ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশে ভয়ঙ্কর দুঃসময় যাচ্ছে: রিজভী

প্রকাশ: ১০:৫১ এএম, ২৭ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail দেশে ভয়ঙ্কর দুঃসময় যাচ্ছে: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশে ভয়ঙ্কর দুঃসময় যাচ্ছে। তিনি বলেন, “দেশে এক ভয়ঙ্কর দুঃসময় যাচ্ছে। সাংবাদিকরা সঠিকভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারছেন না। এক ভয়ঙ্কর দুঃশাসনের মধ্যে আমাদেরকে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। দেশের এমন পরিস্থিতিতে নজরুল আমাদের প্রতিটি মুহূর্তে তার লেখনি দিয়ে প্রেরণা যুগিয়ে যাচ্ছেন। আমাদেরকে সাহস দিয়ে যাচ্ছেন দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কীভাবে লড়তে হয়।”

শনিবার (২৭ আগস্ট) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সকাল সাতটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবির মাজারে যান রিজভী। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “আমরা যে সংগ্রামে আছি সেটি হচ্ছে মানুষ এখন অধিকার ছাড়া। এই অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার যে সংগ্রাম আমরা চালিয়ে যাচ্ছি আজকে বিগত ১৪-১৫ বছর ধরে। আমাদের এই সংগ্রামের প্রধান প্রেরণা হচ্ছেন কাজী নজরুল ইসলামের রচিত গান কবিতা এবং অন্যান্য লেখনি। কারণ তিনি তার জীবনে লেখনি দিয়ে অন্যায়, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ করেছেন, যার কারণে তিনি নির্যাতিত হয়েছেন, কারাগারে গেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “আজকে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়নি, মানুষ কথা বলতে গলে তাদের মধ্যে এক ধরনের ভীতির সঞ্চার হয়, চলাচল করতে গেলে ভীতির সঞ্চার হয়, স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে গেলে ভীতির সঞ্চার হয়। সুতরাং এই রকম একটা পরিবেশে নজরুল খুবই প্রাসঙ্গিক।”

রিজভী বলেন, “দেশের এমন ভীতির মধ্যে আমাদের যে সাহসের প্রেরণা যোগায়, সাহসের যে সংবাদ দেয় আমাদের হৃদয়ের মধ্যে, সেটা হচ্ছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান। আজকে জাতীয় কবির ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। এই মূত্যুবার্ষিকীতে আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। এখানে জাসাস-সহ অনান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরাও আছেন।”

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, “প্রতিটি মুহূর্তে কবি নজরুলের যে লেখনি তার যে সাহিত্যকর্ম সেটি আমাদেরকে প্রতিটি মুহূর্তে উজ্জীবিত করে, আমাদের সামনের দিকে সংগ্রামে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগায়। তিনি বিশ্বমানবতার কবি, তাকে দ্রোহের কবি বলা হয়, কিসের জন্য বলা হয়? কারণ তার লেখনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অবিচারের বিরুদ্ধে, অত্যাচারের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে তিনি মানুষকে ভাসিয়ে দিয়েছেন প্রেম ভালবাসার অভূতপূর্ব জগতে। তিনি তার লেখনি দিয়ে আমাদের পৌঁছে দিয়েছেন অনন্য উচ্চতায়। সংগ্রামে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে আমাদেরকে উজ্জীবিত করে তার রচিত গান, কবিতা ও আবৃত্তি।”

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, “নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু একটা কথা বলেছিলেন আমরা যখন যুদ্ধে যাবো নজরুলের গান গাইবো, আমরা যখন মিছিলে যাবো তখন নজরুলের গান গাইবো, আমরা যখন কারাগারে যাইবো তখনও নজরুলের গান গাইবো। আজও এই গণতন্ত্র হারা বাংলাদেশে আমরা নজরুলের গান গাই, কবিতা আবৃতি করি।”

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক সিকদার, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, জাহিদুল আলম হিটো, আহসান উল্লাহ, সৈয়দ আশরাফুল মজিদ, মিজানুর রহমান, বিল্লাল আহমেদ প্রমুখ।

এরপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নেতাকর্মীরা। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আকতার হোসেন, আমানউল্লাহ আমান, নাসির উদ্দীনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি   সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব   অ্যাডভোকেট   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫-প্রত্যাশীদের বিক্ষোবে পুলিশের বাধা, আটক ১৫, আলটিমেটাম

প্রকাশ: ১০:০৩ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

গণভবনের উদ্দেশে মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনরত একদল ব্যক্তি। বেলা তিনটার দিকে এ কর্মসূচি থেকে ১৫ জনকে শাহবাগ থানা-পুলিশ আটক করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আটককৃতদের ছেড়ে দিতে রাত ১০টা পর্যন্ত সময় বেঁধে (আলটিমেটাম) দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

শনিবার (১১ মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবিতে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। ‘চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫-প্রত্যাশী সমন্বয় পরিষদ’ নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে এই কর্মসূচি ডাকা হয়েছিল।

রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। সমাবেশ শেষে বেলা তিনটার দিকে আন্দোলনকারীরা গণভবনের উদ্দেশে মিছিল নিয়ে যাত্রা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিলটি শাহবাগ মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এ সময় পুলিশ তাদের ব্যাপক মারধর ও লাঠিপেটা করে এবং তাদের ১৫ জনকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। এরপর ৩৫-প্রত্যাশীরা আবার রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হন। সন্ধ্যায় সেখানে সংবাদ সম্মেলন করে ১৫ শিক্ষার্থীকে আটকের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫-প্রত্যাশী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শরিফুল হাসান। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে তিনি বলেন, ‘আমরা রাত ১০টা পর্যন্ত আলটিমেটাম দিলাম। এর মধ্যে আমাদের আটক শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে গণভবন থেকে আমাদের দাবি পূরণের বিষয়টি সুরাহা করতে হবে।’

শরিফুল হাসান পরে বলেন, ‘রাত ১০টার মধ্যে আটক আন্দোলনকারীদের ছেড়ে দেওয়া না হলে সাড়ে ১০টায় রাজু ভাস্কর্যে সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।’ রাত পৌনে আটটায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় আন্দোলনকারীরা রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন।

শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) আরশাদ হোসেন বলেন, আন্দোলনকারীরা কয়েকটি স্থানে সড়ক আটকিয়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন দেন। তাদের সরে যেতে বললেও সরে না যাওয়ায় বাধ্য হয়ে ১৩ জনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে।


চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫-প্রত্যাশীদের বিক্ষোব   আটক   আলটিমেটাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

'আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো না'

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আজ ভোর রাতে চিরবিদায় নিয়েছেন হায়দার আকবর খান রনো। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের শেষ আলোকবর্তিকা। বাংলাদেশের সৎ রাজনীতির শেষ উত্তরাধিকার। বাংলাদেশে প্রগতিশীল এবং বাম রাজনীতির শেষ অনুকরণীয় উদাহরণ। হায়দার আকবর খান রনোর বিদায় বাম রাজনীতিতে এক নতুন করে শূন্যতা তৈরি করল। এই শূন্যতা কখনও পূরণ হবে না। নিজে একসময় চৈনিক বামে আসক্ত হলেও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তিনি চীনপন্থী নীতির সাথে একমত পোষণ করেন৷ চীনপন্থী বামরা যখন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, আমাদের অস্তিত্বের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল সেইসময় হায়দার আকবর খান রনো দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। বাম রাজনীতিতে তার বিভ্রান্তি থাকতে পারে কিন্তু ন্যায় নীতি এবং আদর্শের প্রশ্নে তিনি ছিলেন অটল।

বাংলাদেশের বাম রাজনীতিতে হায়দার আকবর খান রনো এবং রাশেদ খান মেনন যেন যুগলবন্দি নাম ছিল। দুইজনই বাংলাদেশের বাম রাজনীতির ধারাকে বিকশিত করেছিলেন। এই দুইজনের কারণেই তরুণ এবং ছাত্র সমাজের মধ্যে বাম রাজনীতির একটা বিকাশ হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুই বন্ধু এক থাকতে পারেননি। এক বৃন্তের দুটি ফুল ভেঙে যায়। হায়দার আকবর খান রনো তার আদর্শের প্রশ্নে শেষ জীবন পর্যন্ত অটল থেকেছেন। অন্যদিকে, রাশেদ খান মেনন ক্ষমতার হালুয়া-রুটি খাওয়ার লোভে বাম আদর্শ ত্যাগ করে আওয়ামী লীগের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন। মন্ত্রী হয়েছেন, এমপি হয়েছেন এবং নিজের আদর্শকে সেলফি তুলে রেখেছেন। দুই বাম নেতার এই দূরত্ব বাংলাদেশের বাম রাজনীতিতে অনেকখানি ক্ষতি করেছে।

হায়দার আকবর খান রনো ছিলেন আদর্শবাদী স্বাধীনচেতা। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং মুক্তবুদ্ধি চর্চায় অবিচল আস্থাবান এক মানুষ। তিনি শেষ জীবনে তার নিজের হাতে গড়া দল ওয়ার্কার্স পার্টি তে থাকেননি। তিনি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। এর প্রধান লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের বাম রাজনীতিকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং একটি সুবিন্যস্ত ধারায় বাম রাজনীতিকে নতুন করে সংগঠিত করা। কিন্তু তার সেই যুদ্ধ শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। তবে রাজনীতিতে তার অবস্থান খুব জোরালোভাবে স্পষ্ট করতেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে থাকার কারণে সবসময় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে সচল ছিলেন।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় এবং একে একে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দেয়া শুরু করে তখন হায়দার আকবর খান সরকারের এই নীতির প্রশংসা করেছিলেন৷ সেই সময় এক টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য আওয়ামী লীগের কোনো অবদান নেই বলে তিনি উল্লেখ করে বলেছিলেন যে, এটি শেখ হাসিনার একক অবদান। শেখ হাসিনার সাহস এবং প্রজ্ঞার কারণেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব হয়েছে বলে হায়দার আকবর খান রনো মন্তব্য করেছিলেন।

ওই টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, 'শেখ হাসিনা যদি প্রধানমন্ত্রী না থাকতেন, আওয়ামী লীগও যদি ক্ষমতায় থাকতো তাহলে এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কখনোই সম্ভব হতো না।' এভাবেই নিজের মনের ভাবনা স্পষ্ট এবং অবিচল ভাবে বলার এক সাহস ছিল তার। জীবনে তিনি একজন নির্ভীক রাজনীতিবিদ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন না, একজন সৎ মানুষ হিসেবে নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশের বাম রাজনীতিতে মুণি সিং, মোহাম্মদ ফরহাদের পর হায়দার আকবর খান ছিলেন এক উজ্জ্বল তারকা। তার চলে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশের বাম রাজনীতিতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হল সেই শূন্যতা কেউ কোনদিন পূরন করতে পারবে না।


আওয়ামী লীগ   শেখ হাসিনা   প্রধানমন্ত্রী   যুদ্ধাপরাধী   হায়দার আকবর খান রনো  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সন্ধান মিলল ছয় মাস ধরে নিখোঁজ যুবকের, পেটে কাটা দাগ

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থেকে প্রায় ছয় মাস আগে নিখোঁজ হন মানসিক ভারসাম্যহীন মো. সেলিম (৪০)। রাজধানীর মিরপুরে মিল্টন সমাদ্দারের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে তাকে উদ্ধার করেছেন পরিবারের সদস্যরা।

নিখোঁজ হওয়া সেলিম ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বৃ-পাঁচাশি গ্রামের মো. হাসিম উদ্দিনের ছেলে। 

স্বজনেরা জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইউটিউবে প্রচারিত ভিডিও দেখে তারা সেলিমকে চিনতে পারেন। পরে ঈশ্বরগঞ্জ থেকে স্বজনেরা ঢাকায় গিয়ে মিল্টন সমাদ্দারের ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বৃহস্পতিবার তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

সেলিমের ছোট ভাই মাহিন মিয়া বলেন, ভাইকে নিয়ে আসার সময় ফাউন্ডেশনে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হয়েছে। বাড়িতে আনার পর ভাইয়ের পেটের ডান পাশে অস্ত্রোপচারের বড় দাগ দেখে তারা সন্দেহ করছেন, ভাইয়ের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি হতে পারে। 

তিনি বলেন, ‘আমরা হতদরিদ্র পরিবার। অর্থের অভাবে এখন ভাইয়ের অঙ্গহানি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করতে চিকিৎসকের কাছে যেতে পারছেন না।

সেলিমের ছোট বোন ফারজানা আক্তার জানান, চার ভাইয়ের মধ্যে সেলিম সবার বড়। তার সংসারে দুটি মেয়ে আছে। তিনি এলাকায় কাজকর্ম করে পরিবারের ভরণপোষণ করতেন। বছরখানেক আগে ভাইয়ের মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। মানসিক সমস্যার কারণে তাকে (সেলিম) মাঝেমধ্যে বাড়িতে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো। তিনি শিকল খুলে বিভিন্ন জায়গায় চলে যেতেন। আবার কয়েক দিন পর ফিরে আসতেন। কিন্তু এবার তাকে খোঁজ করেও পাওয়া যাচ্ছিল না।

সেলিমের স্ত্রী ফাতেমা বলেন, ছয় মাস আগে এক সন্ধ্যায় তার স্বামী বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি। দীর্ঘদিন পর মিল্টন সমাদ্দারের গ্রেপ্তারের খবর টেলিভিশনে দেখেন। এর মধ্যে তার দেবর ও অন্য স্বজনেরা একদিন ইউটিউব ভিডিওতে মিল্টনের চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারের শয্যায় সেলিমকে শুয়ে থাকতে দেখে চিনে ফেলেন। পরে সেখান থেকে সেলিমকে উদ্ধার করে গ্রামে আনা হয়েছে। সেলিম আগে নিজে চলাফেরা করতে পারলেও এখন তার অন্যের সাহায্য লাগছে।

সেলিমের স্ত্রী ফাতেমা বলেন, তার স্বামীর মানসিক সমস্যা থাকলেও কোনো শারীরিক সমস্যা ছিল না। পেটে এত বড় অপারেশনের দাগ কিসের, জানতে চান তিনি। মিল্টন সমাদ্দারের কেয়ারে স্বামীর কোনো অঙ্গহানি হলে দায়ী ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন তিনি।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রম থেকে সেলিম নামের এক ব্যক্তিকে উদ্ধারের ঘটনাটি জানার পর থানা থেকে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে তাঁর বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। তবে সেলিমের পরিবার থানায় কোনো অভিযোগ করেননি।


ময়মনসিংহ   ঈশ্বরগঞ্জ   নিখোঁজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হবে পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে’

প্রকাশ: ০৮:৫৪ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক দেশে কোন দল ক্ষমতায় আছে তার ওপর নির্ভর করে করা উচিত নয়। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক হতে হবে পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে স্থায়ী বন্ধন।

শনিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যাস কমিউনিকেশন (আইআইএমসি) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা এবং ইহসানুল করিম অ্যাওয়ার্ড ফর মিডিয়া এক্সিলেন্স অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাবের হোসেন বলেন, পারস্পরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং আঞ্চলিক সমৃদ্ধির উন্নয়নে গঠনমূলক সংলাপ ও সহযোগিতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব স্থায়ী হবে।

তিনি বলেন, উন্নয়ন সাংবাদিকরা পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। টেকসই উন্নয়নের চর্চা এবং জনমত গঠনের জন্যও তারা গুরুদায়িত্ব পালন করেন।

এসময় মন্ত্রী দেশের পরিবেশের মানোন্নয়নের জন্য সংবাদ পরিবেশন করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের সম্পাদক ফরিদ হোসেন, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খান এবং কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ ভারত থেকে আসা অনিমেষ বিশ্বাস প্রমুখ।

এছাড়া বাংলাদেশের বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, কলামিস্ট, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক আফসান চৌধুরীকে এ বছর ইহসানুল করিম অ্যাওয়ার্ড ফর মিডিয়া এক্সিলেন্স পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার হিসেবে নগদ ১ লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় ফরিদ হোসেনকে সভাপতি ও আঙ্গুর নাহার মন্টিকে সাধারণ সম্পাদক করে আইআইএমসি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের ২০২৪-২৬ মেয়াদের জন্য ১৩ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়।


মন্ত্রী   সাবের হোসেন চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

প্রকাশ: ০৮:৪৪ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও লেখক হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (১১ মে) এক বার্তায় হায়দার আকবর খান রনোর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। 

শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ২টায় আকবর খান রনো রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

মৃত্যুকালে তিনি একমাত্র কন্যা রানা সুলতানা, জামাতা মনির জামান রাজু, দুই নাতি, অগণিত রাজনৈতিক সহকর্মী, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব রেখে গেছেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের সদস্যরা দেশের বাইরে থাকায় মরদেহ সোমবার পর্যন্ত শমরিতা হাসপাতালের মর্গে রাখা হবে। স্বজনরা দেশে ফিরলে শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নেওয়া হবে এই প্রবীণ রাজনীতিবিদের মরদেহ। এরপর বাবা-মায়ের কবরের পাশে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে হায়দার আকবর খান রনোকে।

হায়দার আকবর খান রনো ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস নড়াইলের বরাশুলা গ্রামে। 

উল্লেখ্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও নেতা হায়দার আকবর খান রনো একাধিক বইয়ের লেখক। মার্ক্সবাদী এই তাত্ত্বিক পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। 


হায়দার আকবর খান রনো   প্রধানমন্ত্রীর শোক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন