আজ মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকাল ৬টা থেকে ফরিদপুর থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় বাস চলাচল শুরু হয়েছে। করিম গ্রুপের গোল্ডেন লাইন নামে একটি বাস যাত্রী নিয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকার সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোল্ডেন লাইনের ফরিদপুর কাউন্টারের ব্যবস্থাপক অরুণ সাহা।
করিম গ্রুপের মালিকানাধীন গোল্ডেন লাইন পরিবহনের ব্যবস্থাপক মো. ইমরান হোসেন বলেন, ফরিদপুরে বেশ কয়েকটি পরিবহনের বাস ঢাকা-গাবতলী পথে ফেরি পারাপারে চলাচল করলেও শুধু গোল্ডেন লাইন পরিবহনের বাস ভাঙ্গা এক্সপ্রেস মহাসড়ক হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা যাওয়ার অনুমতি পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ফরিদপুর থেকে এই পরিবহন কোম্পানির ৩০টি বাস ঢাকা যাতায়াতের জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) অনুমতি পেয়েছে। এর মধ্যে থেকে প্রথম পর্যায়ে ১০টি বাস পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় যাওয়ার অনুমতি পেয়েছে। এক্ষেত্রে আপাতত আমরা ভাড়া ৩৫০ টাকা করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরে প্রয়োজন হলে এ ব্যাপারে সমন্বয় করা হবে।
গোল্ডেন লাইনের ফরিদপুর কাউন্টারের ব্যবস্থাপক অরুণ সাহা বলেন, আমাদের ইচ্ছা এবং ফরিদপুরের যাত্রীদের আকাঙ্ক্ষা ছিল পদ্মা সেতু সর্বসাধারণের জন্য খোলার দিনে বাস চলাচল শুরু করার। কিন্তু অনুমোদন না পাওয়ায় পদ্মা সেতু দিয়ে বাস চলাচল শুরুর দুই দিন পর আজ থেকে বাস চলাচল শুরু করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, সোমবার এ ব্যাপারে বিআরটিএর আনুষ্ঠানিক অনুমতি আমরা পেয়েছি। এ জন্য আজ সকাল ৬টায় পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকার সায়েদাবাদের উদ্দেশে আমাদের প্রথম বাসটি ছেড়ে গেছে।
গোল্ডেন লাইন পরিবহন সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর থেকে দৌলতদিয়া ঘাট হয়ে ফেরি পারাপারে ঢাকার গাবতলী যেতে নন এসি ৪০ আসনের বাসে যাত্রী প্রতি ভাড়া নেওয়া হয় ৩৫০ টাকা। পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকার সায়েদাবাদগামী বাসে যাত্রী প্রতি ভাড়াও ৩৫০ টাকায় থাকবে। ৬টা থেকে শুরু হয়ে প্রতি ঘণ্টায় বাস চলাচল করবে এই রুটে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।