ইনসাইড বাংলাদেশ

চতুর্থ ধাপের ইউপি: রংপুরে নৌকা ৮, স্বতন্ত্র ১১

প্রকাশ: ০৯:৪৭ এএম, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১


Thumbnail চতুর্থ ধাপের ইউপি: রংপুরে নৌকা ৮, স্বতন্ত্র ১১

রংপুরের দুই উপজেলার ১৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৮টিতে জয় লাভ করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী। বাকীগুলোর মধ্যে ৩টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী, ৪টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী, ৩টিতে জাতীয় পার্টি এবং একটিতে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছে। 

বদরগঞ্জ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ৪টি, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ২টিতে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪টিতে নির্বাচিত হয়েছেন। 

নির্বাচিতরা হলেন, গোপিনাথপুরে ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহমুদুল হাসান (আনারস), রাধানগর ইউনিয়নে আবু বক্কর সিদ্দিক (চশমা), রামনাথপুরে শওকত আলী (মোটরসাইকেল), কালুপাড়ায় শহিদুল ইসলাম মানিক (আনারস), গোপালপুরে শামছুল হক (ঘোড়া), কুতুবপুর ইউনিয়নে মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী (ঘোড়া), বিষ্ণুপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফিন্দিউল হাসান চৌধুরী (নৌকা), মধুপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. নুর আলম (নৌকা), দামোদরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজিজুল ইসলাম সরকার (নৌকা), লোহানীপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডলু শাহ (নৌকা)। 
অপরদিকে, গঙ্গাচড়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে আওয়ামী লীগ, ৩টিতে জাতীয় পার্টি ও একটিতে বিএনপি এবং একটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয় লাভ করেছে। 

এরা হলেন, গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাইমিন ইসলাম (নৌকা), বড়বিল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শহীদ চৌধুরী (নৌকা), গঙ্গাচড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম লেবু (নৌকা), গজঘন্টা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী লিয়াকত আলী (নৌকা), মর্ণেয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জিল্লুর রহমান (মোটরসাইকেল), লহ্মীটারী ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির আব্দুল্লাহ্ আল হাদী (লাঙ্গল), নোহালী ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আশরাফ আলী (লাঙ্গল), কোলকোন্দ ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুর রউফ (লাঙ্গল) এবং আলমবিদিতর ইউনিয়নের বিএনপি’র স্বতন্ত্র প্রার্থী মোকাররম হোসেন সুজন (চশমা)। 

বেসরকারি ফলাফলে এসব তথ্য জানা যায়। 

উল্লেখ্য, এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ১৯ জন, বিএনপি’র থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪ জন, জামায়াত থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী একজন, জাতীয় পার্টি থেকে ৮ জন, জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী ২ জন, জাকের পার্টি থেকে ২ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে ১১ জন, জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে একজন নির্বাচনে অংশ নেয়।

ইউপি নির্বাচন   চতুর্থ ধাপ   রংপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফিটনেসবিহীন মোটরযান চললেই ব্যবস্থা: বিআরটিএ

প্রকাশ: ১০:৩৪ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারি অথবা মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান এবং রং চটা, জরাজীর্ণ, লক্কর-ঝক্কর মোটরযান চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই এসব চালানো বন্ধ করা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)

রোববার (১৯ মে) বিআরটিএ দেওয়ার এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যাটারি/মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি-হুইলার ঢাকা মহানগরীতে চলাচলের কারণে সড়ক নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ব্যাটারি/মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি-হুইলার এবং ফিটনেসের অনুপযোগী, রংচটা, জরাজীর্ণ লক্কর-ঝক্কর মোটরযান চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

অবস্থায়, ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারি/মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি- হুইলার এবং ফিটনেস এর অনুপযোগী, রং চটা, জরাজীর্ণ লক্কর-ঝক্কর মোটরযান চলাচল বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। অন্যথায়, বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


ফিটনেসবিহীন   মোটরযান   বিআরটিএ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পরিবেশ রক্ষায় জবি শিক্ষার্থী শাকিবের পদযাত্রা

প্রকাশ: ১০:২০ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

পরিবেশ রক্ষায় টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত হাইকিং পদযাত্রা শুরু করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছামিউজ্জোহা শাকিব। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী।

 

শনিবার (১৮মে) সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে অভিযান শুরু করে শাকিব। শাকিব জানান, পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশের দীর্ঘতম রুট টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া হাইকিং পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার হাইকিং করবেন। তার এবারের স্লোগান " হাইকিং ফর সেভিং বাংলাদেশ। যার শিরোনাম নির্ধারণ করা হয়েছে "Come Forward to Protecting Nature".

 

শাকিবের এবারের লক্ষ্য দেশের জলবায়ু পরিবর্তনে বৃক্ষ নিধনের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সকল মানুষের মধ্যে তুলে ধরা। হাইকিং সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গ্রামে গ্রামে গিয়ে তরুণ শিক্ষার্থী যুবসমাজের মাঝে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ তুলে ধরা। সেই সাথে গাছ লাগানোর উপকারিতা ও গাছ কাটার কুফল সম্পর্কে অবগত করবেন তিনি। 

 

হাইকিং শুরুর পূর্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন শকিব। এসময় তিনি হাইকিং চলাকালীন সময়ে নিরাপত্তা সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা করেন।

 

শাকিবের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, পরিবেশ রক্ষায় গাছ লাগানো ও মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির এই কাজ খুবই প্রশংসনীয়। প্রত্যেকের নিজ নিজ জায়গা থেকে এধরনের কাজে এগিয়ে আসা উচিত। 

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২২ সালে পরিবেশ রক্ষায় হাইকিং ফোর্স বাংলাদেশের আয়োজনে মুজিবনগরের ভারত সংলগ্ন সীমান্ত থেকে ১১ দিনের একটি অভিযান করেন। মুজিবনগর থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ছিলো অভিযানটি। 


পরিবেশ রক্ষা   হাইকিং   পদযাত্রা   জবি শিক্ষার্থী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেরপুরে গরু চোরচক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১০:০৯ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় দুইটি গাভী ও একটি বাঁছুর গরু উদ্ধার করা হয়েছে।

 

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং-এ শেরপুরের পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

গ্রেপ্তাররা হলেন, কসবা কাঠগড়ের ট্রাক ড্রাইভার মোঃ আঃ জলিল ওরফে ফকির হোসেন (৩৪), টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুরের মো: মহির উদ্দিন (৫০), মোঃ আজিজুল ইসলাম (২৩), মোঃ সাহিজুল ইসলাম (৩০), মোঃ মিনহাজ (৩৫) ।

 

এবিষয়ে পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন জানান, ১২মে রাত আড়াইটার দিকে ঝিনাইগাতীর জড়াকুরার মোঃ শাহজাহান মিয়ার গোয়াল ঘর থেকে পাঁচটি গরু চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। গরু গুলোর আনুমানিক দাম ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। পরে শাহজাহান গত ১৪ মে এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর থেকে পুলিশ এ বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং সোর্সের মাধ্যমে চোর সনাক্তের চেষ্টা করে পুলিশ।

 

এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত আসামি ট্রাক ড্রাইভার মোঃ আঃ জলিল ওরফে ফকির হোসেনকে শুক্রবার (১৭ মে) শেরপুর শহরের কসবা কাঠগড় থেকে গ্রেপ্তার করে। আসামী আঃ জলিলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এ ঘটনার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত চোরদের নাম প্রকাশ করে।

তার দেয়া তথ্যমতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অভিযান পরিচালনা করে বাকি পাচঁ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে দুইটি গাভী ও একটি বাঁছুর গরু উদ্ধার করে। ঘটনার সাথে জড়িত আরও আসামি পলাতক আছে। তাদেরকে গ্রেপ্তাতারে জেলা পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।


গরু চোর চক্র   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয়ী বাবর আলী

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। তিনি পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন।  

রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি। বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিযানের প্রধান সমন্বয়ক ফরহান জামান।

হিমালয়ের শীতিধার চূড়া জয়ের জন্য বাবর আলী রওনা দিয়েছিলেন ১ এপ্রিল। চূড়াটি পর্বতের ১৫ হাজার ৫০০ ফুট ওপরে। সকাল সাড়ে ৮টায় সেখানে তিনি বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান।

তবে অভিযান কিন্তু এখনো শেষ নয়, বাবরের আসল লক্ষ্য শুধু এভারেস্ট নয়, সঙ্গে লাগোয়া পৃথিবীর চতুর্থ শীর্ষ পর্বত লোৎসেও। রোববার ক্যাম্প-৪ এ নেমে মাঝরাতে আবারো শুরু করবেন দ্বিতীয় লক্ষ্যের পথে যাত্রা। সব অনুকূলে থাকলে ভোরে পৌঁছে যাবেন এর চূড়ায়। 

প্রসঙ্গত, এ লোৎসেতে ইতোপূর্বে কোনো বাংলাদেশি সামিট করেননি এবং কোনো বাংলাদেশি একই অভিযানে দুইটি আট হাজারী শৃঙ্গ চড়েননি। তাই লক্ষ্য পূরণে হলে বাবার আলী করবেন এ বিপজ্জনক খেলায় বাংলাদেশের ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।

চলতি বছরের ১ এপ্রিল নেপালের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন বাবর আলী। পর্বতারোহণের প্রয়োজনীয় অনুমতি ও নানা সরঞ্জাম কেনার কাজ শেষ করে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে লুকলার উদ্দেশ্যে রওনা তিনি। সপ্তাহ খানেকের ট্রেকিং শেষ পৌঁছান এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে। মূল অভিযান শুরু হয় এখান থেকেই। পর্বতের চূড়ায় উঠতে সময় লাগে দুই মাসের মতো।

যাত্রা শুরু আগে বাবর আলী জানান, বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে জয় করা অনেকের স্বপ্ন। প্রতিবছর হাজারো পর্বতারোহী এভারেস্টের পথে হাঁটেন। কিন্তু এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার পর একই সঙ্গে আরেক পর্বতশৃঙ্গ লোৎসে ওঠার চেষ্টা বাংলাদেশ থেকে আগে হয়নি। আমি সেই চ্যালেঞ্জটাই নিলাম। অর্থাৎ একই অভিযানে মাউন্ট এভারেস্ট ও চতুর্থ উচ্চতম পর্বত মাউন্ট লোৎসের চূড়ায় উঠব।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন ৩৩ বছর বয়সী বাবর আলী। এরপর শুরু করেছিলেন চিকিৎসা পেশা। তবে থিতু হননি। চাকরি ছেড়ে দেশ-বিদেশ ঘোরার কর্মযজ্ঞ শুরু করেন। সাইকেলিংয়ের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত সারগো রি (৪ হাজার ৯৮৪ মিটার), সুরিয়া পিক (৫ হাজার ১৪৫ মি.), মাউন্ট ইয়ানাম (৬ হাজার ১১৬ মি.), মাউন্ট ফাবরাং (৬ হাজার ১৭২ মি.), মাউন্ট চাউ চাউ কাং নিলডা (৬ হাজার ৩০৩ মি.), মাউন্ট শিবা (৬ হাজার ১৪২ মি.), মাউন্ট রামজাক (৬ হাজার ৩১৮ মি.), মাউন্ট আমা দাবলাম (৬ হাজার ৮১২ মি.) ও চুলু ইস্ট (৬ হাজার ০৫৯ মি.) পর্বতের চূড়ায় উঠেছেন এই তরুণ।


বাংলাদেশ   এভারেস্ট জয়ী   বাবর আলী   মাউন্ট এভারেস্ট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্কুল ছুটি দিয়ে দাওয়াতে গেলেন প্রধান শিক্ষক!

