ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিশ্বে করোনায় দৈনিক মৃত্যু ও শনাক্ত বেড়েছে

প্রকাশ: ০৮:৩১ এএম, ০৭ জুন, ২০২২


Thumbnail বিশ্বে করোনায় দৈনিক মৃত্যু ও শনাক্ত বেড়েছে

বিশ্বজুড়ে চলমান মহামারি করোনাভাইরাসে  দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। পাশাপাশি আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। সারাবিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় ৭০০ জন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখেরও বেশি মানুষ।

মঙ্গলবার (৭ জুন) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৯১ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে দুই শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৩ লাখ ২১ হাজার ২৫০ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ১১ হাজার ৬৭৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১৫ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ কোটি ৫৭ লাখ ৬০ হাজার ১৪১ জনে।

এইদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে তাইওয়ান। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৫১ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৫৩ হাজার ২৩ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২৪ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৯০ জনের

অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে উত্তর কোরিয়ায়। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬ হাজার ৬৮০ জন। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪১ লাখ ৩৭ হাজার ১৬০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭১ জন মারা গেছেন।

করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৬২ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৩১ লাখ ৮৪ হাজার ৯৯৭ জন এবং মারা গেছেন ৫ লাখ ২৪ হাজার ৭০১ জন।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫০ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪১ হাজার ৩৫৩ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ১১ লাখ ৯৫ হাজার ১১৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৬৭ হাজার ১০৬ জনের।

এছাড়াও,  গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১০৮ জন, রাশিয়ায় ৬৪ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায়  ২১ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩৩ জন, থাইল্যান্ডে  ২৭ জন, ইতালিতে ৭০ জন, জাপানে ১৭ জন,  অস্ট্রেলিয়ায়  ১৯ জন, গ্রিসে ১৪ জন, চিলিতে  ১৮ জন মার গেছেন। 

বিশ্ব করোনাভাইরাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের ভরাডুবির শঙ্কা

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে সাত দফায় লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। শনিবার (০১ জুন) সপ্তম দফায় ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে নির্বাচন সমাপ্ত হয়। নির্বাচনের আধ ঘন্টা পর থেকে বুথফেরত ফলাফল প্রকাশ শুরু করে ভারতের গণমাধ্যমগুলো।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের মমতা ব্যানার্জির দল তৃণমূল কংগ্রেসের ভরাডুবির আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে অঞ্চলেও বাজিমাত করতে যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে লোকসভার ৪২টি আসন রয়েছে। অঞ্চলে ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপি ১৮ আসন পায়। যা ছিল বড় চমক। অন্যদিকে এটি তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য ছিল বড় ধাক্কা। তারা পেয়েছিল ২০টি আসন। ছাড়া রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস বাকি দুটি আসন পেয়েছিল ।

রাজ্যটিতে গতবারের চেয়ে এবারের নির্বাচনে বড় ধাক্কা খেতে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনে আসনের দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে এবার বিজেপি সবচেয়ে বড় দল হতে যাচ্ছে বলে অন্তত ৪টি বুথফেরত জরিপে বলা হয়েছে।

ইন্ডিয়া নিউজ-ডি-ডায়নামিকসের জরিপে বলা হয়েছে, নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ১৯ আসনে আর বিজেপি ২১ আসনে জয় পেতে পারে।

জান কি বাতের জরিপে বলা হয়েছে, এবার ২১ থেকে ২৬টি আসন জিততে পারে বিজেপি। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে থাকতে পারে ১৬ থেকে ১৮ আসন।

পাবলিক ভারত-মাত্রিজ জানিয়েছে, নিজেদের আসনে ভরাডুবি হতে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির। তার দল তৃণমূল কংগ্রেস পেতে যাচ্ছে ১৬ থেকে ২০ আসন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি পেতে পারে ২১ থেকে ২৫ আসন।

জরিপ সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, ২০১৯ সালের মতো এবারও রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস দুটি আসন পেতে পারে। অন্যদিকে জরিপসংস্থা বাংলার তথ্যমতে কংগ্রেস কোনো আসন নাও পেতে পারে।

এদিকে সপ্তম দফায় ৫৭ আসনে মোট ৯০৭ জন প্রার্থী লড়েছেন। জনতার দরবারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরভাগ্যপরীক্ষাএই দফাতেই হবে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো।

এনডিটিভি জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের বারাণসী আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নরেন্দ্র মোদি। যেখান থেকে গত দুইবার লোকসভার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদি। তবে ফলাফল কী হবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে জুন পর্যন্ত।

এদিকে শেষ দফা ভোটের আগে, দক্ষিণ ভারতের শেষ ভূখণ্ড কন্যাকুমারীতে সমুদ্রের মধ্যে অবস্থিতবিবেকানন্দ রক’- গিয়ে ধ্যানে বসেছেন নরেন্দ্র মোদি। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে সেখানে শুরু হয়েছে তার ধ্যানপর্ব আরাধনা। শনিবার ভোট পর্ব শেষে  তিনি ধ্যান ভঙ্গ করেছেন।


লোকসভা নির্বাচন   পশ্চিমবঙ্গ   তৃণমূল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বুথফেরত জরিপ: হ্যাটট্রিক করতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি

প্রকাশ: ০৯:৫৮ পিএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে লোকসভা নির্বাচেনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। শনিবার (০১ জুন) সপ্তম ধাপে ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ নির্বাচন সমাপ্ত হয়েছে। আগামী ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করবে দেশটির নির্বাচন কমিশন। তবে এরইমধ্যে বুথফেরত ফলাফল ঘোষণা করেছে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। এতে বলা হয়েছে, এবার হ্যাটট্রিক করতে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নির্বাচনে দেশটির বড় দুটি জোটের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। এ দুটি হলো ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট।

শনিবার ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই দেশটির সংবাদমাধ্যমে বুথফেরত জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। তবে জরিপের ফলাফল অনেক সময় উল্টো দেখা যায়। এর আগে ২০১৯ সালের নির্বাচনে এনডিএ জোট ৩৫৩ আসন পেয়েছিল।

দেশটির অন্তত ৪টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত বুথফেরত জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছে, বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট লোকসভা নির্বাচনে ৩৫০টিরও বেশি আসন পেতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে হ্যাটট্রিক করতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি।

এনডিটিভি জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতের ৪টি সংবাদমাধ্যম ও সংস্থার বুথফেরত জরিপের তথ্যানুসারে, এবারের নির্বাচনে লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে ৩৫০টির বেশি আসনে এনডিএ জয় পেতে পারে। ভারতের সংবিধানের তথ্যানুসারে, নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ২৭১ আসনের প্রয়োজন।


বুথফেরত জরিপ   হ্যাটট্রিক   নরেন্দ্র মোদি   ভারত নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বুথফেরত জরিপ চূড়ান্ত ফলের পূর্বাভাস

প্রকাশ: ০৯:৩১ পিএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোট গ্রহণ শেষ হয়ে গেছে। তবে শেষ দফার ভোট শেষ হওয়ার আগেই বুথফেরত জরিপ নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। নির্বাচনের ফলের আভাস পেতে বুথফেরত জরিপ গুরুত্বপূর্ণ।

ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ৫৪৩ আসনে সরাসরি ভোট হয়। আগামী মঙ্গলবার ( জুন) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করার কথা। তবে বুথফেরতের জরিপের ফলাফল আসতে শুরু করেছে।

ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা পর; অর্থাৎ স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে বুথফেরত জরিপের ফলাফল দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার শুরু হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির জরিপে বলা হচ্ছে এনডিএ ৩৬১, আইএনডিআইএ ১৪৫, অন্যান্য দল ৩৭ টি আসন পেতে পারে।

ভোট দেওয়ার পর কেন্দ্রের সামনেই ভোটারদের সঙ্গে কথা বলার মাধ্যমে জরিপ চালানো হয়। এটাকেই বলা হয় বুথফেরত জরিপ। নির্বাচন চলার সময়ে ভারতে বুথফেরত জরিপের ফলাফল প্রকাশ নিষিদ্ধ। তবে পুরো ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা পর ফলাফল প্রকাশ করা যায়। সেই হিসাবে আজ সন্ধ্যা ছয়টার পর বুথফেরত জরিপের ফলাফল আসতে শুরু হয়েছে।

২০১৪ সালের বেশির ভাগ বুথফেরত জরিপে পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ক্ষমতায় আসছে। কিন্তু এনডিএ যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে, সেই পূর্বাভাস ছিল না।

ওই বছর ইন্ডিয়া টুডে-সিসেরোর জরিপে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, এনডিএ জোট ২৭২ আসন পেতে যাচ্ছে। ছাড়া নিউজ টোয়েন্টিফোর-চাণক্য ৩৪০ আসন, সিএনএন-আইবিএন-সিএসডিএস ২৮০, টাইমস নাউ-ওআরজি ২৪৯, এবিপি নিউজ-নিয়েলসেন ২৭৪, এনডিটিভি-হানসা রিসার্চ পূর্বাভাস দিয়েছিল এনডিএ ২৭৯ আসন পাবে। প্রকৃতপক্ষে এনডিএ জোট ওই নির্বাচনে জিতেছিল ৩৩৬ আসনে। এর মধ্যে ২৮২টি আসন পেয়েছিল বিজেপি।

২০১৪ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের বিপুলসংখ্যক আসন হারানোর পূর্বাভাসও দিতে পারেনি কোনো বুথফেরত জরিপ। সেই নির্বাচনে ইন্ডিয়া টুডে-সিসেরোর জরিপে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, ইউপিএ জোট ১১৫ আসন পেতে যাচ্ছে। ছাড়া নিউজ টোয়েন্টিফোর-চাণক্য ১০১ আসন, সিএনএন-আইবিএন-সিএসডিএস ৯৭, টাইমস নাউ-ওআরজি ১৪৮, এবিপি নিউজ-নিয়েলসেন ৯৭, এনডিটিভি-হানসা রিসার্চ পূর্বাভাস দিয়েছিল, ১০৩ আসন ইউপিএ পেতে পারে। প্রকৃতপক্ষে ইউপিএ জোট ওই নির্বাচনে জিতেছিল মাত্র ৬০টি আসনে। এর মধ্যে ৪৪টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস।

২০১৯ সাল; অর্থাৎ গত লোকসভা নির্বাচনেও বুথফেরত জরিপে বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। বুথফেরত জরিপের পূর্বাভাসই শেষ পর্যন্ত সত্যি হয়েছিল সেবার। গত নির্বাচনে বুথফেরত জরিপে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের আবারও পরাজয়ের পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত হয়েছিলও তা-ই।

গত নির্বাচনের পর ইন্ডিয়া টুডে-এক্সিসের বুথফেরত জরিপে দেখা গিয়েছিল, ইউপিএ জোট ৭৭ থেকে ১০৮টি আসন পেতে পারে। ছাড়া  নিউজ টোয়েন্টিফোর-চাণক্য ৯৫ আসনে, নিউজ এইটিন-ইপসোস ৮২, টাইমস নাউ ভিএমআর ১৩২, ইন্ডিয়া টিভি-সিএনএক্স ১২০, সুদর্শন নিউজ পূর্বাভাস দিয়েছিল, ইউপিএ ১২৪ আসন পাচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত ইউপিএ জোট পেয়েছিল ৯১টি আসন। এর মধ্যে কংগ্রেস ৫২ আসনে জিতেছিল।


জরিপ   ফল   পূর্বাভাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জয়ের পথে আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস

প্রকাশ: ০৬:৩৭ পিএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

দক্ষিণ আফ্রিকায় সাধারণ নির্বাচনে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত ৯৮ শতাংশ ভোটকেন্দ্রের গণনা শেষ হয়েছে। এতে ৪০ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছে ক্ষমতাসীন দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি) দক্ষিণ আফ্রিকার নির্বাচন কমিশন বলেছে আগামীকাল রোববার (২ জুন) চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

এএনসি এগিয়ে থাকলেও এখন পর্যন্ত যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তাতে বলা যায়, ৩০ বছরে এই প্রথমবারের মতো দলটি ৫০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করতে পারছে না। আর তাহলে জোট সরকার গঠনের জন্য তাদের বিরোধী দলগুলোকে কাছে টানতে হবে।

গত বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকায় সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। ভোট গণনা এখন প্রায় শেষের দিকে। আজ  সকালে ৯৮ শতাংশ কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে, প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (ডিএ) ২১ দশমিক ৭১ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। আর ১৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার দল উমখুনটো উই সিজ (এমকে)

সুস্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ওয়েস্টার্ন কেপ প্রদেশে ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আবারও ক্ষমতায় ফিরছে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। শুধু কোয়াজুলু নাটাল ওয়েস্টার্ন কেপই নয়, গাওতেং প্রদেশেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে এএনসি। গাওতেংয়ের মতো কিছু প্রদেশে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে এএনসিকে জোট করতে হবে।

রাজনীতি-বিশ্লেষক সিজ মোপোফু-ওয়ালশ মনে করেন, এই ফলাফলের মধ্য দিয়ে ইঙ্গিত মিলছে যেএএনসির আধিপত্যের সমাপ্তিঘটতে যাচ্ছে। আল জাজিরাকে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটা ভালো। যতটা আশা, ততটা ভয়ও থাকা উচিত। কী ঘটতে যাচ্ছে, মানুষ উদ্বিগ্ন অনিশ্চিত। এর মধ্য দিয়ে পরিবর্তন জবাবদিহির নতুন পথ খুলবে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদী শাসনামল অবসানের পর ১৯৯৪ সালে অনুষ্ঠিত অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার নেতৃত্বাধীন এএনসি জয়লাভ করে। এরপর পাঁচ বছর পরপর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৩০ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে এএনসি। তবে ক্ষমতা ধরে রাখলেও ধারাবাহিকভাবেই এএনসির ভোট কমছিল। সর্বশেষ ২০১৯ সালের নির্বাচনে ৫৭ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পায় এএনসি।


জয়   আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

৪৭ নিয়োগদাতার লাইসেন্স স্থগিত করল মালয়েশিয়া

প্রকাশ: ০৬:১৫ পিএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মালয়েশিয়ার ৪৭ নিয়োগদাতার লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার (৩১ মে) মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়।

শনিবার ( জুন) থেকে আর কোনো শ্রমিক মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন না। তাই আগমুহূর্তে শেষ সুযোগ হিসেবে দেশটিতে বিপুল পরিমাণ শ্রমিক নিয়ে গেছে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

অভিযোগ রয়েছে, বিদেশ থেকে শ্রমিক আনার পর তাদের বিমানবন্দর থেকে পুনর্বাসন করছে না নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে নতুন করে আসা শ্রমিকদের অনেকেই আটকা পড়ে আছেন বিমানবন্দরে। সেখানে এখন তিলধারণের ঠাঁই নেই।

হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে মালয়েশিয়ায় আসা হাজার হাজার শ্রমিকের বেশিরভাগই বাংলাদেশি। তাদের যেসব চাকরির লোভ দেখিয়ে মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসা হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে তা হয়তো ভুয়া। তারা প্রতারণার ফাঁদে পড়তে পারেন।

শ্রমিক অধিকারকর্মীরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দালালরা ভুয়া চাকরির লোভ দেখিয়ে বাংলাদেশি শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে আসত। শুধু কারণে মালয়েশিয়া শ্রমবাজার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। তবে এই দালাল এবং প্রতারকদের দৌরাত্ম্য বন্ধ হয়নি।

ফলে গত কয়েকদিনে যেসব বাংলাদেশি শ্রমিক তাড়াহুড়া করে মালয়েশিয়ায় গেছেন তারা প্রতারণার শিকার হতে পারেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অধিকারকর্মীরা।


নিয়োগদাতা   লাইসেন্স   মালয়েশিয়া  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন