ইনসাইড গ্রাউন্ড

সাকিব পারবেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ভাগ্য পরিবর্তন করতে?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২৬ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail সাকিব পারবেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ভাগ্য পরিবর্তন করতে?

একজন সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ভাগ্য বদলে দেবেন? এত দ্রুতই এমন কথার নিশ্চয়তার সাথে বলা যায় না। কিন্তু একটি জিনিস নিশ্চিত যে তিনি তার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো সমস্ত প্রতিকূলতার সত্ত্বেও আত্মবিশ্বাস প্রদর্শন করেন। সাকিবকে সেরা মেজাজে পাওয়া খুব বিরল। সাম্প্রতিক অতীতে যে সমস্ত কিছুর মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন তা বিবেচনা করে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিদায়ের আগে অফিসিয়াল প্রেস কনফারেন্সের সময় তাকে সেই অবস্থায় পাওয়া অবশ্যই আরও আশ্চর্যজনক ছিল। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের চিরন্তন দ্বিধা।

৩২ মিনিটের সম্মেলনে তিনি ধীরে ধীরে উন্নতির উপর জোর দেন। তবে আরও উল্লেখযোগ্য কিছু ছিল তার অতীতের জন্য কোন অপরাধবোধ না থাকার অনুভূতি - বিশ্বের এই অংশে বসবাসকারী যে কারো জন্য একটি বিরল জিনিস। "এটি বিচার করা আমার পক্ষে খুব কঠিন," সাকিব তাত্ক্ষণিকভাবে বলেছিলেন, যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি দেশের সবচেয়ে নন্দিত ক্রিকেটার হওয়ার অবস্থান থেকে দায়িত্বের সাথে কাজ করেছেন কিনা। বেটউইনার নিউজের সাথে তার বিতর্কিত চুক্তির জন্য অলরাউন্ডারকে খুব কমই বিব্রত দেখাচ্ছিল যা আক্ষরিক অর্থে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছিল।

তিনি বলেন, "আপনি (মিডিয়া) এভাবেই শুরু করেছেন এবং কীভাবে শেষ করেছেন এটি সম্পর্কে আমার বেশি কিছু বলার নেই।" যাইহোক, সাকিব আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে তিনি অধিনায়ক হিসাবে যা চাইবেন তা পাবেন। যদিও তিনি জোর দিয়েছিলেন যে তিনি এমন কেউ নন যিনি নিজের সিদ্ধান্ত নিতে খুব পছন্দ করেন না। বোর্ড মেম্বারদের হস্তক্ষেপের কারণে ড্রেসিংরুমের বাইরে থেকে আসা সমস্ত আওয়াজ বিবেচনা করে বাংলাদেশের মতো দলকে অধিনায়ক করা অত্যন্ত নোংরা হতে পারে।

"আমি যদি কিছু বলি তবে আমি জানি কেউ অস্বীকার করবে না তবে আমি সবার সাথে আলোচনা করার পরে সিদ্ধান্ত নিতে পছন্দ করি। আমি এমন কিছু পছন্দ করি না যে আমি এটি করছি কারণ এটি আমার ইচ্ছা। আমি যা বলতে চাই তা হল যদি আমি মনে করি আমি এটা চাই আমি অনুভব করি যে আমি এটা পাব কিন্তু এটা বোঝায় না যে আমি যা চাই সেটাই সেভাবে ঘটতে হবে,” বলেন সাকিব।

"প্রতিটি দেশে এবং অন্য সব জায়গায় (একজন অধিনায়কের জন্য) ভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এখানে (বাংলাদেশে) এক ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে যখন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে অন্য ধরনের চ্যালেঞ্জ হতে পারে। অন্য দেশ বা ক্রিকেট বোর্ডের নেতৃত্ব দেওয়া হচ্ছে একটি ভিন্ন চ্যালেঞ্জ। এটা ঠিক যে কোথাও বেশি এবং কোথাও কম এবং কিছু পরিচালনা করা যায় এবং কিছু কঠিন কিন্তু ক্রিকেট বোর্ড যত বড় বা যত খারাপই হোক না কেন চ্যালেঞ্জটি সর্বত্রই রয়েছে, " তিনি বলেছিলেন।

সাকিবের জন্য, এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মনে হচ্ছে দুই সিনিয়র- মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ-কে টি-টোয়েন্টি সেট-আপে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করানো।

ক্রিকবাজ এর আগে জানিয়েছিল যে মুশফিককে জানানো হয়েছিল যে তিনি উইকেট কিপিং করবেন এবং সাকিব আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছিলেন যে উইকেটের পিছনে অভিজ্ঞ কেও থাকলে থাকলে দলের নেতৃত্ব দেওয়া তার পক্ষে সহজ হয়ে যাবে।

এই পদক্ষেপটি অবশ্যই মুশফিককে সাহায্য করবে কারণ তিনি সবসময় উইকেট কিপিং করতে পছন্দ করতেন কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্টের জেদের কারণে তাকে তা ত্যাগ করতে হয়েছিল। আহত নুরুল হাসান আগে সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে প্রথম পছন্দের উইকেটরক্ষক ছিলেন কিন্তু লিটন দাস এবং নুরুল দুজনেই বাদ পড়ার পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে এনামুল হককে দিয়ে উইকেট কিপিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। মুশফিককে সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল কারণ টিম ম্যানেজমেন্ট তাদের বেঞ্চ শক্তি পরীক্ষা করতে চেয়েছিল।

উইকেটরক্ষক হিসেবে দলে মুশফিকের প্রত্যাবর্তন সম্ভবত তাকে মানসিক জায়গা দেবে যে দলে সে একটি স্বয়ংক্রিয় পছন্দ যা অবশ্যই তাকে স্বাধীনভাবে পারফর্ম করতে সাহায্য করবে। সাকিব জোর দিয়েছিলেন যে তিনি আত্মবিশ্বাসী যে প্রাক্তন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ তার দায়িত্ব সম্পর্কে ভালভাবে সচেতন এবং তার সামর্থ্য অনুযায়ী এটি পূরণ করার চেষ্টা করবেন।

“তারা দুজনই (মাহমুদুল্লাহ এবং মুশফিক) আমাদের সিস্টেমের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং তারা এটি সম্পর্কে ভালভাবে সচেতন এবং তারা তাদের দায়িত্ব জানে এবং তারা জানে যে তারা এখন কোন পরিস্থিতিতে রয়েছে এবং আমাকে আলাদা করে কিছু বলতে হবে না। তাদের কাছে কারণ এত বছর ধরে খেলার পরে তারা সবকিছু সম্পর্কে ভালভাবে জানে এবং আমরা তাদের কাছ থেকে কী আশা করছি তাও আমরা সচেতন।

"যতদূর উইকেট কিপিং এর ক্ষেত্রে সে (মুশফিক) উইকেট কিপিং করলে আমার জীবন সহজ হয়ে যায় কারণ টি-টোয়েন্টিতে সময় খুবই কম এবং সে খুব সহজেই ফিল্ডিং এঙ্গেল পরিবর্তন করতে পারে এবং তাকে আমার কথা শুনতে হবে না। মাঠে কেউ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে তা না ভেবে আমি আরও একটি বা দুটি বিষয় নিয়ে ভাবতে পারি। আমার জন্য বাকি ১০ জন কি করছে তা সব সময় নজরে রাখা খুব কঠিন এবং উইকেট রক্ষক এটি খুব সহজে দেখতে পারে। মুশফিক যেহেতু খুব অভিজ্ঞ, এতে কাজটা আরও সহজ হয়ে যায়," তিনি বলেন, তাদের নিশ্চিত করতে হবে যে তারা ফিল্ডিং ইউনিট হিসাবে উন্নতি করবে।

"[ক্যাচিং] অবশ্যই একটি উদ্বেগের বিষয়। আমার মনে হয় না আমরা কখনো ভালো ফিল্ডিং ইউনিট হয়েছি। এটা হতাশাজনক। আমাদের যদি উন্নতি করতে হয়, তাহলে আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। ফিল্ডিং এমন একটি ক্ষেত্র যা আপনি রাতারাতি উন্নতি করতে পারেন, কিন্তু যদি ভয় থাকে তবে এটি আপনার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। মিস হবে। সেরা ফিল্ডাররা ক্যাচ মিস করেছেন। তবে আপনি ফিল্ডিং কতটা উপভোগ করেন তা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ব্যর্থতার শতাংশ কমিয়ে দেবে, তবে আমাদের করতে হবে। নিশ্চিত যে আমরা বলের কাছে পৌঁছেছি এবং সেই ক্যাচটি নেওয়ার জন্য ১০০% চেষ্টা করেছি। কখনও কখনও আমরা দেরি করে শুরু করি এবং আমরা একটি ক্যাচ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারি না। ক্যাচটি বাদ পড়ার চেয়ে এটি আরও হতাশাজনক। সময়মতো বলের নীচে যাওয়ার আপনার ইচ্ছা সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। পাঁচ থেকে দশ দিনের মধ্যে, আমরা যদি এই মনোভাব পরিবর্তন করতে পারি তবে আমরা উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি করতে পারি," তিনি বলেছিলেন, তিনি সদ্য-নিযুক্ত টি-টোয়েন্টি টেকনিক্যাল ডিরেক্টর শ্রীধরন শ্রীরামের সাথে অনেক আলোচনা করবেন, যিনি বিসিবি বেছে নেওয়ার মতো দলকে গাইড করবেন। তার কাঁধ থেকে টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব ও সরুয়ে নেয়া হয়েছে।

"আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমরা কোচিং স্টাফদের সাথে অনেক মিটিং করব। আমাদের আশেপাশেও একজন নতুন কোচ (শ্রীরাম) আছে। প্রত্যেকের মতামত থাকবে তবে ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে আসার সময় আমাদের একটি লক্ষ্য থাকা উচিত। এমন নয় যে সবাইকে লক্ষ্যে বিশ্বাস করতে হবে তবে আমাদের এটিকে পুরোপুরি সমর্থন করতে হবে," তিনি উপসংহারে বলেছিলেন।

অধিনায়ক সাকিবকে দেশের জন্য সাফল্য আনতে অত্যন্ত অনুপ্রাণিত বলে মনে হয়েছিল যদিও কেবলমাত্র সময়ই বলতে পারে যে তারা সংক্ষিপ্ততম ফর্ম্যাটে তাদের দীর্ঘস্থায়ী প্যাচ বিবেচনা করে কতদূর পৌঁছতে পারে তবে একটি বিষয় নিশ্চিত যে তিনি একটি নতুন সূচনা করতে তাকে ঘিরে থাকা বিতর্ক থেকে এগিয়ে গেছেন।

সাকিব   বাংলাদেশ   টি-টোয়েন্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বন্ধ চোখে থমথমে ধোনি, আনন্দে কাঁদলেন কোহলি

প্রকাশ: ০২:০৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আইপিএলের ১৭তম আসরের প্লে-অফ। ইতোমধ্যেই নিশ্চিত হয়েছিল তিন দলের শেষ চার। বাকি ছিল মাত্র একটি দল। আর সেই শেষ দল হিসেবে লড়াই জমেছিল চেন্নাই সুপার কিংস বনাম র‌য়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর। যেখানে প্লে অফে ওঠার জন্য চেন্নাই সুপার কিংসের দরকার ছিল শুধু জয়। অন্যদিকে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর দরকার ছিল অঙ্ক কষে জয়। প্লে অফের অঙ্ক মিলিয়ে আইপিএলের শেষ চারে পৌঁছে গেছে বিরাট কোহলিরা। বিপরীতে বিদায় নিয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনিরা।

ভারতীয় ক্রিকেটের দুই তারকার লড়াই হিসেবে আগেই চিহ্নিত হয়ে গিয়েছিল শনিবারের ম্যাচ। ক্রিকেটপ্রেমীরা কার্যত দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। ইয়াশ দয়াল চেন্নাইয়ের ইনিংসের শেষ বলটি করতেই কোহলির পাগলাটে উচ্ছ্বাস দেখলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।

শুধু উচ্ছ্বাস নয়, আনন্দে-আবেগে চোখের কোণও ভিজে গেল কোহলির। গ্যালারিতে কাঁদলেন তার স্ত্রী আনুশকা শর্মাও। কাঙ্ক্ষিত জয় আসতেই চিন্নাস্বামীর মাঠে কোহলির দৌড়ের মধ্যে ছিল মুক্তির ছোঁয়া।

একটা সময় প্রথম দল হিসেবে আইপিএলের লড়াই থেকে ছিটকে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল আরসিবির। সেখান থেকে টানা ছয় ম্যাচে জয়ের পর কোহলি যেন ডানা মেলে উড়লেন মাঠে। মুদ্রার অন্য পিঠও চোখ এড়ায়নি ক্রিকেটভক্তদের।

দলকে আইপিএলের প্লে অফে তুলতে মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন ৪২ বছরের ধোনি। ২০তম ওভারের প্রথম বলে দয়ালকে মারা বিশাল ছক্কাটায় তার পরিচিত সিংহ মেজাজ ধরা পড়েছিল।

ধোনির ছক্কায় ব্যাঙ্গালুরুর শিবিরে যেমন শঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তেমনই আশার আলো জ্বলেছিল চেন্নাইয়ের ডাগআউটে। স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের মুখ চকচক করছিল ধোনির ছক্কার পর।

পরের বলে আবার ছক্কা মারার চেষ্টা করতে গিয়ে বাউন্ডারির লাইনের কাছে থাকা স্বপ্নিল সিংহের হাতে ধরা পড়েন ধোনি। মুহূর্তে বদলে গেল দুই শিবিরের ছবি। হতাশায় ব্যাটে ঘুষি মারলেন ধোনি। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হয়তো তখনই ভবিতব্য পড়ে ফেলেছিলেন।

ধোনি যখন হতাশ হয়েছেন, তখনই উচ্ছ্বসিত দেখিয়েছে কোহলিকে। আবার কোহলির হতাশায় স্বস্তি পেয়েছেন ধোনি। টান টান ম্যাচে ক্রমাগত বদলেছে দুই ক্রিকেটারের মুখের অবয়ব। তাদের স‌ঙ্গে বদলেছে চিন্নাস্বামীর আবহ। ক্রিকেট তো এমনই!


মুস্তাফিজ   চেন্নাই সুপার কিংস   আইপিএল   মহেন্দ্র সিং ধোনি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ইদুনা পার্কে রয়েসের রাজকীয় বিদায়

প্রকাশ: ০১:৫৮ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

অবশেষে সমাপ্তি হলো মার্কো রয়েস-বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের দীর্ঘ এক যুগের সম্পর্ক। বয়স ভিত্তিক দলের সাথে সম্পর্ক হিসেব করলে এই সম্পর্কের স্থায়িত্ব আরও বেশি। হিসেব করলে এই সম্পর্কের সময় দাড়ায় ২১ বছর। পৃথিবীর সব সম্পর্কেরই শেষ আছে। তেমনি শেষ হয়েছে মার্কো রয়েসের ডর্টমুন্ডের সম্পর্কও। আর তার এই বিদায় হয়েছে রাজকীয় ভাবে।

ডর্টমুন্ডের সাথে রিউসের এই পথ চলার সময়ে কতো কিছুই না পাল্টেছে। কত ফুটবলার তারকা হয়েছেন, নিজের শৈশবের ক্লাব থেকে পাড়ি জমিয়েছেন অন্য ক্লাবে, বহু চড়াই-উৎরায় পাড় করে অনেক ক্লাব উঠে এসেছে লিগের শীর্ষ স্থানে, কেউ আবার নিজেদের ঐতিহ্য হারিয়ে নেমে গেছে তলানিতে। কিন্তু এই সময় বদলায়নি খালি মার্কো রিউসের ঠিকানা।

ইউরোপের বহু নামি-ক্লাব থেকে অফার পেলেও ছাড়েনি ক্লাব। তাই ফ্যানদের কাছ থেকে ‘লয়ালটির’ ট্যাগও পেয়েছে সে।

এর আগে ২০১২ সালে ডর্টমুন্ডের হয়ে মূল দলে অভিষিক্ত হয় রয়েস। এরপর কেটে গেছে ১২ টি মৌসুম। এই ১২ মৌসুমে ডর্টমুন্ডের উত্থান-পতনের সাক্ষী হয়েছেন রয়েস। অবশেষে গত ৩ মে আনুষ্ঠানিকভাবে এই জার্মান তারকা ঘোষণা দেন এই মৌসুমেই ক্লাব ছাড়বেন তিনি।

গতকাল (১৮ মে) ডর্টমুন্ডের ইদুনা পার্কে ডার্মস্টাটের বিরুদ্ধে খেলতে নামে ডর্টমুন্ড। এই ম্যাচটি কাগজে-কলমে গুরুত্বহীন হলেও ডর্টমুন্ড সমর্থকদের জন্য ছিল ভিন্ন। কারণ এই ম্যাচের মধ্য দিয়েই ইদুনা পার্কে হলুদ জার্সি পড়ে শেষ বারের মতো দেখা যাবে ক্লাবের ‘লয়াল বয়’ মার্কো রয়েস। ম্যাচের শুরুতেই তাকে দল থেকে দেওয়া হয় ‘গার্ড অব হনার’। ম্যাচ শেষে তাকে অশ্রু সিক্ত বিদায় দেন ডর্টমুন্ড ফ্যান ও খেলোয়াড়রা।

ইদুনা পার্কে নিজের শেষ ম্যাচটি অবশ্য রাঙ্গিয়ে নিয়েছে রয়েস। ম্যাচের ৩৮ তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে এক অসাধারণ ফ্রি কিকের মাধ্যমে গোল করেন রয়েস। শেষ পর্যন্ত ম্যাচে ৪-০ তে ডার্মস্টাটকে বিধ্বস্ত করেছে ডর্টমুন্ড। দলের পক্ষে অন্য তিনটি গোল করেন জুলিয়ান ব্রান্ডট, মালেন ও ইয়ান মাতসেন।

ডর্টমুন্ডের হয়ে ৪২৪ ম্যাচে খেলেছেন রয়েস। তাতে ১৬৮ গোল করার পাশাপাশি অ্যাসিস্ট করেছেন ১২৮টিতে। বরুশিয়ার হয়ে দুটি জার্মান কাপ এবং তিনটি জার্মান সুপার কাপ জিতেছেন রয়েস।


মার্কো রয়েস   ডর্টমুন্ড   বুন্দেসলিগা   ইদুনা পার্কে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে প্লে-অফে বেঙ্গালুরু

প্রকাশ: ০৯:৪৬ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

জেতার জন্য শেষ ওভারে দরকার ৩৫ রান। প্লে-অফে যেতে হলে ১৭ রানই যথেষ্ট ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের জন্য। যশ দয়ালের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে দ্বিতীয় বলেই ধোনিকে ফিরিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন দয়াল।

গত আসরে শেষ দুই বলে ১০ রান নিয়ে চেন্নাইকে শিরোপা জিতিয়েছিলেন জাদেজা। আজও একই সমীকরণ ছিল তার কাছে। কিন্তু বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি তিনি। পরপর দুই বলেই ডট দিয়ে চেন্নাইকে ডোবালেন হারের বেদনায়, আর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ভাসল প্লে-অফে ওঠার আনন্দে।

বিরাট কোহলিদের একটা সময় বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছিল অনেকেই। কিন্তু টানা ছয় ম্যাচ জিতে আসরের শেষ দল হিসেবে সেরা চারে নাম লেখালেন তারা। যা পূর্ণতা পায় চেন্নাইকে ২৭ রানে হারানোর ফলে।

বেঙ্গালুরুর আকাশে বৃষ্টি নেমেছে ঠিকই, কিন্তু খেলায় সেভাবে জটিলতা তৈরি হলো না। মাঠে গড়াল সেই ৪০ ওভারই। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উইকেটে ২১৮ রান জমা করে বেঙ্গালুরু। ফাফ দু প্লেসি বিরাট কোহলির উদ্বোধনী জুটি থেকেই আসে ৭৮ রান। কোহলি ফিফটি করতে না পারলেও (৪৭) পেরেছেন দু প্লেসি। কিন্তু দারুণ ছন্দে থেকেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক। ৩৯ বলে তিনটি করে চার ছক্কায় ৫৪ রান করেন তিনি।

রান তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে হারায় চেন্নাই। থিতু হতে পারেননি ড্যারিল মিচেলও। এরপর অজিঙ্কা রাহানেকে নিয়ে হাল ধরেন রাচিন রবীন্দ্র। প্রথমবার ফিফটি পাওয়া রবীন্দ্র দারুণ কিছুরই আশা জোগাচ্ছিলেন। কিন্তু ৩৭ বলে চার ছক্কায় ৬১ রানে ফেরেন এই কিউই ওপেনার। ১৪ রানের ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে আবারও বিপাকে পড়ে চেন্নাই। এবার ম্যাচের মোমেন্টাম বদলানোর দায়িত্ব নেন রবীন্দ্র জাদেজা। ধোনিকে নিয়ে চেন্নাইকে প্লে-অফে নেওয়ার মিশনে নামেন তিনি। তার ব্যাটিং রীতিমত ভড়কে দেয় বেঙ্গালুরুকে। তাই শেষ ওভারের আগপর্যন্তও ম্যাচ ঝুলছিল সমান পাল্লায়।

চেন্নাইয়ের জন্য কোনোমতে ১৮ রান বা এর কমে হারলেই প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে যেত। কেননা ১৪ পয়েন্ট আগেই অর্জন করে রেখেছে তারা। যে কারণে রানরেটের মারপ্যাচে সমীকরণ ছিল ভিন্ন। বেঙ্গালুরুর অবশ্য জয়ের পাশাপাশি রানরেটের দিকেও খেয়াল রাখতে হয়েছে। শেষ ওভারের আগে চেন্নাই জয় থেকে ৩৫ রান দূরে থাকলেও আতঙ্ক ছিল তাদের মনে। দু প্লেসি বল তুলে দেন যশ দয়ালের হাতে। বাঁহাতি এই পেসারকেই গত আসরে শেষ ওভারে ছক্কা হাঁকিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দিয়েছিলেন রিংকু সিং।

এবারও প্রথম বলে ছক্কা হজম করেন দয়াল। কিন্তু পরের পাঁচটি বল সুনিপুণভাবে করে তিনি দেখালেন শেষ ওভারে ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা তারও আছে। আর জাদেজা পুড়লেন আফসোসে। ২২ বলে ৪২ রানের তার অপরাজিত ইনিংসটি জলেই গেল। ধোনির ১৩ বলে ২৫ রানের ইনিংসটিও কাজে  এলো না শেষ পর্যন্ত।  ১৪ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চারে থেকে প্লে-অফ নিশ্চিত করল বেঙ্গালুরু।


চেন্নাই   সুপার কিংস   বেঙ্গালুরু   আইপিএল   কোয়ালিফায়ার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-২০ বিশ্বকাপ: কার হাতে উঠবে এবারের শিরোপা?

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

হাতেগোনা আর মাত্র কয়েকটি দিন। এর পরেই যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের সেই মহাযুদ্ধ। যেখানে হাতের কব্জির জোর যার বেশি লড়াইয়ের আধিপত্যটাও তারই দখলে।

আসন্ন জুন মাসের ১ তারিখ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। ক্রিকেট পাড়ায় বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্ট কে ঘিরে ইতোমধ্যেই একটা সাজ সাজ রব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অন্যান্য বারের তুলনায় দলের সংখ্যা ও সমীকরণ ভিন্ন হওয়ায় এবারের আসনটা বেশ জাঁকজমক হবে বলেই ধারণা করছেন ক্রিকেট বোদ্ধারা।

তবে টুর্নামেন্টটি এখনও শুরু না হলেও টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালিস্ট-ফাইনালিস্ট কারা হবে অথবা কার হাতে উঠতে পারে এবারের শিরোপা, এ নিয়ে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। ক্রিকেট বিশ্লেষক থেকে শুরু করে সাধারণ ভক্ত- সকলেই যেন দল ও তাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স অনুযায়ী নিজেদের প্রেডিকশন সাজিয়ে ফেলেছেন। 

এই যেমন উসেইন বোল্ট। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের অন্যতম সেরা এই দৌড়বিদের মতে, এবারের বিশ্বকাপ শিরোপা উঁচিয়ে ধরবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এখন পর্যন্ত দুইবার শিরোপা জিতেছে উইন্ডিজরা। তবে এখন আর টি-২০তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই দাপটটা আর নেই। তবুও আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেই ফেবারিট মানছেন বোল্ট। 

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উদ্বোধনের সময় বোল্ট বলেন, 'আমি সব সময়ই আমার ঘরের দলের পক্ষে। আমাদের বড় হিটার আছে কয়েকজন। যদি সব ঠিকঠাক থাকে, তাহলে অবশ্যই ওয়েস্ট ইন্ডিজ (জিতবে)।’

এছাড়া কুড়ি ওভারের বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানোর আগেই বিশ্বকাপের সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন বাছাই করেছেন উইন্ডিজের কিংবদন্তি কার্টলি অ্যামব্রোস। তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, ছেলেরা ধারাবাহিক ও স্মার্ট ক্রিকেট খেলা শুরু করলে আমরা ট্রফি জিততে পারব। এটা (বিশ্বকাপ জেতা) সহজ হবে না। তবে আমরা দুই দেশের মধ্যে একটি, যারা দুইবার শিরোপাটি জিতেছি। তাই আমরা এটাকে তিন বানানোর চেষ্টা করব। আর ঘরের মাঠে কোনো দল এই শিরোপা জিততে পারেনি। তাই ছেলেদের ভালো করার জন্য এসব অনুপ্রেরণা জোগাবে এবং আশা করি, তারা পারবে।’

তবে পাকিস্তানি কিংবদন্তি হাফিজের গলায় ভিন্ন সুর। তিনি বলেন, আমার মন বলছে পাকিস্তানকে এক নম্বরে (সেমিফাইনালের জন্য) রাখতে। যদি আমি খেলার কৌশল ও ফরমেশন নিয়ে চিন্তা করি, তবে ভারত ওয়েস্ট ইন্ডিজে তুলনামূলক ভালো খেলবে। স্বাগতিক ক্যারিবীয়রাও ভালো করবে, পাশাপাশি সমান পারফর্ম করতে পারে ইংল্যান্ড।’

বাবর আজমদের দুর্বলতা নিয়ে এই সাবেক অলরাউন্ডার বলেন, বিশ্বকাপে ভালো করার মতো সঠিক ফরমেশন এবং মাইন্ডসেট নেই তাদের। কারণ, দলে কার ভূমিকা কি সেটাও অনির্ধারিত, যার ফলে দলের কোনো নিয়ন্ত্রণও নেই।

‘এ ছাড়া ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২-২ ফল, মোটেও পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলছে না। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, পাকিস্তান তাদের পুরো শক্তি নিয়ে খেলেছে। দুর্ভাগ্যবশত সমর্থক হিসেবে আমরা যে ফল প্রত্যাশা করেছি, সেটি আসেনি।’

বাবরদের পিছিয়ে থাকার যুক্তি দেখালেও ঠিকই তারা সেমিফাইনালে খেলবেন বলে ভবিষ্যদ্বাণী দেন হাফিজ। এ ছাড়া তার দৃষ্টিতে সেমিতে খেলতে যাওয়া বাকি তিন দল হচ্ছে- ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড।

তবে ক্রিকেট বোদ্ধাদের এমন আগাম ভবিষ্যৎবাণী অথবা বার্তার তারপর আসলেই কে হচ্ছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের চ্যাম্পিয়ন তা নিয়ে রীতিমতো আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশন মানিয়ে নিয়ে সেখানকার মাটিতে নিশ্চিতভাবেই এশিয়ার থেকে ইউরোপের দলগুলো ভালো করবে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বাড়তি সুযোগ পাবে ভারত-পাকিস্তান সহ বেশ কিছু দল। তাই এবার দেখার পালা আসলেই কারা হচ্ছেন এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট, ফাইনালিস্ট এবং চ্যাম্পিয়ন।


টি-২০ বিশ্বকাপ   শিরোপা   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

মাঠে গড়ানোর পূর্বেই বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে শঙ্কা

প্রকাশ: ০৬:৫১ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে দল ঘোষণার পর অন্যান্য দলের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পা রেখেছে বাংলাদেশ দল। কারণ দেশটির মাটিতে প্রথমবারের মতো সিরিজ খেলতে গেছে বাংলাদেশ। আর এই সিরিজ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত প্রস্তুতি বলেই মনে করছেন টাইগাররা।

তবে সিরিজের ম্যাচগুলো মাঠে গড়ানোর আগেই দেখা দিয়েছে শঙ্কা। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের সিরিজের ভেন্যু প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্স মাঠের বেশিরভাগ স্থাপনাই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে শঙ্কার মুখে পড়েছে আসন্ন এই সিরিজ।

ইএসপিএন ক্রিকইনফোর যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি পিটার ডেলা পেনা এক টুইট বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ ২১ মে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার ঝড়ের কারণে হিউস্টন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে অস্থায়ীভাবে যেসব স্থাপনা বসানো হয়েছিল, তা–ও ধ্বংস হয়ে গেছে।’

আগামী ২১ মে থেকে ‍যুক্তরাষ্ট্রের ওই ভেন্যুতে বাংলাদেশের তিন ম্যাচের সিরিজ শুরুর সূচি নির্ধারিত। পরবর্তীতে ২৩ ও ২৫ মে হবে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ। তার আগে আজ (শনিবার) বাংলাদেশ দলের প্রথমবার অনুশীলন করার কথা ছিল। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সেটিও প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে, মূল সিরিজ ঠিকভাবে অনুষ্ঠিত হবে কি না তৈরি হয়েছে সেই অনিশ্চয়তা!

এর আগে বুধবার দিবাগত রাত ১.৪০ মিনিটের ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে উড়াল দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেই দলে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটার, ট্রাভেলিং রিজার্ভ, টিম ম্যানেজমেন্ট ও কোচিং স্টাফের সদস্যরাও ছিলেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোর ৪টায় হিউস্টনের জর্জ বুশ ইন্টারকন্টিনেন্টাল এয়ারপোর্টে পৌঁছায় টাইগাররা। এরপরই টেক্সাস শহরটিতে শুরু হয় বজ্রসহ লাগাতার বৃষ্টি। যার কারণে সেখানে এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

দেশটির সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, হারিকেনের প্রভাবে হওয়া ঝড়ে হিউস্টনে এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, বৃহস্পতিবার সেখানে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০ মাইল। শুক্রবার পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল অন্তত ৯ লাখ বাসাবাড়ি। গোটা দিন অন্ধকারে ছিল ৬ লাখ আবাসন। এমনকি কিছু কিছু জায়গায় বন্যার শঙ্কাও দেখা দিয়েছে।


যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশ   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন