ইনসাইড বাংলাদেশ

মোমেনের শব্দ বোমা: আওয়ামী লীগ বিরক্ত, ভারত বিব্রত

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৯ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail মোমেনের শব্দ বোমা: আওয়ামী লীগ বিরক্ত, ভারত বিব্রত

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনের শব্দ বোমায় আওয়ামী লীগ বিরক্ত। আওয়ামী লীগের অন্তত তিনজন নেতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই বিরক্তির কথা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের বক্তব্য শুনেছেন। আজ সকালে আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন যেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে থামানো হয়। কারণ তিনি বড় ধরনের ক্ষতি করে ফেলছেন। ওই প্রেসিডিয়াম সদস্য নিজেই বাংলা ইনসাইডারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগের আরও দুইজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা, যাদের মধ্যে একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং একজন সাংগঠনিক সম্পাদক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন। একজন সাংগঠনিক সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, আপা এসব কি হচ্ছে? প্রধানমন্ত্রী এসব বক্তব্য শুনেছেন, তবে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের মধ্যে ড. মোমেনকে নিয়ে এখন তোলপাড় চলছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রীতিমতো বিব্রত। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একের পর এক বিতর্কিত বক্তব্য দলের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করছে, দলকে বিপদগ্রস্ত করছে বলেই অনেক আওয়ামী লীগ নেতা মনে করেন। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের মধ্যেই রীতিমতো ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন যে, এর আগে তিনি বলেছেন বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর মতো। তখন একটি প্রেক্ষাপট ছিল। এটিকে আমরা হাস্যরস হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছি। কিন্তু এখন তিনি যেসমস্ত কথাবার্তাগুলো বলছেন তাতে সরকারের এবং দলের প্রচন্ড ক্ষতি হচ্ছে। আওয়ামী লীগের ওই নেতা বলেছেন যে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে যাচ্ছেন। ভারত সফরের আগে তিনি এধরনের মন্তব্য কেন করলেন? দ্বিতীয়, ওই নেতার মতে, কোনো নির্বাচনে ভারত কেন, কেউ ক্ষমতায় রাখতে পারে না। ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার একমাত্র মালিক হলো দেশের জনগণ। এ ধরনের বক্তব্য বিরোধী দলের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার শামিল। এই ধরনের বক্তব্য নির্বাচন নিয়ে যে আন্তর্জাতিক চাপ আছে, সেই চাপকেই বাড়িয়ে দেবে। ড. মোমেনের এই বক্তব্যের আগে তিনি বাংলাদেশের মানুষ বেহেস্তে আছে বলে একটি মন্তব্য করেছিলেন। এই মন্তব্যের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন এবং মন্ত্রীদেরকে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছিলেন। এর পরপরই ড. মোমেন তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আপনারা আমাকে খাইয়া ফালাইছেন। ধারণা করা হচ্ছিলো এরপর মোমেন শান্ত হবেন এবং তার বিতর্কিত বক্তব্য বন্ধ হবে। কিন্তু সেটি হয়নি।

আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত সম্পর্কে তিনি যে ভাষায় যে মন্তব্য করেছেন তা অকূটনৈতিকসুলভ। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ঢং কিংবা যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে যখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি নতজানু হয়ে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন, এই সবই সরকারের জন্য ক্ষতি করেছে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের বক্তব্যটি আওয়ামী লীগের অন্তত দুইজন নেতার মতে একটি গ্রেনেড হামলার মতো ঘটনা। এর মাধ্যমে একাধিক ক্ষতি হয়েছে। প্রথমত, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের নির্বাচনে যে প্রভাব বিস্তার হয় এবং নির্বাচনের যে কাউকে, যে কেউ জেতাতে পারে সেরকম একটি ধারণা জনগণ এবং বিশ্ব সমাজের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তৃতীয়ত, এর মাধ্যমে শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা এবং তার গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগের নেতারা বিরক্ত এবং অনেকেই ক্ষুব্ধ। 

অন্যদিকে ড. মোমেনের বক্তব্যে ভারতও বিব্রত। কারণ তিনি বলেছেন, আমি ভারতে গিয়ে বলেছি শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। ভারতের দূতাবাস থেকে এ ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে ভারতের দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে, বাংলাদেশের নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এ ব্যাপারে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামী ক'দিন আগেই সুস্পষ্ট বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেছিলেন যে, বাংলাদেশের নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমরা এই অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করি না। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত যখন এই রকম মন্তব্য করেন, আর পররাষ্ট্রমন্ত্রী যখন ভারতে গিয়ে শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার কথা বলেন, তখন জনমনে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়। ভারতের একাধিক কূটনীতিক মনে করেন যে, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে যখন একটি নতুন অধ্যায় সূচনা হতে যাচ্ছে, তখন সেই সময় এ ধরনের বক্তব্য অত্যন্ত বিব্রতকর। কিন্তু ড. মোমেন এই বক্তব্যের পর এখন কি বলবেন, সেটি দেখার অপেক্ষায় আওয়ামী লীগ, ভারত এবং পুরো দেশবাসী।

মোমেন   শব্দ বোমা   আওয়ামী লীগ   বিরক্ত   ভারত   বিব্রত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ৭০ শতাংশ ব্যবসায়ী: টিআইবি

প্রকাশ: ০৩:২৪ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক . মো ইফতেখারুজ্জামান বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অধিকাংশ প্রার্থী ক্ষমতাশীল দলের। অনেকেই ক্ষমতাশীলদের আত্মীয় স্বজন। প্রার্থীদের মধ্যে পুরুষের অধিক্য রয়েছে। ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য একই রকম। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ৭০ শতাংশ ব্যবসায়ী। রাজনীতির সঙ্গে সম্পদ বৃদ্ধির একটি যোগসূত্র দেখা যাচ্ছে। ক্ষমতা আয় বৃদ্ধির সঙ্গে রাজনীতির সরাসরি সম্পৃক্ততা দেখা যাচ্ছে। যে কারণে দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারছে না। 

রোববার (১৯ মে) ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব কথা বলেন তিনি।

দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ১৬০ উপজেলায় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে পেশা হিসাবে ব্যবসায়ীদের আধিক্য রয়েছে। পর্যায়ে দ্বিতীয় ধাপে পেশা হিসাবে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৭০.৫১ শতাংশ ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের প্রায় ৬৮.৭৩ শতাংশ ব্যবসায়ী।

যেখানে প্রথম ধাপে পেশা হিসাবে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৭০ শতাংশই ছিলেন ব্যবসায়ী, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের প্রায় ৬৭ শতাংশ নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ২৪ শতাংশ ব্যবসাকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন।

দ্বিতীয় দাপে ১৬০টি উপজেলার মধ্যে ১৫৭টির প্রার্থীর হলফনামা নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করেছে, বাকি তিনটি করেনি। প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া আট ধরনের তথ্যের বহুমাত্রিক তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়েছে।


উপজেলা   নির্বাচন   চেয়ারম্যান   টিআইবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চার বছরের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরলেন মেয়র তাপস

প্রকাশ: ০২:১৪ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দায়িত্ব গ্রহণের ৪ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বিগত দিনের উন্নয়ন কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

রোববার (১৯ মে) নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে দায়িত্বভার গ্রহণের চার বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।

শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘বৈশ্বিক করোনা মহামারির সময়ে আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করি। করোনার মাঝেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে প্রায় সব খাতেই আমরা আমূল পরিবর্তন আনতে সচেষ্ট হই। একটি উন্নত, বাসযোগ্য ঢাকা বিনির্মাণে বিগত চার বছরে সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন খাতে বিদ্যমান অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করে সুশাসন নিশ্চিত, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন সাধন, আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলসহ মাণ্ডা, শ্যামপুর, জিরানি কালুনগর খাল পুনরুদ্ধার নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টিতে উদ্যোগ গ্রহণ, বছরব্যাপী সমন্বিত মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন, ঢাকার সচলতা আনয়নে বহুমাত্রিক উদ্যোগ গ্রহণ বাস্তবায়ন, দশকের পর দশক ধরে চলা দখল সাম্রাজ্যের অবসান ঘটানো, প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ-উদ্যান- কাঁচাবাজার, গণশৌচাগার প্রতিষ্ঠা, জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর বাস্তবভিত্তিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং সর্বোপরি ঢাকার ঐতিহ্য সংরক্ষণ ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে ঢাকাকে বিশ্বের বুকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে নানাবিধ কর্মকাণ্ড পরিচালন বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং তা অব্যাহতভাবে চলমান রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দায়িত্বভার গ্রহণের প্রথম দিন হতেই কর্পোরেশনের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফিলতি, অনিয়ম, দুর্নীতি দূর করার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমি শূন্য সহনশীলতা নীতি গ্রহণ বাস্তবায়ন করে চলেছি। প্রশাসনিক সংস্কারের আওতায় এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।’

দায়িত্ব পালনে অবহেলা, গাফিলতি দুর্নীতির দায়ে বিগত বছরে বিভিন্ন স্তরের ৩৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়াও কর্পোরেশনের প্রাত্যহিক কার্যক্রম সম্পাদনে জনবলের যে তীব্র সংকট ছিল তা উত্তরণে বিগত বছরে ভারী গাড়ির ১৪৩ জন চালক, ৬৬ জন উপ-সহকারী প্রকৌশলী, ৭৭ জন হিসাব সহকারী, ২৭ জন রেভিনিউ সুপারভাইজার, ৩১ জন পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক, ২০ জন স্প্রেম্যান সুপারভাইজারসহ বিভিন্ন বিভাগে সর্বমোট ৮৭৯ জন জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং ২১৭ জনের নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

মেয়র বলেন, ‘মেয়র নির্বাচনের আগে আমি ঢাকাবাসীর ওপর কোনো রকমের করের বোঝা না চাপিয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছিলাম। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিগত চার বছরে আমরা কোনো খাতে কোনো কর বৃদ্ধি করিনি। বরং এসময়ে ২৫টি নতুন খাত সৃষ্টি করা হয়েছে এবং ১৪টি নতুন খাত হতে আমরা রাজস্ব আদায় শুরু করেছি। ফলে করোনা মহামারির মতো বৈশ্বিক সংকটের মাঝেও রাজস্ব আদায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ইতিহাস সৃষ্টি করে চলেছে, যা অদ্যাবধি অগ্রসরমান। ২০১৯-২০ অর্থবছরে কর্পোরেশনের রাজস্ব আদায় ছিল মাত্র ৫১৩.৯৬ কোটি টাকা, যা ২০২০-২১, ২০২১-২২ ২০২২-২৩ অর্থবছরে যথাক্রমে ৭০৩.৩১ কোটি, ৮৭৯.৬৫ কোটি ১০৩১.৯৭ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত যে রাজস্ব আদায় হয়েছে তা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫৪ কোটি টাকা বেশি। ফলে চলমান অর্থবছরে আমরা পূর্বেকার মাইলফলক অতিক্রম করতে পারব বলে আশাবাদী।’

আগে সব উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য কর্পোরেশনকে প্রকল্প নির্ভর থাকতে হতো। কিন্তু রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ঢাকাবাসীর কল্যাণে অনেক উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য আমাদেরকে এখন আর প্রকল্প নির্ভর থাকতে হয় না। বিগত চার বছরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নিজস্ব অর্থায়নে হাজার ২০০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে নানাবিধ অবকাঠামো নির্মাণ, উন্নয়ন সংস্কার করেছে। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ২০২০-২১ সালে ১২১.৮৫ কোটি, ২০২১-২২ সালে ৩৩৯.৪৪ কোটি, ২০২২-২৩ সালে ৩৯০.১৬ কোটি এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪০০ কোটি টাকার বেশি অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র, খাল- নর্দমা-বক্স কালভার্ট হতে বর্জ্য অপসারণ, সড়ক, জলাবদ্ধতা নিরসনে অবকাঠামো, সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র, গণশৌচাগার ইত্যাদি অনেক উদ্যোগ অবকাঠামো নির্মাণ, উন্নয়ন সংস্কার করেছি।

তিনি আরও বলেন, ‘দখলমুক্তির ধারাবাহিকতায় আমরা দীর্ঘ এক শতাব্দী পর নলগোলা ভাওয়াল রাজবাড়ি (রাজকুঠি), ৮০ বছর পর সূত্রাপুরের মাইশা খাল, তিন দশক পর রায় সাহেব বাজার মোড়, যুগ পর লক্ষ্মীবাজারে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পার্কিংয়ের জায়গা, চার দশক পর ধলপুর ক্লিনার কলোনি হতে অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়েছি। ফলে, বিগত চার বছরে শতাধিক উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে ৫৭.৭২৪ একর ভূমি উদ্ধার করেছি, যার আনুমানিক বাজার মূল্য হাজার শত ৮৩ কোটি টাকার বেশি।’

এই চার বছরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অটল, অদম্য অনমনীয় কর্মোদ্যোগের ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে সুশাসন নিশ্চিত হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকাবাসীর আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে, যে সংস্থা একসময় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমশিম খেতো সে সংস্থা আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ, আত্মনির্ভরশীল মর্যাদাপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মেয়র।


মেয়র তাপস   চার বছর   উন্নয়ন কার্যক্রম   ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মেট্রোরেলে ভ্যাট এনবিআরের ভুল সিদ্ধান্ত: কাদের

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের এনবিআর জনপ্রিয় পরিবহন মেট্রোরেলে হঠাৎ করে ১৫ শতাংশ ভ্যাটের ঘোষণা দিল। বিষয়টি আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। এনবিআরের সিদ্ধান্ত ভুল। এতে করে মেট্রোরেলের সুনাম নষ্ট হয়। প্রধানমন্ত্রী এটি পুনর্বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড আয়োজিত ঢাকা মেট্রোরেলের ব্রান্ডিং সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের মেট্টোরেল অনেক সুন্দর, শব্দদূষণ নেই। মেট্টোরেল আমাদের সম্পদ। ২০৩০ সালে আমাদের টার্গেট ছিল ৬টি এম আর টি লাইনের যে কাজ শেষ হবে। 

সড়ক পরিবহন মহাসড়ক বিভাগের সচিব বি এম আমিনুল্লাহ নূরীর সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এন সিদ্দিক, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি জাইকা বাংলাদেশে প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহোদি।


মেট্রোরেল   ভ্যাট   এনবিআর   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মধ্যরাত থেকে মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ০১:৫৪ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সাগরে মাছের উৎপাদন ও প্রজনন বাড়াতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা পালনে ইতোমধ্যে কুয়াকাটা উপকূল এলাকাসহ মৎস্য বন্দর আলিপুর-মহিপুরের জেলেরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।

সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ঘোষিত ৬৫ দিনের সমুদ্রে নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে রোববার রাত ১২টায়। এই নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকবে রোববার (২৩ জুলাই) রাত ১২টা পর্যন্ত।

বঙ্গোপসাগর তৎসংলগ্ন সমুদ্রে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়াতে জেলেরা পড়বেন অস্তিত্ব সংকটে। একদিকে বছরে দুই বার নিষেধাজ্ঞা। অপরদিকে এই বছর ভরা মৌসুমে সাগরে মাছের আকাল পড়েছে। ঋণের বোঝা এবং ধার-দেনায় জর্জরিত হয়ে জেলেরা রয়েছে চরম বিপাকে। এদিকে দীর্ঘদিন কর্মহীন সময় পার করবেন তারা। তবে সরকার এই ৬৫ দিনের অবরোধের জন্য জেলে প্রতি ৫৬ কেজি করে চাল বরাদ্দ করেছে।

সমুদ্রে বর্তমানে ইলিশসহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের প্রজননকাল হওয়ায় বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন নদীর মোহনায় এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই সময়ে দেশের সামুদ্রিক জলসীমানায় সব ধরনের মৎস্য শিকার, পরিবহন ও সংরক্ষণ নিষিদ্ধ ঘোষণায় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

উপকূলীয় জেলেরা জানান, সরকার ঘোষিত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় সমুদ্রে মাছ শিকার করা যাবে না। এতে মাছের প্রজনন ক্ষেত্র সুরক্ষিত থাকলেও উপকূলে এই পেশার সঙ্গে জড়িত অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান বন্ধ থাকবে দীর্ঘ দুই মাস।

অনেক জেলে অভিযোগ করে বলেন, অবরোধকালীন সময়ে প্রতিবছর ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমানায় মাছ ধরলেও কোনো ভূমিকা দেখা যায় না প্রশাসনের। তা না হলে আমাদের জালে চাহিদানুযায়ী মাছ ধরা পড়ত। তারা আরও দাবি করে বলেন, সরকার দু'বছরের স্থলে বছরে একবারসহ ভারতের সময়সীমার সঙ্গে যেনো নিষেধাজ্ঞা (অবরোধ) দেওয়া হয়।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, জেলেদের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও জেলেদের ঋণসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পরিকল্পনাও চলছে।


মাছ শিকার   নিষেধাজ্ঞা   মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উত্তরা-টঙ্গী পর্যন্ত মেট্রোরেলের আরও ৫ স্টেশন

প্রকাশ: ০১:৪৫ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত এমআরটি লাইন-৬ এর উত্তরা উত্তর স্টেশনের পরে আরও ৫ টি স্টেশন হবে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দক।

রেববার (১৯ মে) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ডিএমটিসিএল আয়োজিত ঢাকা মেট্রোরেলের ব্র্যান্ডিং সেমিনারে তিনি কথা বলেন।

মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন- রুটটি বর্তমানে মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এখন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত কাজ সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। 

রুটের কাজ শেষ হলে মেট্রোরেল অতিরিক্ত লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে বলে উল্লেখ করেন এম এন সিদ্দিক।

উত্তরা উত্তর থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত রুটের দৈর্ঘ্য হবে . কিলোমিটার। রুটে নতুন স্টেশন হবে। এগুলো হলো দিয়াবাড়ী বাজার, সোনারগাঁও জনপদ রোড পূর্ব, পশ্চিম, টঙ্গী বাজার, টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন।

সেমিনার উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সড়ক পরিবহন মহাসড়ক বিভাগের সচিব বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়ামা কিমিনোরি প্রমুখ।


মেট্রোরেল   স্টেশন   টঙ্গী   উত্তরা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন