ইনসাইড বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রীসভার যারা খুনী মোশতাকের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ১৫ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রীসভার যারা খুনী মোশতাকের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল

৭৫ এর ১৫ আগস্ট। বাংলাদেশের ইতিহাসে বর্বরতম দিন। জাতির পিতাকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি। এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলো দেশী-বিদেশী অপশক্তি। কিন্তু দুভাগ্যজনক হলো আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ এই ষড়ন্ত্রে যুক্ত ছিলো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি হন খুনী মোশতাক। ২৩ সদস্যের মন্ত্রীসভা গঠন করেন। ঐ মন্ত্রীসভায় বঙ্গবন্ধুর প্রায় সব মন্ত্রীই যোগ দিয়েছিলেন।

১৯৭৫ সালে ২৬ জানুয়ারিতে বাকশাল গঠনের পর বঙ্গবন্ধু মন্ত্রীসভা পূর্ণ:গঠন করেন। ৩০ সদস্যের নতুন মন্ত্রীসভা গঠিত হয়। আর সেই মন্ত্রীসভায় খুনী খন্দকার মোশতাক আহমেদ ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে। আর এটি ছিলো আওয়ামী লীগের জন্য সবচেয়ে বড় ভয়াবহ একটি ট্র্যাজেডি। মাত্র সাতজন এই খুনী মোশতাকের সাথে হাত মেলায়নি। আর সেই সাতজন হলেন:

খুনী মোশতাকের মন্ত্রীসভায় যারা যোগ দেননি:

ক্রমিক নং

মন্ত্রীসভার সদস্যবৃন্দ

পদবী

মন্ত্রণালয়

পরিণতি

১.

সৈয়দ নজরুল ইসলাম

উপরাষ্ট্রপতি

পরিকল্পনা কমিশন

জাতির পিতাকে হত্যা করার পর গ্রেফতার হন। ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে শহীদ হন।

২.

 মো: মনসুর আলী

প্রধানমন্ত্রী

 

বঙ্গঁবন্ধুকে হত্যার পর গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

৩.

এএইচ এম কামরুজ্জামান

মন্ত্রী

শিল্প মন্ত্রণালয়

জাতির পিতাকে হত্যার পর গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

৪.

আব্দুস সামাদ আজাদ

মন্ত্রী

কৃষি মন্ত্রণায়লয়

গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং দীর্ঘদিন কারা বরণ করার পর মুক্তি পান।

৫.

ড: কামাল হোসেন

মন্ত্রী

পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়

 সেই সময় বিদেশে অবস্থান করছিলেন। বঙ্গঁবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেননি।

৬.

আবদুর রব সেরনিয়াবাত

মন্ত্রী

মৎস্য, বন, বন্যা, বিদ্যুাৎ শক্তি

৭৫ এর ১৫ই আগস্ট নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিল।

৭.

এম কোরবান আলী

মন্ত্রী

তথ্য, বেতার

জাতির পিতাকে হত্যার পর গ্রেপ্তার হন।

 

জাতির পিতার শেষ মন্ত্রীসভা। ২৬ জানুয়ারী, ১৯৭৫।  

ক্রমিক নং

মন্ত্রীসভার সদস্যবৃন্দ

পদবী

মন্ত্রণালয়

১.

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

রাষ্ট্রপতি

 

২.

সৈয়দ নজরুল ইসলাম

উপরাষ্ট্রপতি

পরিকল্পনা কমিশন

৩.

 মো: মনসুর আলী

প্রধানমন্ত্রী

 

৪.

খন্দকার মোশতাক আহমেদ

মন্ত্রী

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

৫.

এএইচ এম কামরুজ্জামান

মন্ত্রী

শিল্প মন্ত্রণালয়

৬.

 মোহাম্মদ উল্লাহ

মন্ত্রী

ভূমি প্রশাসন, ভূমি সংস্কার

৭.

আব্দুস সামাদ আজাদ

মন্ত্রী

কৃষি মন্ত্রণায়লয়

৮.

অধ্যাপক ইউসুফ আলী

মন্ত্রী

শ্রম, সমাজ কল্যাণ

৯.

শ্রী ফণি ভূষণ মজুমদার

মন্ত্রী

এলজিআরডি

১০.

ড. কামাল হোসেন

মন্ত্রী

পররাষ্ট্র মন্ত্রণায়

১১.

 মো: সোহরাব হোসেন

মন্ত্রী

পূর্ত, গৃহ নির্মাণ

১২.

আব্দুল মান্নান

মন্ত্রী

স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা

১৩.

আব্দুর রব সেরনিয়াবাদ

মন্ত্রী

মৎস্য, বন, বন্যা, বিদ্যুাৎ শক্তি

১৪.

শ্রী মনোরঞ্জন ধর

মন্ত্রী

আইন, বিচার, সংসদ

১৫.

এড. আব্দুল মোমিন

মন্ত্রী

খাদ্য ও পুর্নাবাসন

১৬.

আসাদুজ্জামান খান

মন্ত্রী

পাট মন্ত্রণালয়

১৭.

এম কোরবান আলী

মন্ত্রী

তথ্য, বেতার

১৮.

ড: আজিজুর রহমান মল্লিক

মন্ত্রী

অর্থ মন্ত্রণালয়

১৯.

ড: মুজাফফর আহমদ চৌধুরী

মন্ত্রী

শিক্ষা, আনবিক শক্তি

২০.

বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী

মন্ত্রী

বন্দর ও জাহাজ দফতর

২১.

নুরুল ইসলাম মঞ্জুর

প্রতিমন্ত্রী

 যোগাযোগ মন্ত্রণালয়

২২.

আব্দুল মোমিন তালুকদার

প্রতিমন্ত্রী

এলজিআরডি

২৩.

 দেওয়ান ফরিদ গাজী

প্রতিমন্ত্রী

বাণিজ্য, পাট, চা

২৪.

অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরী

প্রতিমন্ত্রী

শিল্প মন্ত্রণালয়

২৫.

তাহের উদ্দিন ঠাকুর

প্রতিমন্ত্রী

তথ্য ও বেতার

২৬.

 মোসলেম উদ্দিন খান

প্রতিমন্ত্রী

পাট মন্ত্রণায়ল

২৭.

 কে এম ওবায়দুর রহমান

প্রতিমন্ত্রী

ডাক, তার, টেলিযোগাযোগ

২৮.

ডা: ক্ষিতিশ চন্দ্র মন্ডল

প্রতিমন্ত্রী

সাহয্য ও পূর্ণবাসন

২৯.

রিয়াজ উদ্দিন আহমদ

প্রতিমন্ত্রী

বন, মৎস্য ও পশুপালন

৩০.

 সৈয়দ আলতাফ হোসেন

প্রতিমন্ত্রী

 

 

খুনী মোশতাকের মন্ত্রীসভা:  

ক্রমিক নং

মন্ত্রীসভার সদস্যবৃন্দ

পদবী

মন্ত্রণালয়

১.

খন্দকার মোশতাক আহমেদ

রাষ্ট্রপতি

 

২.

মোহাম্মদ উল্লাহ

উপরাষ্ট্রপতি

 

৩.

অধ্যাপক ইউসুফ আলী

মন্ত্রী

পরিল্পনা দফতর

৪.

শ্রী ফণি ভূষণ মজুমদার

মন্ত্রী

এলজিআরডি

৫.

মো: সোহরাব হোসেন

মন্ত্রী

পূর্ত, গৃহ নির্মাণ

৬.

আব্দুল মান্নান

মন্ত্রী

স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা

৭.

শ্রী মনোরঞ্জন ধর, এড

মন্ত্রী

আইন, বিচার, সংসদ

৮.

এড. আব্দুল মোমিন, এড

মন্ত্রী

কৃষি দফতর, খাদ্য

৯.

আসাদুজ্জামান খান

মন্ত্রী

বন্দর, জাহাজ চলাচল

১০.

ড: আজিজুর রহমান মল্লিক

মন্ত্রী

অর্থ মন্ত্রণালয়

১১.

ড: মুজাফফর আহমদ চৌধুরী

মন্ত্রী

শিক্ষা

১২.

বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী

মন্ত্রী

পররাষ্ট্র দফতর

১৩.

শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন

প্রতিমন্ত্রী

বিমান, পর্যটন

১৪.

তাহের উদ্দিন ঠাকুর

প্রতিমন্ত্রী

তথ্য, বেতার, শ্রম

১৫.

 কে এম ওবায়দুর রহমান

প্রতিমন্ত্রী

ডাক ও তার

১৬.

নুরুল ইসলাম মঞ্জুর

প্রতিমন্ত্রী

রেল, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়

১৭.

দেওয়ান ফরিদ গাজী

প্রতিমন্ত্রী

বাণিজ্য, খনিজ সম্পদ

১৮.

অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরী

প্রতিমন্ত্রী

শিল্প মন্ত্রণালয়

১৯.

রিয়াজ উদ্দিন আহমদ

প্রতিমন্ত্রী

বন, মৎস্য ও পশু পালন

২০.

মোসলেম উদ্দিন খান হাবু মিয়া

প্রতিমন্ত্রী

পাট মন্ত্রণালয়

২১.

মোমেন উদ্দিন আহমেদ, এড

প্রতিমন্ত্রী

বন্যা, পানি, বিদ্যুৎ

২২.

ডা: ক্ষিতিশ চন্দ্র মন্ডল

প্রতিমন্ত্রী

ত্রাণ ও পূর্ণবাসন দফতর

২৩.

 সৈয়দ আলতাফ হোসেন

প্রতিমন্ত্রী

সড়ক ও যোগাযোগ


১৫ আগস্ট   বঙ্গবন্ধু   খুনী মোশতাক   মন্ত্রীসভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সারাদেশে হিট স্ট্রোকে আরও ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১০:৩২ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে নতুন করে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত হিট স্ট্রোকে ১০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে সারা দেশে হিট স্ট্রোকে নতুন মৃত্যুর বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, হিট স্ট্রোকে নতুন মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুইজনেরই মৃত্যু হয়েছে মাদারীপুর জেলায়। আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম জেলায়। তবে গত একদিনে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি।

সবমিলিয়ে বর্তমানে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

হিট স্ট্রোক   তীব্র তাপদাহ   স্বাস্থ্য অধিদপ্তর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ১


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব হত্যা মামলায় আনোয়ার হোসেন দুলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে দুলালের দেয়া তথ্যমতে একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। সোমবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার দুলাল সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের মান্দারের দিঘির পাড়া এলাকার আবদুল আজিজের ছেলে। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পর থেকে দুলাল আত্মগোপনে চলে যায়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করতে ঝিনাইদহ এবং খুলনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। পরে তাঁকে খুলনার ডুমুরিয়ার শরাপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে লক্ষ্মীপুরে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। দুলালের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে সোমবার ভোরে তার বসতবাড়ি থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি এলজি ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

এসপি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে দুলাল এঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামিদের নামও জানায়। মামলার প্রধান আসামি কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুসহ এঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন এই কর্মকর্তা।

এর আগে গত ১২ এপ্রিল রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানার পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। ১৬ এপ্রিল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সজিব। এর আগে এ মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন নতুন তিন মুখ


Thumbnail

প্রায় ১৩ বছর পর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে তিনটিতে চেয়ারম্যান পদে নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। আর দক্ষিণ হামছাদী ও তেওয়ারীগঞ্জ এ দুইটি ইউনিয়নে এ পদে পুরাতনেই আস্থা রেখেছেন ভোটাররা। তবে পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে পেয়ে উল্লাস প্রকাশ করছে পুরো নেট দুনিয়া। 

এর আগে রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। 

এতে চেয়ারম্যান হিসেবে দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি মীর শাহ আলম (ঘোড়া) প্রতীকে ছয় হাজার ২৪৪, দালাল বাজার ইউনিয়নে এডভোকেট নজরুল ইসলাম (চশমা) ছয় হাজার ৩৫৫ ভোট, বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে জেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান ভূঁইয়া (চশমা) প্রতীকে  ছয় হাজার ৪০১ ভোট, লাহারকান্দি ইউনিয়নে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম (টেলিফোন) প্রতীকে পাঁচ হাজার ৫৮৩ ভোট ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলু (আনারস) প্রতীকে সাত হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। 

এসব ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে নতুন মুখ রয়েছেন অনেকেই, আবার অনেকে আস্থা রেখেছেন পুরোনোদের প্রতিই। তবে শান্তিপূর্ণ পরিবেমে ভোট দিতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অধিকাংশ ভোটাররা। নতুন ও পুরোনোদের শুভেচ্ছা জানান ভোটাররা।

লক্ষ্মীপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার ঝিনাইদহ উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম

প্রকাশ: ০৮:৪৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আলোচিত-সমালোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম এবার ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, আমি সৎ এবং সাহসী। সবাই চায় আমি যেন সংসদ সদস্য হয়ে কথা বলি, সবার পাশে থাকি। তাই ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। সেভাবে প্রস্তুতি চলছে আমার।

হিরো আলাম আরও বলেন, আমার এক বন্ধু কুমিল্লার একটি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আমি সেখানে প্রচারণা চালাতে যাচ্ছি। ঝিনাইদহ-১ আসনের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, তখন তারা বলেছেন সবাই আমাকে চেনেন। আমি তাদের কাছে প্রিয় এবং পরিচিত মুখ। তারাও চায় আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেখানকার জনসাধারণ আরও বলেন- নির্বাচনে তারা সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে সেখানে উপনির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছি। আমিও আশ্বাস দিয়েছি তাদের পাশে সবসময় থাকব।

আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন। ব্যালট পেপারে হবে এ নির্বাচন। গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন এই আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।

ঝিনাইদহ উপনির্বাচন   হিরো আলম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রীর ছোট ভাই

প্রকাশ: ০৮:৩৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছোট ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য। তিনি শিল্পমন্ত্রীর মেজভাই।

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনের মাঠে মন্ত্রীর ভাইয়ের থেকে যাওয়ার বিষয়টি সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। 

নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন ছাড়াও মনোহরদী উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন আরও চারজন। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশীষ কুমার রায়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রঙ্গু ও রাজধানী ঢাকায় আইন পেশায় যুক্ত মো. মাসুদুর রহমান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনোহরদী উপজেলায় টানা পাঁচবার উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন সাইফুল ইসলাম খান। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার নাম বাদ দিয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদের নাম একক প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রে পাঠিয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগ। কিন্তু কেন্দ্র থেকে তাকে না দিয়ে সাইফুল ইসলাম খানকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাইফুল ইসলাম খান। সাত হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। এবার আর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হননি তিনি।

চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বলছেন, মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর দলীয় সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আশায় বুক বেঁধেছিলেন অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। কিন্তু শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ এখনো সরে না দাঁড়ানোয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। দলীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করায় দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ছেন সবাই। শিল্পমন্ত্রী নীরব থাকা সত্ত্বেও তার ভাই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছেন। মন্ত্রীর পরিবারেই যদি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদও চলে যায়, তাহলে আর অন্যদের রাজনীতি করে লাভ কী? শেষ পর্যন্ত নজরুল মজিদ মাহমুদ যদি ভোটের মাঠে থেকেই যান, তবে জোর করেই ভোট নিয়ে নেবেন তিনি, এমন ভীতি কাজ করছে ভোটারদের মধ্যে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক জানান, শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। শিল্পমন্ত্রীর ছোটভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে এখনো ভোটের মাঠে আছেন। আশা করছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে তিনি দ্রুতই সরে দাঁড়াবেন।

এ বিষয়ে শিল্পমন্ত্রীর ভাই নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন করব বলেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছি। মন্ত্রীর ভাই হিসেবে নয়, নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতি করে আসছি। আমি আমার অবস্থান থেকেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছি। তাছাড়া নির্বাচন না করার ব্যাপারে দলীয় কোনো লিখিত নির্দেশনা পাইনি। সে কারণে আমার নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই বলে দাবি করেন তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   শিল্পমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন