ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনের এক বছর

প্রকাশ: ০৩:১৯ পিএম, ১৯ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনের এক বছর

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুগের অবসান ঘটিয়ে দেশটির ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসেন জো বাইডেন। গত বছরের ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন জো বাইডেন। ক্ষমতা গ্রহণ করেই মহামারি করোনাভাইরাস, ধুঁকতে থাকা অর্থনীতি আর এক বিভাজিত জাতির দায়িত্ব পান তিনি। বিশ্বনেতা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সংহত করা, আর দেশকে একত্রিত করার লক্ষ্য গত এক বছরে কতটা সফল ট্রাম্প। এক বছরে তিনি তার দেওয়া প্রতিশ্রুতির কতটা রক্ষা করতে পারলেন? 

গণহারে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু করার শক্ত অবস্থানের মধ্য দিয়ে বাইডেন তাঁর শাসনামল শুরু করেছিলেন। তাঁর এই অবস্থান ছিল পূর্বসূরি ট্রাম্পের এ–সংক্রান্ত নীতির বিপরীত। কেননা, এ ক্ষেত্রে ট্রাম্পের অবস্থান ছিল বিভ্রান্তিকর। মহামারির ভয়াবহতাকে খাটো করে দেখার অভিযোগ ছিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। করোনা মোকাবিলার বদলে ভাইরাসটির উৎপত্তি নিয়ে চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্বেও জড়ান তিনি। যদিও করোনার টিকা তৈরির দ্রুত অগ্রগতির বিষয়টি ট্রাম্প দেখভাল করেছিলেন।

২০২১ সালের ৪ জুলাই বাইডেন করোনাভাইরাসকে পরাস্ত করার ঘোষণা দেন। ওই বছরের গ্রীষ্মকালে ফের করোনার অতি সংক্রামক ধরন ডেলটার আঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বসন্তের মধ্যে সংক্রমণের নিম্নমুখী প্রবণতা বদলে যায়। ডিসেম্বরে ফের শুরু হয় অমিক্রন ধরনের প্রকোপ। ফলে বাইডেনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।

বাইডেন ক্ষমতায় আসার শুরুতে তাঁর নেওয়া কোভিড-সংক্রান্ত নীতিতে ৬৯ শতাংশ আমেরিকানের সমর্থন ছিল। এখন সেটা দাঁড়িয়েছে ৪৬ শতাংশে। যুক্তরাষ্ট্রে রক্ষণশীল বলে পরিচিত এলাকাগুলোতে বাইডেন প্রশাসন টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করার চেষ্টা করে। তাঁর প্রশাসনের নেওয়া এই অবস্থান রাজনৈতিক বিরোধ উসকে দেয়। বড় ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোতে টিকা বাধ্যতামূলক করতে তাঁর নেওয়া পদক্ষেপ গত বৃহস্পতিবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট আটকে দিয়েছেন।

আমেরিকা উদ্ধার পরিকল্পনা নামে ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের একটি প্রণোদনা তহবিল পাসের কৃতিত্ব অবশ্য বাইডেন প্রশাসনের। করোনাভাইরাস মহামারির ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা ছাড়াও বেকারত্ব ঠেকানো ও মন্দার মুখে পড়া দেশটির অর্থনীতি উদ্ধারে পাস হয়েছিল এ প্রণোদনা তহবিল।