প্রকাশ: ০৯:৪৭ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail চাটমোহর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। শনিবার দুপুরে তোলা ছবি

সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে স্কুল ছুটি দিয়ে কর্মচারীর বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাবনার চাটমোহর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেএম আব্দুর রবের বিরুদ্ধে।

 

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই স্কুলে কর্মরত (নৈশ প্রহরী) উপজেলার গুনাইগাছা গ্রামের বাসিন্দা আতাউর রহমানের বাড়িতে স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে সকল কর্মচারীদের নিয়ে তিনি দাওয়াত খেতে যান প্রধান শিক্ষক।

 

এভাবে স্কুল ছুটি দিয়ে দাওয়াত খেতে যাওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন শিক্ষার্থী, অভিভাবক থেকে শুরু করে এলাকার সচেতন মানুষ।

 

দুপুর ২টার দিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের প্রধান গেট বন্ধ। ভেতরে নতুন ভবন নির্মাণ কাজের জন্য কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক অবস্থান করছেন। যে সময় শিক্ষার্থীদের ক্লাস হওয়ার কথা সেই সময় স্কুলে নেই কোনো শিক্ষার্থী। প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে শুরু করে প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ ছিল তালাবদ্ধ। চলতি পথে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সকালের কয়েকটা ক্লাস হওয়ার পরেই দুপুর ১টার আগে স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়।

 

জানা গেছে, চাটমোহর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী আতাউর রহমান এবার স্ব-স্ত্রীক হজে যাবেন। এ জন্য শনিবার নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য সকালে কয়েকটা ক্লাস নেওয়ার পরেই তড়িঘড়ি করে দাওয়াতের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক কে এম আব্দুর রবের নির্দেশে স্কুল ছুটি দেওয়া হয়। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক নিজেই সকল শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়ে দাওয়াত খেতে যান। ক্লাস বাদ দিয়ে প্রধান শিক্ষকের এমন স্বেচ্ছাচারিতা এবং ছুটি দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা।

 

কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, এমনিতেই নানা কারণে বছরের বেশিরভাগ সময় স্কুল ছুটি থাকে। বাচ্চাদের পড়াশোনা ঠিক মতো হয় না। তারপর এভাবে ছুটি দিয়ে দাওয়াত খেতে যাওয়ায় বেশ কয়েকটা ক্লাস করতে পারলো না শিক্ষার্থীরা। আর হুট করে ছুটি দেওয়ায় অনেক অভিভাবকই তাদের সন্তানদের নিতে আসতে পারেননি। এতে বিপাকে পড়ে বেশ কিছু শিক্ষার্থী। এটা কোনো প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাজ হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তারা।

 

জানতে চাইলে চাটমোহর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে এম আব্দুর রব বলেন, 'আমার এক স্টাফ হজে যাবে, সে জন্য দাওয়াত খেতে এসেছি। আসলে প্রতিষ্ঠানের কোনো স্টাফের দাওয়াত খেতে এভাবেই যাওয়া হয়। বরাবরই তাই হয়ে আসছে।'

 

স্কুল বন্ধ করে এভাবে যাওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আসলে মেয়েরা তো দুষ্টু। স্কুল চালু রাখা ঠিক হবে না। তাই ছুটি দিয়ে দাওয়াত খেতে আসা হয়েছে।'

 

এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মগরেব আলী বলেন, 'স্কুল ছুটি দিয়ে দাওয়াত খেতে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমি প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেদুয়ানুল হালীম বলেন, 'বিষয়টি আমি জানি না। এখানে আমার কিছু বলার নেই। প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে আপনি কথা বলেন।'


স্কুল বন্ধ   দাওয়াত   প্রধান শিক্ষক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন