নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
মানুষটির পছন্দ গতিময়তা এবং মানুষ। চিত্রকর্মের আলোকচ্ছটায় বিচ্ছুরিত হয় রমণীর অসীম শক্তির প্রভাব। বিশাল ক্যানভাস তার যুদ্ধের ময়দান আর হাতের তুলি হলো অস্ত্র। তবে এই ময়দানে কখনও যুদ্ধের দামামা বাজে না, অস্ত্রের ঝনঝনানিতে মানুষের কানে আতঙ্কের ঝঙ্কার বাজে না। বরং সেখানে শোনা যায় মানুষের গল্প, মানুষের দিনমান জীবনযাপনের গল্প।
বলছিলাম আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের কথা। আজ ১১ সেপ্টেম্বর তার ৭২তম জন্মদিন। ১৯৫০ সালের এই দিনে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
এখনও স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা তার ছবির মোটিফ, রং ও কম্পোজিশনে অতুলনীয়ভাবে উপস্থাপন করে চলেছেন। তার ছবির মুখ্য বিষয় হলো সমসাময়িক মানুষ ও সময়। তার ছবিতে আশাবাদী মনোভঙ্গির প্রকাশ পায়। নৈরাশ্যবাদ কী জিনিস, তা যেন তিনি জানেনই না। তার আঁকা ছবিগুলোর ফিগার খুবই উদ্দীপনাময় এবং । তার ব্রাশের সজীবতা এবং শক্তি এসব ফিগারে প্রাধান্য পায়। রেখার টান এবং স্থিতির জন্য তার স্কেচগুলো হয়ে ওঠে শক্তিশালী। বিশেষ করে তার চারকোণ স্কেচ খুবই দৃষ্টিনন্দন ও সজীব। তার ছবিতে জীবন্ত হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধু, মহাত্মা গান্ধী ও রবীন্দ্র্রনাথকে।
তার একটি ব্যক্তিগত পরিচয় হলো তিনি একজন অভিবাসী শিল্পী। বসবাস করছেন পাশ্চাত্যের শিল্পের নগরী প্যারিসে। কিন্তু দেশের প্রতি, নিজের শেকড়ের প্রতি তার টান দুর্নিবার। ফিরে ফিরে আসেন প্রতিবছর মায়ার টানে, ভালোবাসার টানে।
১৯৭৩ সালে ফরাসি সরকারের বৃত্তি পেয়ে প্যারিসে যান, তারপর সেখানেই থিতু হন। দেশ-বিদেশে নামকরা বহু গ্যালারিতে তার একক ও যৌথভাবে চিত্রকর্মের প্রদর্শনী হয়। তার বিভিন্ন চিত্রকর্ম বাংলাদেশ ছাড়াও বুলগেরিয়া, তাইওয়ান, সুইজারল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্সের বিভিন্ন প্রখ্যাত গ্যালারি, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত আছে।
প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, ইউনেস্কো পুরস্কার, স্বাধীনতা পুরস্কারসহ নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই শিল্পী। বিরল প্রতিভার অধিকারী এই চিত্রশিল্পী ফ্রান্সের সম্মানজনক ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে ওয়াসীম পলাশের গল্পগ্রন্থ জানালাবিহীন ঘর। বইটি প্রকাশ করেছে কাগজা প্রকাশন। ১০ টি গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে এই বইটি। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন সব্যসাচী হাজরা। মূল্য ২৩০ টাকা।
ওয়াসীম পলাশ
বইটি সম্পর্কে বলেন, "আসলে আমরা তো একটা বদ্ধ সময়ের মধ্যে আছি। মাঝে মাঝে আমাদের
দম বন্ধ হয়ে আসে, নি:শ্বাস নিতে পারি না। এখানে মূলত রাজনৈতিক-সামাজিক যে সংকট আমাদের
রয়েছে, ভূবনবিহীন মানুষের সংকট, সর্বোপরি বৈশ্বিক সংকটই আমি উঠিয়ে আনার চেষ্টা করেছি।
এই যে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন বা অগ্রগিত, এর কারণেই অনেক মানুষ প্রান্তিক হয়ে গেছে, বিপন্ন
হয়ে গেছে। পৃথিবীজুড়ে এই সংকটাপন্ন মানুষগুলো একই দুর্দশায় আবদ্ধ। সেই কথাগুলোই আমি
আমার গল্পে বলতে চেয়েছি।"
বইটির পাঠকপ্রিয়তা
নিয়ে লেখক বলেন, "আমার বইটি মেলায়ায় একটু দেরিতে এসেছে। গত সপ্তাহে এসেছে৷ বইটি।
এই এক সপ্তাহেই বইটিকে পাঠক যেভাবে গ্রহণ করেছে তাতে আমি আপ্লুত।"
লেখক ওয়াসীম পলাশ পেশায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক। বর্তমানে তিনি সেপিয়েঞ্জা ইউনিভার্সিটি অফ রোমের রিসার্চ স্কলার।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বইমেলার
শেষ সময়ে বেচা-বিক্রিতে হাসি ফুটেছে প্রকাশকদের মুখে। ২১ শে ফেব্রুয়ারি
পর্যন্ত ব্যাবসায়িক হিসেবে বইমেলা জমেনি বলে শোনা যাচ্ছিলো। তবে মেলার ২৬ তম দিনে
সার্বিক বেচা-বিক্রিতে সন্তুষ্ট প্রকাশকরা।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৩ এর শুরু থেকে ২১ এ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বইমেলায় বিকি-কিনি নিয়ে অসন্তোষ ছিলো প্রকাশকদের। বৈশ্বিক সংকটের এ সময়ে কাগজ থেকে শুরু করে প্রকাশনা খাতের সাথে যুক্ত সবকিছুর মূল্য বেড়ে যাওয়ায় গত বছরগুলোর তুলনায় এবছর বইয়ের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক শতাংশ। একইসাথে ক্রয়ক্ষমতা কমেছে জনসাধারণের। সব মিলয়ে এবছর বইমেলায় বইয়ের বাজার কিছুটা মন্দাই যাচ্ছিলো। তবে মেলা শেষের সময়ে সেই মন্দা কাটিয়ে বই কিনছেন পাঠকরা।
বইমেলার সার্বিক বিক্রি নিয়ে সন্তোষ জানিয়ে ছাপাখানার ভূত প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত রেদওয়ানুল ইসলাম বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, "আমাদের বিক্রি এবার অনেক ভালো। শুরুর দিকে কিছুটা কম হলেও গত এক সপ্তাহে বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। আমাদের একটি বই এর গত কয়েকদিন এতো চাহিদা ছিলো যে বই শেষ হয়ে যাওয়ায় পাঠককে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে।"
একই সুরে গলা মিলিয়ে বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা মোহাম্মাদ হায়দার হোসেন বলেন, "এবার বইমেলার অবস্থা গত বছরগুলোর তুলনায় ভালো। আমাদের বিক্রির যে প্রত্যাশা ছিলো তা আমরা পূরণ করতে পেরেছি। আশা করি সামনের দুইদিনও অনেক ভালো যাবে।"
শুধু প্রকাশক নন, শেষ সপ্তাহে বইমেলার এ পালটে যাওয়া চিত্রে খুশী লেখকরাও। দেরিতে আসলেও বইয়ের আশানুরূপ বিক্রি হয়েছে বলেই জানিয়েছেন লেখক মহসিন পলাশ। তিনি বলেন, "আমার বইটা বইমেলায় একটু দেরিতেই এসেছে। গত সপ্তাহে এসেছে বইটি। তবে এই এক সপ্তাহেই যে পরিমাণ সাড়া পেয়েছি তাতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করি সামনের দুইদিনও একইভাবে সাড়া পাবো।"
বইমেলার শেষ দু'দিনের বিক্রি প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে যাবে এমনই আশা করছেন প্রকাশক ও বিক্রেতারা।
মন্তব্য করুন
এবারের
অমর একুশে বইমেলায় শাহরিয়ার সোহাগের উপন্যাস ‘প্রাক্তন’ প্রকাশিত হয়েছে। এটি একটি রোম্যান্টিক উপন্যাস। এই বইটি লেখকের
প্রকাশিত ১১ তম বই।
‘প্রাক্তন’ বইটি প্রকাশ করেছে শোভা প্রকাশ, প্যাভিলিয়ন ১১। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন প্রখ্যাত শিল্পী জান্নাতুল ফেরদৌস জিনিয়া। মূল্য ২২৫ টাকা।
শাহরিয়ার সোহাগ বলেন, ‘বইটির নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এটি রোম্যান্টিক ঘরানার একটি উপন্যাস। উপন্যাসটিতে আমি বলতে চেয়েছি যে আমাদের জীবনে ভালোবাসার মানুষ থাকে। কিন্তু দেখা যায় কালের আবর্তনে সেই মানুষটির সাথে আমাদের যোগাযোগ থাকে না, একটি দূরত্ব তৈরী হয়ে যায়। অনেকগুলো বছর যদি দূরত্ব তৈরী হয়ে যাওয়া ঐ ভালোবাসার মানুষটির সাথে হঠাৎ দেখা হয় তাহলে ঐ সময়টাতে আমরা কী অনুভব করি। ঐ দিনটি আসলে আমাদের কেমন যায়। বর্তমানে থেকেও অতীতের সেই স্মৃতিচারণ, বর্তমান সময়ের ব্যস্ততার সাথে অতীতের যে মিশেল সেটিই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি এই উপন্যাসে। এই উপন্যাসে আসলে একটি দিনের গল্প বলা হয়েছে। অনেক বছর দুজন ভালোবাসার মানুষের দেখা হয়েছে, তাঁদের ঐ দিনটি আসলে কেমন যেতে পারে সেটিই বলতে চেয়েছি আমি।‘
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এটি কিন্তু আমার নিজের জীবনের গল্প নয়। আমি একজন পেশাদার লেখক। মানুষের অনুভূতি নিয়েই লিখি। সেই জায়গা থেকেই লেখা।‘
টিভি নাটক লেখা, টিভি ও মঞ্চতে অভিনয় এবং ফটোগ্রাফিতে ব্যস্ত সময় পার করেন সময়ের এই ব্যস্ততম লেখক। সামাজিক দায়বন্ধতা থেকে বেশকিছু সামাজিক সংগঠনের সাথেও যুক্ত আছেন এই লেখক
মন্তব্য করুন
‘চেতনায় ঐতিহ্য’ শ্লোগানকে ধারণ করে ‘দেশ পাবলিকেশন্স’ পথ চলছে একযুগ ধরে। দেশ প্রতিবছর নির্বাচিত বই প্রকাশ করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় অমর একুশে বইমেলায় (২০২৩) ‘দেশ পাবলিকেশন্স’ প্রকাশ করেছে ৫৭টি নতুন বই। প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে বিক্রির শীর্ষে থাকা ‘দেশের সেরা ১০ বই’ শিরোনামে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে দেশ পাবলিকেশন্স...
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৩ এর শুরু থেকে ২১ এ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বইমেলায় বিকি-কিনি নিয়ে অসন্তোষ ছিলো প্রকাশকদের। বৈশ্বিক সংকটের এ সময়ে কাগজ থেকে শুরু করে প্রকাশনা খাতের সাথে যুক্ত সবকিছুর মূল্য বেড়ে যাওয়ায় গত বছরগুলোর তুলনায় এবছর বইয়ের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক শতাংশ। একইসাথে ক্রয়ক্ষমতা কমেছে জনসাধারণের। সব মিলয়ে এবছর বইমেলায় বইয়ের বাজার কিছুটা মন্দাই যাচ্ছিলো। তবে মেলা শেষের সময়ে সেই মন্দা কাটিয়ে বই কিনছেন পাঠকরা।