ইনসাইড থট

ষড়যন্ত্রকারীরা পিছু হটতে শুরু করেছে


Thumbnail ষড়যন্ত্রকারীরা পিছু হটতে শুরু করেছে

স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিদেশে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছিলো, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তাঁর সরকারের তৎপরতায় ষড়যন্ত্রকারীরা পিছু হটতে শুরু করেছেl বাংলাদেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে, বিএনপি এবং তার সহযোগী গোষ্ঠী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ কয়েকটি বিদেশী শক্তিকে বাংলাদেশের উপর স্যাংশন আরোপ করার জন্য যে অনুরোধ জানিয়ে আসছে, তার প্রকৃত ফলাফল কী হতে পারে। শেখ হাসিনার সরকার দেশে বিদেশে অবস্থানকারী এই ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠীকে ইতোমধ্যে চিহ্নিত করতে পেরেছেl এই ষড়যন্ত্রের সকল নথি-পত্র এবং তথ্য প্রমাণ সরকারের হাতে রয়েছেl সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এজেন্সি গুলো এবং আন্তর্জাতিক একাধিক সংস্থা ইতোমধ্যে অধিকতর তদন্তে নেমেছেl  বর্তমানে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং সর্বাধিক গুরুত্বপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক অপরাধl 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপি কর্তৃক লবিস্ট নিয়োগের যাবতীয় নথি-পত্র এবং তথ্য প্রমাণাদি সংগ্রহ করেছে l এই সকল নথি-পত্রে দেখা যায় যে, বিএনপি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক স্যাংশন আরোপের লক্ষ্যে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্রের লবিস্টদের দিয়েছেl যুক্তরাষ্ট্রের আইনে লবিস্ট নিয়োগ এবং লবি কার্যক্রম বৈধ হলেও বাংলাদেশের কোন নাগরিক অথবা  রাজনৈতিক দল সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত লবিস্টদের কাছে অর্থ পাঠাতে পারে নাl এই ধরণের কাজ সন্দেহাতীতভাবে মানি লন্ডারিংl 

নথি সমূহ পর্যালোচনায় দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের লবিস্টদের সাথে প্রত্যেকটি চুক্তিতেই মূল 'ফরেন প্রিন্সিপাল' হিসেবে বিএনপির নাম রয়েছে এবং বিএনপি'কে 'ফরেন পলিটিকাল পার্টি' হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছেl চুক্তি গুলোতে 'ফরেন পলিটিকাল পার্টি'র ঠিকানা লেখা হয়েছে, 'বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি, ২৮, ১ ভিআইপি রোড, ঢাকা ১২০৫, বাংলাদেশ'l এই ট্রানজেকশন গুলোতে যে সকল বাংলাদেশী এবং তাদের এজেন্ট জড়িত, তাদের সকলেরই তথ্য বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে পেয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছেl দেশে বিদেশে তাদের সকল ব্যাঙ্ক একাউন্ট এবং অন্যান্য তথ্যাদি ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছেl এ সকল কর্মকাণ্ডে আরও কারা কারা জড়িত সে বিষয়েও পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছেl 

এছাড়া, বিএনপির সেক্রেটারি জেনারেল মির্জা ফখরুল আলমগীর নিজে স্বাক্ষর করে যে সকল চিঠি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়েছেন, তার মর্মার্থ হচ্ছে, বিএনপি এবং তার সহযোগীরা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অৰ্থনীতি  এবং এদেশের কোটি কোটি মানুষের ভাগ্য জলাঞ্জলি দিয়ে শুধু নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চাইছেl  এমনকি তারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিতেও কুণ্ঠিত ননl জনাব মির্জা ফখরুলের পত্রে সেই ইঙ্গিতই রয়েছেl এই পত্র সমূহে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ চেয়ে তিনি যে অপরাধ করেছেন, সেটি আমাদের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭ক (১) (খ) এর বিধান অনুযায়ী সর্বোচ্চ অপরাধl  

বাংলাদেশ বিরোধী এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সরকারের বিশেষ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে দায়িত্বরত বাংলাদেশের শুভাকাঙ্ক্ষীরা l ইতোমধ্যে তাঁরা সক্রিয় হয়ে উঠেছেl এটি অনেকেই ভুলে গেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেট দলের সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছেl যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে বাংলাদেশের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছেl  যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের (যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট) পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান প্রভাবশালী কংগ্রেসম্যান গ্রেগরীয় ডব্লিউ মিকস বাংলাদেশ সময় গতকাল নিউ ইয়র্কে এক বক্তৃতায় তাদের সেই ষড়যন্ত্রের কথা সবাইকে জানিয়ে দিয়েছেনl তিনি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উপর কোন স্যাংশন আরোপ করছে নাl  যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে, তাঁরা বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সঙ্গে কাজ করছেনl  তিনি জানান, বর্তমানে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সেটি একটি সংস্থার কিছু ব্যক্তির ওপর, পুরো সংস্থার ওপর নয়l তাঁরা সেটি খতিয়ে দেখছেনl  যুক্তরাষ্ট্রের এই গুরুত্বপূর্ণ কংগ্রেসম্যান জানান,  একটি স্বার্থান্বেষী মহল আরও কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য জোরালোভাবে লবিং করছে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের কথা অনুযায়ী এটি করবে না, এটি সম্ভব নয়। তাঁর এই বক্তব্যে কিছু ষড়যন্ত্রকারী ছাড়া বাংলাদেশের সকল জনগণ উদ্বুদ্ধ হয়েছেl 

দৃশ্যত বিএনপি এবং তার সহযোগীদের উদ্দেশ্য সরকার পরিবর্তন হলেও তাদের এই কর্মকাণ্ডের মাসুল দিতে হবে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে এবং তার জনগণকেইl কারণ কোন দেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশন হলেই সেই দেশে সরকার পরিবর্তন হয় নাl বর্তমানে ৩১ টি দেশের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশন রয়েছেl কিন্তু এই সকল স্যাংশনের কারণে কোন রাষ্ট্রেই সরকার পরিবর্তন হয়নিl এই ধরণের পরিস্থিতিতে তাহলে কে ক্ষতিগ্রস্ত হবে? ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ এবং তার জনগণ l তাদের এই রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে এদেশের সতেরো কোটি মানুষ বিপদে পড়তে পারেl মুখ থুবড়ে পড়তে পারে এদেশের অর্থনীতিl 

গত ১৩ বছরে বঙ্গবন্ধু কন্যা অনেক পরিশ্রম, কষ্ট, মেধা, সাহসিকতা এবং অনেক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে বাংলাদেশকে বিশ্বের নেতৃত্বের একটা জায়গায় নিয়ে আসছেনl তিনিই বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছেনl তাঁর নেতৃত্বেই আজ বাংলাদেশের অর্থনীতি দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ অর্থনীতিl বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় আজ ২৫৫৭ মার্কিন ডলার যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চl শেখ  হাসিনা বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরের রূপরেখা দিয়েছেনl সে অনুযায়ী তিনি প্রয়োজনীয় কর্ম পরিকল্পনা এবং যাবতীয় প্রকল্প গ্রহণ করেছেনl তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশে ব্যাপক ভিত্তিক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলেছেl উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং দারিদ্র বিমোচনে শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল বিশ্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেl  তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেl আমাদের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ আসে গার্মেন্টস থেকেl এই রপ্তানি আয় ৩৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশীl আমাদের প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ মানুষ তৈরি পোশাক খাতে সরাসরি কাজ করছেl পরোক্ষ ভাবে কয়েক কোটি মানুষ এই সেক্টরের সুবিধাভোগীl আমাদের জিডিপির প্রায় ১১ শতাংশের বেশি আসে তৈরি পোশাক খাত থেকেl বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে কোন ষড়যন্ত্র হলে সবচেয়ে আগে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমাদের গার্মেন্টস খাতl এই খাত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মানে পুরো অর্থনীতি ধসে যাওয়াl মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি হিসেবে আমরা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এই রকম ষড়যন্ত্র সফল হতে দিতে পারি নাl

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং তার সরকার এদেশের মানুষকে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করছেনl ষড়যন্ত্রকারীরা এটি বারে বাড়ে ভুলে যায় যে, প্রায় দশ বছর ধরেই তারা লবিস্টের মাধ্যমে বিদেশী শক্তির উপর নির্ভর করে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেl তাদের প্রতিটি ষড়যন্ত্রই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নস্যাৎ করে দিয়েছেনl এবারও তিনি ষড়যন্ত্রের উপর আঘাত হেনেছেনl ষড়যন্ত্রকারীরা ইতোমধ্যে পিছু হটতে শুরু করেছে l এবার আমরা ষড়যন্ত্রকারীদের মূলোৎপাটন করবো ইনশাল্লাহ। 


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশী জনগণের জন্য ‘আলোক বর্তিকা’


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক ডা. কাইয়ুম তালুকদার যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিতে বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক অভাবনীয়, অনন্য এবং যুগান্তকারী একটি মডেল। শিশু স্বাস্থ্য, মাতৃ স্বাস্থ্য এবং কিশোরীদের স্বাস্থ্য পরিসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এটি একটি অসাধারণ উদ্যোগ। নবজাতকের মৃত্যু, মাতৃ মৃত্যু কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অনুসরণ শুরু করেছে। গত বছর ১৭ মে কমিউনিটি ক্লিনিক ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিসিয়েটিভ’ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়। ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ সারা বিশ্বের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রত্যাশী জনগণের জন্য ‘আলোক বর্তিকা’। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ এর প্রবক্তা। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা উন্নয়ন কৌশল জাতির পিতার ভাবনা থেকেই উৎসারিত। অল্প সময়ের মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রান্তিক সুবিধা বঞ্চিত মানুষের আপন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে জনগণের বিপুল সমর্থনে আবার সরকার গঠন করেন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। ভবিষ্যতে আর কোন অপশক্তি যেন কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ করতে না পারে সেজন্য দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এই প্রতিষ্ঠানের সাথে জনগণকে সম্পৃক্ত করেন। বর্তমানে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে নির্মিত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবার ‘বাতিঘর’ এই প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে জনগণ জমি দিচ্ছেন, সরকার ভবন করে দিচ্ছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রমের পুরোটাই পরিচালিত হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ মানেই স্মার্ট উদ্যোগ। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উদ্ভাবন মানেই জনবান্ধব কর্মসূচি। কমিউনিটি ক্লিনিক পাল্টে দিচ্ছে গ্রামীণ জনপদ। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

বিশ্ববাসী আজ শেখ হাসিনাকে গুরুত্ব না দিয়ে পারে না


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক ফরিদা ইয়াসমিন, এমপি যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

আজকে আমরা ১৭ মে নিয়ে কথা বলছি। যেদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। আবার গত বছর এই দিনে তাঁর চিন্তা প্রসূত কমিউনিটি ক্লিনিককে জাতিসংঘ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আজকে আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলছি, উন্নয়নশীল বাংলাদেশের কথা বলছি, যে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখছি, একদিন উন্নত বাংলাদেশ হব বলে স্বপ্ন দেখছি এই সবকিছু শেখ হাসিনার স্বপ্ন, শেখ হাসিনার ইনিশিয়েটিভ। বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা স্মরণ করতে চাই সে দিনটি যেদিন শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এলেন। সমগ্র বাঙালীর আনন্দিত উদ্বেলিত অপেক্ষার দিন। সমস্ত কিছু উপেক্ষা করে মানুষ বঙ্গবন্ধু কন্যাকে স্বাগত জানিয়েছে সেদিন। সেদিন তিনি দেশে আসার পর ৩২ নম্বরে ঢুকতে পারেননি। তিনি চেয়েছিলেন একটি মিলাদ করবেন, নিজের বাড়িতে ঢুকবেন কিন্তু সেটি তিনি পারেননি। তাকে রাস্তায় বসে মিলাদ পড়াতে হয়েছে। তার ওপর এত জুলুম বাধা বিপত্তি সব কিছু পেরিয়ে আজকে তিনি বাংলাদেশের শুধু রাষ্ট্রনায়ক না, তিনি সারা বিশ্বের একজন নেতা হিসেবে পরিণত হয়েছেন। বিশ্ববাসী আজ শেখ হাসিনাকে গুরুত্ব না দিয়ে পারে না। বাংলাদেশের একজন প্রধানমন্ত্রীকে সেরকম গুরুত্ব না দিলেও পারত কিন্তু তারা শেখ হাসিনাকে উপেক্ষা করতে পারেন না। কারণ তিনি শেখ হাসিনা। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা। তাঁর যে স্বপ্ন, তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন সেটি সকলের কাছে একটি বিস্ময়। আজকে পাকিস্তানিরা বলে আমাদেরকে বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। 

ছিয়ানব্বইয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেই শেখ হাসিনা জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেন। কমিউনিটি ক্লিনিক এর মত একটি উদ্যোগ এটি কেউ চিন্তাও করেননি। এটা একেবারে শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত। কিন্তু সরকারের পালা বদল হবার সাথে সাথে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসেছে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিলেন। কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ হওয়ার ফলে আবার জনগণের স্বাস্থ্যসেবা মুখ থুবড়ে পড়ে। বিভিন্ন জায়গায় কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো একেবারে ভূতড়ে বাড়ির মত হয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী পরের বার ক্ষমতায় এসে সেই ক্লিনিকগুলো আবার চালু করেন। জাতিসংঘ এটিকে মডেল হিসেবে নিয়েছে এবং ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার সেটি বন্ধ করে দিয়েছিল। আজকের দিনে এসে বুঝা যায় যে এটি আসলে কতটা ইনোভেশন ছিল। শেখ হাসিনার এই উদ্যোগ আজ অন্যান্য দেশ অনুসরণ করতে চায়। 


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

১৮ কোটি মানুষের ঠিকানা জননেত্রী শেখ হাসিনা


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক অধ্যাপক ডা. নুরুল হুদা লেনিন যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

১৭৮১ সালে পলাশি যুদ্ধে ইতিহাসের ঘৃণিত সেনাপতি মির্জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় নবাব সিরাজ উদ্দৌলার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ২০০ বছরের গোলামী আমাদের ললাটে এসেছিল। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ স্বাধীন হলেও বাঙালী এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা পায়নি। যার পটভূমিতে বীরদর্পে আবির্ভূত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ থেকে ৭৫’ বাঙালি জাতির ভাগ্যাকাশে স্বাধীনতার লাল পতাকা উড়েছিল বাঙালী আশায় বুক বেধেছিল। কিন্তু বাংলার নব্য মির্জাফরেরা জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার চেতনাকে ভুলুন্ঠিত করেছিল। ভাগ্যক্রমে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা বিদেশে থাকার কারণে জীবনে বেচে যান। কোন অন্যায় না করেও পিতার অসাধারণ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত স্বাধীন বাংলাদেশে আসতে তাকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। সামরিক শাসক এবং শাসনের কারণে বরণ করতে হয়েছিল নির্বাসিত জীবন। দেশের আপামর জনগণ, আবাল-বৃদ্ধা-বণিতা শেখ হাসিনার এই অকৃত্রিম ভালোবাসাকে হৃদয়ের বেরোমিটার দিয়ে মাপতে পারে তাকে বাংলায় রুখবে কে। তাইতো ঐক্যের প্রতীক হয়ে বাঙালির ভাগ্যাকাশে জ্বলজ্বলে স্বধীনতার সূর্য হাতে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরেছিলেন শেখ হাসিনা নামের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। যার আলোর বিচ্ছরণ ঘটাচ্ছে ১৮ কোটি মানুষের প্রতিটি হৃদয়ে। বাঙালির ভাগ্য উন্নয়নের চাকা এখন সঠিক পথে সঠিক গন্তব্যের দিকে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ধাবমান। 

১৯৮১ সালের ১৭ মে যেদিন তিনি বাংলার মাটিতে পা রাখেন সেদিন তার পথ ছিল অনেকটা কন্টকাকীর্ণ। নিজের বাড়ি, নিজের পিতার বাড়িতে একজন সাধারণ নাগরিকেরও প্রবেশের অধিকার থাকে। কিন্তু শেখ হাসিনার সেই অধিকার খর্ব করা হয়েছিল। ১৯৮১ সালের ১৭ মে, দেশের মাটিতে পা রাখার পর শেখ হাসিনার হৃদয়ের টেবিলে দু’টি ফাইল ছিল। দু’টি ফাইলের একটি ছিল ৭৫ এর ১৫ আগস্ট পিতা-মাতাসহ স্বজন হারানো মমগাথা ও তাঁর বিচার প্রসঙ্গ। অন্যটি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ তথা বাঙালী জাতির ভাগ্য উন্নয়ন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে যদি জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে না ফিরতেন, তবে বাঙালি জাতির ভাগ্য কখনো আলোর মুখ দেখতো না। তলিয়ে থাকতো অটল অন্ধকারে। তাইতো বাংলার মানুষ সবাই ধারণ করে একটি শ্লোগান, ‘১৮ কোটি মানুষের ঠিকানা, জননেত্রী শেখ হাসিনা।’  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

বদলে যাওয়ার বাংলাদেশের কারিগরি শেখ হাসিনা


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বিয়োগান্তের ঘটনায় জাতি ছিল দিক নির্দেশনাহীন। নারকীয় এই ঘটনায় জনগণ হয়ে পড়েন দিশেহারা। প্রতিবাদ, প্রতিরোধ করার কোন শক্তি সাহস ছিল না। দলের অনেক বড় বড় নেতাও ছিলেন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। ধানমন্ডির ৩২ বাড়ি ছিল কবরের নীরবতা। সমগ্র জাতি তখন অন্ধকারে। সামরিক বুটে পিষ্ঠ গণতন্ত্র। নির্বাসনে সংবিধান আর মানুষের মৌলিক অধিকার। বাক স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না। এমনকি বঙ্গবন্ধু নাম উচ্চারণ ছিল নিষিদ্ধ। 

তৎকালীন রেডিও, টেলিভিশন কোথাও বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করতে দেওয়া হত না। দেশকে টেলে দেওয়া হয়েছিল উল্টোপথে। ১৯৭১ সালে যে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল ১৯৭৫ এসে সেই বাংলাদেশ হারিয়ে গিয়েছিল। সারা দেশে শুধু তখন হতাশ আর নাভিশ্বাস অবস্থা। এর প্রায় ৬ বছর পর নির্বাসনে থাকার জননেত্রী শেখ হাসিনা জীবনের পরোয়া না করে ভয় ভীতি উপেক্ষা করে অনেক ঝুকি নিয়ে পরিবারের সদস্যদের বিদেশের মাটিতে রেখে সেই ১৯৮১ সালের ১৭ মে পদাপণ করেন বাংলার মাটিতে। তিনি যখন দেশে এসেছিলেন তখন অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণ হয়। 

আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ তাকে পেয়ে আনন্দিত উদ্বেলিত ছিলেন। তিনি এসেছিলেন এক আলোক বতিতা, আলোর ফেরিয়াওলা হয়ে। তিনি হয়ে উঠেন সকলের আশা আকাঙ্ক্ষা প্রতীক। বিশ্বস্ততার ঠিকানা। শাসক গোষ্ঠীর ভিত তখন কেপে উঠেছিল। দেশে আসার পর জননেত্রী শেখ হাসিনার চলার পথ সহজ ছিল না। মসৃণ ছিলো না। কিন্তু তিনি সমস্ত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে তার মেধা, দক্ষতা, সততা, নিষ্ঠা, যোগ্যতা, প্রজ্ঞা, সৃজনশীলতা উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি আর দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল আর আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। জনগণ ফিরে পায় তার সব ধরনের অধিকার। আল্লাহ অশেষ রহমত শেখ হাসিনার মতা আমরা একজন নেত্রী পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু বানিয়েছেন বাংলাদেশ আর শেখ হাসিনা বানিয়েছেন বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। যত দিন থাকবে শেখ হাসিনার হাতে দেশ পথ হারাবে না বাংলাদেশ।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড থট

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের বিস্ময়


Thumbnail

সাম্প্রতি ‘‘১৭ মে ১৯৮১, তোমার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর সূচনা, ১৭ মে ২০২৩, কমিউনিটি ক্লিনিক: ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ দিলো নতুন মর্যাদা’’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। বৈঠক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফেরদৌসী যে আলোচনা করেছেন তাঁর চুম্বক অংশ প্রকাশ করা হলো।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশের মৌলিক চরিত্রকেই বদলে ফেলা হয়। বিশেষ করে পাকিস্তানি ধারায় সামরিক শাসনের সংস্কৃতির প্রবর্তন ঘটে দেশে। সাম্প্রদায়িকতা ফিরে আসে রাজনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরে। একের পর এক স্বপ্নভঙ্গের ঘটনা ঘটতে থাকে দেশে। বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। ঠিক এমন প্রতিকূল সময় ১৯৮১ সালের ১৭ মে সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তস্নাত মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন বাঙালির মুক্তির মহানায়কের যোগ্য উত্তরসূরি জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার স্বদেশে ফেরার ওইদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। তুমুল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে একনজর দেখার জন্য বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর এলাকাজুড়ে ছিল মানুষের ঢল। শেখ হাসিনা - সেদিন বাংলার মাটিতে ফিরে এসেছেন কোটি বাঙালির আশার প্রদীপ হয়ে - বাঙালি জাতিকে আলোর ঠিকানায় পৌছে দিতে। সেদিন বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে সারা দেশ থেকে আসা লাখ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হন বঙ্গবন্ধু কন্যা। জনসমুদ্রে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার শপথ নেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।

জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার সাহসী ভূমিকা রেখে চলেছেন। তিনি ফিরে আসার পর আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ফিরে পেয়েছি। দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ এর সূচনা হয়েছে। ছিয়ানব্বইয়ে সরকার গঠন করে তিনি ‘দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিল আইন, ১৯৯৬’ সংসদে পাশ করে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের ঘাতকদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করান এবং পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসেন। তাঁর আন্তরিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় মহান ‘২১ ফেব্রুয়ারি’ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পায়। ভারতের সঙ্গে গঙ্গার পানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কারো মধ্যস্থতা ছাড়াই স্বাক্ষরিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি।

১৭ মে ২০২৩ দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবন “কমিউনিটি ক্লিনিক'-কে জাতিসংঘ “দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ' হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটা বাংলাদেশের সবার জন্য গর্বের। জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্ভাবনী চিন্তাকে জাতিসংঘের অন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোকেও অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে। দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের বিস্ময়। তার গতিশীল নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে। 


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন