ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভেন্টিলেশনে সালমান রুশদি

প্রকাশ: ০৮:৪৮ এএম, ১৩ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail ভেন্টিলেশনে সালমান রুশদি

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে হামলার স্বীকার বুকারজয়ী লেখক সালমান রুশদিকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তিনি কথা বলতে পারছেন না। 

সালমান রুশদির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে এক বিবৃতিতে এসব জানিয়েছেন তার এক কর্মকর্তার। 

অ্যান্ড্রু ওয়াইলি নামে রুশদির ওই কর্মকর্তা এক বিবৃতিতে বলেছেন,  দ্য স্যাটানিক ভার্সেস-এর রচয়িতা ঔপন্যাসিক সালমান রুশদি একটি চোখ হারাতে পারেন।

এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রে ছুরিকাহত হন সালমান রুশদি। শুক্রবার (১২ আগস্ট) নিউইয়র্কের শিটোকোয়া ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানমঞ্চে কথা বলছিলেন তিনি। এ সময় তার ঘাড়ে এক হামলাকারী ছুরিকাঘাত করেন। পরে হেলিকপ্টারে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। এই ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশ হাদি মাতার (২৪) নামে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। 

পুলিশ বলছে, হামলাকারী মঞ্চে উঠে রুশদি ও তার সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীর ওপর হামলা চালান। রুশদির ঘাড়ে ছুরি দিয়ে বেশ কয়েকটি আঘাত করা হয়েছে। পরে হামলাকারীকে ধরে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।



অ্যান্ড্রু ওয়াইলি বলেন, ‘সালমান সম্ভবত একটি চোখ হারাতে পারেন। তাঁর বাহুর স্নায়ু বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং তাঁর পাকস্থলী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ বই লেখার জন্য এ ঔপন্যাসিকের নামে ১৯৮৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছিলেন ইরানের তৎকালীন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লা খোমেনি। এ বইয়ের জন্য ৯ বছর তাকে আত্মগোপনে থাকতে হয়েছিল।   

একই বইয়ের কারণে নব্বইয়ের দশকে ইতালির মিলানে রুশদির ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’-এর জাপানি অনুবাদক হিতোসি ইগারাসিকে ছুরি মেরে খুন করা হয় টোকিয়োর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত এ ঔপন্যাসিক ১৯৮১ সালে মিডনাইট'স চিলড্রেন লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। যুক্তরাজ্যেই এর এক মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়।


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অবশেষে আজারবাইজানের কাছে আর্মেনীয়দের আত্মসমর্পণ, ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু

প্রকাশ: ০৪:৫৩ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ককেশাস অঞ্চলের দেশ আজারবাইজানের বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে আজারবাইজানীয় সামরিক বাহিনীর ব্যাপক হামলার পর আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আত্মসমর্পণে রাজি হয়েছে। এই ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে আর্মেনিয়াতে।

মূলত আত্মসমর্পণের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) হাজার হাজার বিক্ষোভকারী আর্মেনীয় রাজধানীতে জড়ো হন এবং প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের পদত্যাগ দাবি করেন। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারাবাখের আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনীর সদস্যরা আজারবাইজানের কাছে অপমানজনক আত্মসমর্পণে বাধ্য হওয়ার পরে আর্মেনিয়ান সরকারের ব্যর্থতার নিন্দা জানাতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বুধবার আর্মেনীয় রাজধানীতে রাস্তায় নেমে আসেন।

এসময় বিক্ষোভকারীরা রাজধানী ইয়েরেভানের কেন্দ্রস্থলে রিপাবলিক স্কয়ারে জড়ো হন। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অনেকেই এদিন আর্মেনিয়ান প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের পদত্যাগ দাবি করেন।

উল্লেখ্য, আর্মেনিয়ার এই প্রধানমন্ত্রী ২০২০ সালের যুদ্ধেও আজারবাইজানের কাছে পরাজয়ের সময় দেশটির ক্ষমতায় ছিলেন এবং এখন তার নেতৃত্বেই কারাবাখে আর্মেনিয়ান কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত পতন হলো।

আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জাতিগত আর্মেনীয় ছিটমহল নাগোরনো-কারাবাখ ঘিরে দুই দেশের মাঝে উত্তেজনা নতুন কোনো ঘটনা নয়। সম্প্রতি বিতর্কিত ওই ভূখণ্ডে মাইন বিস্ফোরণ ও অন্য এক ঘটনায় আজারবাইজানের ১১ পুলিশ সদস্য ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিলেন।

বর্তমানে আর্মেনিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন ওই অঞ্চলে গত মঙ্গলবার আজারবাইজানের সামরিক বাহিনীর অভিযান পরিচালনার খবর পাওয়া যায়। মূলত সামরিক অভিযানের একদিনের মাথায় আজারবাইজানের বিচ্ছিন্ন অঞ্চল নাগোরনো-কারাবাখের আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনীর সদস্যরা আত্মসমর্পণ এবং অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে রাজি হয়।

উভয় দেশই চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে; যা বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে কার্যকর হয়েছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, নাগোরনো-কারাবাখে আর্মেনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনীকে নিরস্ত্র এবং ভেঙে দেওয়া হবে। এছাড়া ওই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ এবং সেখানে বসবাসকারী জাতিগত আর্মেনীয়দের বিষয়ে বৃহস্পতিবার আলোচনা শুরু হবে।

এছাড়া আজারবাইজানও এই চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। চুক্তি ফলে নাগোরনো-কারাবাখের প্রায় এক লাখ ২০ হাজার জাতিগত আর্মেনীয়কে নিজেদের সমাজে একীভূত করে নেবে আজারবাইজান। কিন্তু অনেক আর্মেনীয় আজারবাইজানের এই পদক্ষেপের ব্যাপারে ভীত।

এদিকে অনেক আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অপমানজনক আত্মসমর্পণ বাধ্য হয়ে মেনে নেয়ার ব্যাপারটি গ্রহণ করতে পারেনি। একারণে এই ঘোষণার পরই হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাজধানী ইয়েরেভানের কেন্দ্রস্থলে জড়ো হন। তাদের অনেকে আর্মেনিয়ান প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের পদত্যাগ দাবি করেন।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ৩২ বছর বয়সী সৌর প্রকৌশলী হারুত বলছেন: ‘আমরা আশা করি তিনি (নিকোল পাশিনিয়ান) পদত্যাগ করবেন। যুদ্ধে হেরে যাওয়া একজন নেতার পক্ষে পদে থাকার এবং দায়িত্বপালন চালিয়ে যাওয়ার চেয়ে চলে যাওয়া ভালো।’

তিনি বলেন, আর্মেনীয়রা কারাবাখের জন্য কতদিন ধরে লড়াই করেছিল তা বিবেচনা করলে এই পরাজয়টি আরও বেদনাদায়ক আমাদের কাছে। তার ভাষায়, ‘আমরা গত ৩০ বছর ধরে এটার জন্য লড়াই করছি, মূলত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। এবং এখন এটি আর আমাদের নয়।’

রয়টার্স বলছে, বিক্ষোভের সময় অনেকেই নাগোরনো-কারাবাখের পতাকা সাথে রেখেছিলেন এবং কেউ কেউ পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিও করেন। অন্যরা রিপাবলিক স্কয়ারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় লক্ষ্য করে বোতল ও পাথর ছুড়ে মারেন।

অবশ্য বিক্ষোভের শঙ্কায় দাঙ্গা পুলিশ আগেই সরকারি অফিসগুলো সিল করে দিয়েছিল।

উল্লেখ্য, বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান কয়েক দশক ধরে বিবাদে লিপ্ত রয়েছে। নাগোরনো-কারাবাখ আজারবাইজানের ভূখণ্ডের ভেতরে অবস্থিত হলেও ১৯৯৪ সালের এক যুদ্ধের পর থেকে আর্মেনিয়ার সমর্থনে জাতিগত আর্মেনীয় বাহিনী ওই অঞ্চলটি নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।

ইতোমধ্যে নাগোরনো-কারাবাখ ঘিরে দুই প্রতিবেশী আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়া অন্তত দুবার যুদ্ধে জড়িয়েছে। ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর প্রথমবার যুদ্ধে জড়ায় দেশ দুটি।

সাবেক সোভিয়েত এ দুই রাষ্ট্র বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে ২০২০ সালে ফের প্রাণঘাতী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। দুই দেশের সৈন্যদের হামলা-পাল্টা হামলায় সেই যুদ্ধে উভয়পক্ষের সাড়ে ৬ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

তবে বুধবারেই এই চুক্তি অনুযায়ী জাতিগত আর্মেনীয়রা কারাবাখে আজারি নিয়ন্ত্রণে থাকবেন নাকি আর্মেনিয়ায় চলে যাবেন, সেটি এখনও পরিষ্কার নয়।


আজারবাইজান-আর্মেনিয়া লড়াই   বিক্ষোভ   বিশ্ব সংবাদ   আত্মসমর্পণ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চাঁদে সূর্য উঠেছে, এবার বিক্রম-প্রজ্ঞানকে জাগানোর চেষ্টা করবে ইসরো

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ভারতের চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞানকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল এক চন্দ্রদিন পর। যেহেতু পৃথিবীর ১৪ দিন মানে চাঁদের একদিন— সে হিসেবে দক্ষিণ মেরুতে সূর্য উঠে গেছে। এবার বিক্রম ও প্রজ্ঞানকে জাগিয়ে তোলার অপেক্ষা।

এদিকে এর প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) ।

ইন্ডিয়া টুডেকে ইসরো জানিয়েছে, চাঁদে বুধবার সূর্য উঠবার সঙ্গে সঙ্গেই বিক্রম বা প্রজ্ঞানকে জাগিয়ে তোলা সম্ভব নয়। গত ১৫ দিন ধরে যে শীতল আবহাওয়ায় যন্ত্রগুলো পড়েছিল, তা কাটিয়ে উঠতে কিছুটা তাপের প্রয়োজন। এখনই সূর্য থেকে সেই তাপ পাওয়া যাবে না।

ইসরো জানিয়েছে, সূর্যের আলোতে বিক্রম ও প্রজ্ঞানের ব্যাটারি রিচার্জ হবে। এ জন্য অপেক্ষা করেছে ইসরো। ব্যাটারি চার্জ সম্পূর্ণ হলেই আবার ল্যান্ডার ও রোভারকে সক্রিয় করে তোলা যাবে বলে আশা করছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।

এদিকে চন্দ্রযান-৩ অভিযানের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হলো সূর্য। সূর্যের আলোতেই এই অভিযানের যাবতীয় যন্ত্রপাতি কাজ করছে। ইসরো জানিয়েছে, চাঁদের তাপমাত্রা আরও একটু বৃদ্ধি পাওয়ার পর আগামী ২২ সেপ্টেম্বর বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবে তারা।

তবে এ যোগাযোগ সম্ভব হবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। কারণ, চাঁদে রাত নামলে তাপমাত্রা অনেক কমে যায়। কখনও কখনও হিমাঙ্কের ২৫০ ডিগ্রি নীচেও পৌঁছে যায় তাপমাত্রা। সেই তীব্র শীত কি সহ্য করতে পেরেছে বিক্রম, প্রজ্ঞান? এ নিয়ে জল্পনা এখনও চলছে।


ইসরো   ভারত   চন্দ্রযান-৩  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া স্থগিত করল ভারত

প্রকাশ: ০১:৫২ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

এবার খলিস্তান ইস্যুকে কেন্দ্র করে কানাডার নাগরিকদের ভিসা ইস্যু করা স্থগিত করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দেশটি এই পদক্ষেপ নেয় এবং ‘পরবর্তী নির্দেশ বা বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া পর্যন্ত’ এই নির্দেশনা বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না হওয়া পর্যন্ত’ কানাডিয়ান নাগরিকদের ভিসা ইস্যু স্থগিত করেছে ভারত। অনলাইন ভিসা আবেদন কেন্দ্র বিএলএস ইন্টারন্যাশনালের একটি বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, ‘পরিচালনা সংক্রান্ত কারণে... পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভারতীয় ভিসা পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে’।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি কানাডায় খালিস্তান সমর্থিত নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এতে ভারতের সম্পৃক্ততার কথা বলেন এবং এই ঘোষণার পরপরই দেশটি ভারতের এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করে।

বহিষ্কৃত ওই কূটনীতিক কানাডায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র)-এর প্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর পর থেকেই দেশটির সঙ্গে ভারতের উত্তেজনা বর্তমানে তুঙ্গে রয়েছে এবং এর মধ্যেই ভারতের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

এর আগে, এই ঘটনার পরপরই পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে কানাডার একজন ঊর্ধ্বতন কূটনীতিককেও বহিষ্কার করে ভারত।

কানাডার নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসা ইস্যু করা স্থগিতের মতো পদক্ষেপ এমন সময়ে নেওয়া হলো যখন কানাডায় খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দেশটির সঙ্গে ভারতের উত্তেজনা বর্তমানে তুঙ্গে রয়েছে। মূলত নিজ্জার হত্যার ঘটনায় ভারত সরকারের দিকে সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

এমনকি ভারতের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলার পর ট্রুডো এখন কানাডার মিত্র দেশগুলোকেও পাশে চাইছেন। এই পরিস্থিতিতে শিখ নেতা নিজ্জার হত্যার তদন্তে ভারতকে সহযোগিতা করতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি কানাডার এই অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বলেও জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।


ভারত   কানাডা   ভিসা স্থগিত   বিশ্ব সংবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কানাডায় খালিস্তান সমর্থিত আরেক যুবককে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ০১:২৫ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আবারও এক খালিস্তান সমর্থক নিহত হলেন। বর্তমানে যখন এই খালিস্তান ইস্যুকে কেন্দ্র করে কানাডা এবং ভারতের মধ্যে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে তখনই আরেক খালিস্তান সমর্থিত যুবককে কানাডায় গুলি করে হত্যা করা হলো। নিহত ওই যুবকের নাম সুখদুল সিং ওরফে সুখা দুনেকে। স্থানীয় সময় বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) কানাডার উইনিপেগে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা গুলি করে তাকে হত্যা করে।

কানাডায় খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারকে গুলি করে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশটির সঙ্গে ভারতের উত্তেজনা বর্তমানে তুঙ্গে রয়েছে। চরম অবনতি হয়েছে তাদের কুটনৈতিক সম্পর্কের। আর এর মধ্যেই নতুন করে আরেক যুবকের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।

বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খালিস্তানি সমর্থক সুখদুল সিং - যিনি সুখা দুনেকে নামেও পরিচিত - কানাডায় গ্যাং সহিংসতায় নিহত হয়েছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। দুনেকে কানাডার খালিস্তান আন্দোলনের অংশ ছিলেন।

এনডিটিভি বলছে, দুনেকে পাঞ্জাবের মোগা জেলার বাসিন্দা ছিলেন এবং ২০১৭ সালে পাঞ্জাব থেকে কানাডায় চলে যান। তিনি খালিস্তানি নেতা আরশদীপ ডাল্লার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।

পৃথক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিটিভি ১৮ বলেছে, বুধবার কানাডার উইনিপেগে সুখদুল সিং ওরফে সুখা দুনেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের গুলিতে নিহত হয়েছেন।

পাঞ্জাব পুলিশ সূত্র নিউজ ১৮ কে জানিয়েছে, সুখদুল সিং খালিস্তানপন্থি বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন এবং ২০১৭ সালে পাঞ্জাব থেকে কানাডায় পালিয়ে যান। তিনি পাঞ্জাবের মোগা জেলার বাসিন্দা ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া রাজ্যে ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিখ নেতা হারদ্বীপ সিং নিজ্জারকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়।

সম্প্রতি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান, নিজ্জারকে ভারত সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় হত্যা করা হয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছেন তারা। সোমবার দেশটির আইনসভা হাউজ অব কমন্সের জরুরি অধিবেশনে এমন বিস্ফোরক দাবি করেন জাস্টিন ট্রুডো। তার এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি ভারত।

ট্রুডোর এমন অভিযোগ করার পরই দেশটি ভারতের এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। বহিষ্কৃত ওই কূটনীতিক কানাডায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র)-এর প্রধানের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এই ঘটনার পরপরই পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে কানাডার একজন ঊর্ধ্বতন কূটনীতিককেও বহিষ্কার করে ভারত।


কানাডা   ভারত   নিহত   বিশ্ব সংবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিশ্বে বড় ধরনের বিভক্তির আশঙ্কা করছেন জাতিসংঘের মহাসচিব

প্রকাশ: ১২:৪৯ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

গত মঙ্গলবার গত মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেন মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এ সময় আন্তোনিও গুতেরেস বর্তমান বিশ্বে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কে বিভক্তি এছাড়া আরও নানা সমস্যা নিরসনে কি কি পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে সেসব বিষয়ে আলোকপাত করেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়তে থাকায় বিশ্ব ক্রমে অস্থির হয়ে উঠেছে। ফলে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে হচ্ছে। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

গুতেরেস বলেন, অর্থনৈতিক ও আর্থিক ব্যবস্থা আর বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এযাবৎকালের সবচেয়ে বেশি বিভক্তির দিকে এগোচ্ছে বিশ্ব। প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিভক্ত কৌশল একক ও উন্মুক্ত ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে হুমকিতে ফেলছে এবং নিরাপত্তাকাঠামোয় সম্ভাব্য সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি করছে।

‘অকার্যকর, সেকেলে ও অন্যায্য আন্তর্জাতিক আর্থিক কাঠামোর’ বড় ধরনের সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। এর মধ্যে রয়েছে সবচেয়ে ঋণগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য বার্ষিক ৫০ হাজার কোটি ডলারের উদ্ধার প্যাকেজ গ্রহণ।

জাতিসংঘ মহাসচিব আরো বলেন, বৈশ্বিক ব্যবস্থা এমন এক সময়ে ‘পশ্চাৎপদ অবস্থান’ নিয়েছে, যখন শক্তিশালী, আধুনিক ও বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর আগের চেয়ে বেশি প্রয়োজন রয়েছে।

গুতেরেস বলেন, ‘যদি প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বকে তার মতো করে প্রতিনিধিত্ব না করে, তাহলে আমরা কার্যকরভাবে সমস্যার সমাধান করতে পারি না। সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে, প্রতিষ্ঠানগুলো সমস্যার অংশ হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে থাকে।’ জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি; উত্তর ও দক্ষিণ এবং পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে বিভক্তি গভীরতর হচ্ছে।

‘অকার্যকর, সেকেলে ও অন্যায্য আন্তর্জাতিক আর্থিক কাঠামোর’ বড় ধরনের সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। সবচেয়ে ঋণগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য বার্ষিক ৫০ হাজার কোটি ডলারের উদ্ধার প্যাকেজ গ্রহণের কথাও বলেন তিনি।

এছাড়া জলবায়ু–সংকট মোকাবিলায় গুতেরেস একটি জলবায়ু সংহতি চুক্তির দাবিও জানিয়েছেন। এই চুক্তির অধীন কার্বন নির্গমন কমাতে সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমনকারী দেশগুলো অতিরিক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এছাড়াও এ কাজে ধনী দেশগুলো বিকাশমান অর্থনীতির দেশগুলোকে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দেবে। তিনি বলেন, সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারের বৈশ্বিক সক্ষমতার ৬০ শতাংশই রয়েছে আফ্রিকায়। কিন্তু সেখানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ মাত্র ২ শতাংশ। এ বিষয়গুলোই তিনি নজরে আনেন।


জাতিসংঘের মহাসচিব   জাতিসংঘ   আন্তোনিও গুতেরেস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন