ইনসাইড গ্রাউন্ড

আয়ারল্যান্ড সফরে সুবিধা করতে পারছে না আফগানিস্তান

প্রকাশ: ১১:২০ এএম, ১২ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail আয়ারল্যান্ড সফরে সুবিধা করতে পারছে না আফগানিস্তান

আয়ারল্যান্ড সফরে গিয়ে মোটেই সুবিধা করতে পারছে না আফগানিস্তান। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে এখন সিরিজ হারের শঙ্কায় পড়ে আফগানরা। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড।

বেলফাস্টের সিভিল সার্ভিস ক্রিকেট ক্লাবে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৮ উইকেটে ১২২ রান। জবাবে এক ওভার হাতে রেখেই ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছে আইরিশরা। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো তারা।

আফগানদের পরপর দুই পরাজয়ের অন্যতম কারণ দলের সবচেয়ে বড় তারকা রশিদ খানের নিষ্প্রভতা। দুই ম্যাচে উইকেটের দেখাই পাননি সময়ের অন্যতম সেরা এই লেগস্পিনার। প্রথম ম্যাচে ২৫ রানের পর দ্বিতীয়টিতে ২৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন রশিদ।

৬৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এই প্রথমবারের মতো পরপর দুই ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকলেন রশিদ। মূলত গত বছরের বিশ্বকাপ থেকেই বিবর্ণ এ তারকা লেগস্পিনার। শেষ দশ ম্যাচে তার উইকেটসংখ্যা মাত্র আটটি।

আগে ব্যাট করে আফগানদের সংগ্রহ মাত্র ১২২ রান হওয়ায় রশিদের জ্বলে ওঠা ছিল সময়ের দাবি। কিন্তু ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়েও উইকেট পাননি রশিদ। মোহাম্মদ নাবি নেন ২টি উইকেট। এছাড়া নবীন উল হক, মুজিব উর রহমান ও ফজল হক ফারুকি নেন ১টি করে উইকেট।

ছোট লক্ষ্য তাড়ায় আয়ারল্যান্ডকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক অ্যান্ডি ব্যালবার্নি। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৪৬ রান। এছাড়া ফর্মে থাকা লরকান টাকার ২৭ ও শেষ দিকে জর্জ ডকরেল ২৫ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন।

এর আগে আফগানিস্তানের পক্ষে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন হাশমতউল্লাহ শহিদি। তবে এজন্য তিনি খেলে ফেলেন ৪২টি বল। এছাড়া ইব্রাহিম জাদরান ১৭, আজমতউল্লাহ ওমরজাই ১১ ও নবীন উল হক করেন ১০ রান।

আয়ারল্যান্ড   সফর   আফগানিস্তান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ভারত-বাংলাদেশ সিরিজ নিয়ে বিসিবির সুখবর

প্রকাশ: ০২:৫১ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আগামী সেপ্টেম্বরে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের নারী টি-২০ বিশ্বকাপ। যার আয়োজক দেশ এবার বাংলাদেশ। যার জন্য কন্ডিশন মানিয়ে নিতে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে সিরিজ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলও এসেছে বাংলাদেশে। স্বাগতিক দেশটির বিপক্ষে ভারতের পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ চলবে।

রোববার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-২০তে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারতের মেয়েরা। ম্যাচটি শুরু হবে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া নারী দল। তবে সিরিজটি কোনো টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করেনি। প্রতিবারই মেয়েদের সিরিজে সম্প্রচার নিয়ে জটিলতা তৈরি হলেও এবার আর তেমনটি হচ্ছে না।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ-ভারত সিরিজ টি-স্পোর্টসে সরাসরি দেখানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিসিবি।

আগামী ২৮ এপ্রিল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মূল মাঠে হবে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। আর ৩০ এপ্রিল একই সময়ে হবে দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম দুই ম্যাচ হবে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়, রাতের আলোয়।

এরপর ২ ও ৬ মে পরের দুই ম্যাচ রাখা হয়েছে স্টেডিয়ামের আউটার গ্রাউন্ডে, যেটি গ্রাউন্ড-২ হিসেবে পরিচিত। এই দুই ম্যাচ হবে দুপুর ২টায়। ৯ মে শেষ ম্যাচটি আবার রাখা হয়েছে মূল মাঠে, সন্ধ্যায়।


বাংলাদেশ   ভারত   নারী ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

রিয়াল সোসিয়েদাদকে হারিয়ে শিরোপার আরও কাছে আনচেলত্তির শিষ্যরা

প্রকাশ: ০২:০৪ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। গেল মৌসুমে বেশ ব্যাকফুটে ছিল তারা। তবে চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই যেন নিজেদের চেনা রূপে ফিরে এসেছে লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। ইতোমধ্যেই পয়েন্ট টেবিলের নেতৃত্বে রয়েছে তারাই। সেই সাথে গতকাল রাতে রিয়াল সোসিয়েদাদকে হারিয়ে লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধারের আরও কাছে পৌঁছে গেছে আনচেলত্তির শিষ্যরা।

এদিন অ্যানেয়েতা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে রিয়াল সোসিয়াদাদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচটিতে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় পেয়েছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। স্বাগতিকদের মাঠে রিয়াল একমাত্র গোলটি করেন আর্দা গুলের।

নিয়মিত একাদশের বেশিরভাগকে ছাড়াই এদিন সোসিয়েদাদের বিপক্ষে মাঠে নামে রিয়াল। শুরুর সময়টাতে মাত্র ৩৫ শতাংশ বল পায়ে রাখতে পেরেছিল তারা। তবে ২৯ মিনিটে প্রথম সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় রিয়াল। দানি কারভাহালের পাস থেকে বল জালে জড়ান ১৯ বছর বয়সী মিডফিল্ডার গুলের।

সোসিয়াদাদের বিপক্ষে জয় পাওয়ায় বাকি থাকা পাঁচ ম্যাচ থেকে আর চার পয়েন্ট পেলেই শিরোপা উৎসব করতে পারবেন কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। ৩৩ ম্যাচে ২৬ জয় ও ছয় ড্র নিয়ে রিয়ালের এখন ৮৪ পয়েন্ট। সেখানে এক ম্যাচ কম খেলা বার্সার পয়েন্ট ৭০। লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনা রিয়ালের চেয়ে ১৪ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে।

ম্যাচ শেষে কোচের প্রশংসাও পেয়েছেন এই তরুণ, ‘আর্দা (গুলের) গোল করেছে, সে ভবিষ্যতে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হতে যাচ্ছে। কোনো সন্দেহ নেই যে আগামী বছর সে এখানেই থাকছে।’


রিয়াল মাদ্রিদ   লা লিগা   রিয়াল সোসিয়েদাদ   লস ব্ল্যাঙ্কোস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

আইপিএলের এক ম্যাচেই বিশ্বরেকর্ডের ছড়াছড়ি

প্রকাশ: ০১:৩৫ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার আইপিএলের শুরু থেকেই যেন প্রতিটি দলের ব্যাটারদের ব্যাট থেকে ঝরছে রানের ফোয়ারা। দুই শতাধিক রান করা এবং তা চেজ করা যেন এখন আইপিএলে নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে গতকালের ম্যাচে অনন্য এক বিশ্বরেকর্ড গড়েছে পাঞ্জাব। কলকাতার ২৬১ রানের টার্গেটে ৮ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে তারা।

শুধু যে রান চেজ করার বিশ্বরেকর্ডই নয়, এই ম্যাচে সৃষ্টি হয়েছে আরও বেশ কিছু ইতিহাস। যার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে, আন্তর্জাতিক টি-২০তে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়। অতীতে এত রান তাড়া করে কোনো দল জিততে পারেনি। আগের রেকর্ড ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০২৩ সালে সেঞ্চুরিয়নে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২৫৯ রান তাড়া করে জিতেছিল তারা। তৃতীয় স্থানে মিডলসেক্স। সারের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালে ২৫৩ রান তাড়া করে জিতেছিল দলটি।

দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক টি-২০তে একটি ম্যাচে সর্বাধিক ছয়। এই তালিকায় দাপট শুধু আইপিএলের। প্রথম তিন স্থানেই রয়েছে আইপিএলের তিনটি ম্যাচ। সবক’টাই হয়েছে এ বছর। কলকাতা-পাঞ্জাব ম্যাচে মোট ৪২টি ছয় রয়েছে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে হায়দরাবাদ-মুম্বাই এবং হায়দরাবাদ-ব্যাঙ্গালুরু ম্যাচ। দু’টিতেই ৩৮টি করে ছয় হয়েছে। ৩৭টি ছয় নিয়ে চতুর্থ স্থানে আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগে বল্‌খ লেজেন্ডস এবং কাবুল জোয়াননের ম্যাচ।

তৃতীয়ত, আইপিএলে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মতো আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের নিরিখে এটি প্রথম স্থানে। এর আগে ২০২০ সালে রাজস্থান শারজায় ২২৪ তাড়া করে জিতেছিল এই পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে। এ বছর ইডেনে কিছু দিন আগে এই রাজস্থানই ২২৪ রান তাড়া করে জিতেছিল কলকাতার বিরুদ্ধে। ২০২১ সালে ২১৯ তাড়া করে চেন্নাইকে হারিয়েছিল মুম্বাই।

কলকাতার বিরুদ্ধে পাঞ্জাবের ব্যাটারেরা মোট ২৪টি ছয় মেরেছেন। এটি সর্বোচ্চ। এর আগে এই আইপিএলেই ব্যাঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে হায়দরাবাদের ব্যাটারেরা ২২টি ছয় মেরেছিলেন। দিল্লির বিরুদ্ধে এবারই হায়দরাবাদের ব্যাটাররা ২২টি ছয় মেরেছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই রেকর্ড নেপালের। গত বছর এশিয়ান গেমসে মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে নেপাল ২৬টি ছয় মেরেছিল।

চতুর্থত, আইপিএলের কোনো ম্যাচে দু’টি ইনিংসের রান মিলিয়ে তৃতীয় স্থানে। এ বছর হায়দরাবাদ বনাম ব্যাঙ্গালুরু ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫৪৯ রান হয়েছিল। তার আগে হায়দরাবাদ বনাম মুম্বাই ম্যাচে ৫২৩ রান হয়েছিল। শুক্রবার ইডেনে সেই একই রান হলো। কলকাতা এবং পাঞ্জাবের ইনিংস মিলিয়ে উঠল ৫২৩ রান। তার আগে ২০১০ সালে চেন্নাই বনাম রাজস্থানের ম্যাচে ৪৬৯ রান ১৩ বছর সবার উপরে ছিল।


আইপিএল   পাঞ্জাব   কলকাতা   বিশ্বরেকর্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বেয়ারস্টো-শশাঙ্ক ঝড়ে উড়ে গেল কেকেআর

প্রকাশ: ১২:২৭ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আইপিএলের ৪২ তম ম্যাচ শেষে কলকাতার ইডেন গার্ডেন থেকে যখন কেকেআর সমর্থকরা বেরোচ্ছেন তখন তাদের চোখে মুখে কেবলই হতাশা। তারা কোন ভাবেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না টি-২০ টোয়েন্টিতে ২৬১ রান করেও হারা যায়। আর এই জয়ের কান্ডারী বেয়ারস্টো, প্রভসিমরান সিংহ এবং শশাঙ্ক সিংহরা। 

এবারের আইপিএলের পিচগুলো যেন ব্যাটারদের স্বর্গরাজ্য। ফর্মে না থাকা ব্যাটারকেও আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে। প্রায় সব ম্যাচেই রান ছাড়াচ্ছে দুইশ। সানরাইজার্স হায়দারবাদতো এই আসরে ৩ বার পার করেছে ২৫০ এর অধিক রান। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দিনের একমাত্র ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্স প্রথমে ব্যাট করে ২৬২ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দেয় পাঞ্জাব কিংসকে। এই বিশাল লক্ষ্যও ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ছুয়ে ফেলে পাঞ্জাব কিংস। যা এখনো টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। 

এই ম্যাচে ৪৮ বলে ১০৮ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন জনি বেয়ারস্টো। এছাড়া প্রভসিমরান এর ২০ বলে ৫৪ এবং শশাঙ্কের ২৮ বলে ৬৮ রানের ইনিংস অসাধারণ ইনিংস খেলেন। এছাড়াও রাইলি রোসো করেন ১৬ বলে ২৬। 

অন্যদিকে কেকেআরের ২৬১ রান তোলার নেপথ্যে ছিলেন সুনীল নারাইন। যিনি ব্যাট হাতে ৩২ বলে ৭১ রান করেন আবার বল হাতে ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে একটি উইকেটও নেন। কিন্তু তাও ম্যাচ জেতাতে পারলেন না এ খেলোয়ার। কারণ এইদিন বেয়ারস্টো-শশাঙ্ক ঝড়ের কাছে কেকেআর ছিলো অসহায়। 


আইপিএল   পাঞ্জাব কিংস   কেকেআর   বেয়ারস্টো   শশাঙ্ক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

গোল বন্দনায় প্রিমিয়ার লিগ, একের পর এক নতুন রেকর্ড

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ক্রীড়াঙ্গনে ফুটবল ভক্তদের কাছে প্রিমিয়ার লিগ যেন দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ। কারণ পৃথিবীতে যত যাই কাজ থাকুক রাতে খেলা আছে মানেই তা জাকজমকপূর্ণ। আর তাইতো বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ঘরোয়া ক্রীড়া আসর ভাবা হয় এই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগকে।

প্রিমিয়ার লিগের এত বেশি জনপ্রিয়তার অবশ্য ভিন্ন একটি কারণও রয়েছে। সেটি হচ্ছে গোলের বন্যা। প্রতিপক্ষের জালে গোল দেওয়াটা যেমন আরেক প্রতিপক্ষের জন্য চ্যালেঞ্জের, ঠিক তেমনই দর্শকদের জন্য রোমাঞ্চকর।

গোলের এই খেলায় একটি গোলের মাধ্যমে যেমন একটি দলের ভাগ্য নির্ধারণ হয় তেমনই এক একটি খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ারে বড় ভূমিকা রাখে। সেই ধারাবাহিকতায় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ যেন এখন গোল উৎসবে মেতেছে।

দলগুলো ম্যাচের পর ম্যাচে গোল করে যাচ্ছে। সেই সাথে জনপ্রিয় এই ক্রীড়া আসর এবার ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি গোলের নতুন রেকর্ডই গড়েছে।

প্রিমিয়ার লিগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটি ছিল সর্বশেষ ২০২২–২৩ মৌসুমের। গত বছর লিগের শেষ দিনে মোট ৩৩টি গোল হওয়ায় মৌসুম শেষ হয়েছিল ১০৮৪ গোলে। এবার গোলের রেকর্ড ভেঙে গেছে মৌসুমের ৩৫ ম্যাচ বাকি থাকতেই।

এখন পর্যন্ত হওয়া ৩৪৫ ম্যাচে মোট গোল হয়েছে ১০৯২টি। ম্যাচপ্রতি ৩.২৬টি করে। এই হারে বাকি ম্যাচগুলোতেও গোল হলে আরেকটি রেকর্ড গড়বে প্রিমিয়ার লিগ।

১৯৯২–৯৩ থেকে ১৯৯৪–৯৫ মৌসুম পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগে খেলত ২২টি দল। ওই তিন মৌসুমে প্রতিটি দলের ম্যাচ ছিল ৪২টি করে, মোট ম্যাচ হয়েছে ৪৬২টি করে। স্বাভাবিকভাবে গোলও হতো বেশি। ১৯৯২–৯৩ মৌসুমে সব কটি দল মিলে করেছিল ১২২২টি গোল। প্রতি ম্যাচে গোল হয়েছিল ২.৬৪৫টি করে। এবার বাকি থাকা ম্যাচে ৩.২৬ হারে গোল হলে মৌসুম শেষে গোলসংখ্যা হবে ১৩২৯টি।

চলতি মৌসুমে লিগে গোলের ছড়াছড়ি আর্সেনাল, লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার সিটির প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে। মৌসুম প্রায় শেষ হতে চললেও এখনো শিরোপা লড়াইয়ে আছে তিন দল। এর মধ্যে আর্সেনাল ৩৪ ম্যাচে করেছে ৮২ গোল, সমান ম্যাচে লিভারপুলের গোল ৭৪টি। আর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সিটি ৭৩ গোল করেছে ৩২ ম্যাচে।

দলগুলোর গোলের আধিক্য যাদের কারণে, সেই ফরোয়ার্ডদের মধ্যেও চলছে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। সবচেয়ে বেশি ২০টি করে গোল করেছেন সিটির আর্লিং হলান্ড ও চেলসির কোল পালমার। অ্যাস্টন ভিলার ওলি ওয়াটকিনসের গোলসংখ্যা ১৯টি।


প্রিমিয়ার লিগ   ক্রীড়াঙ্গন   ফুটবল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন