পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান বলেছেন, ঢাকা শহরের অধিকাংশ দোকান বা মার্কেটের সামনে আমরা একটি চিত্র সবসময় দেখি। আর সেটা হলো দোকানদার তার দোকান ঝাড়ু দিয়ে বা মার্কেট ঝাঁড়ু দিয়ে রাস্তার পাশে যে ছোট ড্রেন আছে তার মুখে ফেলে দেয়। যেখানে অধিকাংশ ময়লাই থাকে পলিথিন জাতীয়। যে পলিথিন আমাদের পরিবেশ দূষণকে আরো বেশি তরান্বিত করে।
পরিবেশ দূষণরোধে নাগরিকের কি ধরনের ভূমিকা হওয়া উচিত তা নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেছেন প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান। পাঠকদের জন্য প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।
প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান বলেন, আসলে আমরা কেউ আমাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি না। আমাদের সবারই উচিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা। সেটা আমাদের নিজেদের জন্য, আমাদের পরিবেশের জন্য এবং আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য। আামদের দেশের রাস্তা-ঘাটে যে আর্বজনা থাকে সেখানে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের আর্বজনা থাকে এবং এগুলো দুর্গন্ধ ছড়ায়। দুর্গন্ধ ছড়ায় মানেই পরিবেশ দূষণ। অর্থাৎ দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে মানে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। আর এই দুর্গন্ধ শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের শ্বাসতন্ত্রের ভিতরে প্রবেশ করছে। যেটা আমাদের শরীরে মারাত্নকভাবে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। সদরঘাটের পানি থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায় তার মানে এটা দূষণ। এই চিত্র আমাদের সারা দেশে।
তিনি আরও বলেন, এক্ষেত্রে আমাদের দুই ধরনের দায় রয়েছে। এক হচ্ছে যারা এই সমস্ত ময়লা আর্বজনা সংগ্রহের দায়িত্বে থাকে সেটা সিটি করপোরেশন কিংবা পৌর সভা হতে পারে। তাদের উচিত তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা। আরেকটি হচ্ছে আমরা যারা নাগরিক আছি আমাদেরও দায়িত্ব আছে, আমাদের ব্যবহার্য পণ্য যেন যেখানে সেখানে না ফেলে সঠিক স্থানে ফেলা।
কেন এই দূষণ কমছে না এমন প্রশ্নে প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান বলেন, দূষণ না কমার মূল কারণ হচ্ছে যেখানে যারা মেগা প্রজেক্টগুলো করে যেমন ওয়াসা, তিতাস, ডেসকো ইত্যাদি যে খোঁড়াখুঁড়ি করে তা কোনরকম নিয়ম মেনে পরিবেশ সংরক্ষণ করে কাজটি করছে না। কিন্তু তা করতে তারা বাধ্য। কেন তারা করছেন না? কারণ তারা সবাই তাদের ইচ্ছামত কাজ করছে, এখানে কোনো জবাবদিহিতা নাই। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে যারা এদেরকে মনিটরিং করবে, মূলত পরিবেশ অধিদপ্তর, বিআরটি, যার যেখানে কর্মকাণ্ড তারা সেখানে মনিটরিং করছে না ঠিকমতো। আমাদের যারা মেজর প্রকল্প চালান, যারা দেখেন এই প্রতিষ্ঠানগুলো এরা কিন্তু প্রত্যেকেই বিদেশি বড় বড় প্রতিষ্ঠান। তারা তাদের দেশে বা অন্য কোনো দেশে এভাবে কর্মকান্ড করতে পারে না কিন্তু এখানে করছে। তারচেয়েও দুঃখজনক হলো, এইসব প্রকল্পে যারা কাজ করেন আমাদের দেশীয়, এরা অনেকেই আছেন যারা সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এরাও তাদের সঙ্গে মিলে এই দূষণের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেছেন, এপ্রিল মাসে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। এটা একটু কষ্টদায়ক বটে। তবে মে মাসেও তো আবহাওয়া এমন থাকবে এবং সে সময় প্রচন্ড গরম থাকবে। কিন্তু তাই বলে তো আর স্কুল, কলেজ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এত লম্বা সময় ধরে বন্ধ রাখা যায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দলের নির্দেশনা মানতে পারেননি, তারা তো না পারার দলে। দল থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপির পরিবারের সদস্য বা নিকট আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন না। এটা ছিল দলের বৃহত্তর স্বার্থে। সেজন্য সেটা পালন করা সবাই নৈতিক দায়িত্ব ছিল। কিন্তু যখন কেউ কেউ সেই নির্দেশ মান্য করেননি সেটার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। দলের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট নিয়ে আমার বড় প্রশ্ন রয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে স্বজনদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এর মধ্য দিয়ে একটি স্পষ্ট হয়েছে যে, রাজনীতির মধ্য দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর উত্থান হয়েছে এবং তিনি যে দল ও ত্যাগী নেতাদের ভালোবাসেন, তাদের প্রতি যে তার মমত্ববোধ সেটি প্রকাশ পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির এই সিদ্ধান্তের কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা রাজনীতিতে নতুন আলোর সঞ্চার দেখছেন এবং তারা নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন যে, রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছেই থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। ঘরে থাকলে ফ্যান ও এসি চালু করে তাকে ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। বেশি বেশি পানি, ফলের জুস পান করাতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির প্রেশার কমে যাওয়া, প্রস্রাব বন্ধ, পালস কমে যাওয়া বা অজ্ঞান হয়ে গেলে দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না বলেছেন, বুয়েটে শুধু ছাত্রলীগ ছাত্ররাজনীতি চায় না। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোও তো ছাত্ররাজনীতি চায়। তাহলে কেন শুধু এখন সামনে ছাত্রলীগের নাম সামনে আসছে। বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি চাচ্ছে তাদের প্রথম পরিচয় তারা বুয়েটের ছাত্র। আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ যেটা করেছে যে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করেছে, এটা বুয়েট প্রশাসন করতে পারে না। তাদের এখতিয়ার নেই। দেশের প্রচলিত মৌলিক আইন যেখানে আমাকে অধিকার দিয়েছে বুয়েট সেটা নিষিদ্ধ করতে পারে না। আইনে বলা হয়েছে, দেশের প্রচলিত আইন এবং নিয়মের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হবে। সেখানে বুয়েট তো বাংলাদেশের বাইরের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। দেশের নিয়মেই তো বুয়েট চলার কথা। কিন্তু সেখানে বুয়েট প্রশাসন কীভাবে আমার মৌলিক অধিকার রহিত করে? আমার ক্যাম্পাসে আমি মুক্ত চিন্তায় ঘুরবো, আমি কথা বলবো, আমি স্লোগান দিবো, আমি বক্তৃতা দিবো, আমি পড়াশুনা করবো। এটা থেকে বুয়েট কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাকে বঞ্চিত করতে পারে।