নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৪ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৭
প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করলেও রাষ্ট্রপতি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। আজ থেকে শুরু হওয়া ষষ্ঠ কার্ডিওলজি এবং কার্ডিয়াক সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শুক্রবার বিকেলে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে যাচ্ছেন। এই সম্মেলনের আয়োজক ল্যাব এইড গ্রুপ। এই গ্রুপের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন মানি লন্ডারিং এবং আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করছে। দুদক, এরকম অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রতির উপস্থিতিতে বিস্ময় প্রকাশ করেছে। দুদকের একজন কর্মকর্তা বলেছে, ‘তদন্ত ধামাচাপা দিতে এরা প্রভাবশালীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। এখন দুর্নীতি তদন্তে চাপ সৃষ্টির জন্য তারা রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।’
আয়োজন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার থেকে ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক কার্ডিওলজি এবং কার্ডিয়াক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিনদিন ব্যাপী এই সম্মেলনের প্রথম দিন রেজিস্টেশন এবং বৈজ্ঞানিক অধিবেশন হবে ল্যাব এইডে। দ্বিতীয় দিন হোটেল সোঁনারগাঁওয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি, আর তৃতীয় দিনের অধিবেশন হবে ল্যাব এইডে। রাষ্ট্রপতি ছাড়াও উদ্বোধনী অধিবেশনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এবং স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক উপস্থিত থাকবেন বলে আমন্ত্রণপত্রে বলা হয়েছে।
৬ বছর ধরে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুবার এই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর থেকে নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া থেকে বিরত থাকছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ল্যাব এইড গ্রুপ প্রয়াত সাংবাদিক এ বি এম মূসাকে দিয়ে ৭১ টেলিভিশন নামে একটি টেলিভিশনের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে। কিন্তু গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দেখা যায়, ল্যাব এইড গ্রুপ বিএনপির সঙ্গে নানা ভাবে সম্পর্কিত। লন্ডনে অবস্থারত তারেক জিয়ার অন্যতম অর্থযোগান্ দাতা ল্যাব এইড বলেও অভিযোগ রয়েছে। টেলিভিশন লাইসেন্স না পাওয়ায় এই শিল্প গ্রুপটি এবিএম মুসাকে সরকারের সমালোচনায় প্ররোচিত করে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এবারের সম্মেলনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চাইলৈ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি সম্ভব নয় জানিয়ে দেয়। এরপর রাষ্ট্রতি কীভাবে সম্মতি দিলেন তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করছে দুদক এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।
আজ রোববার (১২ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।
এর আগে, শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকার পাটাধোয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শামিম হোসেনকে (১৫) আটক করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ওই কিশোর।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মুজাহিদ তার বাবা-মায়ের অগোচরে ঘর থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট নিয়ে পাশের এক দোকানে যায়। এসময় শামীম টাকার লোভে শিশু মুজাহিদের পিছু নেয় এবং টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাড়ির নিকটবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মুজাহিদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা নিতে না পেরে শামীম জোরপূর্বক ৫শ’ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে সানন্দবাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে শামিম গা ঢাকা দেয়। পরে নিখোঁজ মুজাহিদের স্বজনরা শামিমকে সন্দেহ করে পুলিশকে জানালে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, শামিমকে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে আটক করা হয়েছে। শনিবার ঘটনাস্থলে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মুজাহিদকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। ছোট ছেলে মুজাহিদ, সাঁতার জানে না। ধারণা করা হচ্ছে, মুজাহিদের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হলে আদালতে প্রেরণ করা হয় শামিমকে।
ব্রহ্মপুত্র নদ ৫শ’টাকার লোভ শিশু কিশোর
মন্তব্য করুন
ভারতের হাইকমিশনার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।