ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনের রুশ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে গণভোট কেন?

প্রকাশ: ১০:০৫ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail ইউক্রেনের রুশ-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে গণভোট কেন?

রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়া প্রশ্নে ইউক্রেনের রুশ-নিয়ন্ত্রিত চারটি অঞ্চলের মস্কো-সমর্থিত কর্মকর্তারা নিজস্ব কায়দায় গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন। গণভোট আয়োজনকে রাশিয়ারই উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ক্রেমলিন এ গণভোটে সমর্থন দিয়েছে। রাশিয়া এখন কেন এ গণভোট ডাকল, তা বিশ্লেষণ করেছেন বিবিসির পল কারবি।

যে চারটি অঞ্চলে গণভোটের আয়োজন করা হয়েছে, সেগুলো হলো লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়া। রাশিয়ার এ গণভোট আয়োজনের উদ্যোগে ক্রিমিয়া দখলের প্রতিধ্বনি পাওয়া যাচ্ছে। তবে ক্রিমিয়া দখল থেকে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। কারণ, চারটি অঞ্চলই যুদ্ধে লিপ্ত। অন্যদিকে কোনো গুলি না ছুড়েই ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখল করেছিল রাশিয়া।

প্রায় সাত মাস ধরে ইউক্রেন–রাশিয়ার যুদ্ধ চলছে। এ যুদ্ধের এখন যে পরিস্থিতি, তাতে চাপের মধ্যে আছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। তারা ইউক্রেনের অনেক এলাকা দখল করে নেয়। কিন্তু এখন ইউক্রেন পাল্টা হামলা চালিয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে কিছু এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে।

ইউক্রেনীয় সেনাদের এ সাফল্যে নিজ দেশে কট্টরপন্থীদের দিক থেকে সমালোচনার মুখে রয়েছেন পুতিন। এ অবস্থায় তিনি ইউক্রেনের দখলকৃত চারটি অঞ্চলে ক্রিমিয়া-কায়দায় অনুষ্ঠেয় গণভোটে সমর্থন দিয়ে সমালোচকদের জবাব দিয়েছেন।

রাশিয়ার গণমাধ্যমে এ গণভোট নিয়ে জনমত জরিপ প্রকাশ করা হচ্ছে। জরিপগুলোয় দেখানো হচ্ছে, রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ব্যাপারে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে। তবে জরিপের এমন দাবির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ, যুদ্ধের মধ্যেই চার অঞ্চলে গণভোট হবে। তা ছাড়া এ গণভোটের বৈধতা নেই।

২০১৪ সালে ক্রিমিয়ায় এমন গণভোট হয়েছিল। ওই গণভোটের ফল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রত্যাখ্যান করেছিল। ঠিক একইভাবে এখন যে গণভোটের আয়োজন করা হয়েছে, পশ্চিমারা এর নিন্দা জানাচ্ছে। তারা এ গণভোটকে ‘ভুয়া’ বলে অভিহিত করেছে।

প্রেসিডেন্ট পুতিন ভাবতে পারেন, দখলকৃত এলাকাগুলোকে রাশিয়ার ভূখণ্ড হিসেবে ঘোষণা করা হলে যুদ্ধের গতিপথ বদলাতে পারে। কারণ, তেমনটা হলে তিনি ইউক্রেনের পশ্চিমা-সমর্থকদের কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে বলতে পারবেন। 

কেননা, বিশেষ করে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা হিমার্স ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা রুশ বাহিনীকে চলমান যুদ্ধে খুব ভোগাচ্ছে।

রুশ বিশ্লেষক আলেকজান্ডার বাউনভ বলেন, মস্কো মনে করছে, গণভোট হতে যাওয়া ইউক্রেনের অঞ্চলগুলো রাশিয়ার ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত হলে সেখানে যুদ্ধ করার ভাবনা থেকে পশ্চিমারা বিরত থাকবে। গণভোট নিয়ে কেন প্রশ্ন ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে গণভোট শুরু হবে ২৩ সেপ্টেম্বর, চলবে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

ইউক্রেনের অঞ্চল চারটি আংশিক বা প্রায় সম্পূর্ণরূপে রাশিয়ার দখলে রয়েছে। এখন এসব অঞ্চলে নিজস্ব কায়দায় গণভোট হবে। সশরীর বা দূরবর্তী স্থান থেকে ভোট দেওয়া যাবে। গণভোট হবে অঞ্চলগুলোর রাশিয়ান ফেডারেশনে যোগ দেওয়ার বিষয়ে।

রুশ-সমর্থিত খেরসন অঞ্চলের প্রধান ভ্লাদিমির সালদো বলেছেন, রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্তি তাঁর অঞ্চলকে সুরক্ষিত করবে। ঐতিহাসিক ন্যায়বিচার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু অঞ্চলটির রাজধানী খেরসন শহর এখন নিরাপদ নয়। সেখানে রুশ সেনারা ইউক্রেনের পাল্টা হামলা ঠেকাতে ব্যতিব্যস্ত। গত সপ্তাহে সেখানকার কেন্দ্রীয় প্রশাসন ভবনে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এমন একটি পরিবেশে একটি নিরাপদ গণভোট অসম্ভব।

এবার আসা যাক, জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলের রাজধানীর কথায়। এলাকাটি ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নিরাপদ রয়েছে। তাই এলাকাটিকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার জন্য গণভোটের কোনো অর্থ নেই। দোনেৎস্কের প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার দখলে। এলাকাটি সংঘাতের কেন্দ্রে রয়েছে। অন্যদিকে উত্তর-পূর্বের লুহানস্কের বেশির ভাগ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে রাশিয়া। তবে তারা পাল্টা হামলায় দখল হারাতে শুরু করেছে।

অঞ্চল চারটিতে যুদ্ধ শুরুর আগে যত লোক ছিল, তা এখন আর নেই। কারণ, যুদ্ধ থেকে বাঁচতে অঞ্চলগুলোর বেশির ভাগ মানুষই পালিয়েছে। দোনেৎস্কে রাশিয়ার ছায়া কর্তৃপক্ষের প্রধান ডেনিস পুশিলিন রুশ হামলা শুরুর কয়েক দিন আগে স্থানীয় লোকজনকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

অঞ্চলগুলোর রুশ-সমর্থিত নেতারা হয়তো কয়েক মাস ধরেই গণভোট দিতে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়া চাপে পড়ার প্রেক্ষাপটে তাঁরা তাড়াহুড়া করে গণভোটের সিদ্ধান্ত নিলেন।

গণভোট সম্পর্কে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ বলেন, রাশিয়া এ যুদ্ধ শুরু করেছে। তারা এ অঞ্চল দখল করেছে। মানুষের ওপর বোমা ফেলেছে। মানুষকে পালাতে বাধ্য করেছে। আর এখন তারা বলছে, এ অঞ্চলে একটি গণভোট আয়োজন করতে যাচ্ছে।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ইউরি সাক বলেন, তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন, স্থানীয় জনগণের সবাই ইউক্রেনে ফিরে আসার পক্ষে। এ কারণে এই অঞ্চলগুলোয় এত বেশি গেরিলা, এত প্রতিরোধ। ফলে এ গণভোট অগ্রহণযোগ্য। সংযুক্তির পর কী হবে দোনেৎস্কে রুশ-সমর্থিত নেতা পুতিনকে ২৭ সেপ্টেম্বরের পর একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা জনগণের রায়কে সমর্থন করবে।

গণভোটের রায় পক্ষে গেলে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন সম্ভবত ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে তাতে যুদ্ধক্ষেত্রে খুব একটা পরিবর্তন আসবে না। ইউক্রেনের পাল্টা হামলা অব্যাহত থাকবে। তখন ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়া বন্ধ করার বিষয়ে ন্যাটো দেশগুলোর প্রতি জোর দিয়ে দাবি জানাতে পারবে রাশিয়া। তবে পশ্চিমা দেশগুলো এ গণভোটকে স্বীকৃতি দেবে না।

ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার চলমান যুদ্ধের একটি বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তা হলো, ইউক্রেন ইতিমধ্যে ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। কিন্তু তার বদলা রাশিয়া নিতে পারেনি।

ইউক্রেন   গণভোট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হায়! মার্কিন মানবাধিকার

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করছে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা।   আর এই বিক্ষোভকারী যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে মার্কিন পুলিশ। এমনকি এই নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকাও। 

প্রতি বছর প্রায় সব দেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে। বিশ্বের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সোচ্চার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রায় পাঁচ দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। তাহলে, এত এত শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন কিভাবে এড়িয়ে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর! এ কেমন মার্কিন মানবাধিকার! 

প্রায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ভূলুন্ঠিত মানবাধিকার: সতর্ক করবে কে?

কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি, এমোরি ইউনিভার্সিটি, জর্জটাউন ইউনিভার্সিটি, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি ও  হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় আরো আরো অন্তত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। এছাড়া কিছু হাইস্কুলেও বিক্ষোভ হয়েছে।

ইতিমধ্যে বিভিন্ন কিছু মার্কিন গণমাধ্যম বিক্ষোভের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর চালানো নির্যাতন এর ভিডিও তুলে ধরেছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৯০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অথচ বিষয়টি নিয়ে এখনও নির্বিকার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।

শুধু এখানেই শেষ নয় যুক্তরাষ্ট্রে হরহামেশাই চলছে বর্ণবিদ্বেষ। যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় ছত্রছায়ায় বর্ণবাদী হত্যা-নির্যাতন-বৈষম্য-অবিচার অতি সাধারণ নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের অভিযানে শতাধিক গ্রেপ্তার

সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের নির্যাতনে এক কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকের অনাকাঙিক্ষত মৃত্যু হয়েছে। ওহাইও রাজ্যের ক্যান্টর শহরে গ্রেফতারের সময় এক পুলিশ কর্মকর্তা ফ্র্যাঙ্ক টাইসন নামের ২০ বছর বয়সী এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির ঘাড়ের ওপর পা দিয়ে চেপে ধরে।

ওহাইও রাজ্যের পুলিশ ঘটনাটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, একটি বারের মেঝেয় ফেলে ফ্রাঙ্ক টাইসনের ঘাড়ের ওপর পা দিয়ে চেপে ধরে হাতকড়া পরাচ্ছে কয়েকজন পুলিশ সদস্য। আর তিনি বারবার বলছেন, ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। রয়টার্সের এর প্রতিবেদন

মর্মান্তিক এই চিত্রটি আবারও মনে করিয়ে দিলো ২০২০ সালের জর্জ ফ্লয়েড হত্যার কথা। পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যু হয় কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড নামক এক যুবকের। ঘাড়ের ওপর পা দিয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে মার্কিন পুলিশ। মিনেসোটা রাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে গ্রেফতারের সময় ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডকে ঘাড়ের ওপর পা দিয়ে চেপে ধরেছিল পুলিশ। সে সময় ফ্লয়েডও বলেছিলেন, 'আই কান্ট ব্রেথ (আমি শ্বাস নিতে পারছি না)।’ কিন্তু এরপরও তার ঘাড়ের ওপর থেকে পা সরায়নি পুলিশ। এতে তার মৃত্যু হয়।

মার্কিন পত্রিকা গুলোতে অপেরেশন গেট্টো স্টর্ম শিরোনামে এক প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে প্রতি ২৮ ঘণ্টায় একজন কৃষ্ণাঙ্গ নর, নারী বা শিশু বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যার শিকার হচ্ছে। 

মার্কিনদের এ কেমন সাদা-কালো বিদ্বেষী মানবাধিকার! যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মানুষগুলো কি কোনদিন সত্যিকারের মানবাধিকার দেখা পাবে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   মানবাধিকার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রাজিলে ভারীবৃষ্টি ও বন্যায় ১০ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বৃষ্টির থেকে বন্যার সৃষ্ট হয়েছে। এই বন্যায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বুধবার জানিয়েছে, প্রায় ২৪ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা।  

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল রাজ্যে বন্যার কারণে শতাধিক পৌরসভার প্রায় ৩ হাজার ৩০০ জন বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে অনেককেই আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। 

প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা এক ঘোষণায় জানিয়েছেন, বন্যাকবলিত স্থান পরিদর্শন করবেন তিনি। রাজ্যের গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইট জানিয়েছেন, ওই রাজ্যে ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ বিপর্যয়ের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

আগামী কয়েকদিনে আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ভারী বৃষ্টির মধ্যেও নিখোঁজদের সন্ধানে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা।

ভারী বৃষ্টিতে বেশ কিছু ব্রিজ ভেঙে পড়েছে এবং রাস্তা-ঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। রাজ্যের বেশ কিছু এলাকা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।


ব্রাজিল   ভারীবৃষ্টি   বন্যা   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে চীনে মহাসড়ক ধস, নিহত ২৪

প্রকাশ: ০৯:৪৫ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail চীনে বৃষ্টিপাতে মহাসড়কে ধস

চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে একটি মহাসড়কের অংশ ধসে অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৩০ জন।

কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের পর গুয়াংডংয়ের মেইঝো শহর এবং ডাবু কাউন্টির মধ্যকার ওই মহাসড়কের ১৭ দশমিক ৯ মিটার (৫৮.৭ ফুট) অংশ ধসে পড়ে।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রাথমিকভাবে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পরে জানায় ২৪ জন নিহত হয়েছে।

বিবিসি জানায়, মহাসড়কের ধসে পড়া অংশে ২০টি গাড়ি আটকে পড়ে। পরে উদ্ধারকারীরা গাড়িতে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

আহত ৩০ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের অবস্থা গুরতর নয় বলে জানানো হয়েছে গণমাধ্যমের খবরে।

সংবাদমাধ্যমে আসা ছবিতে দেখা গেছে, বিধ্বস্ত যানবাহনগুলো একটি গভীর গর্তে পড়ে আছে। উদ্ধারকারীরা সেখানে পড়ে থাকা গাড়িগুলোকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে।

দুর্ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন মহাসড়কটি বন্ধ করে দিয়েছে। গত মাসেও গুয়াংডং প্রদেশে প্রবল বর্ষণের কারণে বন্যা হয়েছিল। সে সময় লক্ষাধিক মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।


চীন   মহাসড়ক   ধস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের

প্রকাশ: ০৯:২৮ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজায় হামলার কারণে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। বুধবার এ ঘোষণা দেন তিনি।

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে জড়ো হওয়া মানুষের সামনে পেত্রো বলেন, তাঁর দেশ বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাচ্ছে।

গাজায় হামলার শুরু থেকেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কঠোর সমালোচনা করে আসছেন পেত্রো। তিনি অন্যান্য দেশগুলোকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আসছেন।

লোকভর্তি জনসমাগমস্থলে পেত্রো তাঁর ঘোষণায় বলেন, ‘আপনাদের সামনে প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিচ্ছেন যে, আগামীকাল আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কগুলো ছিন্ন করব...’। পেত্রো তাঁর বক্তব্যে ইসরায়েলের রাষ্ট্রপ্রধানকে গণহত্যাকারী বলে আখ্যা দেন।

পেত্রো আরও বলেন, গাজার এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের কোনো দেশ নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না।

গত বছরের অক্টোবরে গাজায় হামলার পরপরই ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দক্ষিণ আমেরিকার আরেক দেশ বলিভিয়া। সেসময় কলম্বিয়া, চিলি ও হন্ডুরাসসহ দক্ষিণ আমেরিকার আরও কয়েকটি দেশ ইসরায়েল থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।

এদিকে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের এমন ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ অভিযোগ করে বলেছেন, পেত্রোর এই ঘোষণা ‘ইহুদিবিদ্বেষী ও ঘৃণায় পরিপূর্ণ’। তাঁর এই পদক্ষেপ হামাসের জন্য পুরস্কার।


ইসরায়েল   কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট   ফিলিস্তিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউরোপ যাওয়ার পথে মৃত্যুবরণকারী ৮ মরদেহ দুপুরের পৌঁছবে বাংলাদেশে

প্রকাশ: ০৯:১৫ এএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টাকালে তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে মৃত্যুবরণকারী আট বাংলাদেশি নাগরিকের মরদেহ আজ বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুরের মধ্যে দেশে পৌঁছানোর কথা।

লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের দেওয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে বলা হয়েছে, লাশবাহী কফিনগুলো সৌদিয়া এয়ারলাইনসের ফ্লাইটযোগে ২ মে দুপুর সোয়া বারোটায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।

মঙ্গলবার লিবিয়ায় নিযুক্ত ও তিউনিসিয়ার অনাবাসিক দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) আবুল হাসনাত মুহাম্মাদ খায়রুল বাশারের উপস্থিতিতে মিশনের কর্মকর্তারা মরদেহগুলো তিউনিস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষরাতের দিকে এ দুর্ঘটনার পরপরই ত্রিপোলিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় নগর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে মরদেহের সুরতহাল, শনাক্তকরণ, দেশি সংস্থার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা, মৃত্যু এবং মেডিকেল সনদ ইস্যু সম্পন্ন করেন।

পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আফ্রিকা উইং মরদেহ ফিরিয়ে আনতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় করে। স্বরাষ্ট্র এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সহায়তা এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যয়ভার মেটানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।

তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় আট বাংলাদেশির কফিন বন্দি মরদেহ। ছবি : সংগৃহীত

৮ নিহতের মধ্যে সজল, নয়ন বিশ্বাস, মামুন শেখ, কাজী সজীব ও কায়সার খলিফা মাদারীপুর জেলার এবং রিফাত, রাসেল ও ইমরুল কায়েস আপন গোপালগঞ্জ জেলার অধিবাসী ছিলেন।

জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপ যাত্রাপথে ৫২ জন যাত্রী এবং একজন চালকসহ নৌকাটি তিউনিসিয়া উপকূলে ডুবে গেলে জীবিত উদ্ধার ৪৪ জনের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি ও পাকিস্তানের ৮, সিরিয়ার ৫, মিসরের ৪ জন। নিহত ৯ জনের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি ও অপরজন পাকিস্তানের নাগরিক বলে শনাক্ত হয়েছেন


ইউরোপ   লিবিয়া  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন