ইনসাইড পলিটিক্স

২১ আগস্টের পর বিএনপি রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে: হানিফ

প্রকাশ: ০৫:০৬ পিএম, ২৪ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail ২১ আগস্টের পর বিএনপি রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে: হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর বিএনপি বাংলাদেশে রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার হারিয়ে ফেলেছে।

বুধবার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগ নেত্রী বেগম আইভি রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে বেগম আইভি রহমান মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটি।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে হয়। বিএনপি গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার যে কাজটি রাষ্ট্রীয় যন্ত্র ব্যবহার করে করেছে, এরপর তাদের রাজনীতি করার নৈতিক অধিকারই থাকে না।

তিনি বলেন, একাত্তরে গোলাম আজমের নেতৃত্বে গণহত্যা হয়েছে। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত হাওয়া ভবন বানিয়ে বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতা-কর্মী হত্যা করেছে। ২১ আগস্ট তার মধ্যে অন্যতম। গোলাম আজমের গণহত্যা আর তারেক জিয়ার গণহত্যা একই। একাত্তরে গণহত্যার কারণে জামায়াত দেশে রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। এরপর বিএনপিরও এদেশে রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার থাকার কথা নয়।

তিনি আরও বলেন, যে দল রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতাদের নিশ্চিহ্ন করতে গ্রেনেড হামলা ঘটাতে পারে তাদের রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার থাকতে পারে কি? ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় থাকতে চায়, ক্ষমতা দখল করতে চায় তাদেরকে রাজনীতি থেকে বিতাড়ন করে যত দ্রুত একঘরে করে দেয়া যায় ততই মঙ্গল।

হানিফ বলেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে কলঙ্কময় দিন ২১ আগস্ট। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বিরোধী দলের সমাবেশে হামলা চালানোর পর মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি অনেকই সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করেন। অবাক হয়ে যেতে হয়। অথচ পৃথিবীর ইতিহাসে বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের হত্যার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে হামলা দ্বিতীয়টি হয়েছে জানা নেই। এ ঘৃণ্য ইতিহাস শত শত বছর ধরে লেখা থাকবে।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে সেদিন গ্রেনেড হামলা থেকে বেঁচে গিয়েছি। হাসপাতালে গিয়ে যখন টেবিলের ওপর আইভি রহমানকে দেখলাম জীবিত না মৃত বুঝা যাচ্ছিল না। নিষ্পলক চোখে তাকিয়ে ছিলেন। দুই পা নেই। কী বিভৎস, মর্মান্তিক দৃশ্য।

গ্রেনেড হামলা কারা করেছিলো? কিভাবে ঘটিয়েছিল? এমন প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, বিএনপি রাষ্ট্রীয়যন্ত্র ব্যবহার করে এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। হাওয়া ভবন বানিয়ে সীমাহীন দুর্নীতি করায় মানুষ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। তারা বুঝেছিল আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারলে আর কেউ প্রতিবাদ করতে পারবে না। তাহলে তারা আজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারবে।

২০০৪ সালে বিএনপি শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে মরিয়া হয়ে গিয়েছিলো উল্লেখ করে হানিফ বলেন, তাদের গ্রেনেড হামলার মূল লক্ষ্য ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা করা।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের পালিয়ে যেতে বিএনপি সহযোগিতা করেছিলো এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছিল। তার প্রমাণ তারা রেখে গেছে। হামলার পর পুলিশ টিয়ারশেল, লাঠিচার্জ করে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সরিয়ে খুনিদের নির্বিঘ্নে পলায়নে সহায়তা করেছে। হতাহতদের উদ্ধারের ব্যবস্থা না করে সিটি করপোরেশনের গাড়ি দিয়ে পানি ছিটিয়ে মামলার আলামত ধ্বংস করে দিয়েছিল।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মরহুম জলিল সাহেব, সাবের হোসেন থানায় মামলা করতে গেলে মামলা না নিয়ে তাদেরকে ঘুরানো হলো। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রেখে মামলা নেয়া হলো না। বলা হলো উপরের নির্দেশে নিতে পারছি না। তারা যদি জড়িত না থাকবে তাহলে তারা কেন এই কাজ করেছে?

হানিফ বলেন, সংসদের নিয়মানুযায়ী সংসদ নেতা, বিরোধীদলীয় নেতা যখনই বক্তব্য দিতে চাইবেন, দিতে পারেন। কিন্তু গ্রেনেড হামলার পর তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা বক্তব্য দিতে চাইলে মাইক বন্ধ করে দেয়া হয়। খালেদা জিয়া বললেন, শেখ হাসিনাকে কে মারতে যাবে, সে নিজেই ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গেছে। কী নিষ্ঠুর প্রতিহিংসা পরায়ন তামাশা।

আওয়ামী লীগের এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, হামলার পর বিএনপি জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে মামলা ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করেছিল। পরে খুনিদের সাক্ষীতে প্রমাণ হয়েছে লুটেরা তারেক হাওয়া ভবনে বসে বিএনপি শীর্ষ নেতা ও জঙ্গিদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করে হামলার পরিকল্পনা করেছে। গ্রেফতার হওয়া মুফতি হান্নান সাক্ষ্য দিয়েছে কিভাবে হাওয়া ভবনে বসে তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালম পিন্টু, জামায়াতের সেক্রেটারি আলী আহসান মুজাহিদ, বঙ্গবন্ধুর খুনি মেজর নূর মিলে দফায় বৈঠক করে হামলার পরিকল্পনা করেছে। হামলার জন্য পাকিস্তান থেকে আর্জেস গ্রেনেড আনা হয়েছে।

বিএনপির মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিএনপিতে অনেকে শিক্ষক, উচ্চশিক্ষিত আছেন। মির্জা ফখরুল সাহেবও শিক্ষক ছিলেন। একজন উচ্চশিক্ষিত মানুষ হয়ে তিনি কিভাবে মিথ্যাচার করেন বোধগম্য হয় না।

এ সময় তিনি ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করা হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি। প্রধান আলোচক ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। 

আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এমপি, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, কানিজ ফাতেমা আহমেদ এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লায়ন মশিউর আহমেদ।


২১ আগস্ট   বিএনপি   রাজনীতি   হানিফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘‌‌‌‍‍‍‍ব্যাংকে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?’

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


‘‌‌‌ব্যাংক   মাফিয়া   মাস্তান   ঋণখেলাপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।

তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।


দেশ   অর্থনৈতিক   জিএম কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল

প্রকাশ: ০৯:১৯ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল। সারা দেশেই বাড়ছে দলটির গৃহদাহ। দল পুনর্গঠন চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঘিরে দলীটির বিবাদ প্রকাশ্যে আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশ সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘন করছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা। তাদের অনেকে এলাকায় গিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করতে গোপনে উসকে দিচ্ছেন স্থানীয় নেতাদের। ঢাকায় ফিরে তারাই আবার দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বহিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের পথ প্রশস্ত করছেন। এতে পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস ঘনীভূত হচ্ছে।

দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের দলীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কারাগারে যাওয়া নেতাদের অনেকের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন দলীয় অনেকে। নিয়ে দলের ভিতরে রয়েছে বিতর্ক। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের (অডিও-ভিডিও) ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। অনেককে অঘোষিতভাবেওএসডিকরা হয়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে। নিয়ে ক্ষোভে কেউ কেউ রাজনীতি থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। চলে যাচ্ছেন দেশ ছেড়ে।

এসব বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি মহাসাগরের মতো বিস্তৃত একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। দলে নেতাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকতেই পারে। তবে কোনো রকমের অভ্যন্তরীণ বিরোধ বা কোন্দল নেই।

জানা গেছে, সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি বিরোধ-কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে চলমান উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বয়কটের পক্ষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সারা দেশে সাংগঠনিক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বেশির ভাগ নেতাই তাদের নিজ নিজ এলাকায় সেই দায়িত্ব পালন করেননি। অনেকে এলাকাতেই যাননি। জেলা বিএনপির শীর্ষকর্তারাও তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি। বরং উল্লিখিত নেতাদের এলাকাতেই ভোট কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে। নির্বাহী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব নেতার দ্বৈত ভূমিকায় তৃণমূলের নেতারা ক্ষুব্ধ।


বিএনপি   অভ্যন্তরীণ   কোন্দল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মির্জাপুরে বিএনপির ২০ নেতাকে সতর্ক বার্তা

প্রকাশ: ০৯:০৩ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাচনে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ফিরোজ হায়দার খানের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ২০ নেতাকে সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রউফ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আরিফ এবং পৌর বিএনপির সভাপতি হয়রত আলী মিঞা সম্পাদক এসএম মহসীন স্বাক্ষরিত পৃথক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সতর্ক বার্তা পাওয়ার পর নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিলে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলেও জানানো হয়।

সতর্ক বার্তাপ্রাপ্ত নেতারা হলেন, উপজেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক তোজাম্মেল হোসেন প্রিন্স, সদস্য আলী হোসেন রনি, প্রচার সম্পাদক সাঈদ আনোয়ার, গোড়াই ইউনিয়নের সাবেক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন, বহুরিয়া ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি অকরাম মল্লিক ভাওড়া ইউনিয়নের সাবেক সম্পাদক তপন হাসান খানসহ ২০ নেতা।


টাঙ্গাইল   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আবার তাপস-খোকন বিরোধ, আওয়ামী লীগে অস্বস্তি

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সারা দেশে আওয়ামী লীগে কোন্দল বিভক্তি চরম আকার ধারণ করেছে। এর মধ্যেই ঢাকার আওয়ামী লীগের দুই হেভিওয়েট নেতা শেখ ফজলে নূর তাপস এবং সাঈদ খোকনের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্য আকার রূপ নিয়েছে। কয়েকদিন আগে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন দুটির মেয়রদের মেয়াদ চার বছর পূর্ণ হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের প্রথম দিকে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হবে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আগে ঢাকা সিটির দক্ষিণের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন এখন তাপসের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। অন্যদিকে বর্তমান মেয়র তাপস দীর্ঘদিন ধরেই সাঈদ খোকনকে কোণঠাসা করার জন্য প্রকাশ্য তৎপরতা দেখিয়েছেন। এই দুই নেতার বিরোধ এখন আওয়ামী লীগের মধ্যে এক অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে যে সময় সারা দেশে আওয়ামী লীগ কোন্দল নিরসনে আপ্রাণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে।

আরও পড়ুন: জামায়াত চাঙ্গা হচ্ছে কীভাবে?

সাইদ খোকন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রাক্তন মেয়র ছিলেন। তার মেয়র থাকা অবস্থায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নানা রকম অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছিল। বিশেষ করে ডেঙ্গু প্রতিরোধে তার সীমাহীন ব্যর্থতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ গত নির্বাচনে সাঈদ খোকনকে আর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে মনোনয়ন দেয়নি। তার বদলে ধানমন্ডি এলাকার এমপি শেখ ফজলে নূর তাপস মনোনয়ন পান এবং নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি চার বছর অতিক্রম করেছেন। তাপস যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ব্যাপক উন্নয়ন করতে পেরেছেন এমনটি নয়৷ তবে দুর্নীতি বা অন্যান্য অভিযোগে তিনি সাঈদ খোকনের মত ব্যাপকভাবে সমালোচিত হননি।

অন্যদিকে সিটি কর্পোরেশনে দায়িত্ব গ্রহণ করে তাপস সিটি কর্পোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং সেটি করতে যেয়ে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের অনুগত বেশ কয়েক জনকে চাকরিচ্যুত করেন। তিনি সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে বেশ প্রকাশ্য অবস্থান গ্রহণ করেন এবং তার কিছু নীতি এবং কর্মসূচির বিপরীত অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। এরকম বিরোধের জেরে এক সময় সাঈদ খোকনের সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছিল দুর্নীতির অভিযোগে। এবং দুজনের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্য রূপ ধারণ করেছিল। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপে সেই বিরোধ সাময়িকভাবে থেমে যায়।

আরও পড়ুন: অর্থকষ্টে বিএনপি

সাইদ খোকন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হন। গত নির্বাচনে তিনি ঢাকার একটি আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘মিট দ্য প্রেস’ নামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করে তিনি মেয়র হিসেবে তার কার্যক্রম এবং সাফল্যের কথা তুলে ধরেন৷ এই সাফল্যের কথা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বর্তমান মেয়রের তীব্র সমালোচনা করেন এবং মেয়রের বিভিন্ন নীতি এবং অবস্থানের ব্যাপারে নেতিবাচক মন্তব্য তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন: তারেক কি যুক্তরাজ্যে অবাঞ্ছিত হচ্ছেন?

ধারণা করা হচ্ছে যে, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখেই সাঈদ খোকন সমালোচনার তীর ছুড়েছেন তাপসের দিকে। এখন তাপস যে তাকে পাল্টা আঘাত হানবেন এটা বলাই বহুল্য। স্থানীয় ঢাকাবাসীরা মনে করছেন, ফজলে নুর তাপস মেয়র হওয়ার পর সিটি কর্পোরেশনের দুর্নীতি কমিয়েছেন। তিনি কিছু সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ এবং কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন। দুজনেরেই ভালো মন্দ আছে। তবে সাঈদ খোকন মেয়র থাকা অবস্থায় দুর্নীতির একটি বড় ধরনের পার্সেপশন সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছিল যেটি তাপসের সময় তৈরি হয়নি। এখন মেয়র হিসেবে আবার দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনে ফিরে আসতে চাইছেন সাঈদ খোকন। সে জন্যই তিনি বর্তমান মেয়রকে সমালোচনা করছেন বলেই অনেকে মনে করেন।

তবে তাপস এবং সাঈদ খোকনের এই বিরোধ আওয়ামী লীগের মধ্যে অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে এই সময় আওয়ামী লীগের দই গুরুত্বপূর্ণ নেতার বিরোধ সরকার সম্পর্কে এবং দলের ভিতর ভুল বার্তা দিবে বলেই অনেকে মনে করছেন। 


আওয়ামী লীগ   সাঈদ খোকন   শেখ ফজলে নুর তাপস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন