নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৫ পিএম, ০৮ জানুয়ারী, ২০১৮
সৌদি আরবে জিয়া পরিবারের ৫০০ কোটি টাকা জব্দ হয়েছিল। এর মধ্যে ১৫০ কোটি টাকা জরিমানা দিয়ে জব্দকৃত অর্থের বাকি ৩৫০ কোটি টাকা বৈধ করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের আল-তামিমি অ্যান্ড কোং ল ফার্মের উদ্যোগে সম্প্রতি এই অর্থ হালালকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে সৌদি আরবের একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সৌদি আরবের একাধিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সৌদি দুর্নীতি দমন বিষয়ক একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি সৌদি রাজপরিবারসহ কয়েকজন বিদেশির সেখানে লগ্নিকৃত অর্থ বৈধ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। ৩০ শতাংশ হারে জরিমানা দিয়ে সৌদিতে অবৈধ অর্থ বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়। এই সুযোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি অর্থ বৈধ করেন সৌদি প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন তালাল। আর বিদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জরিমানা দিয়ে সৌদিতে অর্থ বৈধ করেছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি। এর পরই আছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তিনিও বড় অংকের জরিমানা গুনেই অর্থ বৈধ করেছেন। আর ৩০ শতাংশ হারে ১৫০ কোটি টাকা জরিমানা দিয়ে অর্থ বৈধ করেছে জিয়া পরিবার। জরিমানার পরিমাণ বিবেচনায় জিয়া পরিবারের অবস্থান তৃতীয় সর্বোচ্চ।
অর্থ বৈধ করা বিষয়ক দুর্নীতি দমনের কমিটিতে অংশ নিয়ে জিয়া পরিবারের নিয়োজিত ল ফার্ম আল-তামিমি অ্যান্ড কোং জানায়, বেগম জিয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে দেশের জনগণ খুশি হয়ে জিয়া পরিবারকে ওই অর্থ দিয়েছে। তবে নিরাপত্তার কারণে এবং বাজেয়াপ্তের আশঙ্কায় ওই অর্থ সৌদিতে এনে বিনিয়োগ করেছে জিয়া পরিবার। জানা গেছে, ৩০ শতাংশ জরিমানা দিয়ে বৈধ করা অর্থ সৌদিতেই লগ্নি করতে হবে। জিয়ার পরিবারের নিয়োজিত ল ফার্ম জরিমানা দিয়ে সৌদিতে অর্থ লগ্নি রাখার শর্তও মেনে নেয়।
গত ৩০ নভেম্বরে বাংলা ইনসাইডারের ‘সৌদিতে জিয়া পরিবারের ৫০০ কোটি টাকা জব্দ‘ (http://bit.ly/2yThK96) শিরোনামে প্রতিবেদনে জিয়া পরিবারের সৌদিতে অবৈধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়। এর আগেই অবশ্য বিশ্ব গণমাধ্যমে সৌদি আরবে প্রিন্সসহ বিদেশি বিভিন্ন রাজনীতিবিদের অবৈধ অর্থ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। আর জিয়া পরিবারের অবৈধ অর্থের খবর অনেক গণমাধ্যমে এলেও তা ভিত্তিহীন বলে দাবি করে বিএনপি। তবে বিএনপির ওই দাবি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের মধ্যেই জিয়া পরিবারের সৌদি অর্থ রক্ষায় ল ফার্ম নিযুক্ত করার খবর গণমাধ্যমে আসে। এই বিষয়ে ‘জিয়া পরিবারের অবৈধ অর্থ রক্ষায় ল ফার্ম’ (http://bit.ly/2B3ri2X) শিরোনামে প্রতিবেদন করে বাংলা ইনসাইডার। ডিসেম্বরের শুরুর দিকেই জিয়া পরিবারের নিযুক্ত হওয়া ল ফার্ম আল-তামিমি অ্যান্ড কোং তাদের নামের প্রতি সুবিচার করে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে মাত্র মাসখানের মধ্যেই সৌদিতে জিয়া পরিবারের অবৈধ অর্থ বৈধ করতে সক্ষম হলো।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন