নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩৩ পিএম, ১১ জানুয়ারী, ২০১৮
ওয়ান ইলেভেনের এক দশক পূর্তি আজ। ২০০৭ সালের এই দিনে নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক সহিংসতার মুখে আসে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করে নতুন তত্ত্বাবধয়াক সরকার। বাতিল হয় ২২ জানুয়ারির নির্বাচন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলা হলেও আসলে এটা ছিল ছদ্মাবরণে সেনা শাসন। ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য সেনাবাহিনীর ভূমিকাকে সমর্থন জানায়। ওয়ান ইলেভেন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেই দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের নামে শুরু করে রাজনীতিবিদদের ধরপাকড়। এরপর শুরু হয় মাইনাস ফর্মুলা। দুই নেত্রীকে রাজনীতি থেকে বিদায় করতে তাঁদের বিরুদ্ধে করা হয় একাধিক মামলা। গ্রেপ্তার করা হয় দুই নেত্রীকে। আওয়ামী লীগ, বিএনপির বেশি কিছু শীর্ষ নেতা মাইনাস ফর্মুলায় সমর্থন দেয়। আওয়ামী লীগের আমীর হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাক এবং প্রয়াত সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত রাজনৈতিক সংস্কারের আড়ালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। বিএনপিতেও প্রয়াত সাইফুর রহমান, প্রয়াত আব্দুল মান্নান ভুইঞা জেনারেল মাহাবুবুর রহমান এবং মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন নেতৃত্ব থেকে বেগম জিয়ার অপসারন চান। বিএনপি দৃশ্যত: ভেঙ্গে যায়। কিন্তু আওয়ামী লীগে সংস্কারপন্থীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন কয়েকজন নেতা এবং বুদ্ধিজীবী। এদের মধ্যে প্রয়াত জিল্লুর রহমান ছিলেন প্রধান। মূলত: তাঁর কারণেই আওয়ামী লীগ ভাঙ্গনের হাত থেকে বেঁচে যায়। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বেগম মতিয়া চৌধুরী দৃড়ভাবে সংস্কারপন্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি অটুট আস্থা প্রকাশ করে দলকে ঐক্যবদ্ধ করেন। আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ড. আলাউদ্দিন, ডা. দিপু মনি, অ্যডভোকেট সাহারা খাতুন, অ্যাকভোকেট কামরুল শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থানে নিয়ে পাদ-প্রদীপে আসেন। অন্যদিকে অধ্যাপক আবু সাঈয়ীদ, মাহমুদুর রহমান মান্না, মুকুল বোস, সুলতান মোহাম্মদ, মনসুর আহমেদরা শেখ হাসিনার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে কর্মীদের চোখে ভিলেনে পরণত হন। দলের বিশিষ্ঠ চক্ষু চিকিৎসক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী শেখ হাসিনার সুচিকিৎসার দাবিতে একক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। বিএনপিতেও প্রয়াত খন্দকার দেলোয়ার হোসেন বেগম জিয়ার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন। রুহুল কবীর রিজভীও সংস্কারপন্থীদের বিরুদ্ধে দাঁড়ান।
আজ ১০ বছর পর ফিরে তাকালে দেখা যায়, প্রধান দুই দলেই সংস্কারপন্থীদের জয়জয়কার। আওয়ামী লগের প্রধান দুই সংস্কাপন্থী এখন মন্ত্রী। শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারীরা এখন সাইডলাইনে।
ওয়ান ইলেভেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুই নেত্রীর কতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। ১০ বছর পর দুই নেত্রীই তাঁদের দলের নিরঙ্কুশ ক্ষমতাবান।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কমলা ভাসিন অ্যাওয়ার্ড খুশী কবির
মন্তব্য করুন
সুশীল ডোনাল্ড লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বদিউল আলম মজুমদার আদিলুর রহমান খান
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও একমত বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার (১৫ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, “গাজায় শান্তি স্থাপন করার বিষয়টি আমরা আলোচনা করেছি। তিনি (ডোনাল্ড লু) বলেছেন, ইউএস অত্যন্ত টায়ারডলেসলি (অক্লান্তভাবে) কাজ করছে যাতে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তিনি আমাকে যেটুকু বলেছেন- ‘তারা আশাবাদী’।”
‘আমরা বলেছি, গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে, নিরীহ নারী ও শিশুকে হত্যা করা হচ্ছে। ৩৫ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, তার মধ্যে ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু’, যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এটি আসলে মেনে নেয়া যায় না। আমি বলেছি, টেলিভিশনে যখন এগুলো দেখি, তখন টেলিভিশন দেখা কন্টিনিউ করতে পারি না। সেখানে শান্তি স্থাপন করা দরকার। তিনিও একমত যে, সেখানে শান্তি স্থাপন করা দরকার। তিনি জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য টায়ারলেসলি কাজ করছেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক খুবই চমৎকার। আমাদের বহুমাত্রিক সহযোগিতার ক্ষেত্র রয়েছে। একইসাথে গত ৫৩ বছরের আমাদের অভিযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যে কারণে ডোনাল্ড লুকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তিনি সম্পর্ককে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছেন। সেই অভিপ্রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছেন।’
‘আমাদের আলোচনা সেই লক্ষ্যেই হয়েছে। একক দেশ হিসেবে আমাদের রফতানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশও যুক্তরাষ্ট্র। আমি ডোনাল্ড লু’কে অনুরোধ জানিয়েছি, বাংলাদেশে ৪০টি আইটি ভিলেজ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেখানে যাতে যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ বাড়ায়। যদিও কিছু বিনিয়োগ তারা এরইমধ্যে করেছে।’
হাসান মাহমুদ ডোনাল্ড লু ফিলিস্তিন গাজা
মন্তব্য করুন
রাজধানী ঢাকায় যেন ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার (১৫ মে) বনানীতে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে আয়োজিত সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যাটারিচালিত কোনো গাড়ি (তিন চাকার) যেন ঢাকা সিটিতে না চলে। আমরা ২২টি মহাসড়কে নিষিদ্ধ করেছি। শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, চলতে যেন না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর আগে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঢাকার মধ্যে অটোরিকশা বন্ধে সম্মতি জানান।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ভয়াবহ ব্যাপার যখন রিকশাচালকরা দুই পা ওপরে উঠিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়। অনেক প্রতিবন্ধী আছেন যারা চোখে কিছুটা কম দেখেন তারাও এই রিকশা নিয়ে নেমে পড়েন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সিদ্ধান্তে আসা দরকার যে ঢাকায় ইজি বা অটোরিকশা চলবে না। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
সভায় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানী ওবায়দুল কাদের অটোরিকশা
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের চাকরির বাজারের প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হওয়ার জনপ্রিয়তা সবচাইতে বেশি। চাকরিপ্রত্যাশীদের মতে সরকারি চাকরির মত পেশাগত নিরাপত্তা আর কোথাও নেই। আর সেজন্যই অনেক দেশে বেশি বয়সে সরকারি চাকরির আবেদনের সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশে এর সীমাবদ্ধতা ৩০ বছরে রয়েছে। সরকারি চাকরির কোন কোন ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতার দরকার হয়। সেই দক্ষতা অর্জনের জন্য বাড়তি সময়ের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া চাকরির আবেদনের বয়স যতই থাকুক না কেন, পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ অনির্দিষ্ট হয় না। একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৫ বা ৭ বার সিভিল সার্ভিসের জন্য আবেদন করতে পারেন। আমাদের দেশেও যেকোন যুক্তিতে বয়স বাড়াতে গেলে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত।
জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করতে কমলা ভাসিন অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আজাদ ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইন্ডিয়া এবং আই পার্টনার-ইন্ডিয়া যৌথভাবে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করবে। জেন্ডার সমতা নিয়ে কর্মরত দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাসকারী যে কেউ এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারেন। আগামী ৭ জুনের মধ্যে এই আবেদন করতে হবে।
বাংলাদেশে সুশীল সমাজের কিছু প্রতিনিধি আছেন যাদেরকে মনে করা হয় তারা মার্কিনপন্থী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে তারা গর্ব অনুভব করেন। কথায় কথায় মার্কিন দূতাবাসে যান। সেখানে প্রাতঃরাশ, মধ্যাহ্নভোজ, নৈশভোজে মিলিত হন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যা বলে তারা তার চেয়ে তিন ধাপ গলা উঁচিয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশ নিয়ে তাদের কোন ভালবাসা নেই, প্রেম নেই, আগ্রহ নাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এবং নীতি বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করাই যেন তাদের প্রধান লক্ষ্য। এই সমস্ত সুশীলদেরকে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রোফোন।