তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ চায় সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হোক। বিএনপির জন্ম পেছনের দরজা দিয়ে, তারপরও আমরা আশা করি, আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে।’
রোববার (৮ মে) দুপুরে রাজধানীতে সিরডাপ মিলনায়তনে মা দিবস উপলক্ষে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আয়োজিত ‘গরবিনী মা’ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘করোনা মহামারি স্তিমিত হয়ে যাওয়ার পর প্রথম গতকাল প্রায় ৬ ঘন্টার বেশি সময় ধরে পূর্ণাঙ্গ কার্যকরি সভা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়মিতভাবেই দলের সম্মেলন হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন, সে লক্ষ্যে বিভিন্ন উপকমিটি গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এবং তিনি বলেছেন, আমরা বিএনপিসহ সমস্ত রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করতে চাই।’
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের জন্য বিএনপির দাবির বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের সময় নির্দলীয় সরকারের কোনো সম্ভাবনা নেই। পৃথিবীর গণতান্ত্রিক দেশ ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াসহ কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকান, সবখানে নির্বাচনের সময় বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে। তাছাড়া, নির্বাচন কখনো সরকারের অধীনে হয় না, নির্বাচন কমিশনের অধীনে হয় এবং নির্বাচনকালে সরকারের সবার চাকরি নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যাস্ত হয়। সুতরাং বিএনপিকে আসলে নির্বাচন ভীতি পেয়ে বসেছে। এই ভীতির ফলে তারা যে কেন স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করলো না, সেটিই অনেকের প্রশ্ন।’
এসময় রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স-আরএসএফের প্রতিবেদনে মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আফগানিস্তানের নিচে দেখানোর বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি ইতিপূর্বেও বলেছি এটি একটি বিদ্বেষমূলক প্রতিবেদন। আফগানিস্তানে যেখানে টেলিভিশনে সংবাদ উপস্থাপনের কারণে নারী সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করা হয়, যেখানে সাংবাদিকরা কোনভাবেই কাজ করতে পারে না, সেই আফগানিস্তানের নিচে বাংলাদেশের অবস্থান দেওয়ার মাধ্যমে আরএসএফ নিজেরাই প্রমাণ করেছে যে, তারা বিদ্বেষপ্রসূত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।’
সাম্প্রতিক রেলপথের ঘটনায় ‘রেলমন্ত্রী কথিত আত্মীয়দের চেনেন না’ এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘আমি মনে করি না যে মন্ত্রী মিথ্যা বলেছেন। আমার স্ত্রীর আত্মীয় সবাইকে আমি চিনি না, আমরা কেউই সব আত্মীয়কে চিনি না। পাশাপাশি আমি এটাও মনে করি যে, মন্ত্রী মহোদয়ের স্ত্রীর নির্দেশে কাউকে সাময়িক বরখাস্ত করা সমীচীন নয়।’
বিশ্ব মা দিবসে সকল মায়েদের প্রতি এবং বাবাদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, একজন মা যেভাবে সন্তানকে মানুষ করার জন্য যে কষ্ট করে, সেটা অন্য কেউ করে না। মায়ের ভালোবাসার সাথে অন্য কিছুর তুলনা হয় না। একটি আলোকিত জাতি গঠন করতে আলোকিত মা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার মা-বাবার ভরণপোষণের জন্য বিশেষ আইন করেছে। মা-বাবার ভরণপোষণ যদি না করা হয়, তাহলে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করে আইন করা হয়েছে। সে আইনের সুযোগ নিয়ে মামলাও করেছে অনেকে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই এটি হয়েছে।’
ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আশীষ কুমার চক্রবর্তীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী সম্মানিত অতিথি হিসেবে এবং সম্মাননাপ্রাপ্ত দশজন মায়ের সন্তানেরা বক্তব্য রাখেন। গরবিনী মা হিসেবে নাদেরা বেগম, সাজেদা খাতুন, তাসকিনা ফারুক, জ্যোৎস্না রানী ধর, লুৎফা বেগম, আখতারা খানম, ঝর্ণা ঘোষ, সুরাইয়া চৌধুরী, শারমিন আকতার ও প্রতিমা রানী দাশের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ তথ্যমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।