প্রথম দুই ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অন্তত বড় পুঁজি সংগ্রহ করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে এসে সেটাও হলো না। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে বিজয় ও আফিফের অর্ধশতকে ভর করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
ওপেনার এনামুল ৭১ বলে ৭৬ রান করে আউট হ্ন। এরপর ছয় নম্বরে নেমে ২ রানে একবার জীবন পেয়ে শেষ পর্যন্ত দলকে টেনে নিয়ে যান আফিফ। ৮১ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৮৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দেন তিনি। বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াস করতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ২৫৭ রান।
প্রথম দুই ম্যাচের
মতো বুধবার হারারেতে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচেও ধবলধোলাই এড়ানোর লক্ষ্যে মাঠে নেমে টস হেরেছে
বাংলাদেশ। টসজয়ী জিম্বাবুয়ের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ ওভারে তুলে ৪০ রান তুলে বাংলাদেশকে
ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার তামিম-বিজয়। এরপর ৪১ থেকে ৪৭, এই ৭ রানের মধ্যে
৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।
চতুর্থ উইকেটে
৭৭ রানের জুটিতে সেই বিপদ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বিজয়-মাহমুদউল্লাহ। তবে ৭১
বলে ৭৬ রান করে বিজয় ফিরলে আবারও ছন্দপতন হয়। পঞ্চমে উইকেটে আফিফের সঙ্গে ৪৯ রানের
জুটি গড়ে বাংলাদেশকে বিপদমুক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তবে এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের
আউটের পর আবারও বিপদে পরে বাংলাদেশ।
এক প্রান্তে আসা-যাওয়া চলতে থাকলেও অন্য প্রান্তে বিজয় ছিলেন অবিচল। ঘরোয়া ক্রিকেটে রেকর্ড সংখ্যক রান করে দলে সুযোগ পাওয়া বিজয় ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। পাঁচে নামা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়ে দলকে বিপদমুক্ত করেছিলেন। রিয়াদ ধীরগতিতে ব্যাট চালালেও বিজয় খেলছিলেন সময়ের দাবি মিটিয়ে। ৪৮ বলে তুলে নিয়েছিলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম অর্ধশতক। তবে বেশি চালিয়ে খেলতেই শেষতক উইকেট খোয়াতে হয়েছে তাকে। ইনিংসের ২৫তম ওভারে লুক জংওয়ের আউটসাইড অফের বল থার্ডম্যানের দিকে ঠেলে দিতে গিয়ে উইকেটের পেছনে তালুবন্দি হয়ে ফিরেছেন তিনি। ফেরার আগে ৬ চার এবং ৪ ছয় সহযোগে ৭১ বলে ৭৬ রান করেছেন তিনি।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ এবং আফিফ হোসেনের ৮১ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়েছিল বাংলাদেশ। আজও এই দুজন চেষ্টা করেছিলেন, এদিন পঞ্চম উইকেটে তাদের জুটি থেকে আসে ৪৯ রান। তবে ইনিংসের ৩৫তম ওভারে দলীয় ১৭৩ রানে মাহমুদউল্লাহ রিচার্ড এনগারাভার বল স্টাম্পে টেনে এনে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। ফেরার আগে ৬৯ বলে ৩ চারের সাহায্যে ৩৯ রান করেছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
মাহমুদউল্লাহ ফেরার পর বেশিক্ষণ টেকেননি সাতে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৪ বলে ১৪ রান
করে এই অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন। তবে অন্য
প্রান্তে আফিফ হোসেন ততক্ষণে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতক। শেষদিকে তার
৮১ বলে ৮৫ রানের লড়াকু ইনিংসে ভর করেই সম্মানজনক সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ
মন্তব্য করুন
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-২০তে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ দল। যেখানে তাওহীদ হৃদয়ের ফিফটিতে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পেয়েছে টিম টাইগার্স।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৬৫ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন হৃদয়। ৩৮ বলে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ২ ছক্কা ও ৩ চারে।
বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। ম্যাচের শুরু থেকে দেখেশুনে খেলেন তারা দুজন। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই এ জুটিতে আঘাত করেন মুজারাবানি।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মুজারাবানির বল স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হন লিটন। আউট হওয়ার আগে ১২ করেন এ ব্যাটার।
পরে ক্রিজে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরের পথ ধরেছেন তিনি। সিকান্দার রাজার ঘূর্ণিতে কাটা পড়েন টাইগার দলপতি।
এরপর বাইশ গজে আসেন তাওহীদ হৃদয়। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় রানের চাকা সচল রাখেন তামিম। কিন্তু ফারাজ আকরামের বল উড়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে মাদান্দের তালুবন্দী হন তিনি। তার বিদায়ে ভেঙে যায় এ জুটি। তাদের দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান।
জাকের আলী অনিককে নিয়ে দলকে সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে যান হৃদয়। এ জুটির ব্যাট থেকে আসে ৮৭ রান। তবে ফিফটি করে হৃদয় (৫৭) ফিরলে ভেঙে যায় এ জুটি।
তার বিদায়ের পর ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন জাকের (৪৪)। মুজারাবানির ডেথ ইয়র্কারে বোল্ড হন তিনি। শেষদিকে রিয়াদ-রিশাদের ব্যাটে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৬৫ রানে।
জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন ব্লেসিং মুজারাবানি। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন ফারাজ আকরাম ও সিকান্দার রাজা।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম দুই ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে দুটিতেই সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। সেই ধারাবাহিকতায় আজ তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছে দুই দল। যেখানে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। সে অনুযায়ী আগে ব্যাট করছে বাংলাদেশ।
তবে ব্যাট করতে নেমে এদিন পাওয়ারপ্লেতেই দুই উইকেট হারিয়েছে কিছুটা চাপে পড়েছে টাইগাররা। এদিন ব্যাট হাতে আবারো ব্যর্থ হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন লিটন দাস। এরপরেই রাজার ঘূর্ণিতে বোল্ড হন নাজমুল হোসেন শান্ত।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ ওভারে দুই উইকেটে ৪২ রান।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।
বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। ম্যাচের শুরু থেকে দেখেশুনে খেলেন তারা দুজন। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই এ জুটিতে আঘাত করেন মুজারাবানি।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম দুই ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে দুটিতেই সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। সেই ধারাবাহিকতায় আজ তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নামছে দুই দল। যেখানে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই জিততে চায় বাংলাদেশ।
অন্যদিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজ বাঁচাতে মরিয়া সফরকারীরা। এমন সমীকরণ মাথায় রেখে মঙ্গলবার চট্টগ্রামে মুখোমুখি হচ্ছে দুদল। ম্যাচটি শুরু হবে বেলা ৩টায়।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। এতে আগে ব্যাট করবে বাংলাদেশ।
সিরিজ জয়ের মিশনে দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। শেখ মাহেদী হাসান ও শরিফুল ইসলামের জায়গায় দলে এসেছেন তানভীর ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব।
অপরদিকে দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামবে সফরকারী জিম্বাবুয়েও। রিচার্ড এনগারাভা ও এন্সলি এন্দলোভুর পরিবর্তে একাদশে ফিরেছেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ফারাজ করিম।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, তানভীর ইসলাম, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও তানজিম হাসান সাকিব।
জিম্বাবুয়ের একাদশ: জয়লর্ড গাম্বি, ক্রেগ আরভিন, র্রায়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ক্লাইভ মাদানদে, জোনাথন ক্যাম্পবেল, লুক জঙ্গি, ব্লেসিং মুজারাবানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ফারাজ করিম।
বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে টি-২০ সিরিজ টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিসিবি
মন্তব্য করুন
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে চরম হতাশা। কারণ দুঃসময় যেন কোন মতেই পিছু ছাড়ছে না তাদের। যতদিন যাচ্ছে, মাঠের পারফরম্যান্সে ততোই ম্লান হচ্ছে তারা। যার প্রমাণ মিলেছে গতকালের ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ম্যাচে।
প্রথম পর্বের হারের প্রতিশোধ নিতে মাঠে নামা দলটি পেয়েছে উল্টো ৪-০ ব্যবধানের হারের তিক্ততা। ম্যাজিকের বদলে মাঠে ম্যানইউ ছিল ভীষণ সাদামাটা। প্রতিপক্ষের বিবর্ণতার সুযোগে বিশাল জয় তুলে নেয় ক্রিস্টাল।
ম্যাচের ১২ মিনিটেই এগিয়ে যায় দলটি। বক্সের মাঝামাঝি থেকে বাঁ পায়ের শটে দলকে এগিয়ে নেন ওলিসে। গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে ওঠে ম্যানইউ। তবে ৪০তম মিনিটে আবারও গোল হজম করে টেন হাগের শিষ্যরা। মাতেতার গোলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় প্যালেস।
৫৮ মিনিটে ইংলিশ ডিফেন্ডার টাইরিক মিচেল ব্যবধান আরও বাড়ালে ফিঁকে হয়ে যায় সফরকারীদের ঘুরে দাঁড়ানোর আশা। আর আট মিনিট পর দারুণ নৈপুণ্যে নিজের দ্বিতীয় গোলে জয় নিশ্চিতই করে ফেলেন ওলিসে। ডান দিক থেকে বক্সে ঢুকে জোরালো শটে ম্যানইউর কফিনে ঠুকেন শেষ পেরেক।
বিব্রতকর এই হারে উয়েফা কনফারেন্স লিগের টিকিট পাওয়ার লড়াইয়েও পিছিয়ে পড়ল দলটি। এবারের লিগে ইউনাইটেডের এটা ১৩ তম হার। ৩৫ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে আট নম্বরে আছে ম্যানইউ। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে সপ্তম স্থানে চেলসি।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এফএ কাপ ফুটবল
মন্তব্য করুন
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-২০তে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ দল। যেখানে তাওহীদ হৃদয়ের ফিফটিতে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পেয়েছে টিম টাইগার্স। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৬৫ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন হৃদয়। ৩৮ বলে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ২ ছক্কা ও ৩ চারে।
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইতোমধ্যেই প্রথম দুই ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। যেখানে দুটিতেই সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। সেই ধারাবাহিকতায় আজ তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছে দুই দল। যেখানে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। সে অনুযায়ী আগে ব্যাট করছে বাংলাদেশ।