লিট ইনসাইড

বন্ধুত্ব

প্রকাশ: ০৮:৩৯ পিএম, ২৬ মে, ২০২৩


Thumbnail

নীলা মধ্যবয়সী একজন নারী। সকাল থেকে রাত কাটে সংসারের চার দেয়ালের মাঝে। খুব সকালে উঠে ছেলে আর বরের জন্য নাস্তা বানায়। টেবিলে সাজিয়ে তারপর ওদের ডাকে। ওরা যে যার মতো উঠে খেয়ে বেরিয়ে পড়ে। খাবার টেবিলে ছেলে ফোন নিয়ে থাকে। বরেরও তাড়া থাকে। টুকটাক দু’একটা কথা ছাড়া তেমন কোনো কথাই হয় না কারও সাথে। কারও কোনো সময় নেই নীলাকে দেবার। যে যার মতো খুব ব্যস্ত। রোজ কত কথা জমে থাকে নীলার মনে! একাকিত্বটা দিন দিন নীলাকে বড় বিমর্ষ করে তুলছে।

নীলার শরীরটা কিছুদিন ধরে বেশ খারাপ। হাসবেন্ড আসিফকে বলল, ‘আজ অফিস থেকে একটু তাড়াতাড়ি এসো ডাক্তারের কাছে যাব।’ আসিফ বলল, ‘সম্ভব নয়। একা চলে যেও। তুমি তো আর বাচ্চা নও যে সঙ্গে আমাকে যেতে হবে।’ কথাটা শুনে নীলার খুব মন খারাপ হলো। বয়স হয়েছে বলেই কি বরের সাথে ডাক্তারের কাছে যাওয়া যাবে না! বিকেলে সে একাই চলে গেল ডাক্তারের কাছে। ফেরার সময় হাসপাতালের করিডোর দিয়ে হাঁটছিল ও। হঠাৎ পাশের একটা রুম থেকে কারও প্রচণ্ড চিৎকার শুনতে পেল। ওর এত খারাপ লাগছিল যে, ও রুমে উঁকি দিল। দরজা খোলাই ছিল। দেখে ডাক্তার নার্স সবাই একজন মহিলাকে চেপে ধরে আছে। কিন্তু সে স্যালাইন হাতে বিছানায় গড়াগড়ি খাচ্ছে আর চিৎকার করছে। দেখে নীলার এত কষ্ট লাগছে! কি কষ্ট পাচ্ছে মানুষটা! নার্স একটা ইনজেকশন পুশ করল। ধীরে ধীরে মহিলাটি শান্ত হলো। নীলা এবার ভালো করে মহিলার মুখটি দেখতে পেল। চেনা চেনা লাগছে। এবার ভালো করে দেখে। আরে! এত ওর কলেজ জীবনের বান্ধবী রুবি। কিন্তু একি অবস্থা ওর! কলেজের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটি আজ এরকম হয়ে গেছে কিভাবে! শুকিয়ে কংকাল। সেই রূপ কোথায় ওর! বেশ কিছু বছরের ব্যবধানে এমন পরিবর্তন হয়ে যায় মানুষের! তাছাড়া ওর কি হয়েছে যে এত কষ্ট পাচ্ছে! এসব ভাবতে ভাবতেই নীলা রুবির কাছে গেল। রুবি এখন অনেক শান্ত। ‘চিনতে পারছিস?’ নীলা জিজ্ঞাসা করল। 

রুবি কিছুক্ষণ নীলার দিকে তাকিয়ে রইল। তারপর কান্নায় ভেঙে পড়ে। নীলা গিয়ে রুবিকে জড়িয়ে ধরল। অনেকক্ষণ দু'জন দু'জনকে জড়িয়ে ধরে কাঁদল। তারপর কথা বলতে বলতে নীলা জানতে পারে রুবির ক্যান্সার। তাও শেষ পর্যায়ে। নীলা এ কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে গেল। এত বছর পর প্রিয় বান্ধবীকে খুঁজে পেলো, তাও এই অবস্থায়! নীলার খুব কষ্ট হচ্ছিল। 

কলেজে ওরা তিনজন ছিল কাছের বন্ধু। ওরা দু'জন। আরেকজন অরুনিমা। একদিন একে অপরকে দেখতে না পেলে যেন জীবন চলত না ওদের। সমস্ত কলেজ জানত ওরা থ্রি জুয়েলস। সব জায়গায় ওরা একসাথে যেত। ক্যাফে, লাইব্রেরি, আইসক্রিম খেতে যাওয়া। কিংবা মার্কেটে যাওয়া। সবাই বলত এমন বন্ধুত্ব খুব কমই হয়। কিছুদিন পর ওদের ক্লাসে একটা নতুন ছেলে ভর্তি হয়। তখন থেকেই শুরু হয় রুবি আর নীলার মধ্যে সমস্যা। রুবি হঠাৎ করেই কেমন নীলাকে এড়িয়ে চলে। নীলা অবাক হয়। কষ্ট পায়। কিন্তু কেন রুবি এমন করছে সেটা ও বুঝতে পারে না। যদিও রুবি তা মুখে প্রকাশ করত না। 

নতুন ছেলেটার নাম অর্ণব । রাস্তায় একদিন কিছু বাজে ছেলেরা নীলাকে টিজ করছিল। অর্ণব সেটা দেখতে পেয়ে ছেলেগুলোকে শায়েস্তা করে। সেটা দেখে নীলার অর্ণবকে খুব ভালো লেগে যায়। ধীরে ধীরে ও অনুভব করে যে ও অর্ণবকে ভালোবাসে। এদিকে রুবি যে অর্ণবকে ভালোবাসে এ কথা সে বুঝতে পারেনি। নীলা খুব ভালো ছবি আঁকত। ও অর্ণবের একটা ছবি এঁকেছে। ভেবেছে আজ সে অর্ণবকে ছবিটি দিয়ে ওর মনের কথা বলবে। কিন্তু গিয়ে দেখে অর্ণব আর রুবি খুব ঘনিষ্ঠভাবে বসে কথা বলছে। নীলার আর বুঝতে কিছু বাকি রইল না রুবি কেন ওকে এড়িয়ে চলে। রুবি জানত নীলা অর্ণবকে ভালোবাসে। তাই ও নীলাকে এড়িয়ে চলত। 

কলেজ জীবন শেষে তিন বান্ধবী একেক বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যায়। তারপর যে যার জীবন নিয়ে ব্যস্ত। কারও সাথে আর কারও যোগাযোগ থাকে না। নীলা রুবির পাশে বসে পুরনো কথাগুলো ভাবছিল। কিন্তু রুবিকে সে এভাবে দেখবে এটা সে ভুলেও ভাবতে পারেনি। ওর খুব কষ্ট হচ্ছে। নীলা জিজ্ঞেস করল অর্ণব কোথায়? রুবি কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে জানাল অর্ণবের সাথে ওর বিয়ে হয়নি ভুল বোঝাবুঝির কারণে। পরে রুবি আর বিয়ে করেনি। অর্ণব কোথায় সে জানে না। কিন্তু ওর শেষ ইচ্ছে অরুনিমা আর অর্ণবের সাথে দেখা করা। রুবি অনেক খুঁজেছে ওদের, পায়নি। নীলা যেন চেষ্টা করে ওদের খুঁজে বের করতে। মৃত্যুর আগে অন্তত একবার তাদের দেখতে চায় সে। নীলা কথা দেয় রুবিকে ওদের খুঁজে বের করবে। রুবি নীলার হাত ধরে শুয়ে আছে। দু'জনের চোখই ভেজা। রুবির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নীলা বাসায় ফিরল। আজ ওর মন অনেক খারাপ রুবির জন্য। আজ আর সময়মত সংসারের সব কাজ নিখুঁতভাবে করার দিকে মন নেই ওর। 

নীলা ওর পুরনো ডায়েরিটা বের করে সব বন্ধুদের ফোন দেয়। কিন্তু কাউকেই আর আগের নম্বরে পাওয়া যায় না। ফেসবুক সার্চ করে। কিন্তু কোনো লাভ হয় না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে একজনের মাধ্যমে অরুনিমাকে খুঁজে পায়। কিন্তু অর্ণবকে খুঁজে পায় না কিছুতেই। এদিকে রুবির শেষ ইচ্ছে ওকে পূরণ করতেই হবে। 

নীলার স্বামী আসিফ অফিস থেকে এসে দেখে নীলা চুপচাপ বসে আছে। ইদানিং দেখে নীলা কেমন আনমনা থাকে। সংসারের প্রতি কোনো মন নেই। অন্যসময় হলে এ সময় সে আসিফের জন্য কফি নিয়ে আসত। কিন্তু এখন আর সেটা করে না। হঠাৎ নীলা বলল, "তোমার এক বন্ধু আছে না পুলিশের বড়ো কর্মকর্তা? "
‘হ্যাঁ। কেন?’
‘আমার একটা কাজ করে দিতে পারবে?’ 
‘তোমার আবার কী কাজ?’ আসিফ অবাক হয়। 
‘আমার একজন বন্ধুকে খুঁজে বের করতে হবে।’ 
‘মানে?’ 
আসিফ অবাক হলো। ‘কি বলছ এসব? বন্ধুকে খুঁজে বের করতে পুলিশের সাহায্য লাগবে? সে কি ক্রিমিনাল? তোমার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে?’

নীলা রুবির শেষ ইচ্ছের কথা শোনালো আসিফকে। আসিফ বলল, ‘ফেসবুকে খুঁজে বের করো।’ ‘খুঁজেছি। পাইনি। কি নামে আছে। সেটা তো জানি না। আসল নামে আর ছবিতে পাইনি।’ আসিফ বলল, ‘আচ্ছা দেখি রাকিবের সাথে কথা বলে। বাসায় আসতে বলবো। তুমিই কথা বলে নিও।’

এখন প্রতিদিন নীলা রুবিকে দেখতে যায়। এটা-সেটা রান্না করে নিয়ে যায়। যদিও রুবি কিছুই খেতে পারে না। ওরা বসে বসে কলেজ জীবনে ওদের ছবিগুলো দেখে। কখনো হাসে। কখনো কাঁদে। 

নীলা অরুনিমার ঠিকানা নিয়ে একদিন গিয়ে দেখে একি অবস্থা ওর! এত ধনী লোকের স্ত্রীর আজ এই অবস্থা! বাসার সবকিছুতে দারিদ্র্যের ছাপ। বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রাখতে না রাখতেই ওর বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। বর ধনী ব্যবসায়ী। তারপর আর পড়াশোনা করেনি ও। ওর বিয়েতে শেষবারের মতো সবার সাথে দেখা হয়েছিল নীলার। তারপর যে যার জীবনে ব্যস্ত হয়ে গেল। আর কারও সাথে কারও যোগাযোগ হয়নি। 

নীলাকে দেখে অরুনিমা ওকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলে। বছর চারেক আগে অরুনিমার স্বামী মারা যায়। অনেক দেনা ছিল ওর বরের। সেসব শোধ করতেই সবকিছু শেষ হয়ে যায় ওদের। অরুনিমা যেহেতু বেশি পড়াশোনা করেনি তাই ভালো কোনো চাকরি পায়নি। কোনোরকমে একটা চাকরি করে মেয়েকে নিয়ে চলছে। 

নীলার সব শুনে মন খারাপ হলো। নীলা ওকে রুবির কথা বলল। অরুনিমারও রুবির কথা শুনে খুব কষ্ট হচ্ছে। দু'জনে মিলে রুবিকে দেখতে গেল। রুবি অরুনিমাকে দেখে খুব খুশি হলো। এখন ওরা তিনজন মিলে গল্প করে। সময় কাটায়। তিনজনেরই ভালো লাগে। নীলা ওর একঘেয়ে জীবন থেকে বেরিয়ে এসেছে। অরুনিমা অভাবের ভারে নুয়ে পড়ে বেঁচে থাকার আনন্দ থেকেই বঞ্চিত হচ্ছিল। সেও এখন বন্ধুদের খুঁজে পেয়ে একটু ভালো আছে। রুবিও যে ক'টা দিন বেঁচে আছে ওদের সাথে আনন্দে সময় কাটাচ্ছে। কিন্তু ওরা কিছুতেই অর্ণবকে খুঁজে পাচ্ছে না। এদিকে রুবির শেষ ইচ্ছে বলে কথা। একদিন অরুনিমা আর রুবি একটা কফিশপে বসে কফি খাচ্ছিল। সেখানে গিয়ে অর্ণবের মতো একটা ছেলেকে দেখতে পায়। কিন্তু ছেলেটা বয়সে অনেক ছোটো। অর্ণব কি করে হবে ওরা ভাবে। ছেলেটা বন্ধুদের সাথে আডডা দিচ্ছে। নীলা ছেলেটার সাথে একটু আলাদা করে কথা বলতে চাইল। ও ছেলেটার সাথে কথা বলে জানতে পারে ওর বাবাই ওদের বন্ধু অর্ণব। ওরা ছেলেটার কাছে ওর বাবার ফোন নম্বর চায়। বাসায় ফিরে নীলা অর্ণবকে ফোন দেয়। 
‘হ্যালো, আমি নীলা। চিনতে পারছো?’
অর্ণব কিছুটা সময় নেয় চিনতে। রুবির কথা শোনে। 

পরেরদিন ওরা সবাই যায় রুবিকে দেখতে হাসপাতালে। রুবি অর্ণবকে দেখে চিনতে পারে। রুবি কাঁদছে। হয়ত পুরনো কথাগুলো মনে পড়ছে। নীলা আর অরুনিমা রুম থেকে বেরিয়ে আসে। ওদেরকে একা ছেড়ে দেয়। কত কথা জমে আছে ওদের।  

নীলা বাড়ি ফিরে অর্ণবের ছবিটি বের করে দেখে, যেটা সে অর্ণবের জন্য এঁকেছিল। এতদিন সে ছবিটি যত্ন করে রেখে দিয়েছিল। আজ সেটা ছিঁড়ে ফেলে দিলো। এর কিছুদিন পর রুবি মারা গেল। মৃত্যুর সময় সে একটা চিঠি লিখে গেছে নীলার কাছে। নীলা সেই চিঠিটা অরুনিমা আর অর্ণবকে পড়ে শোনাচ্ছে। 

‘নীলা, তোর হয়তো আমার ওপর রাগ, দুঃখ, অভিমান ছিল। সে জন্যই বোধহয় অর্ণবের সাথে আমার ভাগ্য জুড়েনি। সারাজীবন আমি সুখী হতে পারিনি। জীবনের শেষ সময়গুলোতে সেই তুই আবার আমাকে একটু সুখ দিলি। সবাইকে আবার এক করলি। এভাবে সবাই এক থাকিস। সুখে-দুঃখে বাকি জীবন কেউ কাউকে ছেড়ে যাসনে। একে অপরের পাশে থাকিস। তবেই আমার আত্মা শান্তি পাবে।’ চিঠিটা পড়ে সবার চোখ ভিজে উঠেছে। 


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

ভাষাবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক আর নেই

প্রকাশ: ১১:৩৫ এএম, ২৫ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

একুশে পদক বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ, ভাষাবিদ, গবেষক প্রাবন্ধিক অধ্যাপক . মাহবুবুল হক মারা গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন হৃদরোগ কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন।

বুধবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মরদেহ রাজধানীর ভাটারার বাসায় আনা হবে। এরপর জানাজা শেষে নেয়া হবে চট্টগ্রামে। সেখানেই তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

. মাহবুবুল হক প্রবন্ধে অবদানের জন্য ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। ছাড়া গবেষণায় অবদান রাখায় ২০১৯ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।

. মাহবুবুল হক ১৯৪৮ সালের নভেম্বর ফরিদপুরের মধুখালিতে জন্মগ্রহণ করেন। এরপর বেড়ে ওঠেন চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে বাংলা ভাষা সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান), ১৯৭০ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৯৭ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

এরপর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়া কলেজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। পরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে যোগদান করেন।

তার উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে: বাংলা বানানের নিয়ম, রবীন্দ্র সাহিত্য রবীন্দ্র ভাবনা, ইতিহাস সাহিত্য, সংস্কৃতি লোক সংস্কৃতি এবং বাংলার লোক সাহিত্য: সমাজ সংস্কৃতি প্রভৃতি।


ভাষাবিদ   অধ্যাপক   মাহবুবুল হক  


মন্তব্য করুন


লিট ইনসাইড

চলনবিল সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণা

প্রকাশ: ১১:৫০ এএম, ১৩ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ছোটকাগজ সম্পাদনায় বিশেষ অবদান রাখায় চলনবিল সাহিত্য পুরস্কার পেলেন শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক ছোটকাগজ ‘হৃদয়ে চলনথ এর সম্পাদক কবি হাদিউল হৃদয়। হাদিউল হৃদয় তাড়াশ প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক কালবেলা পত্রিকার তাড়াশ উপজেলা প্রতিনিধি। 

 

শুক্রবার (১২ জুলাই') সন্ধ্যা সা‌ড়ে ৬টায় উপ‌জেলা পাব‌লিক লাই‌ব্রে‌রীর হল রু‌মে আনুষ্ঠানিকভাবে কবি কণ্ঠে কবিতা সংগঠন থেকে প্রধান অতিথি তাড়াশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান মনি এ পুরস্কার স্মারক ও সনদপত্র তুলে দেন।

 

সা‌বিনা ইয়াস‌মিন বিনুর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন, সংগঠ‌নের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হো‌সেন মল্লিকী। আলোচনা সভায় সংগঠনের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক রাজুর সভাপ‌তিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তাড়াশ পৌরসভার কাউ‌ন্সিলর রোখসানা খাতুন রুপা, পাব‌লিক লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক মোজ্জামেল হক মাসুদ, সা‌বেক সাধারণ সম্পাদক হোস‌নেয়ারা নাসরিন দোলন, যুগ্ম সম্পাদক লুৎফর রহমান, উপ‌জেলা প্রেসক্লা‌বের সাধারণ সম্পাদক ‌সোহেল রানা সোহাগ, প্রভাষক আব্দুল কাদের, প্রভাষক আব্দুল মতিন প্রমূখ।

উল্লেখ্য, হাদিউল হৃদয় বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিল চলনবিলের প্রাণকেন্দ্র তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের পল্লীর নিভূত অজোপাড়া পাড়িল গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মধ্যবিত্ত্ব মুসলিম পরিবারে জন্ম। তিনি একজন সাংবাদিক ও সাহিত্য কর্মী। মূলতঃ কবিতা দিয়ে শুরু করলেও প্রবন্ধ, মুক্তগদ্য ও ছড়া লিখেন। তার লেখা লিটলম্যাগ ও দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে আসছে। তার সম্পাদনা হৃদয়ে চলন ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১২টি সংখ্যা প্রকাশ হয়েছে। সম্পাদনার স্বীকৃতিস্বরূপ এর আগেও বিভিন্ন সংগঠন থেকে পেয়েছেন সম্মাননা ও পুরস্কার।'


চলনবিল সাহিত্য পুরস্কার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন