লিট ইনসাইড

অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে শফিক হাসানের ৪ টি নতুন বই

প্রকাশ: ০৮:২৬ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

এবার অমর একুশে বইমেলায় শফিক হাসানের ৪ টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। বইগুলোর নাম ফরমালিনের রাজ্যে ফল চিরঞ্জীব’, অটোগ্রাফের ফাঁদে, ঘুমের বাদ্যে রাষ্ট্র নাচে, মানুষও উড়বে আকাশে। 

ফরমালিনের রাজ্যে ফল চিরঞ্জীব বইটি একটি রম্যরচনা। বইটি প্রকাশ করেছে চন্দ্রবিন্দু প্রকাশনা। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন লুৎফিরুনা। বইটির মুদ্রিত মূল্য ২৮০ টাকা। ‘অটোগ্রাফের ফাঁদে’ বইটি একটি রম্যগল্প সংকলন। এই বইটি প্রকাশ করেছে টাঙ্গন প্রকাশনা। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন উন্মাদ পত্রিকার সম্পাদক আহসান হাবিব। এই বইটির মুদ্রিত মূল্য ৩০০ টাকা। ঘুমের বাদ্যে রাষ্ট্র নাচে বইটি মূলত কাব্যগ্রন্থ। এই বইটির প্রচ্ছদ করেছেন আল নোমান। বইটির মূদ্রিত মূল্য ৩০০ টাকা। মানুষও উড়বে আকাশে একটি শিশুতোষ গল্পের বই। বইটি প্রকাশিত হয়েছে ছোটদের সময় প্রকাশনা থেকে।



ফরমালিনের রাজ্যে ফল চিরঞ্জীব বইটি নিয়ে লেখক বলেন, ‘দৈনিক প্রথম আলোর আল-পিন, সমকালের প্যাঁচাল ইত্যাদি ফান ম্যাগাজিনগুলোতে বিভিন্ন সময়ে আমি বিভিন্ন ইস্যুতে এই লেখাগুলো লিখেছিলাম। দুর্নীতি, সামাজিক অস্থিরতা – এধরণের বিভিন্ন ইস্যুতে তাৎক্ষণিক যে প্রতিক্রিয়া নিয়ে লেখা এ বইয়ের লেখাগলো। এগুলো নিয়ে বই করবো এমন ইচ্ছা ছিলো না।’



অটোগ্রাফের ফাঁদে বইটির গল্পগুলো নিয়ে লেখক বলেন, ‘সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে স্যাটায়ার করে এই বইয়ের সবগুলো গল্প লেখা। দুইটি গল্প নিয়ে একটু করে বলি। এই বইয়ের প্রথম গল্পের নাম “বেস্ট সেলার ব-কলম লেখক”। এই গল্পটি বইমেলায় আমাদের সবার পরিচিত একটি বিষয় নিয়ে লেখা। বইমেলায় দেখা যায় স্টলের সামনে লেখক থাকেন। দেখা যায় সেই লেখকেরা তাঁর চেনা-পরিচিত মানুষদের পাকরাও করার চেষ্টা করেন। বই কিনতে পরোক্ষ ভাবে চাপ দেন বা বাধ্য করেন। তখন ওই পরিচিত ব্যক্তি একটি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন। এই বিষয়টি খুবই অপ্রীতিকর। নানাভাবে কারসাজি করে লেখকেরা নিজের বইকে বেস্টসেলার বানানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বেস্টসেলার কি বানানোর বিষয়? এভাবে তো একটি বইকে বেস্টসেলার বানানো যায় না। এমনই আরও কিছু সামাজিক অনাচার বা ব্যধি নিয়ে স্যাটায়ার করে লেখা গল্প দিয়ে আমার এই বইটি সাজানো।’ 

তিনি আরও যোগ করেন, ‘রম্য রচনা আর রম্য গল্পকে কিন্তু অনেকে এক করে ফেলেন। তবে দুইটি বিষয় একেবারেই আলাদা। দুটোকে এক করে ফেলার কোনো সুযোগ নাই।’



কাব্যগ্রন্থ ‘ঘুমের বাদ্যে রাষ্ট্র নাচে’ নিয়ে তিনি বলেন, ‘মূলত আমি গদ্যই লিখি। তবে, বিভিন্ন সময় বিচ্ছিন্নভাবে আমার কিছু কবিতা লেখা ছিলো। আর বর্তমান পরিস্থিতির যে অস্থিরতা, এই অস্থিরতায় আমি স্থির থাকতে পারিনি। কিছু লেখা সময় আমাকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছে। এই বইয়ের কবিতাগুলোতে উঠে এসেছে রাষ্ট্রের কথা, মানুষের কথ, মানুষের অধিকারের কথা। মোটা দাগে মানুষের কথাই আমি বলতে চেয়েছি এই কবিতাগুলোতে।রাজনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক শোবো বিষয়গুলোই তুলে ধরতে চেয়েছি।’



শিশুতোষ বই ‘মানুষও উড়বে আকাশে’-এর ব্যাপারে লেখক বলেন, ‘বাচ্চাদের বইতে তো খুব বেশী কঠিন কথা লিখার সুযোগ নেই। বাচ্চারা আসলে চারপাশকে কীভাবে দেখে, একটি বাচ্চার দৃষ্টিতে দেশের সামাজিক অবস্থানটাই আমি এই বইয়ে তুলে আনতে চেয়েছি। যে বাচ্চা এই বইটি পড়বে সে একটা মূলয়বোধ অর্জন করতে পারে এখান থেকে সেটাই চাই।’

‘ফরমালিনের রাজ্যে ফল চিরঞ্জীব’, অটোগ্রাফের ফাঁদে’, ‘ঘুমের বাদ্যে রাষ্ট্র নাচে’, ‘মানুষও উড়বে আকাশে’ বইগুলো অমর একুশে গ্রন্থমেলায় পাওয়া যাবে যথাক্রমে ৬৫-৬৬(চন্দ্রবিন্দু), ৩২১(টাঙ্গন), ৪১৭-১৮-১৯(দেশ পাবলিকেশন্স) ও ৪৭৩(ছোটদের সময়) নম্বর স্টলে।

বইমেলা  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

ভাষাবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক আর নেই

প্রকাশ: ১১:৩৫ এএম, ২৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

একুশে পদক বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ, ভাষাবিদ, গবেষক প্রাবন্ধিক অধ্যাপক . মাহবুবুল হক মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন হৃদরোগ কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন।

বুধবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মরদেহ রাজধানীর ভাটারার বাসায় আনা হবে। এরপর জানাজা শেষে নেয়া হবে চট্টগ্রামে। সেখানেই তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

. মাহবুবুল হক প্রবন্ধে অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। ছাড়া গবেষণায় অবদান রাখায় ২০১৯ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।

. মাহবুবুল হক ১৯৪৮ সালের নভেম্বর ফরিদপুরের মধুখালিতে জন্মগ্রহণ করেন। এরপর বেড়ে ওঠেন চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে বাংলা ভাষা সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান), ১৯৭০ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৯৭ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

এরপর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়া কলেজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে যোগদান করেন।

তার উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে: বাংলা বানানের নিয়ম, রবীন্দ্র সাহিত্য রবীন্দ্র ভাবনা, ইতিহাস সাহিত্য, সংস্কৃতি লোক সংস্কৃতি এবং বাংলার লোক সাহিত্য: সমাজ সংস্কৃতি প্রভৃতি।


ভাষাবিদ   অধ্যাপক   মাহবুবুল হক  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

চলনবিল সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণা

প্রকাশ: ১১:৫০ এএম, ১৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ছোটকাগজ সম্পাদনায় বিশেষ অবদান রাখায় চলনবিল সাহিত্য পুরস্কার পেলেন শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক ছোটকাগজ ‘হৃদয়ে চলনথ এর সম্পাদক কবি হাদিউল হৃদয়। হাদিউল হৃদয় তাড়াশ প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক কালবেলা পত্রিকার তাড়াশ উপজেলা প্রতিনিধি। 

 

শুক্রবার (১২ জুলাই') সন্ধ্যা সা‌ড়ে ৬টায় উপ‌জেলা পাব‌লিক লাই‌ব্রে‌রীর হল রু‌মে আনুষ্ঠানিকভাবে কবি কণ্ঠে কবিতা সংগঠন থেকে প্রধান অতিথি তাড়াশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান মনি এ পুরস্কার স্মারক ও সনদপত্র তুলে দেন।

 

সা‌বিনা ইয়াস‌মিন বিনুর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন, সংগঠ‌নের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হো‌সেন মল্লিকী। আলোচনা সভায় সংগঠনের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক রাজুর সভাপ‌তিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তাড়াশ পৌরসভার কাউ‌ন্সিলর রোখসানা খাতুন রুপা, পাব‌লিক লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক মোজ্জামেল হক মাসুদ, সা‌বেক সাধারণ সম্পাদক হোস‌নেয়ারা নাসরিন দোলন, যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান, উপ‌জেলা প্রেসক্লা‌বের সাধারণ সম্পাদক ‌সোহেল রানা সোহাগ, প্রভাষক আব্দুল কাদের, প্রভাষক আব্দুল মতিন প্রমূখ।

উল্লেখ্য, হাদিউল হৃদয় বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিল চলনবিলের প্রাণকেন্দ্র তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের পল্লীর নিভূত অজোপাড়া পাড়িল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মধ্যবিত্ত্ব মুসলিম পরিবারে জন্ম। তিনি একজন সাংবাদিক ও সাহিত্য কর্মী। মূলতঃ কবিতা দিয়ে শুরু করলেও প্রবন্ধ, মুক্তগদ্য ও ছড়া লিখেন। তার লেখা লিটলম্যাগ ও দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে আসছে। তার সম্পাদনা হৃদয়ে চলন ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১২টি সংখ্যা প্রকাশ হয়েছে। সম্পাদনার স্বীকৃতিস্বরূপ এর আগেও বিভিন্ন সংগঠন থেকে পেয়েছেন সম্মাননা ও পুরস্কার।'


চলনবিল সাহিত্য পুরস্কার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন