ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রাণিসম্পদে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছা ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭:৩৮ পিএম, ১৯ জুলাই, ২০২২


Thumbnail প্রাণিসম্পদে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছা ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হবে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রাণিসম্পদ খাতে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছা ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বিষয়ক গবেষণা ফলাফল অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান। বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন 'বাংলাদেশে গ্লোবাল হেলথ সিকিউরিটি এজেন্ডার লক্ষ্য অর্জনে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স এবং জুনোটিক রোগ প্রতিরোধ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালা আয়োজন করা হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের সহজলভ্যতা, প্রেসক্রিপশন ছাড়া এর যথেচ্ছা ব্যবহার এবং অযোগ্য ব্যক্তির মাধ্যমে এর ব্যবহার করতে দেওয়ার মাধ্যমে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন। এ জন্য প্রশিক্ষণ দরকার। অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার যাতে আমাদের দুর্বল করে দিতে না পারে সেজন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। আশার কথা হচ্ছে ট্রস্তবর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী প্রাণিস্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যবহার কমছে।

তিনি আরও বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছা ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় অনুধাবন করেছে। এটা নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রণালয় সচেষ্ট রয়েছে। অ্যন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছা ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক মানের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স ল্যাবরেটরি করা হয়েছে। প্রাণিস্বাস্থ্যের জন্য ব্যবহৃত ঔষধে সঠিক উপাদান আছে কী না সেটা এ ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে। প্রয়োজনে এ ল্যাবের পরিধি আরও বাড়ানো হবে। অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে ভেটেরিনারি চিকিৎসক ও এর সাথে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হবে। প্রাণিসম্পদ খাতে মাঠ পর্যায়ে যারা কাজ করে, তারাও যাতে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছা ব্যবহার করতে না পারে সেটাও দেখা হবে। 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক ভালো উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য হলেও সচেতনতার অভাব এবং মানুষ ও প্রাণীদের চিকিৎসাশাস্ত্র সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে দেশে এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছা ব্যবহার হচ্ছে। এটি প্রাণি ও মানুষ উভয়ের জন্য বিপন্ন অবস্থা তৈরি করতে পারে।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, প্রাণিস্বাস্থ্য খারাপ থাকলে মানুষ নিরাপদ থাকবে এটা ভাবার কারণ নেই। কারণ প্রাণীর সাথে মানুষের এখন সংমিশ্রণ হচ্ছে। শুধু প্রাণীর সুরক্ষার জন্য নয় বরং মানুষের সুরক্ষার জন্যও প্রাণিস্বাস্থ্য রক্ষা করা প্রয়োজন। এ বিষয়টি গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে। সরকার চায় ওয়ান হেলথ সিস্টেম গড়ে উঠুক। কারণ মানুষের স্বাস্থ্যের সাথে প্রাণিস্বাস্থ্য ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত। ওয়ান হেলথ ধারণা সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এক্ষেত্রে সম্মিলিত সহযোগিতা প্রয়োজন।

বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা। স্বাগত বক্তব্য প্রদান এবং এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বিষয়ক গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. আব্দুস সামাদ। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও বিএলআরআই-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, বিজ্ঞানী, শিক্ষক, বিশেষজ্ঞ ও উদ্যোক্তাগণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী   শ ম রেজাউল করিম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে হিট স্ট্রোকে প্রাণ গেল ভ্যানচালকের

প্রকাশ: ০৬:১৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোকে বাবলু খন্দকার (৪৫) নামে এক ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে উপজেলার গোপীনাথপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ভ্যান চালক জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল সরকারপাড়া গ্রামের শুকুর মাহমুদ খন্দকারের ছেলে বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিক্রির জন্য বাবলু খন্দকার ভ্যান যোগে কয়েক বস্তা আলু নিয়ে গোপীনাথপুর হাটে যান। সেখানে আলুর বস্তা নামিয়ে রেখে চা খেতে দোকানে বসেন তিনি। এসময় হঠাৎ করে বুকে ব্যাথা উঠলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্তে কর্মকর্তা নয়ন হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


হিটস্ট্রোক   ভ্যান চালক   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় সেচের অভাবে অনাবাদি ১০০ বিঘা জমি

প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail সেচের অভাবে অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে ১০০ বিঘা জমি

নওগাঁ সদর উপজেলায় কৃষি কাজে ব্যবহৃত একটি গভীর নলকূপ বন্ধ রাখা হয়েছে। পানির অভাবে এই সেচযন্ত্রের আশ পাশের প্রায় ১০০ বিঘা জমি অনাবাদি পড়ে আছে। সেচ সংকটের কারণে কিছু কৃষক ধানের আবাদ না করে জমিতে তিলের চাষ করেছেন। অনাবৃষ্টির কারণে তিলের গাছও মরে যেতে বসেছে।

  

সেচ নিয়ে কৃষকদের এমন দুরাবস্থা নওগাঁ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপাড়া, মাদ্রাসা পাড়া, সরদার পাড়া, শেখপুরা ও মন্ডলপাড়া এলাকায়।

 

কৃষকদের দাবি, পৌরসভার হাজীপাড়া মহল্লা সংলগ্ন মাঠে একটি গভীর নলকূপ রয়েছে। গভীর নলকূপটি মকবুল হোসেন ওরফে গ্যাদো নামের এক ব্যক্তি পরিচালনা করে থাকেন। ওই এলাকায় প্রায় ২০০ বিঘা জমি রয়েছে। চলতি বোরো মৌসুমের শুরুতে নলকূপটির মালিক মকবুল হোসেন কৃষকদের কাছ থেকে বোরো ধান আবাদের জন্য প্রতি বিঘা জমিতে সেচের জন্য ২ হাজার টাকা করে দাবি করেন। আশপাশের অন্যান্য নলকূপের সেচ খরচের তুলনায় বেশি টাকা দাবি করায় কৃষকেরা ওই পরিমান টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। চাহিদা অনুযায়ী সেচ খরচ দিতে রাজি না হওয়ায় সেচযন্ত্রটি বন্ধ রেখেছেন গভীর নলকূপের মালিক মকবুল হোসেন। এ নিয়ে জেলা প্রশাসন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেও কৃষকেরা কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না।

 

গত ১৯ মার্চ ৬০ জন কৃষক স্বাক্ষরিত ওই লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ পৌরসভার হাজীপাড়া, সরদারপাড়া ও মাদ্রাসাপাড়া মহল্লার মধ্যবর্তী মাঠে প্রায় ৩০০ বিঘা ফসলি জমি আছে। এসব জমিতে প্রতি মৌসুমে কয়েক হাজার মণ ধান হয়। বোরো মৌসুমে ওই এলাকার কৃষকদের কথা মাথায় রেখে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ওই মাঠে দুটি গভীর নলকূপ স্থাপন করে দিয়েছে। ওই দুটি সেচ যন্ত্রের মধ্যে মকবুল হোসেন পরিচালিত গভীর নলকূপের অধীনে প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে চাষাবাদ হয়ে থাকে। বিগত তিন বছর ধরে মকবুল হোসেনের ছেলে সবুজ কৃষকদের জিম্মি করে সেচ বাবদ বেশি টাকা আদায় করছে।

 

পার্শ্ববর্তী বোয়ালিয়া, শেখপুরা এলাকায় গভীর নলকূপ থেকে প্রতি বিঘা জমিতে সেচ খরচ বাবদ যেখানে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে, সেখানে সবুজ তার সেচযন্ত্র থেকে সেচ খরচ দাবি করে ২ হাজার টাকা।

 

অধিকাংশ কৃষক এই পরিমাণ টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মকবুল হোসেনের ছেলে সবুজ সেচ যন্ত্রটি থেকে পানি তোলা বন্ধ করে দেন। ধানের বীজ তলায় সেচ দিতে না পারায় কৃষকদের চারা নষ্ট হয়ে যায়। জমিতে ধান লাগাতে না পেরে অনেক কৃষক জমিতে তিলের চাষ করেছেন। কিন্তু দীর্ঘ অনাবৃষ্টির কারণে এবং সেচ যন্ত্র বন্ধ থাকায় অধিকাংশ তিল গাছ মরে যেতে বসেছে। এই দূরাবস্থা নিরসনে জেলা ও উপজেলা সেচ কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কৃষকেরা।

 

সোমবার (২৯ এপ্রিল) পৌরসভার হাজীপাড়া সংলগ্ন ওই ফসলি মাঠে গিয়ে দেখা যায়, ওই মাঠে অনেক জমি অনাবাদি পড়ে আছে। কিছু জমিতে তিলের চাষ করা হয়েছে। কিন্তু পানির অভাবে অনাবাদি জমি ও তিলের খেতের জমি শুকিয়ে আছে। পানির অভাবে শুকনো মাটিতে বপন করা তিল বীজ থেকে চারা গজায়নি। আবার কিছু কিছু জমিতে চারা গজালেও পানির অভাবে তিলের গাছগুলোর পাতা শুকিয়ে লালচে হয়ে মরতে বসেছে।

 

কৃষকদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সেচ যন্ত্রের মালিক মকবুল হোসেন ওরফে গ্যাদো বলেন, ‘একটা মৌসুমে একটা ডিপ টিউবওয়েল চালালে তিন থেকে চার লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে। এছাড়া ট্রান্সফরমার বা সেচ যন্ত্রের অন্য কোনো অংশ নষ্ট হয়ে গেলেও বাড়তি খরচ হয়ে যায়। মেশিন চালাতে যে খরচ হবে, সেটা তুলতে না পারলে লোকসান গুনতে হবে। তাই পানি তোলা বন্ধ রেখেছি।’

 

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি এস এম রবিন শীষ বলেন, ‘বেশ কিছু দিন আগে এ ধরণের একটি অভিযোগ পেয়েছিলাম। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে সম্ভবত এ বিষয়ে তদন্ত করতে বলেছিলাম। কৃষকদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে সেচ যন্ত্রটি চালু করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


অনাবাদি   সেচ   সেচযন্ত্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড চুয়াডাঙ্গায়

প্রকাশ: ০৪:২৪ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় এই জেলায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। 

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ।

তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গায় আজ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দুই দিন এমন অবস্থা বিরাজ করতে পারে।

এ দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, দুপুর থেকেই মরুভূমির মতো তাপ অনুভূত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকূল। অস্বস্তি বাড়ছে জনজীবনে।

চলমান তাপদাহে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন শ্রমজীবীরা। তীব্র তাপদাহে নষ্ট হচ্ছে ধান, ভুট্টা, কলা, আম, লিচুসহ মৌসুমি ফসল।

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা   চুয়াডাঙ্গা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মৃত্যুর ৩ বছর পর রহস্য উন্মোচন করেছে পিবিআই

প্রকাশ: ০৪:৩১ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বাসিন্দা ইতালি প্রবাসী বাচ্চু শেখ অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে মারা যান বছর আগে। সেই মামলার রহস্যের জট খুলেছে বছর পর। আসামী আমির হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ঘটনার সত্যতা প্রকাশ করেছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই-এর এসআই ফিরোজ আহমেদ জানান, বিগত ২০২১ সালের মার্চ ইতালি প্রবাসী বাচ্চু শেখ হানিফ এন্টারপ্রাইজের একটি বাসে করে তার গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার তপারকান্দি গ্রামে আসছিলেন। পথিমধ্যে অজ্ঞান পার্টির সদস্য আমির হোসেন তার দলবল কায়দা করে ভিকটিমের সাথে ভাব জমিয়ে তাকে বিস্কুটের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে খ্ইায়ে দেয় এবং তার কাছে থাকা মালামাল নিয়ে যায়। এতে সে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে বাসের হেলপার তার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে ছাগলছিড়া এলাকায় তাকে বুঝে দিয়ে বরিশালের দিকে বাস চলে যায়।

পরে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় বাচ্চু শেখকে প্রথমে মাদারীপুরের রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনায় মৃত বাচ্চু শেখের স্ত্রী মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গোপালগঞ্জ পিবিআই মূল অভিযুক্ত আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে এবং সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে গোপালগঞ্জের পিবিআই-এর পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন।


পিবিআই   মৃত্যু রহস্য   জবানবন্দি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ

প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail নওগাঁয় কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ কর্মসূচী

নওগাঁয় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে খরিপ মৌসুমে উফশী আউশ, পাট ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।


সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১ টায় নওগাঁ সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন।

এসময় নওগাঁ সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা শওকত মেহেদী সেতু’র সভাপতিত্বে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। এসময় নওগাঁ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হক কমল ও সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

প্রণোদনার অংশ হিসেবে মোট ৭ হাজার ১৫০ জন কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে প্রতি বিঘা ফসলের জন্য উফশী আউশ ৬ হাজার ৬৭০ জনকে ৫ কেজি বীজ, ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ১০ কেজি। এছাড়া ২৩০ জনের প্রত্যেককে এক কেজি করে পাট বীজ এবং গ্রীষ্মকালিন ২৫০ জন কৃষককে পেয়াঁজ চাষে এক কেজি বীজ, ডিএপি ২০ কেজি এবং এমওপি ২০ কেজি দেয়া হয়।


কৃষি প্রণোদনা   কৃষক   বীজ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন