ইনসাইড গ্রাউন্ড

অ্যাশেজে খাজার শতকে অস্ট্রেলিয়ার বড় সংগ্রহ

প্রকাশ: ০১:৩২ পিএম, ০৬ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail অ্যাশেজে খাজার শতকে অস্ট্রেলিয়ার বড় সংগ্রহ

সিডনিতে অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিনের প্রায় অর্ধেকটাই ভেস্তে গেছে বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় দিনও বেশ কয়েকবার বৃষ্টি হানা দিলেও বেশিক্ষণ থামিয়ে রাখতে পারেনি খেলা। ঠিকই মাঠে গড়িয়েছে। তাতেই অস্ট্রেলিয়াকে লড়াইয়ের রাস্তায় ফিরিয়ে এনেছেন স্টিভেন স্মিথ এবং উসমান খাজা।

স্মিথ এবং খাজা মিলে গড়েছেন ১১৫ রানের জুটি। এই জুটির ওপর ভর করে অস্ট্রেলিয়াও বড় স্কোরের দিকে এগিয়ে গেছে। 

দ্বিতীয় দিনে অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে ৪১৬ রানের স্বস্তির স্কোর করে ইনিংস ঘোষণা করে। স্টিভেন স্মিথ ৬৭ রান করে আউট হয়ে যান, উসমান খাজা করেন ১৩৭ রান। ইংল্যান্ডের পক্ষে ৫টি উইকেট নেন ব্রড।

দ্বিতীয় দিন শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১৩ রান। 


অ্যাশেজ   উসমান খাজা   অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

দিনশেষে রিয়াদেই ভরসা খুঁজছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯:২৬ এএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

নানামুখী আলোচনা-সমালোচনার মাঝেও বাংলাদেশ দলকে দিনশেষে নির্ভর করতে হচ্ছে ৩৮ বছর বয়সী মাহমুদউল্লাহর ওপরই। 

এছাড়াও সমর্থকদের যে অন্যদিকে তাকানোর সুযোগ নেই  তা প্রকাশ পাচ্ছে মাহমুদউল্লাহর পারফরম্যান্সে। কারণ শেষটা তিনি রাঙাতে পারলেই, ম্যাচ শেষ করে আসতে পারলেই ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটছে সমর্থকদের।

অপরদিকে দীর্ঘ ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায়ও হাসিমুখে নিজের সবটা দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। দায়টা নিচ্ছেন নিজের কাঁধেই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে আউট হওয়ার পর মাহমুদউল্লাহর মাথায় হাত দেওয়া বলছিলো সে কথাই। 

অবশ্য পরের ম্যাচে ঠিকই ফের দায়িত্ব নিয়েছেন। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সাকিবের সঙ্গে নেমে ২৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে রেখেছেন ভালো অবস্থানে।

চলতি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে ভালো করতে পারলেও পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। যা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যেন ম্যাচ শেষ করে আসার দায়িত্বটা কেবলই মাহমুদউল্লাহর।

এই বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহই বাংলাদেশের অন্যতম কাণ্ডারি। যার ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের সাফল্য। অথচ এই মাহমুদউল্লাহকে সবশেষ বিশ্বকাপে বিবেচনা করেনি দল। 

সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে এই বিশ্বকাপে তিনিই এখন বাংলাদেশর আস্থার নাম। 

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার ১২৫ রানের জবাবে মাঝপথে হোঁচট খায় বাংলাদেশ। ৪ উইকেটে ৯১ রানে থাকা বাংলাদেশ, ১১৩ রানেই হারিয়ে বসে ৮ উইকেট। তীরে এসে ডুবতে থাকা বাংলাদেশকে টেনে তুলেন মাহমুদউল্লাহ। ১৩ বলে অপরাজিত ১৬ রানে শেষমেষ জয় পায় বাংলাদেশ। 

 শ্রীলংকার বিপক্ষে হারলে সুপার এইটের লক্ষ্যযাত্রায় শুরুতেই ধাক্কা খেতো বাংলাদেশ। টাইগারদের সেই বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে রেহাই দেন রিয়াদ। শুধু তাই নয়, চলতি বিশ্বকাপে প্রয়োজনের সময় বল হাতেও দুর্দান্ত রিয়াদ। শ্রীলংকার বিপক্ষে ১ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ৪ রান দেন তিনি। 

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাকিব আল হাসান বল করতে পারেন স্রেফ এক ওভার। আর মাহমুদউল্লাহ বনে যান নিয়মিত স্পিনার। ৩ ওভার বল করে ১৭ রান দেন রিয়াদ। উইকেটবিহীন থাকলেও বেশ আঁটোসাঁট বোলিংই করেন তিনি। 

 নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে রিয়াদ খেলেছেন দুটি করে চার এবং ছক্কায় ২১ বলে ২৫ রানের ইনিংস। বল হাতে মাত্র ১ ওভার বল করে তিনি সাজঘরে ফেরার ভয়ংকর হয়ে উঠা বিক্রমজিৎ সিংকে। 

বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে ডানহাতি স্পিনার আনতে চেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনয়কের সে পরিকল্পনা সফল করেন রিয়াদ। 

আইসিসি আসরে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ খেলেছে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত। এবার কি নতুন উচ্চতায় যেতে পারবে বাংলাদেশ? যেখানে বড় অবদান রাখতে হবে ফর্মের তুঙ্গে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেই।

তবে হয়তো নিজের শেষ বিশ্বকাপটাই খেলছেন মাহমুদউল্লাহ। যদি সত্যিই এমন হয়, আচমকা বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে যদি বিদায় বলে দেন মাহমুদউল্লাহ! 

তবে কি হবে? শেষদিকে কার ওপর ভরসা করে টিভির পর্দায় চোখ রাখবে সমর্থকরা? শূন্য জায়গা পূরণ করতে হয়তো কেউ আসবে, তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে রিয়াদের নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে এটা নিশ্চিত।


রিয়াদ   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে স্প্যানিশদের শুভ সূচনা

প্রকাশ: ১২:৩৭ এএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

উয়েফা ইউরোর গ্রুপ বি’এর ম্যাচে নিজেদের প্রথম লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছে স্পেন ও ক্রোয়েশিয়া। এ ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ইউরোর এবারের আসরে শুভ সূচনা করেছে তিন বারের ইউরো চ্যাম্পিয়ানরা। 

শনিবার (১৫ জুন) জার্মানির অলিম্পিয়াস্টেডিয়ন বার্লিনে মুখোমুখি হয়েছে এ দুই দল।  

এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য দেখাতে থাকে দুই দলই। শুরু থেকেই চলে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ। তবে, কাঙ্খিত ফলের দেখা পেতে অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ২৯ মিনিট পর্যন্ত। স্পেনের হয়ে প্রথম গোলটি করেন আলভারো মোরাতা। এর ঠিক তিন মিনিট পর পেড্রির বাড়ানো বল থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফাবিয়ান রুইজ। 

প্রথমার্ধের শেষ দিকে স্পেনের ওয়ান্ডার কিড খ্যাত তরুণ তুর্কি লামিল ইয়ামালের অসাধারণ এক ক্রস থেকে গোল দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডার ডেনি কার্ভাহাল। 

এরপর বিরতির পর ফিরে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে ক্রোয়েশিয়া। একের পর এক চালাতে থাকে আক্রমণ। কিন্তু স্প্যানিশ গোলরক্ষক সিমোনের দৃঢ়তায় গোলের দেখা আর পায়নি ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের ৭৮ তম মিনিটে রদ্রির করা ভুলে স্পট কিক থেকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেনি ব্রুনো পেটকোভিচ। সিমোনের হাত থেকে ফিরে আসা বলটি পরে জালে জড়ালেও অফসাইডের ফাঁদে তা বাতিল করে রেফারি। 

ম্যাচের বাকি সময় ক্রোয়েশিয়া মরিয়া চেষ্টা করলেও ম্যাচে ফিরতে ব্যর্থ হয়। ফলে ৩-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্প্যানিশরা।


ইউরো   স্পেন   স্প্যানিশ   ক্রোয়েশিয়া   লুকা মদ্রিচ   লামিল ইয়ামিল   শুভ সূচনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

কবে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশের টপ অর্ডার?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

চলমান টি-২০ বিশ্বকাপে বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক এই আসর শুরুর পূর্বে বাজে পারফরম্যান্স আর একের পর এক সিরিজ হারের কারণে সমালোচনা যেভাবে জেঁকে বসেছিল দলটিকে নিয়ে, মনে হয়েছিল বিশ্বকাপে সবার আগেই বাদ পড়ে যাবে হৃদয়-সাকিবরা। কিন্তু বিশ্ব ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্টে নিজেদের শুরুর ম্যাচেই চমক দেখিয়েছিল টাইগাররা। লঙ্কানদের নাস্তানাবুদ করে বিশ্বকাপে শুভসূচনা করেছিল বাংলাদেশ।

