ইনসাইড গ্রাউন্ড

পরিসখ্যানে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল

প্রকাশ: ০৭:৩৪ পিএম, ২৮ মে, ২০২২


Thumbnail পরিসখ্যানে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল

ক্লাব ফুটবলের বিশ্বকাপ হিসেবে খ্যাত চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল ১৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে স্তাদ দো ফ্রান্সে। রাত ১টায় শুরু হতে যাচ্ছে ম্যাচটি। তার আগে দেখে নেয়া যাক চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের পরিসখ্যান।

সবচেয়ে বেশি চ্যাম্পিয়ন
৬ ফ্রান্সিসকো হেন্তো (রিয়াল মাদ্রিদ)
৫ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ)
৫ পাওলো মালদিনি (এসি মিলান)
৫ আলফ্রেডো ডি স্টেফানো (রিয়াল মাদ্রিদ)
৫ হোসে মারিয়া জারাগা (রিয়াল মাদ্রিদ)

চ্যাম্পিয়নস লিগ যুগে––––––––––
 ৫ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ)
 ৪ গ্যারেথ বেল (রিয়াল মাদ্রিদ)
 ৪ করিম বেনজেমা (রিয়াল মাদ্রিদ)
 ৪ দানি কারভাহাল (রিয়াল মাদ্রিদ)
 ৪ আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা (বার্সেলোনা)
 ৪ ইসকো (রিয়াল মাদ্রিদ)
 ৪ মার্সেলো (রিয়াল মাদ্রিদ)
 ৪ লুকা মদরিচ (রিয়াল মাদ্রিদ)
 ৪ সের্হিও রামোস (রিয়াল মাদ্রিদ)
 ৪ ক্লারেন্স সিডর্ফ (আয়াক্স, রিয়াল মাদ্রিদ, এসি মিলান)
 ** আরও ছয়জন খেলোয়াড় চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। তবে তাঁরা মাঠে নেমেছেন তিনটি ফাইনালে।

সবচেয়ে বেশি শিরোপা জেতার মতো সবচেয়ে বেশি ফাইনাল খেলার রেকর্ডও ফ্রান্সিসকো হেন্তোর। ১৯৫৬ থেকে ১৯৬৬ পর্যন্ত রিয়ালের হয়ে আটটি ফাইনাল খেলেছেন জেন্তো। এসি মিলানের পাওলো মালদিনি পরে ভাগ বসিয়েছেন হেন্তোর রেকর্ডে।

সবচেয়ে বেশি ফাইনাল
৮ ফ্রান্সিসকো হেন্তো (রিয়াল মাদ্রিদ)
৮ পাওলো মালদিনি (এসি মিলান)
৭ আলফ্রেডো ডি স্টেফানো (রিয়াল মাদ্রিদ)
৬ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ)

চ্যাম্পিয়নস লিগ যুগে––––––––––
৬ পাওলো মালদিনি (এসি মিলান)
৬ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ)
৫ প্যাট্রিস এভরা (মোনাকো, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, জুভেন্টাস)
৫ ক্লারেন্স সিডর্ফ (আয়াক্স, রিয়াল মাদ্রিদ, এসি মিলান)
৫ এডউইন ফন ডার সার (আয়াক্স, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড)

ফাইনালে সবচেয়ে বেশি গোল সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার আলফ্রেডো ডি স্টেফানো ও ফেরেঙ্ক পুসকাসের। দুজনই ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সাতটি করে গোল করেছেন। ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৯ পর্যন্ত প্রতিটি ফাইনালে একটি করে গোল করা ডি স্টেফানো ১৯৬০ সালে ফাইনালে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন। ওই ফাইনালেই চারটি গোল করেছিলেন হাঙ্গেরিয়ান মহাতারকা পুসকাস।

ফাইনালে সবচেয়ে বেশি গোল
৭ আলফ্রেডো ডি স্টেফানো (রিয়াল মাদ্রিদ)
৭ ফেরেঙ্ক পুসকাস (রিয়াল মাদ্রিদ)
৪ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড/রিয়াল মাদ্রিদ)
৩ গ্যারেথ বেল (রিয়াল মাদ্রিদ)
৩ ইউসেবিও (বেনফিকা)
৩ সান্দ্র মাজোলা (ইন্টার মিলান)
৩ গার্ড মুলার (বায়ার্ন মিউনিখ)
৩ পিয়েরিনো প্রাতি (এসি মিলান)
৩ হেক্টর রিয়াল (রিয়াল মাদ্রিদ)

চ্যাম্পিয়নস লিগ যুগে––––––––––
৪ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ)
৩ গ্যারেথ বেল (রিয়াল মাদ্রিদ)
২ স্যামুয়েল ইতো (বার্সেলোনা)
২ ফিলিপ্পো ইনজাগি (এসি মিলান)
২ দানিয়েলে মাসারো (এসি মিলান)
২ লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা)
২ সের্হিও রামোস (রিয়াল মাদ্রিদ)
২ রাউল (রিয়াল মাদ্রিদ)
২ মারিও মানজুকিচ (বায়ার্ন মিউনিখ, জুভেন্টাস)
২ হেরনান ক্রেসপো (এসি মিলান)
২ দিয়েগো মিলিতো (ইন্টার মিলান)
২ কার্ল-হাইঞ্জ রিডল (বরুসিয়া ডর্টমুন্ড)

এক ফাইনালে সবচেয়ে বেশি গোল
১৯৬০ সালের ফাইনালে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে চার গোল করেন রিয়াল মাদ্রিদের ফেরেঙ্ক পুসকাস। ওই ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করেন আলফ্রেডো ডি স্টেফানো। চ্যাম্পিয়নস লিগ যুগে কেউ হ্যাটট্রিক পাননি ফাইনালে।

ফাইনালে যত হ্যাটট্রিক––––––––––
৪ ফেরেঙ্ক পুসকাস (রিয়াল মাদ্রিদ-আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট, ১৮/০৫/১৯৬০)
৩ আলফ্রেডো ডি স্টেফানো (রিয়াল মাদ্রিদ-আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট, ১৮/০৫/১৯৬০)
৩ পিয়েরিনো প্রাতি (এসি মিলান-আয়াক্স, ২৮/০৫/১৯৬৯)

কোচদের রেকর্ড

এবার রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়ন হলে কোচ হিসেবে সবচেয়ে বেশি শিরোপা জেতার রেকর্ড গড়বেন কার্লো আনচেলত্তি। দলকে তিনবার চ্যাম্পিয়ন করে বব পেইসলি ও জিনেদিন জিদানের সঙ্গে রেকর্ডটা এখন ভাগাভাগি করছেন ইতালিয়ান কোচ।

সবচেয়ে বেশি চ্যাম্পিয়ন
৩ বব পেইসলি (লিভারপুল ১৯৭৭, ১৯৭৮, ১৯৮১)
৩ কার্লো আনচেলত্তি (এসি মিলান ২০০৩, ২০০৭, রিয়াল মাদ্রিদ ২০১৪)
৩ জিনেদিন জিদান (রিয়াল মাদ্রিদ ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮)

* পঞ্চমবারের মতো দলকে ফাইনালে উঠিয়ে এরই মধ্যে নতুন রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন কার্লো আনচেলত্তি। ইয়ুর্গেন ক্লপ চতুর্থবার ফাইনালে উঠলেন।

সবচেয়ে বেশি ফাইনাল
৫ কার্লো আনচেলত্তি (এসি মিলান ২০০৩, ২০০৫, ২০০৭, রিয়াল মাদ্রিদ ২০১৪, ২০২২)
৪ মার্সেলো লিপ্পি (জুভেন্টাস ১৯৯৬, ১৯৯৭, ১৯৯৮, ২০০৩)
৪ অ্যালেক্স ফার্গুসন (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ১৯৯৯, ২০০৮, ২০০৯, ২০১১)
৪ মিগুয়েল মুনোজ (রিয়াল মাদ্রিদ ১৯৬০, ১৯৬২, ১৯৬৪, ১৯৬৬)
৪ ইয়ুর্গেন ক্লপ (ডর্টমুন্ড ২০১৩, লিভারপুল ২০১৮, ২০১৯, ২০২২)

শিরোপার হ্যাটট্রিক
কোচ হিসেবে হ্যাটট্রিক শিরোপা জেতার একমাত্র কীর্তি জিনেদিন জিদানের (রিয়াল মাদ্রিদ ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮) । টানা দুই বছর শিরোপা জেতার কীর্তি আছে ৯ কোচের।

একাধিক ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়ন
পাঁচজন কোচ একাধিক ক্লাবের হয়ে ইউরোপ–সেরা হয়েছেন। প্রত্যেকেই দুটি ক্লাবকে জিতিয়েছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ।

কার্লো আনচেলত্তি (এসি মিলান ২০০৩, ২০০৭, রিয়াল মাদ্রিদ ২০১৪)
আর্নস্ট হাপেল (ফেইনুর্ড ১৯৭০, হামবুর্গ ১৯৮৩)
ইয়ুপ হেইঙ্কেস (রিয়াল মাদ্রিদ ১৯৯৮, বায়ার্ন মিউনিখ ২০১৩)
ওটমার হিটজফিল্ড (বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ১৯৯৭, বায়ার্ন মিউনিখ ২০০১)
জোসে মরিনিও (পোর্তো ২০০৪, ইন্টার মিলান ২০১০)

সবচেয়ে বেশি চ্যাম্পিয়ন

সবচেয়ে সফল দলটির দখলেই সবচেয়ে বেশি ফাইনাল খেলার রেকর্ড। এবারের আগে ১৬ বার ফাইনাল খেলে ১৩ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।

সবচেয়ে বেশি ফাইনাল (২০২১/২২ সহ)
১৭ রিয়াল মাদ্রিদ
১১ এসি মিলান
১১ বায়ার্ন মিউনিখ
১০ লিভারপুল
৯ জুভেন্টাস

১৯৫৬ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত ইউরোপিয়ান কাপের প্রথম পাঁচ আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয় রিয়াল মাদ্রিদ।

টানা চ্যাম্পিয়ন
৫ রিয়াল মাদ্রিদ (১৯৫৫/৫৬-১৯৫৯/৬০)
৩ আয়াক্স (১৯৭০/৭১-১৯৭২/৭৩)
৩ বায়ার্ন মিউনিখ (১৯৭৩/৭৪-১৯৭৫/৭৬)
৩ রিয়াল মাদ্রিদ (২০১৫/১৬-২০১৭/১৮)

টানা পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথেই টানা ফাইনাল খেলার রেকর্ডটাও করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর আর কোনো দল টানা তিনবারের বেশি ফাইনালে উঠতে পারেনি।

টানা ফাইনাল
৫ রিয়াল মাদ্রিদ (১৯৫৫/৫৬-১৯৫৯/৬০)
৩ এসি মিলান (১৯৯২/৯৩-১৯৯৪/৯৫)
৩ আয়াক্স (১৯৭০/৭১-১৯৭২/৭৩)
৩ বেনফিকা (১৯৬০/৬১-১৯৬২/৬৩)
৩ বায়ার্ন মিউনিখ (১৯৭৩/৭৪-১৯৭৫/৭৬)
৩ জুভেন্টাস (১৯৯৫/৯৬-১৯৯৭/৯৮)
৩ রিয়াল মাদ্রিদ (২০১৫/১৬-২০১৭/১৮)

সবচেয়ে বড় জয়
৭-৩ রিয়াল মাদ্রিদ-আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট (১৮/০৫/১৯৬০)
৪-০ বায়ার্ন মিউনিখ-আতলেতিকো মাদ্রিদ (১৭/০৫/১৯৭৪)
৪-০ এসি মিলান-স্টুয়া বুখারেস্ট (২৪/০৫/১৯৮৯)
৪-০ এসি মিলান-বার্সেলোনা (১৮/০৫/১৯৯৪)

অন্যান্য

সবচেয়ে বেশি বয়সে ফাইনাল
৪১ বছর ৮৬ দিন দিনো জফ (হামবুর্গ ১-০ জুভেন্টাস, ১৯৮২/৮৩)

সবচেয়ে বেশি বয়সে গোল
৩৬ বছর ৩৩৩ দিন পাওলো মালদিনি (এসি মিলান ৩-৩, অতিরিক্ত; টাইব্রেকারে লিভারপুল জয়ী ৩-২, ২০০৪/০৫)

সবচেয়ে বেশি বয়সী চ্যাম্পিয়ন
৩৮ বছর ৩৩১ দিন পাওলো মালদিনি (এসি মিলান ২-১ লিভারপুল, ২০০৬/০৭)

ফাইনালে সর্বকনিষ্ঠ
১৮ বছর ১৩৯ দিন আন্তোনিও সিমোস (বেনফিকা ৫-৩ রিয়াল মাদ্রিদ, ১৯৬১/৬২)

সবচেয়ে কম বয়সে গোল
১৮ বছর, ৩২৭ দিন প্যাট্রিক ক্লাইভার্ট (আয়াক্স ১-০ এসি মিলান, ১৯৯৪/৯৫)

সবচেয়ে কম বয়সী চ্যাম্পিয়ন
১৮ বছর ১৩৯ দিন আন্তোনিও সিমোস (বেনফিকা ৫-৩ রিয়াল মাদ্রিদ, ১৯৬১/৬২)


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে স্পেন ফুটবল

প্রকাশ: ০৮:৩০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার আইন অনুযায়ী, কোনো দেশের ফুটবল ফেডারেশনে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ অবৈধ। যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে তবে সেই দেশকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। তেমনই এক নিষেধাজ্ঞার  কবলে পড়তে পারে স্পেন ফুটবলের কার্যক্রম।

দেশটির ফুটবল ফেডারেশনকে (আরএফইএফ) পরিচালনার জন্য বিশেষ কমিটি ঘোষণা করে স্পেনের সরকার। মূলত এ কারণেই ফিফা থেকে নিষেধাজ্ঞা পেতে পারে তারা।

নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ‘ফুটবল ফেডারেশন চলমান সংকট ও স্পেনের স্বার্থ রক্ষায় দেশটির সরকার এই বিশেষ কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সিএসডি)। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিশেষ কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয় স্পেনের সরকারি সংস্থা সিএসডি।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরএফইএফ যে গুরুতর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা ঠিক করতে এবং সংস্থাটির পুনর্জাগরণ ঘটাতে স্পেন সরকার একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফেডারেশনের তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্বের জন্য এ কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন স্বীকৃত মর্যাদাবান স্বতন্ত্র ব্যক্তিরা।’

স্বাভাবিকভাবে এ বিশেষ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়াকে ভালোভাবে নেয়নি ফিফা ও উয়েফা। এক যৌথ বিবৃতিতে দুই সংস্থা জানিয়েছে, ‘সিএসডির তথাকথিত তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্ব কমিশন আরএফইএফের স্বাধীনভাবে ও সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়াই কার্যাবলি পরিচালনার বাধ্যবাধকতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ফিফা এবং উয়েফা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে অতিরিক্ত তথ্য চাইবে।’

গত বছর নারী ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে স্পেন। সেবার শিরোপা বিতরণের মঞ্চে চুমু-কাণ্ডে ফেডারেশনের প্রধানের পদ হারান লুইস রুবিয়ালেস। আর দুর্নীতির অভিযোগে আটক হন তিনি। এরপর থেকেই  অস্থিরতা চলছে স্প্যানিশ ফুটবলে।

আগামী জুনে জামার্নিতে বসবে ইউরো কাপ। এর আগে নিষেধাজ্ঞা পেলে ইউরোপীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে বিপাকে পড়তে হতে পারে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।


স্পেন ফুটবল   ফিফা   আরএফইএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার নারী এশিয়া কাপে প্রথমবার আম্পায়ারিং করবেন সাথিরা

প্রকাশ: ০৭:৪৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি

এবারের নারী এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো আম্পায়ারিং করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসি। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) জেসিকে বিষয়টি ইতোমধ্যেই মৌখিকভাবে অবগত করেছে।

এ বিষয়ে জেসি বলেন, ‘চলতি বছরের জুলাইতে এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করবো। বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।’

জেসির ঝুলিতে এর আগেও ইমার্জিং এশিয়া কাপে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। গত বছরের জুনে এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে হংকংয়ে। এছাড়া চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এসিসি প্রিমিয়ার কাপে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন জেসি।

চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় হবে এবারের নারী এশিয়া কাপ। গত এশিয়া কাপ বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হলেও দেশি কোনো আম্পায়ার ছিল না।

বাংলাদেশ দলের হয়ে তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা জেসির পুরো মনোযোগ এখন আম্পায়ারিংয়ে। এখন পর্যন্ত ৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সামনেই ঘরের মাঠে আছে বিশ্বকাপ। জেসি এখন নিজেকে প্রস্তুতি করছেন বৈশ্বিক মঞ্চে দায়িত্ব পালনের জন্য।

তিনি বলেন, ‘আমি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট করছি নিয়মিত। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ, তো অবশ্যই স্বপ্ন দেখি। আমি প্রস্তুত বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালনের জন্য।’


নারী ক্রিকেট   এশিয়া কাপ   বাংলাদেশ   আম্পায়ারিং   সাথিরা জাকির জেসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘লিওনেল মেসিই সর্বকালের সেরা ফুটবলার’

প্রকাশ: ০৫:৩৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব ফুটবলে উঠতি তারকাদের আইডলদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শোনা যায় লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথা। এই যেমন- কিলিয়ান এমবাপ্পের রোনালদো, লামিনে ইয়ামালের লিও মেসি। বিশ্ব ফুটবলে এত তারকা, কিংবদন্তি থাকতে এদেরকেই সবচেয়ে বেশি আইডল মানার কারণটাও অবশ্য সকলেরই জানা। প্রায় দুই দশক ধরে ফুটবল বিশ্বকে যেন নিজেদের খেলা দিয়ে মোহে আটকে রেখেছেন তারাই।

বর্তমানে উঠতি তারকা যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে খেলার ধরনে লিওনেল মেসির সঙ্গে কিছুটা মিল আছে জামাল মুসিয়ালার। জার্মানীর এই তরুণ এখনও আছেন ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে। তবে হাঁটছেন মেসির পথ ধরেই। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নিজের সবচেয়ে পছন্দের ফুটবলার বলে কথা জানালেন মুসিয়ালা। তিনি জানান, মেসিকে দেখেই নাকি ফুটবলকে ভালোবাসার শুরু তার। তাই সর্বকালের সেরাও মানেন এই আর্জেন্টাইনকে।

সময়ের অন্যতম সেরা দুই ফুটবলার মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এতে সবাই একমত। তবে দ্বন্দ্ব হয় কে সেরা তা নিয়ে! এই প্রশ্নের উত্তর গত দেড় দশক ধরে দিয়ে আসছেন সাবেক ও বর্তমান ফুটবলাররা।

সম্প্রতি বায়ার্ন টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসিকে সেরা বলেছেন মুসিয়ালা। বায়ার্নের এই ফুটবলার বলেন, 'দুজনই ভালো ফুটবলার, তবে আমার চোখে সবসময়ই মেসি সর্বকালের সেরা ফুটবলার।'

জার্মান দলেও মুসিয়ালা এখন নিয়মিত। পরেন ‘আইকনিক’ ১০ নম্বর জার্সি। যা আবার লিওনেল মেসিরও জার্সি নম্বর। যাকে দেখে বড় হওয়া তার জার্সি নম্বর গায়ে জড়ানোকে স্বপ্ন পূরণ বলছেন এই ২১ বছর বয়সী ফুটবলার।

তিনি বলেন, 'ছোট থেকেই ১০ নম্বর জার্সি পরাটা ছিল স্বপ্নের মতো। তখনই দেখেছি মেসির মতো বড় ফুটবলাররা এই নম্বরটাই পরে। তবে আমি মাঠে কখনোই এগুলো মাথায় আসতে দেই না। এগুলো বাড়তি চাপ তৈরি করে।'


লিওনেল মেসি   আর্জেন্টিনা   ইন্টার মায়ামি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অস্ট্রেলিয়ার সফল অধিনায়কের সংগ্রহে হাজার ব্যাট, কারণ কী?

প্রকাশ: ০৫:০৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail রিকি পন্টিং

শিরোপার দিক থেকে ধরতে গেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের রাজা ধরা হয় অস্ট্রেলিয়াকে। আর অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল অধিনায়ক হচ্ছেন রিকি পন্টিং। কারণ তার নেতৃত্বেই দুইবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে অজিরা। তবে পন্টিং তার বর্ণাঢ্য এই ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন এক যুগ আগেই।

ক্রিকেটার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ারকে বিদায় বললেও ছেড়ে যাননি এই প্রাঙ্গণ। এখনও নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন ক্রিকেটের মধ্যেই। বর্তমানে আইপিএলের দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ তিনি। সম্প্রতি দলটির এক সাক্ষাৎকারে নিজের সংগ্রহে থাকা ১ হাজার ব্যাটের বিষয়টি জানিয়েছেন এই অজি কিংবদন্তি।

রিকি পন্টিং বলেন, ‘বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমি প্রথম যে ব্যাট দিয়ে খেলেছি এখনো বাড়িতে সেটি সংগ্রহে আছে। এমনকি ব্যাটের গায়ে থাকা স্টিকারসহ প্রতিটি জিনিসই আছে অক্ষত অবস্থায়। এভাবে সবমিলিয়ে এক হাজার ব্যাট আছে আমার কাছে, কিছু কিছু ব্যাট একটা আরেকটার চেয়ে বেশি স্পেশাল।’

২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। সৌরভ গাঙ্গুলির দলের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন একাই চুরমার করে দেন পন্টিং। সেই ম্যাচে ১৪০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন ডানহাতি এ ব্যাটার।

সেই ব্যাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই (সংগ্রহে আছে)। তবে এটি এমন নয় যে, বাসায় প্রদর্শনের জন্য রেখে দিয়েছি এসব, সব গ্যারেজে রাখা আছে।’


রিকি পন্টিং   অস্ট্রেলিয়া   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মুশফিকের আউট নিয়ে বিতর্ক, স্ট্যাটাসে নিজেই লিখলেন ‘মাশা আল্লাহ’

প্রকাশ: ০৪:১১ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। যেখানে প্রতিনিয়ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে প্রতিনিয়ত। তবে এবার ডিপিএলে সৃষ্টি হয়েছে নতুন এক বিতর্ক। আর সেটি হচ্ছে মুশফিকুর রহিমের আউট নিয়ে।

গতকাল হাইভোল্টেজ ম্যাচে মোহামেডানের মুখোমুখি হয়েছিল প্রাইম ব্যাংক। ম্যাচটিতে ছক্কা মেরেও বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আউট হন মুশফিকুর রহিম। এ নিয়ে ম্যাচটি বেশকিছু সময় বন্ধ ছিল। এমনকি ম্যাচ শেষেও হাত মেলাননি দুদলের খেলোয়াড়। এবার সেই বিতর্কে ঘি ঢাললেন মুশফিক নিজেই।

শুক্রবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে একটি পোস্ট করেছেন মুশফিক। বাউন্ডারি লাইনে আবু হায়দার রনির সেই ক্যাচের একটি ছবি পোস্ট করে মুশি লিখেছেন, ‘মাশাল্লাহ’। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন তিনটি ইমোজি। মুশফিক আজ পোস্ট করার পর দ্রুতই তা অনেকের নজরে এসেছে। পোস্টের প্রথম ৩৭ মিনিটেই মন্তব্য ৩ হাজারের বেশি। প্রতিক্রিয়া এসেছে ৩৬ হাজার। শেয়ার হয়েছে ৫৭২ বার।

মুশফিকের সতীর্থ রুবেল হোসেন মন্তব্য করেছেন, ‘খুবই দুঃখজনক ভাই’। রুবেল এরপর দুঃখের ইমোজি দিয়েছেন।  

এর আগে বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ৩১৮ রান সংগ্রহ করে মোহামেডান। লক্ষ্য তাড়ায় খেলতে নামা আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় মুশফিককে।

প্রাইম ব্যাংক ইনিংসের ৩৪তম ওভারে ব্যক্তিগত ১০ রানে নাঈম হাসানকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন প্রাইম ব্যাংকের মুশফিক। তবে ব্যাটে-বলে সংযোগ ঠিক মতো হয়নি।

এ সময় বাউন্ডারি লাইনে থাকা ফিল্ডার আবু হায়দার রনি দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে বল তালুবন্দি করেন। কিন্তু ডাইভ দিয়ে উঠতে গিয়ে রনির পা স্পর্শ করে বাউন্ডারি রশিতে। তবুও মুশফিককে আউট ঘোষণা করেন আম্পায়ার!

মুশফিকের ক্যাচ নিয়েই ভোঁ দৌড় দেন রনি। উল্লাসে মেতে ওঠেন সতীর্থদের সঙ্গে। ড্রেসিংরুমের পথে হাঁটা ধরেন মুশফিক। যেতে গিয়েও গেলেন না মুশি। প্রাইম ব্যাংক এটি ছয়ের আবেদন জানায়। প্রায় মিনিট পনেরোর মতো সময় বন্ধ থাকে খেলা।

রিপ্লে’তে দেখা যায় ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ নেয়ার পর রনি ভারসাম্য হারিয়ে মাঠে গড়ান দেন। বল হাত থেকে না ফসকালেও ওঠার সময় বাঁধে বিপত্তি। পা লেগে যায় বাউন্ডারি লাইনে। আম্পায়াররা শেষ পর্যন্ত এটিকে আউট ঘোষণা করেন।

অবশ্য একটা পর্যায়ে আম্পায়ার সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেন মোহামেডানের উপর। তারা যদি নট আউট মেনে নেয় তাহলে মুশফিক মাঠে থাকতে পারবেন। তবে মোহামেডানের অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের নারাজিতে শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে হয় মুশফিককে।


মুশফিকুর রহিম   ডিপিএল   ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন