নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩০ পিএম, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৮
নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে দেখতে গেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার সকালে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে আইভীকে তিনি দেখতে যান। ওবায়দুল কাদেরের মাধ্যমে এবং ফোনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইভির খোঁজ-খবর নিচ্ছেন বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়রকে। তিনি লো প্রেসার ও হার্টের সমস্যায় ভুগছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করার সময় হঠাৎ অসুস্থ হন সেলিনা হায়াৎ আইভী। তখন তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এতে অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়রকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে আনা হয়।
বাংলা ইনসাইডার/এএফ/জেডএ
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রূপকল্প-২০২১ ঘোষণার পর টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত নানাবিধ পদক্ষেপের কারণে দেশব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে বিরাট জাগরণ তৈরি হয়েছে, যার সুফল বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে পেতে শুরু করেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সমাজ দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সম্প্রতি স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে উত্তরণের ক্ষেত্রে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় এসেছে ফাইভ-জি প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি। আর এগুলোকে জনকল্যাণে ব্যবহার করাই হচ্ছে পরবর্তী চ্যালেঞ্জ। এ পরিপ্রেক্ষিতে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণকে দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার গত সাড়ে ১৫ বছরে দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছে। যোগাযোগ প্রযুক্তির অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রায়োগিক উৎকর্ষ সাধন এবং এর ব্যাপক ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। এ খাতের সুষ্ঠু বিকাশে প্রণয়ন করা হয়েছে আইসিটি নীতিমালা, আইসিটি আইন, তথ্য নিরাপত্তা গাইডলাইন ও তথ্য অধিকার আইন ।
তিনি বলেন, আমরা টেলিযোগাযোগ খাতের সব সেবা আধুনিক ও যুগোপযোগী করেছি। ইন্টারনেট ডেনসিটি ও সাবমেরিন ক্যাবলের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে নতুন সাবমেরিন ক্যাবল। আমরা ফোর-জি প্রযুক্তি চালু করেছি। ফাইভ-জি প্রযুক্তির টেলিযোগাযোগ সেবা চালু করার প্রস্তুতি চলছে। দেশের প্রায় শতভাগ এলাকা এখন মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। জনগণ ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্র, উপজেলা ই-সেন্টার এবং জেলা ই-সেবা কেন্দ্র ছাড়াও মোবাইল ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তির সেবাগ্রহণ করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবার কানেক্টিভিটি স্থাপন করেছি। এর ফলে কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের মাধ্যমে উপজেলা, ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন গ্রোথ সেন্টারসমূহে অর্থাৎ প্রান্তিক জনগণের দোরগোড়ায় চক্ষু ও টেলিমেডিসিন সেবা পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। করোনার ভয়াবহতম সময়ে ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবস্থা তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছে। এ ছাড়া ভিডিও কনফারেন্সিং চালু থাকার ফলে খুব অল্প সময়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন এবং সরকারি দিক-নির্দেশনা প্রদান করা যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির বহুল ব্যবহারের ফলে সরকারি কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা এখন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে পদার্পণ করেছি। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুবিধা ঘরে তুলতে এবং জনগণের জন্য বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে আমি সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই। আসুন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ তথা উন্নততর তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ পরিণত করি।
জনগণ তথ্যপ্রযুক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে গত ৯ মে। ইতোমধ্যে প্রায় ২৪ হাজার হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। কিন্তু ৫২৩ জন যাত্রীর টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে আল রিসান ট্রাভেলস ও দিয়া ইন্টারন্যাশনাল নামের দুই এজেন্সি। এরমধ্যে আল রিসান ট্রাভেলসের ৪৪৮ জন এবং দিয়া ইন্টারন্যাশনালের ৭৫ জনের টাকা নিয়ে পালিয়েছে। ফলে এ দুই এজেন্সির মাধ্যমে নিবন্ধন করা হজযাত্রীদের হজ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এর প্রেক্ষিতে ওই ২ হজ এজেন্সির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ওই চিঠি পেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দেশের সকল ইমিগ্রেশনকে চিঠি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবু তাহেরের সই করা পৃথক দুটি চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের হজ মৌসুমে আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লি: (হজ লাইসেন্স নম্বর ০৬৭২) এর অধীনে ৪৪৮ জন হজযাত্রীর নিবন্ধন হয়েছে। এ এজেন্সিটিতে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে অদ্যাবধি কোনও ভিসা করা হয়নি। এ অবস্থায় এজেন্সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এতে এজেন্সিটিতে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এবং তাদের এ বছর হজে যাওয়া অনিশ্চিত হতে পারে। এ অবস্থায় আল রিসান ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়া যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারে এবং একইসাথে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, ভিসা কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে এজেন্সির মালিক গা ঢাকা দেয়। অফিসে যোগাযোগ করলে তাদের ভিসা আবেদন করা হয়েছে এমন তথ্য জানানো হয় হাজীদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একজনেরও ভিসা হয়নি এমন তথ্য জানার পর হাজীরা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে এজেন্সির মালিককে গ্রেফতার ও তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এদিকে রংপুরে দিয়া ইন্টারন্যাশনাল নামে আরেকটি হজ এজেন্সির ৭৫ জন যাত্রীর হজযাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ এজেন্সির মালিক ‘লিড’ এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয় না করে ৭৫ জন যাত্রীর তিন কোটি টাকা নিজেদের নামে করা এজেন্সির ব্যাংক হিসাবে নিয়েছেন। ফলে এ হজযাত্রীদেরও হজযাত্রা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
এর প্রেক্ষিতে ওই হজ এজেন্সির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লেগেছে। বৃহস্পতিবার
(১৬ মে) রাত পৌঁনে ১১টার দিকে টঙ্গীর সিলমুন মোল্লার গ্যারেজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা
আবু মোহাম্মদ সাজেদুল কবির জোয়ার্দার বলেন, কারখানাটিতে প্লাস্টিকের দানা তৈরি করা
হতো। আগুনের খবর পেয়ে প্রায় এক ঘণ্টা যাবত আমাদের তিনটি ইউনিটের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে
আনতে কাজ করে।
প্রায় এক ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে।
আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।
মন্তব্য করুন
কোরবানির ঈদের মাসখানেক বাকি। ইতিমধ্যে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম প্রতি কেজি ৮০-১০০ থেকে বেড়ে ১৫০-১৬০ টাকা হয়েছে। গত কোরবানির সময়ে ঢাকায় কাঁচা মরিচের কেজি ৭০০ টাকায় উঠেছিল।
বছরের এই সময়ে দেশে কাঁচা মরিচের কিছুটা সংকট থাকে। তাতে আমদানি করে প্রয়োজন মেটাতে হয়। এবার দাম বাড়তে থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। বাজারে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃষ্টির কারণে মরিচের সরবরাহ কমেছে। এতে বাড়ছে দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা বেড়েছে। এদিকে বাজারে গ্রীষ্মকালীন মরিচের গাছ এখন শুকিয়ে এসেছে। ফলনও আগের তুলনায় কমে এসেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সঙ্গনিরোধ শাখা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশের বাইরে থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেওয়া হয়নি। তবে বাজার পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েই চলছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) চলতি মাসে বাংলাদেশের খাদ্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, খানা জরিপ অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশের দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষের খাবার কেনার খরচ ছিল প্রতি মাসে মাথাপিছু ১ হাজার ৮৫১ টাকা। গত দুই বছরে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে মাথাপিছু খাবার কেনার খরচ বেড়ে হয়েছে দুই হাজার ৯২৩ টাকা; যা দুই বছর আগের তুলনায় ৫৮ শতাংশ বেশি।
সরকারি ও বেসরকারি সব হিসাব বলছে, গত দুই বছরে দেশের মানুষের আয় বাড়লেও এই সময়ে ধারাবাহিকভাবে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের আশপাশে থেকেছে। সামগ্রিকভাবে দেশের প্রধান খাদ্যগুলোর দাম বেড়েছে। বিশেষ করে চাল, আটা ও আমিষের প্রধান উৎস মুরগির মাংস, ডিম, মাছ ও সবজির দাম বাড়তির দিকে। বেড়েছে আলু, পেঁয়াজ, আদা, কাঁচা মরিচ ও ফলের দামও।
ডব্লিউএফপি গত মাসে (এপ্রিল) বাংলাদেশের খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাব নিয়ে আরেকটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের ১৭ শতাংশ মানুষ খাদ্যঝুঁকিতে ছিল; যা এর আগের মাসের তুলনায় ২ শতাংশ বেড়েছে। দেশের ৬৮ শতাংশ মানুষ জীবনযাত্রার ব্যয় কমিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। আর ৪৩ শতাংশ মানুষ বাকিতে খাবার কিনছে। ২২ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বাবদ খরচ কমিয়েছে। আর ১৩ শতাংশ মানুষ সঞ্চয় ভাঙছে। খাদ্যঝুঁকিতে থাকা মাত্র ২১ শতাংশ মানুষ বাইরে থেকে সহায়তা পাচ্ছে।
ডব্লিউএফপির চলতি মাসের বাজার তদারকি প্রতিবেদন বলছে, মাথাপিছু খাদ্যের দাম দেশের একেক বিভাগে একেকভাবে বেড়েছে। চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেটে জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি বেড়েছে। রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহে তুলনামূলকভাবে কম বেড়েছে। বাকি এলাকাগুলোতে দাম অপরিবর্তিত আছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে ছয় মাস ধরে গমের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে। ফলে বাংলাদেশেও গমের আমদানি বেড়েছে। তবে আমদানির তুলনায় গমের দাম কমেনি। মার্চে আটার খুচরা মূল্য প্রতি কেজি প্রায় ৫৭ টাকায় পৌঁছেছে; যা এর আগের মাসের তুলনায় সামান্য বেশি। দেশে গমের চাহিদার ৮৫ শতাংশ আমদানি করা হয়।
টানা চতুর্থ মাসের মতো ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে দেশে চালের দাম বেড়েছে। আমনে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ শতাংশ বেশি উৎপাদন হওয়া সত্ত্বেও দাম বেড়েছে। উৎপাদন বেশি হওয়া সত্ত্বেও চালের দাম বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে চালকল মালিকেরা উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করেছেন।
ডব্লিউএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে দেশে সরকারি খাদ্য মজুত কমতির দিকে ছিল। সাধারণত বছরের এই সময়ে খাদ্যের মজুত কম থাকে। কিন্তু এবার মজুতের পরিমাণ আগের থেকে কম। ফেব্রুয়ারিতে সরকারি খাদ্য মজুত ছিল ১৫ লাখ ৬০ হাজার টন। এর মধ্যে চাল ১৩ লাখ ৩০ হাজার টন, যা আগের এক বছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ কম।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে সরকারি মজুত গত দুই মাসে আরও কমেছে। গত ১৫ মে গুদামে চাল, গম ও ধান মিলিয়ে মোট মজুত ছিল ১১ লাখ ১২ হাজার ৪২০ টন। এর মধ্যে চাল ৭ লাখ ৫১ হাজার ৩২৫ টন আর গম ৩ লাখ ৫১ হাজার টন। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে চাল ও গমের সরবরাহ বাড়িয়ে দেওয়ায় মজুত কমছে। তবে আগামী জুন থেকে বোরো সংগ্রহ শুরু হলে মজুত বাড়তে শুরু করবে বলে মনে করছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
ডব্লিউএফপি চলতি মাসে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদনে ২০১৯ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত খাদ্য পরিস্থিতির পরিবর্তনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, সংকটের সময় বাংলাদেশে খাদ্য ব্যবস্থাপনা বহুমুখী সমস্যার মধ্য দিয়ে গেছে। কোভিড-১৯ সংকটের পর ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশে খাদ্য আমদানি কমে আসে। এর আগে ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যের উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। এ ছাড়া ২০১০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গবাদিপশুর উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার গণমাধ্যকে বলেন, ‘আমাদের খাদ্য উৎপাদন যথেষ্ট ভালো। আর সার, জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় চালের উৎপাদন খরচও বেড়েছে। ফলে চালের দাম আরও কমাতে গেলে কৃষক উৎপাদন কমিয়ে দেবেন। তখন চালের জন্য আমাদের আবারও আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভর করতে হবে।’
ডব্লিউএফপির হিসাব অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ সালে খাদ্য মূল্যস্ফীতি প্রায় ৮ শতাংশে পৌঁছায়। এর আগে ছিল ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০২৩ সাল থেকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দ্রুত বাড়তে থাকে। ওই বছরের অক্টোবরে তা ১৩ শতাংশে পৌঁছায়।
সংকট শুরু হওয়ার পর অর্থাৎ ২০১৭ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে খাদ্যের দাম ৭৫ শতাংশ বেড়ে যায়। এর মধ্যে শক্তি জোগায় এমন খাদ্যগুলোর দাম ২৫ শতাংশ বেড়ে যায়। চাল ও গমের মতো দানাদার খাদ্য, চিনি, ভোজ্যতেল, মাছ, মাংস ও মুরগির মতো প্রাণিজ আমিষ ও সবজি, দুধ ও ডিমের মতো পুষ্টিকর খাবারের দামও বেড়ে যায়।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রূপকল্প-২০২১ ঘোষণার পর টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত নানাবিধ পদক্ষেপের কারণে দেশব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে বিরাট জাগরণ তৈরি হয়েছে, যার সুফল বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে পেতে শুরু করেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সমাজ দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছে গত ৯ মে। ইতোমধ্যে প্রায় ২৪ হাজার হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। কিন্তু ৫২৩ জন যাত্রীর টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে আল রিসান ট্রাভেলস ও দিয়া ইন্টারন্যাশনাল নামের দুই এজেন্সি। এরমধ্যে আল রিসান ট্রাভেলসের ৪৪৮ জন এবং দিয়া ইন্টারন্যাশনালের ৭৫ জনের টাকা নিয়ে পালিয়েছে। ফলে এ দুই এজেন্সির মাধ্যমে নিবন্ধন করা হজযাত্রীদের হজ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েই চলছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) চলতি মাসে বাংলাদেশের খাদ্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, খানা জরিপ অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশের দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষের খাবার কেনার খরচ ছিল প্রতি মাসে মাথাপিছু ১ হাজার ৮৫১ টাকা। গত দুই বছরে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে মাথাপিছু খাবার কেনার খরচ বেড়ে হয়েছে দুই হাজার ৯২৩ টাকা; যা দুই বছর আগের তুলনায় ৫৮ শতাংশ বেশি।