তবে পরবর্তীতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুর্ভাগ্যবশত হেরে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেলেও তৃতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দাপুটে জয়ের মধ্য দিয়ে সুপার এইটের দৌঁড়ে বেশ ভালোভাবেই টিকে রয়েছে রিশাদ-মুস্তাফিজরা।

কিন্তু এমন স্বস্তিদায়ক অবস্থানে থেকেও যেন স্বস্তি নেই টাইগার শিবিরে। আর তার কারণ হচ্ছে টপ অর্ডারের ধারাবাহিক ব্যর্থতা। লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সৌম্য সরকার- এই তিনজনই একটা লম্বা সময় ধরে অফ ফর্মে। যদিও বিশ্বকাপ শুরুর ম্যাচে রানের দেখা পেয়েছেন লিটন। তবুও সমালোচনা যেন পিছু ছাড়ছে না এই তিন টপ অর্ডার ব্যাটারদের।

এমন পরিস্থিতিতে ক্রীড়াঙ্গনে একটা শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর তা হচ্ছে চলমান বিশ্বকাপ শেষে লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার আর নাজমুল হোসেন শান্ত  দলের বোঝা না হয়ে গেলেই হয়। যদিও লিটন-সৌম্য-শান্তর হাতে এখনও কিছুটা সময় বাকি আছে নিজেদের শুধরে নেয়ার, ফর্মে ফিরে টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং করার।

নেদারল্যান্ডস ম্যাচের আগে টাইগার অধিনায়ক নাজমুল শান্ত বলেছেন, ‘ক্যাপ্টেন কে যে প্রতিদিনই ভালো খেলতে হবে, এটা কথা না।’ শান্তর এই কথার সূত্র ধরে বলতে গেলে, কোন ক্রিকেটারেরই টানা ফর্ম থাকে না। কোন ব্যাটারই প্রতিদিন রান করে না। কিন্তু গড়ে ১০ ম্যাচ খেলে অবশ্যই একজন বিশ্বমানের ব্যাটার অন্তত ৫ ম্যাচে ভালো খেলবে। এটাই তো প্রত্যাশা থাকে সকলের। আর সেটাই তো হওয়ার কথা, তাই নয় কি?

নাজমুল হোসেন শান্ত বাংলাদেশ দলের তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক। অপরদিকে লিটন দাস এবং সৌম্য সরকার প্রতিভাবাবন ও স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান। ব্যাস! এই ট্যাগ নিয়েই খেলে যাচ্ছেন টাইগারদের এই তিন টপ অর্ডার। এছাড়া একটা লম্বা সময় ধরে পারফরম্যান্স বা অর্জন বলতে তেমন কিছুই নেই এই তিন ব্যাটারের।

গত বছর ব্যাটিংয়ে দারুণ ঝলক দেখিয়েছিলেন লিটন; কিংবা অধিনায়ক শান্ত খেলাটা খুব ভালো বোঝেন, এই তো ক’দিন আগেও রানে ছিলেন। এমন যুক্তির প্রসঙ্গটি যেসব ভক্ত-সমর্থকরা কিছুদিন পূর্বেও তর্কে জড়াতেন তারাও এখন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। কারণ বর্তমানে যেখানে একটি দলের হারা-জেতা নির্ভর করে প্রতিটা বলের স্কোরের উপর ডিপেন্ড করে, সেখানে ছয় মাস কিংবা এক বছর আগের সাফল্য গাঁথার মূল্য খুব কম। বর্তমানে যে ম্যাচের পারফরম্যান্স সেই ম্যাচেই ডেলিভার করতে হবে আপনাকে।

শান্ত-লিটন কি সেটা করতে পারছেন? উত্তর হবে না! কেন পারছে না সেটাও কি তারা জানেন? হয়তো এই প্রশ্নেরও উত্তর হবে, না! কারণটা খুবই সোজা। আমেরিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোর দিকে তাকালে বিষয়টা আরও বেশি পরিষ্কার হওয়া যাবে।

বৈশ্বিক এই আসরে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ সুপার এইটে উঠার সমীকরণ সহজের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। ম্যাচটি যারা দেখেছেন তারা খুব সহজেই অনুধাবন করতে পারবেন, লিটন-শান্ত এই দুইজনের আউট হওয়ার ধরনটা কেমন ছিল। সমর্থকদের অনেকেই এই সিনিয়র ক্রিকেটারের আউট হওয়ার ধরন নিয়ে তুলেছেন প্রশ্ন। 

বিপদে যখন দলের দায়িত্ব নিতে হয় অধিনায়ককে, সেখানে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল শান্ত এমনভাবে আউট হয়ে গেলেন- যেন মনে হতেই পারে তিনি বিপক্ষ দলের ফিল্ডারদেরকে ক্যাচ প্রাকটিস করাচ্ছেন। এমন কান্ড জ্ঞানহীন আউট হওয়ায় ক্যাপ্টেন দলের দায়িত্ব নেয়ার চেয়ে আরও বেশি বিপাকে ফেলছেন! বিশ্বকাপের তিন ম্যাচে শান্ত’র রান মোটে ২২। বল খেলেছেন ৩৯টি। আর এই সংখ্যার দিকে তাকালে যে কেউই প্রশ্ন তুলতে বাধ্য হবেন যে, আচ্ছা তিনি কি টেস্ট খেলতে গেছেন?

অপরদিকে লিটন ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বাংলাদেশের প্রতিভাবান আর স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে এসেছেন। কিন্তু চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার পারফরম্যান্স জাস্ট একবার দেখলে আপনি অবাক না হয়ে পারবেন না। চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সবগুলো ম্যাচেই মাঠে নেমেছেন তিনি। কিন্তু পারফরম্যান্স কি দেখেছেন? যদি দেখে থাকেন তাহলে তো জানারই কথা! আর যদি না দেখে থাকেন, তাহলে দেখে নেওয়া যাক- 

শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডস- এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে এই তিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। সেখানে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের মূল কান্ডারি লিটনের তিন ইনিংসে সর্ব সাকুল্যে রান এসেছে মাত্র ৪৬। তিনটি ম্যাচের একটিতেও প্রতিভাবান এই ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক ছু’তে পারেননি ১০০ তে। এই ৪৬ রান করতে বল খেলেছেন ৫৩ টি।

আমেরিকার মন্থর উইকেটে টাইগারদের যেখানে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল টপ অর্ডারের ভূমিকার, সেখানে টপ অর্ডার জাস্ট যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। এরপর আমেরিকা ঘুরে বাংলাদেশ যখন বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচ খেলে ফেলল, ওয়স্ট ইন্ডিজে সেখানেও এই প্রতিভাবানের বিচিত্র কিছুই দেখা যায়নি। বরং একই চিত্র।

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তৃতীয় ওভারে ১৮ রান আসার পর সুযোগ ছিল একটু সময় নিয়ে উইকেটটা বোঝার, একটু নির্ভার হয়ে জুটি গড়ে তোলার। কিন্তু লিটন সেটা পারেননি। নাকি বোঝার চেষ্টাটাই করেননি, কি জানি সেটাও হতে পারে?

তবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে লিটন কিছু করে দেখাতে না পারলেও শেষ বলে লিটনের স্টাম্পিংটা, দর্শকরা মনে রাখবেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়েও বড় ভূমিকা ছিল লিটনের দুর্দান্ত কিপিংয়ের। এদিন যে স্টাম্পিং করেছেন, এককথায় তা ওয়ার্ল্ড ক্লাস।

তবে এত কিছুর পরও শান্ত কিংবা লিটনের উপর থেকে সমালোচনার তীর যেন সরছে না। ভক্ত-সমর্থকসহ সকলেরই প্রশ্ন, আসলে তাদের কিসের এত তাড়া থাকে? এত প্রতিভা নিয়ে কিইবা লাভ তাহলে। লিটন-শান্ত নিজেরাও কি জানেন তারা প্রতিভাবান? নাকি শুধু সাবেক ক্রিকেটার ও দর্শকদের মুখে মুখেই? আর কবে পারফরম্যান্স করবেন তারা?

টি-২০ বিশ্বকাপ   বাংলাদেশ   টাইগার   নাজমুল হোসেন শান্ত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইসিসির বিশেষ একাদশে টাইগারদের বাজিমাত

প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ১৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

চলমান টি-২০ বিশ্বকাপে বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলে দুটিতে জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। আর এতে করে ইতোমধ্যেই সুপার এইটে এক পা দিয়ে রেখেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

বিশ্বকাপ চলতে চলতেই আইসিসি তাদের ফেসবুক পেজে আজ চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেট-৩ (১০ ম্যাচ নিয়ে এক সেট) এর সেরা ফ্যান্টাসি একাদশ ঘোষণা করেছে। যেখানে বাংলাদেশ থেকে জায়গা পেয়েছেন তাওহীদ হৃদয়, তানজিম হাসান সাকিব ও তাসকিন আহমেদ। এক দেশ থেকে সর্বোচ্চ ৩ জন থাকতে পারেন একাদশে, তাই সবচেয়ে বেশি জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশিরাই।

এমনকি অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন তানজিম সাকিব। এই একাদশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৪২ পয়েন্ট বাংলাদেশের এই পেসারের। তাসকিন ও হৃদয়ের পয়েন্ট যথাক্রমে ১৩১ ও ৬৪।

এছাড়া আইসিসির ফ্যান্টাসি একাদশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুজন ওয়েস্ট ইন্ডিজের। শারফেন রাদারফোর্ড ও আলজারি জোসেফ। এদিকে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া এই ছয় দল থেকে একজন করে ক্রিকেটার আছেন।

আইসিসির ফ্যান্টাসি একাদশ-

মোহাম্মদ রিজওয়ান, অ্যারন জোনস, তাওহিদ হৃদয়, শারেফানে রাদারফোর্ড, কেশব মহারাজ, তানজিম সাকিব (অধিনায়ক), তাসকিন আহমেদ, অ্যাডাম জাম্পা, আদিল রশিদ, আলজারি জোসেফ, আর্শদীপ সিং।


আইসিসি   ক্রিকেট   টি-২০ বিশ্বকাপ   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হাঙ্গেরিকে উড়িয়ে ইউরো মিশন শুরু সুইজারল্যান্ডের

প্রকাশ: ০৯:০৭ পিএম, ১৫ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মাঠে গড়িয়েছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসর। যেখানে আজ মুখোমুখি হয়েছিল হাঙ্গেরি ও সুইজারল্যান্ড। ম্যাচটিতে হাঙ্গেরিকে হারিয়ে নিজেদের ইউরো মিশন শুরু করেছে সুইজারল্যান্ড। ম্যাচটিতে ৩-১ ব্যবধানে জয়ে পেয়েছে সুইসরা।

শনিবার জার্মানির কোলনের রেইন এনার্জি স্টেডিয়ামে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল সুইজারল্যান্ড ও হাঙ্গেরি। সুইসদের হয়ে একটি করে গোল করেছেন কয়াদয়ো দুয়াহ, মিশেল এইবিশার ও ব্রেল এমবোলো। আর হাঙ্গেরির হয়ে একটি গোল করেছেন বারনাবাসা ভারগা।

বল দখল ও আক্রমণে ম্যাচের শুরু থেকেই হাঙ্গেরির ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে সুইডেন। এদিন ৫১ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলপোস্টে ১৫টি শট নেয় সুইসরা। যার মধ্যে ৭টি লক্ষ্যে ছিল। অপরদিকে ৪৯ শতাংশ বল নিজেদের কাছে রেখে ৬টি শট নেয় হাঙ্গেরি, যার দুটি ছিল লক্ষ্যে।

ম্যাচের ১২তম মিনিটে কয়াদয়ো দুয়াহ গোলে লিড নেয় সুইডেন। মিশেল এইবিশারের পাস থেকে হাঙ্গেরির জাল কাঁপিয়ে দেন এই ফরোয়ার্ড। তবে গোলের নিশ্চয়তা দিতে ভিএআরের সহায়তা নেন ফিল্ড রেফারি। সেখানে কোনো জটিলতা না পাওয়ায় গোলের বাঁশি বাজান রেফারি।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দলের ব্যবধান দ্বিগুন করেন এইবিশার। ডি বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে গোল করেন এই ফুটবলার। অন্যদিকে একটি সুযোগ পেয়েও সমতা ফেরাতে ব্যর্থ হয় হাঙ্গেরি। এতে ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মধ্য ইউরোপের দেশটি।

বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচে সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে ওঠে হাঙ্গেরি। এতে ম্যাচের ৬৬তম মিনিটে ব্যবধান কমান ভারগা। ডমিনিক জোবোস্লাইয়ের লম্বা পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সুইসদের জালে বল জড়ান তিনি। এরপর অবশ্য আর কোনো গোল পায়নি তারা।

ম্যাচের যোগ করা সময়ে (৯০+৩) সুইসদের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন ব্রেল। তার গোলেই দুর্দান্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মুরাত ইয়াকিনের শিষ্যরা।


কোপা আমেরিকা   ইউরো কাপ   ফুটবল   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন