ইনসাইড বাংলাদেশ

সরকার শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:০৫ এএম, ০১ মে, ২০২২


Thumbnail সরকার শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবন-মান উন্নয়ন ও কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

আজ রোববার (১ মে) মহান মে দিবস উপলক্ষে শনিবার (৩০ এপ্রিল) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে নিরাপদ কর্মপরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা ও শ্রমিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রম আইন যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন খাতে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে। এই তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক যে কোন খাতে নিয়োজিত কোনো শ্রমিক কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনাজনিত কারণে স্থায়ীভাবে অক্ষম হলে অথবা মৃত্যুবরণ করলে, জরুরি চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ ও দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসার জন্য এবং শ্রমিকদের সন্তানের উচ্চ শিক্ষার জন্যেও আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন। আমরা রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের সার্বিক কল্যাণে আর্থিক সহায়তা প্রদানে একটি কেন্দ্রীয় তহবিল গঠন করেছি এবং সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। সব সেক্টরে শ্রমিকদের বেতন ভাতা বাড়ানো হয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মহান মে দিবস বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের ঐক্য ও সংহতির প্রতীক। এই ঐতিহাসিক দিনে আমি বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সকল মেহনতি মানুষকে শুভেচ্ছা জানাই। ১৮৮৬ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরে রক্তাক্ত আন্দোলনে শ্রমিকের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আত্মাহুতি দেয়া বীর শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। এবারের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক একতা, উন্নয়নের নিশ্চয়তা’ অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।” 

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত, বঞ্চিত ও মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে তিনি ১৯৭২ সালে শ্রমনীতি প্রণয়ন করেন। তিনি পরিত্যক্ত কল-কারখানা জাতীয়করণ করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “শ্রম কল্যাণ নিশ্চিতকরণে ‘জাতীয় শ্রমনীতি, ২০১২’ ও ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা, ২০১৩’ এবং জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি, ২০১১’ প্রণয়ন করেছি। পাশাপাশি, মানবসম্পদ উন্নয়নে ‘জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কাউন্সিল' গঠন করা হয়েছে। শিল্প-কারখানায় কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে উন্নীত করা হয়েছে। শ্রমিক ও তাদের পরিবারের কল্যাণে বিভিন্ন সেবার সম্প্রসারণ ও জোরদারকরণে আমরা শ্রম পরিদপ্তরকে সম্প্রতি অধিদপ্তরে রূপান্তরিত করেছি।” 

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। এতে এক কোটির বেশি লোকের কর্মসংস্থান হবে। দেশি-বিদেশি সকল বিনিয়োগকারী যত্রতত্র শিল্প স্থাপন না করে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার সুযোগ পাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে নারী শ্রমিকদের জন্য শ্রমজীবী মহিলা হোস্টেল নির্মাণ করা হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের সমান মজুরি নিশ্চিত করা হয়েছে এবং নারী শ্রমিকদের নিরাপদ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে এবং নারায়ণগঞ্জের বন্দরে দুইটি বহুতল শ্রমজীবী মহিলা হোস্টেল নির্মাণ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সরকার শ্রমজীবী মানুষের পাশে থেকে ত্রাণ বিতরণসহ সর্বাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। শ্রম অধিদপ্তরের মাধ্যমে রপ্তানিমুখী পোশাক এবং চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা শিল্পে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া ও দুঃস্থ শ্রমিকদের মাসিক ৩ হাজার টাকা করে ৩ মাস আর্থিক সুবিধা প্রদানে সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা হয়। 
তিনি বলেন, “আমরা শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ ও দেশের সার্বিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলবো, ইনশাআল্লাহ।”  

প্রধানমন্ত্রী মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। 

সূত্র: বাসস

মহান মে দিবস   মে দিবস   ১ মে   শ্রমিক   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যে কারণে এমপি হাফিজকে তলব করল ইসি

প্রকাশ: ০৯:৪০ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গত ৮ মে প্রকাশ্যে ভোট দিয়ে নির্বাচনী অপরাধ করেছেন বরিশাল-৬ আসনের সংসদ সদস্য হাফিজ মল্লিক। যে কারণে তাকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। 

বুধবার (১৫ মে) দুপুর ১২টায় নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছে ইসি।

এর আগে সোমবার (১৩ মে) নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এ বিষয়ে এমপি আবদুল হাফিজ মল্লিককে চিঠি পাঠান।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৮ মে অনুষ্ঠেয় বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন আপনি ৪৭ নং মঙ্গলসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোট প্রদান করেছেন। যার ভিডিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছবিসহ প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়েছে। 

প্রকাশ্যে ভোট প্রদান করে ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা না করা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ৭৮ এর বিধান অনুসারে শাস্তিযোগ্য নির্বাচনী অপরাধ। এ অপরাধের কারণে আপনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও পদ্ধতিগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্পিকারের কাছে কেন পত্র প্রেরণ করা হবে না, সে বিষয়ে বুধবার (১৫ মে) দুপুর ১২টায় নির্বাচন কমিশনে আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

এই অবস্থায়, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে আপনাকে উল্লিখিত তারিখ ও সময়ে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।


বরিশাল-৬ আসন. এমপি হাফিজ মল্লিক   নির্বাচন কমিশন   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শাহ আমানতে কমে যাচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইনসের ফ্লাইট

প্রকাশ: ০৯:২০ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শাহ আমানতের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নেওয়া হয়েছে মেগা সব প্রকল্প। বৃদ্ধি করা হয়েছে রানওয়ের সক্ষমতা। মেগা প্রকল্পের ফলে দিন দিন বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়লেও বিপরীত দিকে হাঁটছে বিমান সংস্থাগুলো। একের পর এক আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট পরিচালনা সংস্থা শাহ আমানত থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৩টি বিদেশি এয়ারলাইনসের ফ্লাইট এখান থেকে বিমান পরিচালনা বন্ধ করেছে।

বিমানবন্দরসূত্রে জানা গেছে, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে ১৯টি বিমান সংস্থা ফ্লাইট পরিচালনা করলেও বর্তমানে তা নেমে হয়েছে ৬টি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে গেছে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক রুটও। বন্ধ হয়ে যাওয়া বিমান সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে থাই এয়ার, থাই স্মাইল এয়ার, কুয়েত এয়ার, ফুকেট এয়ার, মালিন্দো এয়ার, রোটানা এয়ার, হিমালয়ান এয়ার, রাস আল কাইমা (আরএকে) এয়ার, টাইগার এয়ারওয়েজ, সিল্ক এয়ার, ভারতভিত্তিক স্পাইসজেট বিমান, ওমান এয়ার, আলজাজিরা এয়ারওয়েজ, কুয়েতভিত্তিক এয়ারলাইনস জাজিরা এয়ারওয়েজ ইত্যাদি। বর্তমানে এ বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনাকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ বিমান, ইউএস-বাংলা, এয়ার অ্যারাবিয়া, সালাম এয়ার ও ফ্লাই দুবাই।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, ‘বিদেশি বিমান সংস্থাগুলো এখানে এসেছে ব্যবসা করতে। প্রয়োজনীয়সংখ্যক যাত্রী পাচ্ছে না বলেই তারা ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।’ আটাব চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাবেক যুগ্মসম্পাদক এম এ মান্নান বলেন, ‘শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একের পর এক বিমান সংস্থার সেবা বন্ধের বিষয়টি দুঃখজনক। সংস্থাগুলোর চলে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নানান গাফিলতি এবং প্রয়োজনীয় যাত্রী না পাওয়া। বিমান সংস্থাগুলো চলে যাওয়ার কারণে প্রতিযোগিতা কমে গেছে। ফলে যাত্রীরা ন্যায্যমূল্যে টিকেট প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’

এদিকে শাহ আমানত বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক রুটে বিমান বন্ধের নেপথ্যে রয়েছে অভিযোগের পাহাড়। এর মধ্যে রয়েছে বিমানবন্দরের নানান অব্যবস্থাপনা, আন্তর্জাতিক মানের সুবিধা না থাকা, অবকাঠামো, প্যাসেঞ্জারি বিল্ডিং সক্ষমতা না থাকা, প্রয়োজনীয়সংখ্যক লাগেজ বেল্ট না থাকা অন্যতম। তবে রানওয়ের উন্নতিসহ নানান পদক্ষেপের কারণে বিমানবন্দর রানওয়ে দিয়ে এখন বাংলাদেশে আসা সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ ‘বোয়িং ৭৭৭’ কিংবা ‘বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার’ এবং ‘এয়ারবাস এ ৩২০’ নামতে পারছে অনায়াসে। তবে একসঙ্গে তিন-চার শ যাত্রীর ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার জন্য পর্যাপ্ত কাউন্টার নেই। নেই পর্যাপ্ত ব্যাগেজ বেল্ট। বেল্ট কক্ষেই যাত্রীদের জটলা লেগে যায়। আর যাত্রী বেশি হওয়ায় একেকটি লাগেজ পেতে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় লাগছে। তবে সংশ্লিষ্টদের মতে, বিদেশি এয়ার?লাইনসের ফ্লাইট চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে পরিচালনা বন্ধ হলেও বর্তমানে চালু থাকা এয়ারলাইনগুলো ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে। তবে সংস্থাগুলো কবে থেকে ফ্লাইট বাড়াবে সে বিষয়ে জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছে।


শাহ আমানত বিমানবন্দর   বিদেশি এয়ারলাইনস   ফ্লাইট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো কবে নিজ অর্থ নিতে পারবে, জানতে চেয়েছেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশ: ০৮:৫১ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশে বিনিয়োগের লভ্যাংশ নিতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এ অর্থ কত দিনে পরিশোধ করবে, তা জানতে চেয়েছেন সফররত দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারি সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু।

মঙ্গলবার (১৪ মে) প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের গুলশানের বাসভবনে নৈশভোজে এ বিষয়ে জানতে চান তিনি। নৈশভোজ শেষে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সালমান এফ রহমান।

তিনি বলেন, ‘ডলার সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছেন, মার্কিন যেসব প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করছে, অর্থছাড়ে দেরি হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ। তারা এও বলেছেন, আমরা বুঝি বাংলাদেশের রিজার্ভের ওপর চাপ রয়েছে। আলোচনার একপর্যায়ে বাংলাদেশ কত দিনে এ অর্থ দিতে পারবে, তা জানতে চান ডোনাল্ড লু’।

সালমান এফ রহমান বলেন, আমরা আশা করছি, আমাদের রিজার্ভ, রপ্তানি, সঙ্গে রেমিট্যান্সও বাড়বে। তাদের জানিয়েছি, আমাদের অর্থ পরিশোধে একটু সমস্যা হচ্ছে, দেরি হচ্ছে। তবে ক্রমাগত অর্থছাড় হচ্ছে, একেবারে বন্ধ হয়নি।

সালমান এফ রহমান আরও বলেন, ‘বৈঠকে ওনারা বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চায়। আমরা চাই বিশ্বাস পুনঃস্থাপন করতে। তখন আমরা বলেছি—হ্যাঁ, আমরাও চাই’।

নির্বাচনের আগে ও পরেও যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে কিছু ইস্যু ছিল জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেন। সেটা খুবই ইতিবাচক একটা চিঠি ছিল। তার পর থেকে আমরা তাদের সঙ্গে অ্যাংগেজমেন্ট শুরু করে দিলাম। সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রে প্রথমত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে তারা আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চায়। এ ছাড়া তারা বিদ্যুৎ খাত নিয়েও কাজ করতে চায়। ভুটান, নেপাল ও ভারতের সঙ্গে আমাদের বিদ্যুতের একটা আন্তঃযোগাযোগ চায়। আমরা ভারতসহ এ দেশগুলোর সঙ্গে কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছি, এটা জেনে তারা খুশি হয়েছে’।

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান সালমান এফ রহমান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য যথারীতি তারা ধন্যবাদ জানিয়েছে। একই সঙ্গে যতটুকু সাপোর্ট দেওয়া যায় সেটি দেবে বলে জানিয়েছে তারা। আমরা বলেছি রোহিঙ্গাদের যাতে ফেরত নেয় সে জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে। তারা বলেছে, আমরা চেষ্টা করছি। আবার এটাও বলেছে, মিয়ানমারের এখন যে অবস্থা তাতে প্রত্যাবাসনে সময় লাগবে।

ভিসানীতি এবং র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান বলেন, ভিসানীতি নিয়ে কোনো আলাপ হয়নি। তারাও কথা তোলেনি, আমরাও না। এখন তো মনে হচ্ছে ভিসা নিষেধাজ্ঞা বিএনপির ওপর দেওয়া উচিত। তবে র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আমরা তুলেছি। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরত দেওয়ার বিষয়েও কথা বলেছি। তখন তারা বলেছে, এ দুটো বিষয় তাদের বিচার বিভাগের বিষয়। তারা বিচার বিভাগকে জানিয়েছে, আমাদের র‍্যাবের বিষয়গুলোর উন্নতি হয়েছে। কিন্তু এটার একটা প্রক্রিয়া রয়েছে, সে অনুযায়ী তারা কার্যক্রম এগিয়ে নেবে।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সঙ্গে আমাদের কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে তারা বলেছেন, তোমরা যদি আইএলওর নীতিমালা অনুযায়ী শ্রমনীতি তৈরি কর, আইএলও থেকে যদি কোনো আপত্তি না থাকে তাহলে আমাদেরও কোনো আপত্তি নেই। কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও আইএলও দুপক্ষেরই নিয়মনীতি এখন এক। একটা সময় কিছুটা আলাদা ছিল কিন্তু এখন আর সেটা নেই। আমরা খুব আশাবাদী যে আইএলওর সঙ্গে আমাদের সমঝোতা হয়ে যাবে। হয়ে গেলে আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে আলাদা কোনো আপত্তি থাকবে না বলে তারা জানিয়েছে।

নৈশভোজে আরও উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, তথ্যমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী আলী আরাফাত, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সাবেক রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান ও ঢাকা স্কুল অব বিজনেসের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদ।


ডোনাল্ড লু   সালমান এফ রহমান   মার্কিন প্রতিষ্ঠান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উখিয়ায় আরসার আস্তানায় র‌্যাবের অভিযানে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার

প্রকাশ: ০৮:৩৪ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন লাল পাহাড়ে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এর আস্তানায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) অভিযান চালাচ্ছে। চলমান এই অভিযানে এরইমধ্যে আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড রকেট শেল উদ্ধারসহ আরসার দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে।

বুধবার (১৫ মে) ভোররাত থেকে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের গহীন পাহাড়ে অভিযান শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অভিযান চলমান আছে।

র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বেশকিছু দিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হেড মাঝিসহ কয়েক রোহিঙ্গাকে গুলি গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটছে। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব ক্যাম্পে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। তারই ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে উখিয়ার ক্যাম্পসংলগ্ন গহীন পাহাড়ে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার আস্তানা অবস্থান শনাক্ত করা হয়।

তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত ২টা থেকে অভিযান শুরু হয় এবং পুরো লাল পাহাড় ঘিরে ফেলা হয়। এক পর্যায়ে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ শুরু করে। এরপর র‌্যাব  পাল্টা গুলি ছোড়ে। পর্যন্ত একটি আস্তানা থেকে দুই সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড রকেট সেল উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান এখনো চলমান রয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান র‌্যাবের ওই অধিনায়ক।


উখিয়া   আরসা   অস্ত্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধু খুন

প্রকাশ: ০৮:২৫ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা মমিনুল ইসলাম রকি হত্যা মামলার আসামি আলী হাসান (৩০) বন্ধুর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছে। নিহত আলী হাসান বগুড়া শহরের মালগ্রাম পশ্চিমপাড়া এলাকার জিন্নাহর ছেলে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে সদর উপজেলার শহরদিঘি গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

পেশায় তিনি ট্রাকচালকের সহকারী। এ ছাড়াও আলী হাসান বগুড়া সদরের ফাঁপোড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুল ইসলাম রকি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ।

এ ঘটনায় জড়িত হাসানের বন্ধু সবুজ সওদাগর পলাতক রয়েছে। সবুজ সওদাগর বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের বগুড়া জেলা সভাপতি। তার বিরুদ্ধেও হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, দুপুরের দিকে সবুজ সওদাগরের বাড়িতে হাসান নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে হাসানকে হাসপাতালে নিয়ে যায় সবুজ। বিকালে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। সবুজ হত্যা মামলার আসামি। সে এবং তার পরিবারের সবাই মাদকাসক্ত। আমরা এলাকাবাসী অনেকবার তাদের সতর্ক করলেও কোনো কথা শোনেনি। হাসান সবুজের বাড়িতে নিয়মিত আসত। এখানে এসে তারা মাদক গ্রহণ করত।

ফাঁপোড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন, আমাকে অপরিচিত একটা নম্বর থেকে জানায় সবুজ সওদাগর এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে ঘরে ফেলে রেখেছে। পরে এলাকার লোকজন সবুজের বাড়িতে যায় এবং তাকে আটকানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশকে জানানো হয়।

তিনি আরও বলেন, সবুজ ও হাসান ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। এমনকি তারা একই হত্যা মামলার আসামিও ছিল। তাদের নানা অপকর্মে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ ছিল।

বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ‘ছুরিকাঘাতে আলী হাসান নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সে পলাতক রয়েছে। আমরা তাকে আইনের আওতায় আনতে অভিযান শুরু করেছি’।


খুন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন