জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সৌরমণ্ডল বা সৌরজগতের পৃথিবীসহ যে ৭টি গ্রহ সূর্য নামক নক্ষত্রটিকে ঘিরে আবর্তন করছে, সেই সূর্য নিয়ে মহাকাশবিজ্ঞানীদের গবেষণার উৎসাহ বিস্তর; কিন্তু সৌরমণ্ডলের প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত এই নক্ষত্রটির সাম্প্রতিক একটি ঘটনা রীতিমতো হতবাক করে দিয়েছে বিজ্ঞানীদের। সেই ঘটনাটি হচ্ছে- সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে একটি বিশাল অংশ ভেঙে পড়ে নক্ষত্রটির উত্তর মেরুতে সরে এসে বিশাল এক ঘূর্নিঝড়ের সৃষ্টি করেছে।
মহাকাশে ভ্রমণরত জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ গত সপ্তাহে সূর্যের যে ছবি পাঠিয়েছে, সেখানেই ধরা পড়েছে এই চিত্র। নাসার কর্মকর্তা ও স্পেস ওয়েদার ফোরকাস্টার ড. তামিথা স্কোভ নিজের টুইটারে সূর্যের সেই ছবিটি শেয়ার করেছেন।
ড. তামিথা স্কোভ- এর টুইট বার্তা।
ছবিটির ক্যাপশনে ড. তামিথা স্কোভ বলেন, ‘সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে সরে যাওয়া অংশটি নক্ষত্রের উত্তর মেরুতে বিশাল এক ঝড়ের সৃষ্টি করেছে।’
মহাকাশ সংক্রান্ত গবেষণার অংশ হিসেবে কয়েক বছর আগে এই টেলিস্কোপটি উৎক্ষেপণ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনেটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন(নাসা)।
নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে তার কোনো অংশ ভেঙে পড়া বা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া নতুন কিছু নয়। গত ৬-৭ দশকে কয়েক বার এমন ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে নাসা। তবে সূর্যের কোনো অংশ ভেঙে পড়ে বাতাসে ভেসে নক্ষত্রটির প্রান্তে ঝড়ের সৃষ্টি করার ঘটনা নাসার ইতিহাসে এই প্রথম। এই ব্যাপারটিই অবাক করেছে মার্কিন মহাকাশবিজ্ঞানীদের।
সৌরমণ্ডলের প্রাণকেন্দ্র সূর্যের পুরোটাই আসলে গ্যাসীয় তরল। পৃথক এক টুইটবার্তায় ড. তামিথা স্কোভ বলেন, সূর্যের যে অংশটি বিচ্ছিন্ন হয়ে উত্তরপ্রান্তে সরে এসেছে, সেই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে প্রায় ৮ ঘণ্টার মধ্যে। এ সময় সূর্যপৃষ্টের ওই অংশে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯৬ হাজার মাইল।
নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে এ সম্পর্কিত আরও বিশদ তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন তারা।
সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব আনুমানিক ১৪ কোটি ৯৬ লাখ কিলোমিটার বা ১৫ কোটি কিলোমিটার। তবে এই দূরত্ব সবসময় একই থাকে না। অনুসূর অবস্থানে পৃথিবী সূর্য থেকে ১৪.৭ কোটি কিলোমিটার দূরে থাকে।আর অপসূর অবস্থানে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫.২ কোটি কিলোমিটারে।
তবে পৃথিবীর সঙ্গে সূর্যের কিছু বিস্ময়কর সম্পর্ক রয়েছে। উদাহারণ হিসেবে বলা যায়, কয়েক বছর আগে সূর্যে বড় এক সৌরঝড় হয়েছিল। সেই ঝড়ের প্রভাবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পৃথিবীর মোবাইল ও ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা।
ড. তামিথা স্কোভ টুইট বার্তা সূর্য মহাকাজ সৌরমণ্ডল
মন্তব্য করুন
নতুন বছরে নতুন
কিছু করতে প্রস্তুত ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন। এবার সূর্যকে নিরীক্ষণের
জন্য দেশের প্রথম ডেডিকেটেড মিশন আদিত্য-এল১ লঞ্চ করার লক্ষ্য তৈরি করা হয়েছে। চলতি
বছরের অক্টোবরে শঙ্করসুব্রহ্মণ্যন কে -কে আদিত্য-এল১ মিশনের প্রধান বিজ্ঞানী হিসেবে
মনোনীত করা হয়েছিল।
২০১৫ সালের
অ্যাস্ট্রোস্যাটের সফল উৎক্ষেপণের পর এটি হবে ভারতের দ্বিতীয় মহাকাশ ভিত্তিক প্রকল্প।
কী উদ্দেশ্যে আদিত্য-এল১ উৎক্ষেপণের কথা ভাবা হয়েছে? এই মিশনের নামই বা আদিত্য কেন?
উল্লেখ্য, সূর্যের
একাধিক নামের মধ্যে পড়ে আদিত্য। সেই নামানুসারে এই মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে আদিত্য-এল১।
এর পেছনে রয়েছে আরেকটি কারণ। এই মিশনের মূল লক্ষ্যই হল, সৌরজগতের কেন্দ্রে উপস্থিত
সূর্যকে ভালোভাবে নিরীক্ষণ করা। যদিও প্রথমে এর নাম ছিল আদিত্য-১ কিন্তু পরবর্তীতে
এর নামে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
‘বাংলা হান্ট’
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ
ভেহিকেল মারফত অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে এটি উৎক্ষেপণের কথা রয়েছে। আসন্ন বছর
ভারতের প্রথম মানব মহাকাশ ফ্লাইট- গগনযান প্রকল্পের উপর একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার সাক্ষী
থাকবে।
আদিত্য-এল১
নিয়ে বেঙ্গালুরুর জাতীয় মহাকাশ সংস্থা জানিয়েছে, এই মহাকাশযানটি সূর্য – পৃথিবী
সিস্টেমের প্রথম ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট, এল১-এর চারপাশে একটি হ্যালো কক্ষপথে অবস্থান
করবে। যা পৃথিবী থেকে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে রয়েছে। যেখানে সূর্য এবং
পৃথিবীর সম্মিলিত মহাকর্ষীয় টান একটি মহাকাশ যানকে সূর্যের কাছে স্থির অবস্থায় রেখে
দেবে।
মিশনের তাৎপর্য-
প্রসঙ্গত, আদিত্য-এল১
-এ সাতটি পেলোড রয়েছে। যার মধ্যে তিনটি পেলোড ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট এল১-এ ইন-সিটু কণা
এবং ফিল্ড স্টাডি পরিচালনা করে। আর বাকি চারটি পেলোড সরাসরি এল১-এর ইউনিক ভান্টেজ পয়েন্ট
থেকে সূর্যকে দেখতে পাবে। এই সাতটি পেলোড আলোকমণ্ডল, ক্রোমোস্ফিয়ার এবং সূর্যের সবচেয়ে
বাইরের স্তরগুলি অধ্যায়নে সাহায্য করবে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক এবং পার্টিক্যালস ডিটেক্টর
ব্যবহার করে। মূলত আদিত্য-এল১ মিশন সূর্যের গতিশীল প্রক্রিয়াগুলির একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ
জ্ঞান প্রদান করবে এবং সৌর পদার্থবিদ্যার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার উত্তর দেবে।
আদিত্য-১ ভারত মহাকাশ অভিযান সূর্য
মন্তব্য করুন
এলিয়েন (ভিনগ্রহবাসী) পৃথিবী ভ্রমণ করেছে কিংবা দুর্ঘটনায় পড়ে অবতরণ করেছে -লোকমুখে এমন প্রচলিত কথার এখন পর্যন্ত কোনো তথ্যপ্রমাণ পায়নি পেন্টাগন। আকাশে অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তু তথা ইউএফও নিয়ে নতুন এক গবেষণা নিয়ে এ কথা বলেছে মার্কিন সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। খবর আল-জাজিরার।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, তবে মহাকাশে, আকাশে কিংবা পানির নিচে যেখানেই হোক না কেন, অস্বাভাবিক ও অজ্ঞাত বস্তুগুলোর তদন্তের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পেন্টাগন। তাদের সামনে কয়েক শ’ নতুন ঘটনা এসেছে, যা এখন তদন্ত করা হচ্ছে বলে গতকাল শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
গত বছরের জুনে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালকের দপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৪ থেকে ২০২১ সাল নাগাদ ১৪৪টি ইউএফও দেখা যাওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৮০টি অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তু (ইউএফও - Unidentified flying object) একাধিক সেন্সরে ধরা পড়েছিল।
গোয়েন্দা ও নিরাপত্তাবিষয়ক আন্ডারসেক্রেটারি রোনাল্ড মোলট্রি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। আমরা এমন কিছু পাইনি যে আমরা যেসব বস্তু দেখেছি, তার কোনো একটির উৎস এলিয়েন হতে পারে বলে আমাদের মনে হতে পারে।’
দেখা যাওয়া অজ্ঞাত বস্তুগুলোর তদন্তে পেন্টাগন অল-ডোমেইন অ্যানোমালি রেজল্যুশন অফিস (এএআরও) নামে একটি নতুন বিভাগ গঠন করে। এএআরও পরিচালক শন কির্কপ্যাট্রিক বহির্জাগতিক জীবনের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেননি।
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘তিনি এ গবেষণার জন্য একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি গ্রহণ করছেন।’