যাস আপনাকে আরও ভালো থাকতে সাহায্য করবে।
বাস্তব সম্পর্ক স্থাপন
সব সময় যোগাযোগ ধরে রাখতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দ্বারস্থ হওয়া স্বাভাবিক। তবে এ ক্ষেত্রে শুধু ভার্চ্যুয়াল জগতের ওপর নির্ভরশীল না থেকে বাস্তবে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করতে পারেন।
প্রযুক্তির
এই সময়ে ‘মনোযোগ অর্থনীতি’ নামক একটি নতুন বিষয়ও আলোচিত। একটি
পণ্য বা সেবা বিক্রি করার জন্য প্রযুক্তিগুলো ক্রমাগত আমাদের মনোযোগের দখল নেওয়ার
চেষ্টায় আছে। কিছু থেকে বাদ পড়ে না যাওয়ার ভয়ে সব সময় সবকিছুতে অংশগ্রহণ কিংবা
সবকিছু সম্পর্কে অবগত থাকার কারণে বারবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দ্বারস্থ হওয়ার
চক্র সেই মনোযোগ অর্থনীতিকেই এগিয়ে নিচ্ছে। তাই এটি থেকে বের হয়ে আসা মানসিক স্বাস্থ্যের
জন্য জরুরি।
মিস করা ফোমো প্রযুক্তি রোগ প্রযুক্তিগত রোগ ডিজিটাল রোগ
মন্তব্য করুন
তরমুজ খেতে কে না পছন্দ করেন! এই ফল দেখতে যেমন আকর্ষণীয় খেতেও অনেক সুস্বাদু। তবে বাজার থেকে তরমুজ কিনে আনার পর দেখা যায় ততটা লাল কিংবা মিষ্টি নয়! এমন ঘটনা প্রায় সবার সঙ্গেই কমবেশি ঘটেছে। আসলে বাইরে থেকে দেখতে ভালো মনে হলেও কাটার পর দেখা যায় তরমুজটি ফ্যাকাশে। তবে কিছু কৌশল আছে, যা দেখে আপনি খুব সহজেই অনেকগুলো তরমুজের ভিড়েও পাকা ও সুস্বাদু তরমুজটি বেছে নিতে পারবেন-
১. তরমুজের
মাথার দিক খেয়াল করুন। যদি দেখেন হলুদ রং ধরেছে তাহলে বুঝবেন তরমুজ পাকা। পুরো সবুজ
মানে তরমুজ এখনো কাঁচা।
২. তরমুজ হাতে নিয়ে দেখুন।
যদি ভেতরটা ফাঁপা মনে হয় তাহলে
বুঝবেন তরমুজ এখনও কাঁচা। পাকা
তরমুজে প্রচুর পানি থাকে। ফলে
তরমুজ ভারী হয়।
৩. তরমুজের গায়ে হাত দিয়ে
আওয়াজ করে দেখুন। পাকা
তরমুজে এমন আওয়াজ হবে
বুঝবেন ভেতরে পানি আছে। যদি
অতিরিক্ত ভারী আওয়াজ হয়
তাহলে বুঝবেন তরমুজ বেশি পেকেছে।
৪. তরমুজের আকৃতি খেয়াল করুন। যদি তরমুজ পুরো
সমান হয়, তাহলে বুঝবেন
পাকা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
৫. তরমুজের উজ্জ্বল রং দেখে বোকা
হবেন না। পাকা তরমুজ
সাধারণত দেখতে গাঢ় ও কালচে
হয়।
৬. ভালো করে দেখুন
তরমুজের গায়ে কালো ছোপ
আছে কি না। যদি
থাকে তাহলে টিপে দেখুন। যদি
দেখেন নরম তাহলে তরমুজ
নেবেন না। বেশি পাকা
তরমুজ নরম হয়ে যায়।
৭. তরমুজ হাতে নিয়ে ঘ্রাণ
নিয়ে দেখুন। যদি পাকা, মিষ্টি
গন্ধ বের হয় তাহলে
বুঝবেন তরমুজ পাকা। বেশি পাকা গন্ধ
বের হলে কিনবেন না।
আবার কাঁচা গন্ধ বের হলেও
কিনবেন না।
৮. তরমুজের মাথার দিকে হাত দিয়ে
চাপ দিয়ে দেখুন, যদি
বেশি শক্ত হয় তাহলে
বুঝবেন এখনও কাঁচা। আবার
বেশি নরম হলেও বুঝবেন
বেশি পেকেছে। হালকা নরম হলে তবেই
কিনুন।
মন্তব্য করুন
ভিটামিন
বি ১২ স্বাস্থ্যের জন্য
খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি কোবলামিন নামেও
পরিচিত। গবেষণায় দেখা গেছে, ৮০-৯০ শতাংশ নিরামিষাশীদের
মধ্যে ভিটামিন বি ১২ এর
অভাব আছে।
পানিতে দ্রবণীয় এই ভিটামিন রক্ত গঠন ও স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই ভিটামিন যেহেতু শরীর নিজে উৎপাদন করতে পারে না, তাই এটি বিভিন্ন খাদ্য উৎস থেকে গ্রহণ করতে হয়। ভিটামিন বি ১২ উদ্ভিদ ভিত্তিক খাদ্যে আবার পাওয়া যায় না। এই ভিটামিনের অভাবে রক্ত স্বল্পতার সৃষ্টি হয়। একই সঙ্গে স্নায়ুতন্ত্রও সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। অনেক সময় ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে দেখা দেওয়া উপসর্গ টের পান না অনেকেই। ফলে সমস্যা আরও বাড়ে।
ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতির লক্ষণ কী কী?
বিভ্রান্তি
ভিটামিন
বি ১২ রক্ত কোষ
গঠনে কাজ করে। যা
শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সরবরাহ
করে। লোহিত রক্তকণিকার অভাব মস্তিষ্কে অক্সিজেন
সরবরাহ কমিয়ে দেয়। এ কারণে বিভ্রান্তির
সৃষ্টি হয়। সবসময় মাথা
ঘোরা ও বিভ্রান্তির সমস্যা
ভিটামিন বি ১২ এর
একটি সাধারণ লক্ষণ।
বিষণ্নতা
গবেষণায়
দেখা গেছে, ভিটামিন বি ১২ এর
অভাবে মস্তিষ্কের হোমোসিস্টিন টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে মেজাজ
পরিবর্তন হয় ও বিষণ্নতা
বাড়ে। তবে শরীরে ভিটামিন
বি ১২ এর চাহিদা
পূরণের মাধ্যমে এ সমস্যা কাটানো
যায়।
ভুলে
যাওয়া
কয়েকদিন
আগের ঘটনা ভুলে যাচ্ছেন
কিংবা কথা বলতে সমস্যা
হচ্ছে? এমন সমস্যা কিন্তু
ভিটামিন বি ১২ এর
অভাব ও ডিমেনশিয়ার সাধারণ
লক্ষণ। যা প্রাথমিক অবস্থায়
চিকিৎসা না করালে পরবর্তীতে
দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার কারণ হতে পারে।
মুখের
সমস্যা
মুখের
ভিটামিন বি ১২ এর
ঘাটতি হলে মুখে অস্বাভাবিক
লক্ষণ দেখা দেয়। এর
মধ্যে একটি হলো ‘লিঙ্গুয়াল
প্যারেথেসিয়া’। এক্ষেত্রে জিহ্বা
ফুলে যাওয়া বা জ্বালার সমস্যা
হতে পারে। গ্লসাইটিসও বলা হয় একে।
এক্ষেত্রে জিহ্বা ফুলে যায় ও
ব্যথা বা জ্বালাপোড়া অনুভূত
হয়।
ভিটামিন
বি ১২ এর অভাব কেন হয়?
ভিটামিন
বি ১২ এর অভাব
হওয়ার দুটি প্রধান কারণ
হলো রক্ত স্বল্পতা ও
খাদ্যে অপর্যাপ্ত ভিটামিন বি ১২ থাকা।
রক্ত স্বল্পতার ক্ষেত্রে ইমিউন সিস্টেম আপনার পেটের স্বাস্থ্যকর কোষ ধ্বংস করে।
তাই পর্যাপ্ত খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমেও শরীর ভিটামিন শোষণ
করতে পারে না।
দ্বিতীয়
কারণটি নির্ভর করে আপনি খাদ্যের
মাধ্যমে শরীরের ভিটামিন বি ১২ এর
অভাব পূরণ করতে পারছেন
কি না। এই ভিটামিন
খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ না করলে শরীরে
এর অভাব দেখা দেওয়া
সাধারণ বিষয়।
কতটুকু
ভিটামিন বি ১২ খাওয়া উচিত?
ভিটামিন
বি ১২ খাওয়ার পরিমাণ
বয়সের উপর নির্ভর করে।
যেমন- (৪-৮ বছর
১.২ মাইক্রোগ্রাম, ৯-১৩ বছর ১.৮ মাইক্রোগ্রাম, ১৪-১৮ বছর ২.৪ মাইক্রোগ্রাম, প্রাপ্তবয়স্ক
২.৪ মাইক্রোগ্রাম, গর্ভবতী
হলে ২.৬ মাইক্রোগ্রাম
এবং বুকের দুধ খাওয়ালে ২.৮ মাইক্রোগ্রাম)।
কখন
ডাক্তার দেখাবেন?
·
ত্বক
ফ্যাকাশে দেখায়
·
দুর্বল
বোধ করেন
·
চলাফেরায়
সমস্যা
·
প্রায়ই
শ্বাসকষ্ট অনুভব করা ইত্যাদি।
এই লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসক ভিটামিন
বি ১২ এর অভাবের
সম্ভাবনা নির্ণয়ের জন্য রক্ত পরীক্ষার
পরামর্শ দিতে পারেন। রিপোর্টের
উপর ভিত্তি করে তিনি ডায়েটে
পরিবর্তন আনার পরামর্শ বা
সেই অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট লিখে দেবেন
ভিটামিন বি ১২ সুস্বাথ্য ভিটামিন বি এর অভাব লক্ষণ ও করণীয় স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন
চুল
কাটা ভালো হলে কোনো
সমস্যা নেই। কিন্তু খারাপ
হলেই লাগে গোল। শুনতে
হয় রাজ্যের কথা। বন্ধু-স্বজনদের
টিটকিরি, সহপাঠী-সহকর্মীদের উপহাস। তার চেয়ে বড়
সমস্যা হয় আত্মবিশ্বাসে। কোনোভাবেই
আর নিজেকে ভালো দেখায় না।
ফলে যা–ই পরেন
আর যা–ই করেন,
আত্মবিশ্বাসটা ঠিক পোক্ত হয়
না। অমন পরিস্থিতি এড়াতে
এরপর থেকে চুল কাটার
সময় নিচের পরামর্শগুলো বিবেচনা করতে পারেন।
বিবেচনায়
নিন মুখের গড়ন
কীভাবে
চুল কাটাবেন, তা যতটা না
আপনার চুলের রং, ধরন, ঘনত্ব—এগুলোর ওপর নির্ভর করে,
তার চেয়ে বেশি নির্ভর
করে আপনার মুখ ও মাথার
গড়নের ওপর। তাই সেটাতেই
বেশি গুরুত্ব দিন। তাই বলে
আপনার চুলের ধরনকে উপেক্ষা করবেন না। সেটাও মাথায়
রাখুন।
অনুসরণে
সচেতনতা
তারকারা
চুল কাটার ব্যাপারে বেশ যত্নশীল। সে
জন্য তারা পেশাদার লোকজনের
পরামর্শও নেন। কাজেই এ
বাবদে তাদের অনুসরণ করাটা একদমই মন্দ নয়। তবে
সেটা করতে হবে সচেতনভাবে।
সে জন্য আপনার পছন্দের
তারকার চেয়ে বেশি গুরুত্ব
পাবে, কোন তারকার মুখের
গড়ন, শারীরিক উচ্চতা, চুলের ধরন আপনার কাছাকাছি।
নাপিতের
মতামত নিন
অনেকেই
সেলুনে পছন্দের চুলের কাটের ছবি নিয়ে যান।
নাপিতকে ধরিয়ে দিয়ে বলেন সেটাই
করে দিতে। এটা না করে
তার পরামর্শও নিন। তাকে জিজ্ঞেস
করুন, সেই কাটে আপনাকে
কেমন লাগবে। সাধারণত সবার জন্যই চুলের
কাট খানিকটা পরিবর্তন করতে হয়। সেটা
করার স্বাধীনতা তাকে দিন।
গোঁফ-দাড়ির কথাও ভাবুন
কেবল
আপনার মুখের গড়নই নয়, গোঁফ-দাড়ির পরিমাণ ও ধরনও প্রভাব
রাখে আপনার চুলের দর্শনদারিতে। তাই কীভাবে চুল
কাটবেন, তার সঙ্গে এগুলোও
ভেবে রাখুন। গোঁফ রাখবেন কি না, দাড়ি
রাখবেন কি না, রাখলেও
কেমন রাখবেন। তার সঙ্গে মিলিয়ে
চুল কাটুন।
নাপিতের
দক্ষতার মূল্যায়ন করুন
আপনি
যেভাবে চুল কাটাতে চাইছেন,
নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার
নাপিত সেভাবে চুল কাটাতে পারবে
কি না। অথবা ধরনটা
তার জন্য বেশি কঠিন
হয়ে যাবে কি না।
সুন্দর করতে গিয়ে আবার
না হিতে বিপরীত হয়ে
কুৎসিতভাবে চুল কাটা হয়ে
যায়। প্রয়োজনে নাপিতের পারদর্শিতা অনুযায়ী চুলের কাট পছন্দ করুন।
আপনার
সঙ্গে মানানসই কি না
আপনার
বয়স, অবস্থান, পেশা ইত্যাদিও বিবেচনা
করুন চুল কাটার ধরন
পছন্দ করার সময়। একজন
কিশোর বা তরুণ যেভাবে
চুল কাটে, একজন বয়স্ক লোকের
পক্ষে সেটা মানানসই না–ও হতে পারে।
আপনি নিজেই হয়তো আগে যেভাবে
চুল কাটতেন, এখন আর সেটা
আপনার জন্য জুতসই হবে
না। একই কথা প্রযোজ্য
চল বা ট্রেন্ড অনুসরণের
ক্ষেত্রেও। সেটা তখনই অনুসরণ
করবেন, যখন তা আপনার
সঙ্গে খাপ খাবে।
বিকল্প
পরিকল্পনা
তবে
আপনি যতই সাবধানী হয়ে
চুলের কাট পছন্দ করুন
না কেন, গড়বড় হতেই
পারে। হয়তো চুল বেশি
ছেঁটে ফেলল। কিংবা কোনো জায়গায় কমবেশি
হয়ে গেল। তাই চুল
কাটতে গিয়ে সব সময়
বিকল্প পরিকল্পনা প্রস্তুত রাখবেন। নিজেও মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন।
চুলের কাট মুখের গড়ন মুখ অনুযায়ী চুলের কাট
মন্তব্য করুন
ভিটামিন বি ১২ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি কোবলামিন নামেও পরিচিত। গবেষণায় দেখা গেছে, ৮০-৯০ শতাংশ নিরামিষাশীদের মধ্যে ভিটামিন বি ১২ এর অভাব আছে। এই ভিটামিনের অভাবে রক্ত স্বল্পতার সৃষ্টি হয়। একই সঙ্গে স্নায়ুতন্ত্রও সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। অনেক সময় ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে দেখা দেওয়া উপসর্গ টের পান না অনেকেই। ফলে সমস্যা আরও বাড়ে।