বাইডেন ১ লাখ ২০ হাজার কোটি ডলারের বিশাল একটি অবকাঠামো তহবিল পাস করেছেন। অবকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে এই বিল পাস করা হয়। তবে এই বিল পাস করানোর ক্ষেত্রে বিরোধী রিপাবলিকানদের সমর্থন পেয়েছেন জো বাইডেন। ট্রাম্পও এ রকম একটি অবকাঠামো বিল পাস করানোর জন্য চেষ্টা করেছেন। তবে চার বছরের শাসনামলে প্রতিশ্রুত বিলটি তিনি পাস করে যেতে ব্যর্থ হয়েছেন।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও সমাজসেবা খাতে ব্যয়ের লক্ষ্যে বিল্ড ব্যাক বেটার নামে ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি ডলারের একটি প্যাকেজ পাস করানোর চেষ্টা করেছিলেন বাইডেন। তবে বিলটি মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে গিয়ে আটকে যায়। বিরোধী দল রিপাবলিকান নয়, তাঁরই দল ডেমোক্র্যাটেরই সিনেটর জো মানচিন বিলটির বিরোধিতা করেন। বিলটির বিপক্ষে ভোট দেন তিনি। ১০০ সদস্যের সিনেটে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের সমান ৫০ জন করে সিনেটর আছেন। ফলে একজন ডেমোক্র্যাট সিনেটর বিলটির বিরোধিতা করার কারণে প্রেসিডেন্ট বাইডেন শেষ পর্যন্ত বিলটি পাস করতে ব্যর্থ হন।

২০২১ সালে মার্কিন পুঁজিবাজারের সূচক ও চাকরির সংখ্যা বৃদ্ধির অবশ্য রেকর্ড হয়েছে। বেকারত্বের সংখ্যা এখন নেমে ৩ দশমিক ৯ শতাংশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে একই সময়ে বাইডেনের শাসনামলে মূল্যস্ফীতি আশ্চর্যজনকভাবে অনেকটা বেড়ে যায়। বার্ষিক হিসাবে গত ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ছিল রেকর্ড ৭ শতাংশ। কয়েক মাস ধরে জো বাইডেনের অর্থনৈতিক উপদেষ্টারা দাবি করছেন যে এই মূল্যস্ফীতি হবে অল্প সময়ের জন্য। তবে মূল্যস্ফীতি রয়েই গেছে।

বাইডেন একজন প্রকৃত মধ্যপন্থী রাজনীতিক। তবে তাঁর দল ডেমোক্র্যাটে বামঘেঁষা একটি পক্ষ আছে। তাদের সন্তুষ্ট করার ক্ষেত্রে বাইডেন বেশ জটিলতার মুখেই পড়েন। এ ছাড়া কিছু ভোটার গোষ্ঠীর ক্ষেত্রেও তাঁকে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়, বিশেষ করে আফ্রিকান-আমেরিকানদের সন্তুষ্ট করার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে।

বাইডেন প্রায়ই আমেরিকানদের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে লাগাম টানা ও পুলিশের নিষ্ঠুরতা ঠেকানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও এটা নিয়ে তেমন কিছুই করতে পারেননি। এ ছাড়া কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি বৈষম্য বন্ধে বাইডেনের ভোটাধিকার সংস্কারের উদ্যোগ দুই ডেমোক্র্যাট সিনেটরের বিরোধিতায় সিনেটে ভরাডুবির মুখ দেখেছে।

বড় কোনো ইস্যুর কথা বিবেচনায় নিলে বাইডেনের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল দেশটির রাজনৈতিক বিভাজন সারিয়ে তোলা। এ ক্ষেত্রেও বাইডেন খুবই কম নম্বর পাবেন। শপথের সময় নেওয়া ভাষণে জো বাইডেন আমেরিকানদের মধ্যে ঐক্য আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন, অভিবাসীদের ওপর ঘৃণা-বিদ্বেষ দূর, সাংবাদিক ও গণসমাবেশে অন্য বিরোধীদের ওপর আক্রমণ বন্ধের চেষ্টা চালাবেন তিনি।

কিন্তু এখনো ট্রাম্পের মতাদর্শের আধিপত্য চলছে পুরো রিপাবলিকান পার্টিতে এবং ধারণা করা হচ্ছে, ধনকুবের ট্রাম্প ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবার লড়বেন। এদিকে বাইডেনকে তাঁর নিজের দলের বামপন্থী ঘাঁটির দিকে আরও টানা হচ্ছে। স্বতন্ত্রদের সমর্থনও হ্রাস পাচ্ছে।

শপথ নেওয়ার প্রথম দিন বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রকে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন ‘আমেরিকা ইজ ব্যাক’। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অবশ্য এটা করেছেন তিনি। বাইডেন জলবায়ুসংক্রান্ত প্যারিস চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে এনেছেন এবং ইরানের পরমাণু সক্ষমতা নিয়েও বহুজাতিক আলোচনায় বসেছেন। 

ক্ষমতায় আসার পরই বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরনো ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইউরোপ, সামরিক জোট ন্যাটো ও এশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের ওপর জোর দেন। অংশীদার হিসেবে মিত্রদের আশ্বস্ত করেছে ওয়াশিংটন। ট্রাম্প বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সঙ্গেও দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন। জো বাইডেন অবশ্য পূর্বসূরি ট্রাম্পের এমন অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এ ক্ষেত্রে তাঁর প্রশাসন ছিল ইতিবাচক। 

আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্থান ২০ বছরের একটি ব্যর্থ যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছে এবং এটা ছিল এমন কিছু, যা নিয়ে আগের প্রেসিডেন্টরা কেবল কথা বলেই গেছেন। তবে তাতে বাইডেনের শেষ রক্ষা হয়নি। আফগানিস্তান ছাড়ার সময় দেশটিতে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়, তা যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলেছে। মানবিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আর সে দায় কিছুটা হলেও বাইডেনের ওপর বর্তায়।

যুক্তরাষ্ট্র   করোনা   জো বাইডেন   সংক্রমণ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের নির্বাচনে ভোটের হার কেন এত কম?

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি আশানুরূপ হচ্ছে না। কম ভোটার উপস্থিতি নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছেন দেশটির ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপির নেতারা।   

দেশটিতে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য। অথচ অধিকাংশ ভোটারদেরই কোনো আগ্রহ নেই নির্বাচন নিয়ে। কিন্তু কেন নির্বাচন নিয়ে দিন দিন এত অনাগ্রহী হয়ে উঠেছেন ভারতের ভোটাররা? বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশেই কেন ভোট নিয়ে এত অনীহা জনগণের মাঝে?

টানা ৭৫ বছর ধরে গণতান্ত্রিক শাসনে থাকা দেশটিতে এবারের নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোটের হার ছিল মাত্র ৬৪ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ধাপে ভোটের হার ছিল ৬৩ শতাংশ। যা আগের বছরের নির্বাচন গুলোর তুলনায় অনেক কম। 

নির্বাচন কমিশন দাবি করছে, অসময়ের গরম আবহাওয়া এবং বিয়ের অনুষ্ঠানের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হচ্ছে। অবশ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার ভোটারদের কেন্দ্রে টেনে আনার মতো শক্তিশালী কোনো ইস্যু নেই মোদির কাছে। তাঁর হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভোটাররা আত্মতুষ্টি বা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে কেন্দ্রে আসছেন না। ফলে ভোটার সংখ্যা কম। 

দ্বিতীয় ধাপে দেশটির ১৩টি রাজ্যের মোট ৮৮টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর উত্তরবঙ্গের তিনটি আসন দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাটের ভোটের হার দেখা গেছে শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত বালুরঘাটে ভোটদানের হার ছিল ৭৯ দশমিক ৯ শতাংশ, দার্জিলিংয়ে ৭৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং রায়গঞ্জে ৭৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। অথচ ২০১৯ সালে বালুরঘাটে ভোট পড়েছিল ৮৩ দশমিক ৬০ শতাংশ, দার্জিলিংয়ে ৭৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং রায়গঞ্জে ৭৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশে ভোট পড়েছে ৫৫ শতাংশের মতো, যা প্রথম দফার ভোটের চেয়েও ৬ শতাংশ কম। বিহারেও ভোট পড়েছে ৫৫ শতাংশ। মহারাষ্ট্রে আরও কম, সাড়ে ৫৪ শতাংশের মতো। মধ্যপ্রদেশে সামান্য বেশি, সাড়ে ৫৭ শতাংশ। ফলে কম ভোটের এই হার সকল মহলকে কিছু হলেও উদ্বিগ্ন করছে। 

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের দিখৌলী নামের একটি গ্রামে ভোট পড়েছে মাত্র পাঁচ শতাংশ। ভোট কম পড়ার কারণ হিসেবে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ভোটদানে উৎসাহ নেই বেশির ভাগ গ্রামের মানুষের। অনেকেই আবার কৃষিকাজে ব্যস্ত।

ভারতের বিশ্লেষকরা দাবি করছেন, নরেন্দ্র মোদি টানা ১০ বছর ধরে ভারত শাসন করছেন। এবারের নির্বাচনে আবারও তিনিই জয়লাভ করবেন এবং তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করবেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনের ব্যাপারে জনগণের একটি বড় অংশ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। পাশাপাশি এবার ভোটারদের কেন্দ্রে টেনে আনার মতো শক্তিশালী কোনো ইস্যুও সামনে আনতে পারেননি এনডিএ বা ইন্ডিয়া জোটের কেউই। তাছাড়া এবারের লোকসভা নির্বাচনে আবহাওয়া একটা বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তীব্র গরমের কারণে অনেক ভোটার ভোট দিতে বের হচ্ছেন না। ফলে সব কিছু মিলিয়ে এবার উল্লেখযোগ্য হারে নির্বাচনে ভোটের হার কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে মনে করছেন ভারতের নিরপেক্ষ বিশ্লেষকরা।

ভারতের নির্বাচন   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারত সফর স্থগিতের পর চীনে গেলেন ইলন মাস্ক

প্রকাশ: ০৭:০৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বৈদ্যুতিক গাড়ির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ইলন মাস্ক ভারতে তার নির্ধারিত সফর স্থগিত করেন এবং এই সফর স্থগিতের কয়েকদিন পরই হঠাৎ করে চীন সফরে গেছেন তিনি। 

রোববার(২৮ এপ্রিল) টেসলার একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে অনেকটা আকস্মিকভাবেই রোববার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন তিনি। টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার চীন সফরের বিষয়ে অবগত দুই ব্যক্তি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন।  

২১ এপ্রিল ভারত সফরে যাবার কথা ছিল ইলন মাস্কের। সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে তার বৈঠক ও ভারতে টেসলার বিনিয়োগ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করার কথা ছিল।

কিন্তু নির্ধারিত সময়ের একদিন আগে এক্সে দেওয়া বার্তায় টেসলার এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, 'দুর্ভাগ্যবশত টেসলায় ব্যাপক কাজ জমে যাওয়ায় ভারত সফর পিছিয়ে দিতে হচ্ছে। তবে আমি চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত মুখিয়ে আছি।' 

টেসলার সিইওর ভারত সফর স্থগিতের এক সপ্তাহ পর চীন সফরের তথ্য এলো। চীনে সফটওয়্যারের মাধ্যমে টেসলার স্বচালিত (এফএসডি) বৈদ্যুতিক গাড়ির যাত্রা শুরুর বিষয়ে আলোচনার জন্য বেইজিংয়ে চীনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করছেন। স্বচালিত ড্রাইভিং প্রযুক্তির উন্নতির জন্য অ্যালগরিদম প্রশিক্ষণে চীনে সংগৃহীত ডাটা বিদেশে স্থানান্তর করার অনুমতির বিষয়েও চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় মাস্ক বলেছেন, চীনে শিগগিরই ব্যবহারকারীদের জন্য এফএসডির সরবরাহ শুরু করবে টেসলা। রয়টার্স বলছে, ২০২১ সাল থেকে চীনা নিয়ন্ত্রকদের শর্ত অনুযায়ী সাংহাইতে টেসলার চীনা বহরের সংগৃহীত সব ডাটা সংরক্ষণ করেছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তা স্থানান্তর করেনি।


ভারত   সফর   স্থগিত   চীন   ইলন মাস্ক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গ্রেফতার আতঙ্কে নেতানিয়াহু, প্রতিরোধের সর্বাত্মক চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০৫:২৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন। আর সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকাতে সর্বাত্মক কূটনৈতিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। 

বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ আরও কিছু ইসরায়েলি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে যাচ্ছে আইসিসি।

নিউজ সাইট ওয়ালায় বিশ্লেষক বেন কাসপিট লিখেছেন, নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে হেগের বিশ্ব আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আশঙ্কায় ‘অস্বাভাবিক চাপে’ রয়েছেন। নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য ইসরায়েলি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির অর্থ হল- ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক সুনামে বড় ধরনের আঘাত।

কাসপিট লিখেছেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রতিরোধে নেতানিহুয়া ‘বিরতিহীনভাবে টেলিফোনে চেষ্টা করে’ যাচ্ছেন। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সাথে তিনি সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎসের বিশ্লেষক অ্যামোস হারেল লিখেছেন, ইসরায়েলি সরকার এই ধারণা নিয়ে কাজ করছে যে আইসিসির প্রসিকিউটর করির খান চলতি সপ্তাহেই নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং আইডিএফ প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন।

হারেল জানিয়ছেন, আমেরিকা ইতোমধ্যেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকানোর জন্য জোর তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, আইসিসির রোম চুক্তিতে ১২৪টি দেশ সই করলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল তাতে স্বাক্ষর করেনি। যুদ্ধের ব্যাপারে নেতানিয়াহুর সর্বশেষ সরকারি বিবৃতিতে দাবি বলা হয়েছে, আইসিসির আসন্ন সিদ্ধান্ত ‘বিপজ্জনক নজির’ সৃষ্টি করতে পারে।


গ্রেফতার   নেতানিয়াহু   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গরমে ট্রাফিক পুলিশকে স্বস্তিতে রাখতে ‘এসি হেলমেট’

প্রকাশ: ০৪:৫২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রচণ্ড গরমে টানা রোদে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয় ট্রাফিক পুলিশদের। সড়কে দায়িত্বরত পুলিশদের কিছুটা শীতল ও স্বস্তিতে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের লখনৌর ট্রাফিক বিভাগ। ‘ঠান্ডা উদ্যোগ’ নামে পরিচিত এই প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে বেশকিছু ‘এসি হেলমেট’ উন্মোচন করা হয়েছে। লখনৌতে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক পর্বের অংশ হিসেবে চারটি এসি হেলমেট চালু করা হয়। 

সোমবার (২২ এপ্রিল) হজরতগঞ্জের অটল চক মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক কর্মীদের এসব হেলমেট দেয়া হয়। 

এই হেলমেটগুলোতে একটি স্বচ্ছ প্লাস্টিকের ঢালসহ মাথায় শীতলতা নিশ্চিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এসি ভেন্ট রয়েছে। চোখকে সূর্যের প্রখর আলো ও উত্তাপ থেকে রক্ষা করতে এটি গগলস হিসেবে কাজ করে। হেলমেটটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কোমরে বাঁধা একটি বড় ব্যাটারির সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে এলে উপরে থাকা একটি লাল আলো সতর্ক বার্তা দেবে।

এ বিষয়ে লাখনৌ পুলিশের এডিসিপি অজয় কুমার সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, ‘এই প্রকল্প সফল হলে হায়দরাবাদভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানকে কমপক্ষে পাঁচশ এমন এসি হেলমেট প্রস্তুতের দায়িত্ব দেয়া হবে। এই হেলমেটের ওজন সাধারণ হেলমেটের প্রায় অর্ধেক এবং আমাদের ট্র্যাফিক পুলিশ এটি ব্যবহার ও পরিধানে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন।’


ট্রাফিক   পুলিশ   প্রকল্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান

প্রকাশ: ০৪:১৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানের পদত্যাগের পর এবার পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে পরাজিত করতে না পারা, হামাসের হাত থেকে ইসরায়েলি জিম্মিদের উদ্ধার করতে না পারা, ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হামলার পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হওয়াসহ একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে পদত্যাগ করতে পারেন সামরিক বাহিনীর প্রধান।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনীর ব্যর্থতার প্রতিবাদে ইসরায়েলজুড়ে চলছে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েল সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে গত সোমবার ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। হামাসের গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে চালানো হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগের এই ঘোষণা দেন তিনি।

ইসরায়েলের সেনাপ্রধান   হামাস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন