ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তানে অর্থনীতির ঝুঁকি এড়াতে প্রয়োজন স্থিতিশীল রাজনীতি: দ্য ইকোনমিস্ট

প্রকাশ: ০৪:৪৭ পিএম, ০৩ জুন, ২০২২


Thumbnail পাকিস্তানে অর্থনীতির ঝুঁকি এড়াতে প্রয়োজন স্থিতিশীল রাজনীতি: দ্য ইকোনমিস্ট

সম্প্রতি পিটিআই প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ডাকা রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে আজাদি মার্চ ঘিরে সম্প্রতি পাকিস্তানে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে, ‘আমদানি করা’ সরকারকে উৎখাত করার জন্য নতুন নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ করেন ইমরান খান। স্পষ্ট ভাষায় সশস্ত্রবাহিনীর সমালোচনাও করছে তার দল। 

ইমরান খানের অভিযোগ তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে আমেরিকার হাত রয়েছে এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে সরানো হয়েছে। কারণ তিনি আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ইমরান খানের সমর্থকরাও এটিতে সায় দিচ্ছেন। তবে আমেরিকা বলছে ‘এটা ভিত্তিহীন কথা’।

গত ২৫ মে সমর্থকদের রাজধানীতে মিছিল করার এবং নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন ইমরান খান। এদিকে, লংমার্চ শুরুর আগে থেকেই ইসলামাবাদ অবরুদ্ধ করে দেয় পাকিস্তান সরকার। গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডসহ শহরগুলোয় প্রবেশের সব পথে পুলিশ ব্যারিকেড বসানো হয়। রাজধানীতে পার্লামেন্ট ভবন, বিভিন্ন দেশের দূতাবাসসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। অবশেষে নির্বাচনের জন্য ৩১ মে নতুন সময়সীমা ঘোষণা করেন ইমরান খান এবং সরকার তা না মানলে আরও মিছিলের হুঁশিয়ারি দেন। 

ইমরান খানের সর্বশেষ কর্মসূচির বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পার হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত নতুন কোনো পদযাত্রার ডাক দেননি তিনি। কিছু পর্যবেক্ষক সন্দেহ করেন যে রাজধানীতে তার সমর্থকদের সমাবেশ করার জন্য সময় লাগবে। অনেকেই মনে করেন ইসলামাবাদে তার অচিরেই ফেরার সম্ভাবনা নেই। 

নতুন প্রধানমন্ত্রী, পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই, শাহবাজ শরিফ কেন আগাম নির্বাচন ডাকতে রাজি হবেন তা বলা আসলেই কঠিন। দুই মাসেরও কম বয়সী তার সরকার। এই অল্প সময়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করার জন্য অস্থায়ী পদক্ষেপ নিয়েছে ক্ষমতাসীন শাহবাজ সরকার। কিন্তু অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় এখনো কোনো কৌশল তৈরি করতে পারেনি ক্ষমতাসীন সরকার। এর একটি বড় কারণ ইমরান খানের আন্দোলন এটিকে বিভ্রান্ত করে রেখেছে। শাহবাজ শরিফও রাজনৈতিক উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। গত মাসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রবাসে থাকা তার বড় ভাইয়ের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার জন্য বিমানে চড়ে লন্ডনেও গিয়েছিলেন। 

দেশটির আর্থিক অবস্থা গভীর সংকটের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে। মহামারির পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব রয়েছে। এছাড়া কয়েক দশকের অব্যবস্থাপনা, সামরিক ব্যয়ের বাইরে, ঋণ-চালিত অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর ওপর ফোকাস কোনো রিটার্ন তৈরি করেনি। এতে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত মে মাসে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি ১৩ দশমিক ৮ এ দাঁড়ায়, যা মূলত খাদ্য ও পরিবহনের মূল্য দ্বারা চালিত হয়। পাকিস্তানে এপ্রিলের শুরু থেকে রুপি ডলারের বিপরীতে তার মূল্যের ৮ শতাংশ হারিয়েছে। বিদেশি রিজার্ভ ২০ মে পর্যন্ত ১০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা মাত্র ছয় সপ্তাহের জন্য আমদানি করার জন্য যথেষ্ট।

পাকিস্তান শেষবার আইএমএফের কাছে সাহায্য চাওয়ার সময় থেকে ২০১৯ সাল থেকে রিজার্ভ সর্বনিম্ন স্তরে রয়েছে। ইমরান খান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, মূলত ভর্তুকি কমাতে এবং অর্থনীতি সংস্কার করতে সম্মত হন আইএমএফের সঙ্গে ছয় বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করতে। কিন্তু তার পরিবর্তে জ্বালানির দাম কমিয়ে দেন। দেশটি বাজেট এবং চলতি হিসাব উভয় ক্ষেত্রেই ঘাটতিতে পড়েছে। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী বলেন, জুন থেকে শুরু হওয়া অর্থবছরের জন্য এটির প্রায় ৩৭ শতাংশ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অর্থায়ন প্রয়োজন। 

গত ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন। জ্বালানিতে ভর্তুকি কমানোর ঘোষণা দিয়েছে তার সরকার। এদিকে, পেট্রোল ও ডিজেলের দাম আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে আরও ৩০ রুপি বাড়ানো দামে বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি পণ্য। ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘৩০ রুপি দাম বাড়ানোর পরও প্রতি লিটার পেট্রোলে এখনো ৯ রুপি ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। আমরা জ্বালানি তেল থেকে কোনো ধরনের শুল্ক নিচ্ছি না।’

এই মাসে বিদ্যুতে ভর্তুকি হ্রাস এবং একটি বাজেট পাসের ঘোষণা আসতে পারে সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া এবং আগাম নির্বাচন আহ্বান করা সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার অন্তরায় কাজ করবে। আইএমএফ এমন একটি সরকারকে গুরুত্ব সহকারে নেবে যা কয়েক সপ্তাহের বেশি ক্ষমতায় নাও থাকতে পারে, বিশেষ করে ইমরান খান ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারে এমন ঝুঁকির কারণে। নভেম্বরে নতুন সেনাপ্রধানের নিয়োগ রাজনৈতিক ভারসাম্যের ক্ষেত্রে আরও অনিশ্চয়তা যোগ করবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে, সেই সাথে প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতেও। দেশটির অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে দরকার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা।  

পাকিস্তান   অর্থনীতি   দ্য ইকোনমিস্ট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধান মিলেছে

প্রকাশ: ০২:০০ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি পাওয়া গেছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। কিন্তু প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং অন্যান্যদের অবস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

তবে ইরানের রেড ক্রিসেন্টের এক কর্মকর্তা, যিনি হেলিকপ্টারটির উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন, তিনি জানিয়েছেন হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়ার উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে। স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যম বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার খুঁজে পাওয়ার ‘অসমর্থিত’ তথ্য প্রকাশ করেছে। খবর আল-জাজিরার

দেশটির রাষ্ট্রায়াত্ত টেলিভিশনের এক সাংবাদিক জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ানের বরাতে জানিয়েছেন, হেলিকপ্টার খুঁজে পাওয়ার কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।

কিন্তু ওই সাংবাদিক জানিয়েছেন, ধারণা করা হচ্ছে, যেখানে হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখান থেকে উদ্ধারকারীরা আর মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে রয়েছেন।

রোববার দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি আছড়ে পড়ে। ওই সময় এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছিলেন।

যেখানে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে উদ্ধারকারীরা পায়ে হেঁটে যান। জায়গাটি এতটাই দুর্গম যে সেখানে পৌঁছাতে উদ্ধারকারীদের কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানিয়েছিলেন কর্মকর্তারা।

রোববার আজারবাইজানে একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা হেলিকপ্টারে করে তাবরিজে যাচ্ছিলেন। সেখানেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ইরানি বার্তাসংস্থা ইরনা নিউজ জানিয়েছে, সেখানকার স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন, তারা প্রচণ্ড জোরে কিছু আছড়ে পড়ার শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন।

প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার তথ্য জানার পরই ঘটনাস্থলে কমান্ডো বাহিনী ও উদ্ধারকারীদের পাঠানো হয়।


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইব্রাহিম রাইসির বেঁচে থাকা নিয়ে শঙ্কিত দেশটির কর্মকর্তারা

প্রকাশ: ০১:২৯ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। রোববার (১৯ মে) ইরানের প্রদেশ আজারবাইজান থেকে ফেরার পথে সীমান্ত এলাকায় প্রচণ্ড কুয়াশার কারণে এটি পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্মকর্তারা। খবর রয়টার্সের

সরকারি ওই কর্মকর্তা বলেন, দুর্ঘটনার কারণে ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। তারপরও আমরা আশাবাদি। তবে সেখান থেকে যে খবর আসছে তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। 

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকর্মীদের উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে। একটি দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে। সেখানে প্রচণ্ড বৃষ্টি এবং ঠাণ্ডা পড়ছে। ফলে উদ্ধার কর্মীরা পৌঁছাতে পারছে না। 

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সব অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং রাইসির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে। যে এলাকায় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে তার লাইভ সম্প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু এতে চারদিকে কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। 

২০২১ সালে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ৬৩ বছর বয়সী রাইসি। তার সময়ে দেশটিতে কঠোরভাবে নৈতিক আইন প্রয়োগ করা হয়। কঠোর নৈতিক আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে সরকার বিরোধী বিক্ষোভও তাকে সামাল দিতে হয়েছে। 


ইব্রাহিম রাইসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির আকস্মিক মৃত্যু হলে কে হবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট?

প্রকাশ: ১০:৩৮ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনারকবলে পড়েছে। উত্তর-পশ্চিম ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা শহরে এটি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে অবতরণ করে। হেলিকপ্টারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নরসহ আরও বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন।

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমির ভাহিদি জানিয়েছেন, একাধিক উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। তবে তাদের সেখানে পৌঁছাতে সময় লাগবে। কারণ বর্তমানে সেখানে প্রতিকূল আবহাওয়া বিরাজ করছে।

এদিকে কী কারণে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে তা এখনও স্পষ্ট করা যায়নি। দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

ইরানি বার্তাসংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। এর মধ্যে দুটি নিরাপদে অবতরণ করেছে।

প্রেসিডেন্টের আকস্মিক মৃত্যু হলে, ইরানের সংবিধান অনুযায়ী প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট সর্বোচ্চ নেতার অনুমোদনক্রমে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। বর্তমানে এ দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ মোখবার।

প্রশ্ন দেখা দিয়েছে রাইসির আকস্মিক মৃত্যু হলে কে হবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট? ইরানের রাজনৈতিক শ্রেণিবিন্যাস অনুসারে, রাষ্ট্রের প্রধান হলেন সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনি এবং প্রেসিডেন্টকে সরকারের প্রধান সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

যখন সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মারা যান, তখন প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট দায়িত্বে থাকবেন এবং ৫০ দিনের মধ্যে দেশকে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নির্বাচনে যেতে হবে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ইরানি প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারে না থাকা এবং হেলিকপ্টার থেকে যোগাযোগ করার যে তথ্য ছড়ানো হয়েছে সেগুলোর কোনোটিই সত্যি নয়। সত্য হলো রাইসি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন এবং তাকে খুঁজে পেতে অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ভাহিদি বলেছেন, বিভিন্ন উদ্ধারকারী দল হেলিকপ্টারটির সন্ধানে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে। খারাপ আবহাওয়া ও কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাস্থলে যেতে সময় লাগবে।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং উদ্ধারকারী দল তাদের কাজ করছে। আমরা আশা করছি যত দ্রুত সম্ভব এটি সম্পন্ন হবে।

ইরান বিভিন্ন ধরনের হেলিকপ্টার ব্যবহার করে। তবে কয়েক দশক ধরে পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখায় নতুন হেলিকপ্টার অথবা যন্ত্রাংশ ক্রয় করতে পারে না দেশটি। দেশটির সামরিক বাহিনীর অনেক হেলিকপ্টার ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের সময়েরও আগের।

উল্লেখ্য, ৬৩ বছর বয়সী ইব্রাহিম রাইসি ২০২১ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ইরানের রাজনীতিতে খুবই প্রভাবশালী এই নেতাকে দেশটির পরবর্তী সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হিসেবে দেখা হয়।

ইরানের প্রেসিডেন্ট   ইব্রাহিম রাইসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

প্রকাশ: ১০:১৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ তাদের সঙ্গীদের। ঘটনাস্থলে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজও ব্যাহত হচ্ছে।

রোববার দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেখানে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঘন কুয়াশার কারণে ৫ মিটারের বেশি দূরত্বে কিছু দেখা যাচ্ছে না বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল জাজিরা।

হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতোল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে–হাশেম ছিলেন।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার খবরে বলা হয়েছে, যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেটি পার্বত্য অঞ্চল এবং বন–জঙ্গলে ঘেরা। ইরানের জরুরি সেবা সংস্থার মুখপাত্র বাবাক ইয়েকতাপারাস্ত ইরনাকে বলেছেন, ঘটনাস্থলের উদ্দেশে একটি উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে সেটি সেখানে পৌঁছাতে পারেনি।

ইরানের একটি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম টুইটারে বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, উদ্ধারকারী কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পূর্ব আজারবাইজানের রাজধানী তাবরিজ শহর থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য আহমদ আলী রেজা বেইগি বলেছেন, উদ্ধারকারীরা এখনো প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারের অবস্থান শনাক্ত করতে পারেননি। বৃষ্টি ও কুয়াশার কারণে উদ্ধাকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

৪০টি উদ্ধারকারী দল উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আল–জাজিরার সাংবাদিক আলী হাশেম। উদ্ধারকারীদের সঙ্গে আটটি অ্যাম্বুলেন্স ও একাধিক ড্রোন রয়েছে।

এসব সত্ত্বেও হেলিকপ্টারটি না খুঁজে পাওয়ার কারণ সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফুয়াদ ইজাদি বলেছেন, ‘হয়তো দুর্ঘটনাটি খুবই মারাত্মক হয়েছে বা যেখানে দুর্ঘটনাটি হয়েছে সেখানে যোগাযোগের নেটওয়ার্ক নেই। তাই হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।’

আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি জলাধার প্রকল্প উদ্বোধনের পর আজ হেলিকপ্টারটিতে করে ফিরছিলেন রাইসি। এ যাত্রায় প্রেসিডেন্টের বহরে থাকা অন্য দুটি হেলিকপ্টার অক্ষত রয়েছে।

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত   ইরানের প্রেসিডেন্ট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সৌদি আরবের বাদশাহ অসুস্থ

প্রকাশ: ০৯:৪১ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ। এক মাসের কম সময়ের মধ্যে তার স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা করানো হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিবৃতিতে সৌদি আরবের রয়্যাল কোর্ট আজ রোববার এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেদ্দার আল-সালামের একটি ক্লিনিকে বাদশাহ সালমানের স্বাস্থ্যের কয়েকটি পরীক্ষা করা হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাদশাহ সালমান জ্বর ও অস্থিসন্ধির ব্যথায় ভুগছেন। চিকিৎসকেরা তার স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা করবেন। এর মাধ্যমে তিনি সুস্থ্ আছেন কি না, সেটি নিশ্চিত করা হবে।

৮৮ বছর বয়সী বাদশাহ সালমান ২০১৫ সালে সৌদি আরবের সিংহাসনে বসেন। এর দুই বছর পর ২০১৭ সালের জুনে সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত হন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (৩৮)। মূলত এর পর থেকেই তিনি সৌদির কার্যত নেতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।

এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে বাদশাহ সালমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ওই সময় তার কোলোনস্কপি করা হয়েছিল। 

সৌদি আরব   বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন