ইনসাইড বাংলাদেশ

বান্দরবানে ফুটবল টুর্নামেন্টের ট্রফি ভেঙে দিলেন ইউএনও!

প্রকাশ: ০৮:৩০ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail বান্দরবানে ফুটবল টুর্নামেন্টের ট্রফি ভেঙে দিলেন ইউএনও!

বান্দরবানের আলীকদমে ইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় বিজয়ীদের জন্য আনা ট্রফি (কাপ) ভেঙে ফেলেছেন আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহরুবা ইসলাম।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ২নং চৈক্ষং ইউনিয়নের রেপারপাড়া এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আবাসিক স্বাধীন যুব সমাজের উদ্যোগে আন্ত ইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় আবাসিক জুনিয়র একাদশ বনাম রেপার পাড়া বাজার একাদশ দলের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। 

স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আলীকদম উপজেলার ২ নম্বর চৈক্ষং ইউনিয়নের রেপারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আবাসিক স্বাধীন যুব সমাজের উদ্যোগে জুনিয়র একাদশ বনাম রেপারপাড়া বাজার একাদশ ফুটবল টিমের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলীকদমের ইউএনও মেহরুবা ইসলাম। খেলার সমাপনী বক্তব্যের সময় হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে উপস্থিত জনগণের সামনে ট্রফি ভেঙে ফেলেন তিনি। 

এ ঘটনার একটি ভিডিও রাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ইউএনওর এমন আচরণের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান স্থানীয়রা।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেরুবা ইসলাম বলেন, খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণের সময় হঠাৎ একজন এসে বললেন যে, তিন গোল চার গোল তারা মানে না। তখন আমি বললাম, খেলা আবার হবে কিনা। তখন এটা নিয়ে পেছন থেকে খুব আওয়াজ শুরু হলো তারা ট্রফি নেবে না। তারাই বলল, ট্রফি যতদিন থাকবে একটা আক্রোশ থাকবে। তারা বলল, ট্রফি ভেঙে ফেলা হোক। পরে আমি বললাম, তাহলে ঠিক আছে আপনারা মেডেলগুলো নিয়ে যান।

মেহেরুবা ইসলাম বলেন, তারা সেগুলোও না নেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওরাই বলছে ট্রফিটা ভেঙে ফেলা হোক। তাই ভেঙে ফেলা হয়েছে। ওখানে বহিরাগত কিছু ছেলে এসেছিল। স্থানীয় চেয়ারম্যানও তাদেরকে চেনেন না বলে জানিয়েছেন।

আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম বলেন, ফুটবল খেলার টাইব্রেকারে একটা দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। খেলায় অংশগ্রহণকারীরা বলেছিলেন, টাইব্রেকারে মধ্যে ত্রুটি আছে, আমরা পুনরায় খেলাটা চাই। তখন ইউএনও বক্তব্য করছিলেন। বক্তব্যের সময় ইউএনও নিজেই ট্রফিগুলো ভেঙে ফেলেন। 

তিনি বলেন, খেলার আয়োজকরা চাঁদা তুলে ট্রফিগুলো কিনেছে। এখনো নাকি ২৭ হাজার টাকার মতো বকেয়া আছে। এসব অনুষ্ঠানে গেলে আয়োজকদের কমপক্ষে ২০-৩০ হাজার টাকা দিই যাতে ট্রফি ও মেডেল কিনতে পারে। এজন্য আমরা সহযোগিতা করি। কিন্তু এখানে তাদেরকে কোনো সহযোগিতা না করে উল্টো ট্রফি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ রকম করাটা উচিত হয়নি। সেখানে তিন চার জন জনপ্রতিনিধিও ছিল। 

এই ইউএনও দীর্ঘদিন থেকে আলীকদমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসছেন দাবি করে তিনি বলেন, দুই দিন আগে পার্কিং করা অবস্থায় দুটি মোটরসাইকেল আনসারদের ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এটিও আমার ফেসবুকে দিয়েছি। ইউএনওর ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে।

ফুটবল টুর্নামেন্ট   ট্রফি   ইউএনও  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গোপালগঞ্জে পুলিশের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের লাঠিপেটার অভিযোগ

প্রকাশ: ১০:২২ এএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জ সদর এলাকায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের মালিকানাধীন সাভানা ইকোরিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের সামনে স্থানীয়দের ওপর পুলিশের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (১ জুন) সন্ধ্যার পরপর ঘটনায় চারজন যুবক আহত হয়েছেন বলে দাবি স্থানীদের। তাঁরা জানান, গণমাধ্যমে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখলের বিষয়ে কথা বলায় পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করেছে।

এদিকে পুলিশ বলছে, সাভানা ইকোরিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের সামনে দোকানে স্থানীয় কিছু লোক ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। ওই এলাকায় জুয়া খেলছে এবং হইচই করছে। এতে ওই পার্কের দায়িত্বে থাকা কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এমন খবর পেয়ে সন্ধ্যার পর গোপালগঞ্জের বৌলতলী ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা সেখানে যান। জুয়ার আড্ডায় থাকা মানুষজনকে সরাতে দৌড়ানি দেওয়া হয়। সময় একজন পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, ওই এলাকায় পুলিশ লাঠিপেটা করেছে, এমন কোনো ঘটনা তাঁকে কেউ জানাননি।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের বরাতে জানা যায়, পুলিশের লাঠির আঘাতে চারজন আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন ইকোপার্ক-সংলগ্ন সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোল গ্রামের বিনোদ বিহারি বলের ছেলে বিপ্লব বল, সন্তোষ বলের ছেলে সঞ্জয় বল সাগর বল এবং ওই এলাকার রনি নামের এক যুবক।

এলাকাবাসী জানান, ‘গত দুই বছরে বেনজীর আহমেদ আমাদের গ্রামের অসহায় লোকের জমি দখল করে নিয়েছে। নিয়ে আমরা ভয়ে মুখ খুলতে পারিনি। দুদক অনুসন্ধানে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ তাঁর পরিবারের বিপুল সম্পদের তথ্য বেরিয়ে আসার পর দুই-তিন দিন ধরে আমরা গণমাধ্যমে কথা বলি। কারণে আজ সন্ধ্যার পর পুলিশ এসে আমাদের লাঠিপেটা শুরু করে।

বিষয়ে বৌলতলী পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ইদানীং লেখালেখি হচ্ছে এটা (সাভানা ইকোরিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক) রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি। যেহেতু পুলিশে চাকরি করি, তাই রাষ্ট্রের সম্পত্তির কিছু হলে আমাদের ওপর চাপ আসবে, আমাদের চাকরি থাকবে না। তা ছাড়া ছোটখাটো বিষয় নিয়ে অনেকের পুরোনো রাগ জমা আছে। তারা নাকি গেটম্যানকে বলছিল, “তোকে কোপায় ফেলব, দেখে নিব।”’


গোপালগঞ্জ   পুলিশ   লাঠিপেটা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রীর আচরণবিধি লঙ্ঘন

প্রকাশ: ০৯:৫৯ এএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বারবার নির্দেশনা দিয়েও মন্ত্রী-এমপিদের আচরণবিধি লঙ্ঘন থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন কমিশন বিষয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকারকেও চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছে। তবুও প্রতিনিয়ত মন্ত্রী-এমপিরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেই চলছেন।

এদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে একজন প্রতিমন্ত্রী তিন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনে আজ তলব করা হয়েছে। পৃথক চিঠিতে প্রতিমন্ত্রীকে আজ জুন বেলা ৩টায় এবং রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাচনের ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী, চশমা হাঁস প্রতীকের প্রার্থীকে আজ জুন বিকাল ৪টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে ডাকা হয়েছে। এক্ষেত্রে শুনানিতে কমিশন যথাযথ ব্যাখ্যা না পেলে সংশ্লিষ্টদের প্রার্থিতাও বাতিল করতে পারেন।

রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পছন্দের তিন প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে পটুয়াখালী- আসনের সংসদ সদস্য দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমানকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) একই অভিযোগে একই দিনে পৃথক তিন চিঠিতে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের সাইদুজ্জামান, চশমা প্রতীকের রওশন হাঁস প্রতীকের ফেরদৌসীকে জুন বিকাল ৪টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে ডাকা হয়েছে। ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সমন্বয় শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ শাহজালাল গত শুক্রবার প্রত্যেককে আলাদা চিঠি পাঠিয়েছেন।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে জুন পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। প্রতিমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রাঙ্গাবালীর ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া ঘাট চালতাবুনিয়া ইউনিয়নের চালতাবুনিয়া বাজারে ত্রাণ বিতরণের সময় উপজেলা নির্বাচনের তিন প্রার্থীর জন্য ভোট চেয়েছেন। তারা হলেন- চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা মু. সাইদুজ্জামান মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রওশন মৃধা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফেরদৌসী পারভীন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালার ২২ নম্বর বিধি অনুযায়ী, ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিহিসেবে প্রার্থীর পক্ষে প্রচার বা নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ আচরণবিধির লঙ্ঘন। পরিস্থিতিতে কেন প্রতিমন্ত্রীকেদোষী সাব্যস্তকরে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সেই ব্যাখ্যা দিতে আজ জুন বেলা ৩টায় ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে মে, ২১ মে ২৯ মে তিন ধাপে উপজেলা ভোট শেষ হয়েছে। চতুর্থ ধাপে ভোট হবে জুন। এরপর স্থগিত আরও ২০ উপজেলায় ভোট হবে জুন।


উপজেলা   পরিষদ   নির্বাচন   দুর্যোগ   প্রতিমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মালয়েশিয়ায় বেনজীরের বিপুল বিনিয়োগের সন্ধান

প্রকাশ: ০৯:২৯ এএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মালয়েশিয়ায় দ্বিতীয় নিবাস গড়ার কর্মসূচিমালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোমপ্রকল্পের অধীনে বিপুল বিনিয়োগ করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। দেশ থেকে অর্থ নিয়ে সেখানে আবাসন খাতে লগ্নি করেছেন তিনি। কিনেছেন বাড়ি। সিঙ্গাপুরে স্ত্রীর চিকিৎসা শেষে মালয়েশিয়ার ওই বাড়িতে গিয়েই আপাতত সপরিবারে বসতি গেড়েছেন।

মালয়েশিয়ার বিভিন্ন ব্যাংকে তার অর্থ লেনদেনের সুস্পষ্ট তথ্য-প্রমাণও আছে। দেশে-বিদেশে বেনজীরের সম্পদের অনুসন্ধান করতে গিয়ে এই তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান টিম।

এদিকে দেশে বেনজীরের আরও সম্পদের বিষয়ে তথ্য পেয়েছে দুদক। সংস্থাটির কাছে অভিযোগ আছে, বিতর্কিত ঠিকাদার মোতাজেরুল ইসলাম মিঠুর সঙ্গে বেনজীর আহমেদের ব্যবসা রয়েছে।

উত্তরাঞ্চলের দুটি জেলায় কয়েকশ বিঘা জমি কিনেছেন তারা। তার মধ্যে অন্তত তিনটি জায়গায় শত বিঘার ওপর গড়ে তোলা হয়েছেনর্থ পোলট্রি খামার মুরগির খাদ্যের ব্যবসাও আছে তাদের। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করতে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

বেনজীরের দুর্নীতি সম্পদের পাহাড় সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘কেউ অন্যায় করলে তার শাস্তি দেশের আইন অনুযায়ী হবে। বেনজীরের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তিনি অন্যায় করেছেন, নাকি নির্দোষ, তিনি কি কর ফাঁকি দিয়েছেন, নাকি অন্যভাবে অর্থ সম্পদ গড়েছেন-তদন্ত শেষ হলেই সে অনুযায়ী বিচার করা হবে।

দুদকের অনুসন্ধান বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটসহ (বিআইএফইউ) বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে অর্থ নিয়ে মালয়েশিয়ায় বাড়ি কেনার সুযোগ নেই। যারা সেখানে বাড়ি কিনেছেন তারা মূলত টাকা পাচার করেছেন। এক্ষেত্রে বেনজীর আহমেদও তার ব্যতিক্রম নয়।

জানা গেছে, মালয়েশিয়ার স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রতনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে বেনজীর আহমেদের। তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে দেন মোহামেডান ক্লাবের পরিচালক এজিএম সাব্বির।

এই ক্লাবের স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ আয়ের অন্যতম কুশীলব এই সাব্বির। তার মধ্যস্থতায় রতনের মাধ্যমে বিপুল টাকা পাচার করেছেন বেনজীর আহমেদ।

এছাড়া মালয়েশিয়ার হুন্ডি ব্যবসায়ীদের মধ্যে অন্যতম হুমায়ন কবিরের মাধ্যমেও বিপুল টাকা পাচার করেন বেনজীর আহমেদ। জনশক্তি রপ্তানি ব্যবসার আড়ালে মূলত জমজমাট হুন্ডি কারবার করেন হুমায়ন। কুয়ালালামপুরের সিচুয়াংসায় তার অফিস। হুমায়ন রতনের মাধ্যমে পাচার করা টাকায় পরিবারের থাকার জন্য একটি অত্যাধুনিক বাড়ি কিনেছেন বেনজীর। বিনিয়োগ করেছেন আবাসন খাতে।

রতন এখন ইউরোপের একটি দেশে এবং সাব্বির যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। হুমায়ন আছেন মালয়েশিয়ায়। বিএফআইইউয়ের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় বেনজীরের সম্পদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে দুদক কর্মকর্তারা।


মালয়েশিয়া   বেনজীর   বিনিয়োগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বেনজীরের পার্টনারদের তদন্তের আওতায় আনা হবে: দুদক

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের পার্টনারদের খোঁজ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দেশে-বিদেশে বেনজীর আহমেদের সঙ্গে যারা বিভিন্নভাবে অংশীদার এবং ব্যবসায়িক পার্টনার রয়েছেন-তাদের তদন্তের আওতায় আনা হবে। দুদকের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেছেন, ধাপে ধাপে সবকিছু তদন্ত করা হবে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু নাম পাওয়া গেছে। তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। সময় হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেনজীরের অগাধ সম্পদের তদন্ত করতে গিয়ে তার অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের হদিস মিলেছে। দুবাইকেন্দ্রিক ব্যবসার অনুসন্ধান করতে গিয়ে তার কয়েকজন পার্টনারের সন্ধান পাওয়া গেছে। লন্ডনেও তার দু-একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী রয়েছেন। চাকরিতে থাকা অবস্থায় তিনি একাধিকবার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন। সেসব দেশে তার ব্যবসার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। দুবাইয়ে তার হোটেল ব্যবসার বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। সেখানেও রয়েছে ব্যবসায়িক অংশীদার। বন বিভাগের জমি দখল করে গড়ে তোলা গাজীপুরে ভাওয়াল রিসোর্টের পার্টনারের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। গুলশানসহ বিভিন্ন স্থানে তার ল্যান্ড ব্যবসার সঙ্গে একাধিক পার্টনারের সন্ধান মিলেছে। মিডিয়া এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত তার পার্টনারদের তদন্তের আওতায় নেওয়া হচ্ছে। সূত্র জানায়, কক্সবাজার, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া ছাড়াও সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে তার জমির সন্ধান পাওয়া গেছে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক . ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, সাবেক আইজিপির দুর্নীতির সহযোগীদেরও অবশ্যই তদন্তের আওতায় আনতে হবে। তিনি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে যে সম্পদের বিকাশ ঘটিয়েছেন এটি একা করেননি। যোগসাজশে করেছেন। তিনি যে সম্পদ এবং অর্থ উপার্জন করেছেন, সেটি ক্ষমতার অপব্যবহারেই করেছেন তা পরিষ্কার। এক্ষেত্রে তিনি তার প্রাতিষ্ঠানিক এবং পেশার অবস্থানকে ব্যবহার করেছেন। কিন্তু তিনি এটা এককভাবে করেননি। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতায় করেছেন সেটি নয়, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায়ও করেছেন। তার সঙ্গে অনেক যোগসাজশকারী ছিল, সহকারী ছিল এবং অংশীজন ছিল। অনেক ক্ষেত্রে সুরক্ষাকারী ছিল। যারা সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছিল এমন ব্যক্তিবর্গও ছিল। সত্যিকার অর্থে যদি তার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হয়, তাহলে তার সহযোগীদেরও এর মধ্যে আনতে হবে। অবশ্যই তাদের দায়ী করতে হবে। কিন্তু তার সহযোগীদের বাদ দিয়ে সত্যিকার জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে না এবং ন্যায়বিচার হবে না।

এরই মধ্যে বেনজীর আহমেদ সপরিবারে দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে তথ্য জানা যাচ্ছে। দুদক সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে বিদেশেও তার সম্পদ অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেছে দুদক। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েকটি  দেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার কাছে বেনজীর আহমেদ তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ অনুসন্ধানের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) অনুসন্ধানে এসব দেশে সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেলে শুরু হবে পরবর্তী কার্যক্রম। এক্ষেত্রে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্টের (এমএলএআর) আওতায় তথ্য চেয়ে চিঠি দেবে সরকার। তার ভিত্তিতে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনাসহ বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

উল্লেখ্য, দুর্নীতি দমন কমিশন আগামী জুন বেনজীর আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে তলব করেছে। কিন্তু এই দুই দিন বেনজীরের পরিবারের সদস্যরা দুর্নীতি দমন কমিশনে আসবে কি না তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।


বেনজীর   পার্টনার   তদন্ত   দুদক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ০৮:১৬ এএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে আরিফুল ইসলাম নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। শনিবার (০১ জুন) রাত আটটার দিকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ভাটারা থানার উপপরিদর্শক মনির হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি বলেন, গত ১৭ মে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সি-ব্লকের ওই বাসা ভাড়া নেন আরিফুল ইসলাম। তিনি বিবাহিত বলে জানিয়েছিলেন।

পুলিশ কর্মকর্তা মনির হোসেন আরও বলেন, আরিফুলের বুকে গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।


রাজধানী   বসুন্ধরা   মরদেহ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন