নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১৮ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১
শঙ্কামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরলেন কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। ১৯ দিনের চিকিৎসা শেষে কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হককে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার রাজশাহীর বাসায় নেওয়া হয়েছে।
হাসান আজিজুল হকের ছেলে ড. ইমতিয়াজ হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় তাকে নিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা থেকে রওয়ানা দেয়।
ইমতিয়াজ হাসান বলেন, তার বাবা এখন শঙ্কামুক্ত। যেসব সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তা কেটে গেছে। জটিল কোনো সমস্যা নেই। তবে ছোটখাটো যেসব সমস্যা আছে তাতে বাসায় রেখে চিকিৎসা করা সম্ভব হবে। আবার ডিপ্রেশনের মতো দীর্ঘমেয়াদী কিছু সমস্যা আছে, তাতে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসাই দিতে হবে। তবে হৃদরোগ রোগ ও নিউমোনিয়ার সমস্যা কেটে গেছে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে বাসায় নিয়ে যেতে বলেছেন। বাসায় নিয়ে গিয়েই তাকে চিকিৎসা দিতে হবে।
ইমতিয়াজ হাসান আরও বলেন, ‘আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সে করে সড়ক পথে রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছি। কারণ, বাবা বসে থাকতে পারছেন না। চিকিৎসকরা তাকে শুইয়ে নিয়ে যেতে বলেছেন। এজন্য এয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়নি।’
শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ২১ আগস্ট হাসান আজিজুল হককে রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম বিমানবন্দর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়। সেখানে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হৃদযন্ত্রের সমস্যার বাইরেও ফুসফুসে সংক্রমণ, ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতাসহ নানা সমস্যা ধরা পড়ে। পরবর্তীতে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়। হাসান আজিজুল হককে হাই-ফ্লো অক্সিজেন সাপোর্টও দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ড. আরাফাতের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল টিম তার চিকিৎসা করেন।
১৯৪৭-এর দেশভাগ ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সোচ্চার প্রখ্যাত এই ঔপন্যাসিকের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস আগুনপাখি। তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, স্বাধীনতা পুরস্কারসহ দেশে বিদেশে নানা পুরস্কারে সম্মানিত হন।
হাসান আজিজুল হক ১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যব গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তার বয়স ৮২ বছর। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে ৩১ বছর শিক্ষকতার পর ২০০৪ সালে তিনি অবসরে যান।
মন্তব্য করুন
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার কমিটি ২০২২’র সদস্যদের সম্মতিক্রমে এবং বাংলা একাডেমি নির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২২’ ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর ১৫ জনকে পুরস্কার দেওয়া হবে।
২৫ জানুয়ারি বাংলা একাডেমি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে তুলে দেবেন।
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২২ প্রাপ্তরা হলেন, কবিতায় ফারুক মাহমুদ ও তারিক সুজাত, কথাসাহিত্যে তাপস মজুমদার ও পারভেজ হোসেন, প্রবন্ধ বা গবেষণায় মাসুদুজ্জামান, অনুবাদে আলম খোরশেদ, নাটকে মিলন কান্তি দে ও ফরিদ আহমদ দুলাল, শিশুসাহিত্যে ধ্রুব এষ, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় মুহাম্মদ শামসুল হক, বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গবেষণায় সুভাষ সিংহ রায়, বিজ্ঞান বা কল্পবিজ্ঞান বা পরিবেশ বিজ্ঞানে মোকারম হোসেন, আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথা বা ভ্রমণকাহিনিতে ইকতিয়ার চৌধুরী, ফোকলোরে আবদুল খালেক ও মুহম্মদ আবদুল জলিল।
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২২ বইমেলা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৪ তম জন্মদিন আজ। হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। টিভিতে প্রচারিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। চ্যানেল আই আয়োজন করেছে হিমু মেলার।
শনিবার দিবাগত রাত ১২টার পর লেখকের
ধানমন্ডির ‘দখিন হাওয়া’ জন্মদিনের কেক ফ্ল্যাটে কাটা হয়েছে। হুমায়ূনকে স্মরণ
করে দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে কেক কেটেছেন লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। অন্যদিকে,
রাত ১২টা ১ মিনিটে নুহাশ পল্লীতে মোমবাতি জ্বালানো হয়। রবিবার ভোরে শাওন তার দুই ছেলেকে
নিয়ে যাবেন হুমায়ূনের স্মৃতিধন্য গাজীপুরের পিরুজালী গ্রামের নূহাশ পল্লীতে। সেখানে
লেখকের সমাধিতে নিবেদন করবেন ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি। এছাড়া কেকও কাটবেন।
১৯৪৮ সালের আজকের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ
করেন। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজের প্রথম সন্তান তিনি। বাবা ফয়জুর রহমান
আহমেদ ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা, আর মা ছিলেন গৃহিণী। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার
বড়। খ্যাতিমান কম্পিউটারবিজ্ঞানী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
এবং জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক জাফর ইকবাল তার ছোট ভাই। সবার ছোট ভাই আহসান হাবীব নামকরা
কার্টুনিস্ট ও রম্যলেখক।
বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ
তিনি ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পদক ‘একুশে পদক’ লাভ করেন। এছাড়া তিনি বাংলা একাডেমি
পুরস্কার (১৯৮১), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩),
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮) লাভ করেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নাগরিক কবি জন্মদিন শ্রদ্ধা স্মরণ
মন্তব্য করুন
শামসুর রাহমান আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। জীবদ্দশাতেই তিনি বাংলাদেশের প্রধান কবি হিসেবে মর্যাদালাভ করেছিলেন। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় ভাগ, তথা পঞ্চাশের দশকে তিনি আধুনিক কবি হিসেবে বাংলা কবিতায় আবির্ভূত হন। কবি শামসুর রাহমানের জন্ম ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর পুরান ঢাকার মাহুতটুলি এলাকায় নানাবাড়িতে।