ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রোহিঙ্গা ইস্যুতে কেন বৈশ্বিক সমর্থন পাচ্ছে না বাংলাদেশ?

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail রোহিঙ্গা ইস্যুতে কেন বৈশ্বিক সমর্থন পাচ্ছেনা বাংলাদেশ?

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নিপীড়নের শিকার হয়ে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পাঁচ বছর পার হয়ে গেলছে। অথচ সংকট সমাধানের কোন জোরালো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। দিনে দিনে বরং রোহিঙ্গাদের নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আগ্রহই হারিয়ে ফেলছেন।

মূলত আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং অর্থনৈতিক স্বার্থের কারণেই বিনা সমাধানে ঘুরপাক খাচ্ছে রোহিঙ্গা সংকট। রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদের কয়েক বছরের মধ্যেই মিয়ানমারে আবারও সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে। ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর সামরিক জান্তা এখন দেশটির গণতন্ত্রপন্থী এবং বিভিন্ন মুক্তিকামী জাতিগোষ্ঠীর উপর দমন পীড়ন চালাচ্ছে।

এতো কিছুর পরেও মিয়ানমার কিংবা দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলো কেন কড়া পদক্ষেপ নিতে পারছে না? উত্তর হচ্ছে মিয়ানমারের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং দেশটির কৌশলগত গুরুত্ব।

চীন, জাপান, রাশিয়া এবং ভারতের সাথে মিয়ানমারের সম্পর্ক বেশ ভালো। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক জোট আসিয়ানের সদস্য হওয়ায় আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সাথেও মিয়ানমারের ভালো সম্পর্ক রয়েছে।

বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ দুটি দেশ - চীন এবং রাশিয়া এ পর্যন্ত কখনও, কোনো ফোরামেই মিয়ানমারের বিপক্ষে যায়নি। চীনের ব্যাপক স্বার্থ চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের ব্যাপক অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে। মিয়ানমারে অবকাঠামো এবং জ্বালানি খাতে চীনের ব্যাপক বিনিয়োগ রয়েছে। তাছাড়া চীনের অর্থনৈতিক মহাপ্রকল্প বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার মিয়ানমার।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, ক্ষমতা নেওয়ার পর গত এক বছরে পরবর্তী এক বছরে মিয়ানমারে ৩৮০ কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ অনুমোদন দিয়েছে জান্তা।

এসব বিনিয়োগের মধ্যে চীনের একটি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস প্ল্যান্ট প্রকল্পও রয়েছে। চীনের এই প্রকল্পটি ২৫০ কোটি ডলারের। তার বাইরে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের তেল ও গ্যাস ক্ষেত্র থেকে চীনের ইউনান প্রদেশে একটি জ্বালানি করিডোর স্থাপনের পরিকল্পনাও আছে চীনের।

কেননা, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের কোন সংঘাত হলে তারা মালাক্কা প্রণালী বন্ধ করে দেবে এবং এটা চীন বেশ ভালোভাবেই জানে। সেক্ষেত্রে তারা তেল ও গ্যাসের সরবরাহ কোথায় পাবে?’ চীন প্রচুর তেল-গ্যাস আমদানি করে এবং তার একটি বড় যোগান আসে মিয়ানমার থেকে।  মিয়ানমার আকিয়াব বন্দরে পাইপলাইনের মাধ্যমে চীনে তেল-গ্যাস সরবরাহ করছে মিয়ানমার। এসব কারণে মিয়ানমারের প্রতি চীনের সমর্থন এবং সহানুভূতি আছে।

আসিয়ান জোট ও জাপানের সমর্থন দক্ষিণপূর্ব এশিয়া অঞ্চলে অঞ্চলে সবচেয়ে কার্যকরী অর্থনৈতিক জোট আসিয়ান; কিন্তু রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আসিয়ান মিয়ানমারের বিরুদ্ধে শক্ত কোন অবস্থান নেয়নি। সেটিরও বড় কারণ ব্যবসায়িক বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। আসিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র সিঙ্গাপুর মিয়ানমারে শীর্ষ বিনিয়োগকারী। মিয়ানমারে সিঙ্গাপুরের অনুমোদিত বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২৪০০ কোটি ডলার। মিয়ানমারে যত বিদেশি বিনিয়োগ আছে তার এক-চতুর্থাংশই সিঙ্গাপুরের।

এছাড়া জাপান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়া থেকেও বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে বলে মিয়ানমার সরকারের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। যদিও জান্তা ক্ষমতা দখলের পর মিয়ানমারে বিদেশি বিনিয়োগ সার্বিকভাবে কমেছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সূচক।

সমর্থন দিয়েই যাচ্ছে রাশিয়া

জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ টমাস এন্ড্রুস সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, চীন এবং রাশিয়া কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের কাছে অস্ত্র বিক্রি করছে।

জাতিসংঘের এই বিশেষজ্ঞ আরও বলেছেন, চীন এবং রাশিয়ার পাশাপাশি সার্বিয়াও মিয়ানমারের সামরিক সরকারকে অস্ত্র দিচ্ছে, যদিও তারা জানে যে এসব অস্ত্র বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে।

মিয়ানমারে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার আহবান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গত বছর একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। চীন এবং রাশিয়া ওই প্রস্তাবে ভোট দান থেকে বিরত ছিল।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক জোসেপ বোরেল বলেছেন, মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে, বারবার সেসব বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং তার প্রধান কারণ চীন-রাশিয়া।

রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন নিয়ে বিভিন্ন দেশ যখন ব্যাপক সরব ছিল তখন মিয়ানমার প্রসঙ্গে চীন-রাশিয়া কোন উচ্চবাচ্য করেনি, বরং মিয়ানমারের সাথে এ দুটি দেশ বেশ সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তারা কখনো মিয়ানমারের নিন্দা করেনি, কিংবা দেশটির সামরিক বাহিনী তাতমাদৌয়ের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেনি।

মিয়ানমারের সাথে রাশিয়ার সম্পর্ক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তৈরি হয়েছে। সমরাস্ত্র বেচা-কেনাই এই সম্পর্কের মূলভিত্তি।

ভারতের স্বার্থ কোথায়?

ভারতের সাথে মিয়ানমারের প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার স্থল সীমান্ত আছে। এছাড়া বঙ্গোবসাগরেও উভয় দেশের সীমান্ত রয়েছে। ভারত ও মিয়ানমার ১৯৫১ সালে একটি মৈত্রী চুক্তি করেছিল। এই চুক্তির কারণে ২০১৭ সালে তাতমাদৌ রোহিঙ্গাদের উপর ব্যাপক নিপীড়ন চালালেও ভারত কড়াভাবে সেটির নিন্দা করতে পারেনি।

এছাড়া বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমারে দমন-পীড়ন নিয়ে ভারত উদ্বেগ জানালেও তারা শক্ত অবস্থান নিতে পারেনি। সেটিও সেই মৈত্রী চুক্তির কারণেই।

রোহিঙ্গা সংকটের শুরুর দিকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যত প্রস্তাব এসেছিল সেগুলোতে ভোটদানে বিরত ছিল ভারত। ভারতের সাথে মিয়ানমারের বাণিজ্যিক সম্পর্কও আছে। অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি, জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে ভারতের বিনিয়োগ আছে মিয়ানমারে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, মিয়ানমারের জ্বালানি সম্পদ এবং বিভিন্ন বিরল প্রাকৃতিক পদার্থ ভারতের তথ্য প্রযুক্তি খাতের জন্য প্রয়োজনীয়। তাছাড়া মিয়ানমারের ভৌগোলিক অবস্থান ভারতের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, মিয়ানমার হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সংযোগকারী।

ভারত থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যাতে মিয়ানমারে গিয়ে আশ্রয় নিতে না পারে সেজন্য দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তিও রয়েছে। তাছাড়া ভারতের এক বড় আশঙ্কার নাম চীন। আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, চীন যদি মিয়ানমারে একক আধিপত্য পেয়ে যায়, সেক্ষেত্রে মিয়ানমারকে ব্যবহার করে তারা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সমস্যা তৈরি করতে পারে।

ব্যর্থ পশ্চিমারাও

মিয়ানমার ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলো শক্ত অবস্থানে আছে। রোহিঙ্গা সংকট এবং সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং তাদের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ছাড়া আর কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারেনি।

এর পেছনেও একটি দীর্ঘমেয়াদী বাণিজ্যিক স্বার্থ আছে বলে মনে করেন অনেক বিশ্লেষক। তাদের বক্তব্য পশ্চিমা দেশগুলো মিয়ানমারকে পুরোপুরি ছেড়ে দিতে চায় না।

দু'হাজার এগারো সালে মিয়ানমারে সামরিক শাসন প্রত্যাহারের পর পশ্চিমা ব্যবসায়ীরা দেশটিতে ভিড় করতে শুরু করে। মিয়ানমারের প্রাকৃতিক সম্পদের দিকই ছিল তাদের নজর। জ্বালানি, টেলিযোগাযোগ, হোটেল, তথ্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করেছিল পশ্চিমা কোম্পানিগুলো। ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল মিয়ানমারে ব্যাপকভাবে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে। দেশটির মোট জিডিপির ছয় শতাংশই ছিল বিদেশি বিনিয়োগ।

ইউরোপিয়ান কমিশনের ওয়েবসাইটে ২০২১ সালে দেয়া তথ্যে বলা হয়েছে চীন, থাইল্যান্ড এবং সিঙ্গাপুরের পরে মিয়ানমারের চতুর্থ ব্যবসায়ী-অংশীদার ইউরোপীয় ইউনিয়ন। উভয় পক্ষের মধ্যে বছরে ২৫০ কোটি ডলারের বেশি বাণিজ্য হয়।

সামরিক শাসন প্রত্যাহারের পর ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ মোবাইল ফোন পরিষেবা কোম্পানি নরওয়ের টেলিনরও বিনিয়োগ করেছিল। যদিও ২০২১ সালে সামরিক শাসন পুনরায় ফিরে আসার পরে টেলিনর তাদের মিয়ানমারের ব্যবসা লেবাননের একটি কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেশটি ত্যাগ করে।

মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় আয়ের উৎস দেশটির তেল গ্যাস। তাদের রাজস্ব আয়ের অর্ধেক আসে এই খাত থেকে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মিয়ানমারের বিক্ষোভকারীরা দেশটির তেল-গ্যাস ফান্ডের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার দাবি তুলেছিল; কিন্তু পশ্চিমা কোম্পানিগুলো তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।

রোহিঙ্গা   বৈশ্বিক সমর্থন   বাংলাদেশ   রাশিয়া   আসিয়ান জোট   চীন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

২০ বছর পর ক্ষমতা ছাড়ছেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৫:৪৫ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সেইন লুং। 

টানা ২০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর তার এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রে আক্ষরিক অর্থে শেষ হতে চলেছে 'লি সেইন যুগ'।

বুধবার রাতে সব ঠিক থাকলে, উপপ্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী লরেন্স ওয়ংয়ের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সরকারপ্রধানের পদ থেকে বিদায় নেবেন তিনি।

১৯৬৫ সালে মালয়েশিয়া থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে এ পর্যন্ত মাত্র তিনজন প্রধানমন্ত্রী দেখেছে সিঙ্গাপুর। এরা সবাই দেশটির ক্ষমতাসীন দল পিপল'স অ্যাকশন পার্টির (পিএপি) সদস্য। প্রথমজন লি কিউয়ান ইয়িউকে বলা হয় সিঙ্গাপুরের স্থপতি। বর্তমান বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লি সেইন লুংয়ের পিতা লি কিউয়ান ইয়িউ টানা ২৫ বছর দেশটির সরকারপ্রধান ছিলেন। সিঙ্গাপুরের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রীর নাম গোহ চোক তং।

৭২ বছর বয়সী লি সেইন লুং অবশ্য এখনই রাজনীতি পুরোপুরি বিদায় নিচ্ছেন না। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতির পর একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীর পদমর্যাদায় মন্ত্রিসভার সদস্য থাকবেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গত শনিবার সিঙ্গাপুরের সাংবাদিকদের শেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন লি সেইন। সেই সাক্ষাৎকারে এত বছর ধরে তাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য সিঙ্গাপুরের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কখনও অন্যদের চেয়ে বেশি গতিতে দৌড়ানোর চেষ্টা করিনি; বরং চেষ্টা করেছি, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একসাথে চলতে।’

‘এবং আমি মনে করি, গত ২০ বছরে জাতিগতভাবে আমরা কিছু সাফল্য অর্জন করেছি। তবে এটা আমি স্বীকার করব যে, দুই পূর্বসূরি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে আমার কাজের ধরন কিছুটা ভিন্ন ছিল।’

১৯৮৪ সালে তরুণ বয়সে সাধারণ কর্মী হিসেবে পিএপিতে যোগ দেন তিনি। সে সময় তার বাবা লি কিউয়ান ইয়িউ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তবে বাবা প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকলেও সে সময় দল থেকে তেমন কোনো আনুকূল্য পাননি তিনি। আর দশজন সাধারণ কর্মীর মতোই ছিলেন।

লি সেইনের উত্থান ঘটা শুরু হয় দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী গোহ চোক তং’য়ের সময়। গোহ চোক তং’য়ের একজন বিশ্বস্ত অনুসারী হিসেবে নিজেকে দলের ভেতর প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন তিনি এবং তার ধারবাহিকতাতেই ২০০৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হন।

প্রথম দিকে অবশ্য লি সেইনকে ব্যাপক সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে। এসব সমালোচনার প্রায় সবই ছিল স্বজনপ্রীতিমূলক (নেপোটিজম)। বলা হতো, সিঙ্গাপুর লি পরিবারের সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে আর সেই পরিবারের সংরক্ষক হলেন গোহ চোক তং।  

তবে পরবর্তী ২০ বছরে বহুবার নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করেছেন তিনি। তার নেতৃত্ব সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি বহুমুখী এবং বিকশিত হয়েছে, একটি সাধারণ দ্বীপরাষ্ট্র থেকে দেশটি পরিণত হয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক শক্তিকেন্দ্র এবং ট্যুরিস্টদের অন্যতম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে; মাথাপিছু জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এছাড়া তার শাসনামলের ২০ বছরে কখনও মূল্যস্ফীতি বা অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়নি শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে। এমনকি করোনা মহামারির মধ্যেও নয়।

ভূরাজনীতিতেও সাফল্য দেখিয়েছেন লি সেইন। পরস্পরের প্রতি বৈরীভাবাপন্ন দুই শক্তিমান দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের সঙ্গে সবসময় ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে গেছেন। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতিতেও নিজ দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছেন তিনি।

তবে অন্য সব রাজনীতিবিদের মতো লি সেইনও সমালোচনার ঊর্ধে নন। বিভিন্ন আইনী প্রণয়নের মাধ্যমে জনগণের বাক স্বাধীনতা সীমিত রাখার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া দেশের শ্রমিক সংকট লাঘবের জন্য বিপুল সংখ্যক অভিবাসীকে বসবাসের অনুমতি দিয়েছেন তিনি। এ কারণেও তিনি বিরোধীদের চক্ষুশূল। মূলত তার শাসনামলেই ২০১১ এবং ২০২০ সালের ভোটে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছিল পিএপি।

সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সুশাসন বিশেষজ্ঞ ডোনাল্ড ল’ বিবিসিকে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘কিছু সমস্যা থাকলেও লি সেইনই আসলে সিঙ্গাপুরের জনগণের প্রকৃত নেতা। তার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হলো এই দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা।’


ক্ষমতা   সিঙ্গাপুর   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় ৫৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশ: ০৫:২৩ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইন্দোনেশিয়ায় সপ্তাহব্যাপী চলা ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে একটি আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা এবং আকস্মিক বন্যার কারণে এখনো অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার অভিযান এখনও চলমান। বন্যার কারণে রাস্তা-ঘাট, বাড়ি-ঘর, মসজিদ প্লাবিত হয়েছে। খবর এএফপির।

স্থানীয় সময় শনিবার মুষলধারে বৃষ্টির কারণে ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলোর একটি থেকে শীতল লাভা নির্গত হয়েছে। ফলে এর কাছাকাছি অবস্থিত বিভিন্ন জেলার বাড়ি-ঘর, রাস্তা এবং মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা লাহার নামেও পরিচিত। আগ্নেয়গিরির প্রধান উপাদান যেমন ছাই, বালি এবং নুড়ি পাথর বৃষ্টির কারণে আগ্নেয়গিরির ঢালে নেমে আসে। তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে।

বুধবার এক বিবৃতিতে জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার প্রধান সুহরিয়ানতো বলেন, সাম্প্রতিক তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে মৃতের সংখ্যা ৫৮ জন। তিনি জানিয়েছেন, এখনো ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া আরও ৩৩ জন বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।

এদিকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকার ধ্বংসস্তুপ পরিষ্কার করতে ইতোমধ্যেই ভারী সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে ৩ হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।


ইন্দোনেশিয়া   ভারী বৃষ্টি   বন্যা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কুরকুরে চিপস আনতে ভুলে যাওয়ায় ডিভোর্স চাইলেন স্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বারবার বলে দেওয়া সত্ত্বেও কুরকুরে চিপস আনতে ভুলে গেলেন স্বামী। আর এতে রেগে গিয়ে স্ত্রী চেয়ে বসলেন ডিভোর্স। অভিযোগ জানাতে ছুটলেন পুলিশের কাছেও।

ব্যতিক্রমী এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের আগ্রায়। মঙ্গলবার (১৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, উত্তর প্রদেশের আগ্রায় এক যুবতী তার স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স চেয়েছেন। তাদের ঝগড়ার কারণ, বাড়ি ফেরার পথে কুরকুরে আনেননি স্বামী। আর সেটি নিয়েই তুমুল ঝগড়া বাঁধে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। একপর্যায়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই যুবতী। তিনি বলেন, তিনি স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স চান।

এদিকে স্বামীর অভিযোগ, স্ত্রী কুরকুরে-তে অস্বাভাবিক রকমের আসক্ত। রোজ তার ৫ রুপির এক প্যাকেট কুরকুরে চাই-ই চাই। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিত্যদিন মনোমালিন্য লেগেই থাকত। সম্প্রতিই চিপসের প্যাকেট নিয়ে ফের ঝগড়া হয়।

আর এরপরই রেগে বাপের বাড়ি চলে যান ওই যুবতী। পরে পুলিশের কাছে গিয়ে স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স চান। যদিও যুবতীর দাবি, স্বামী তাকে শারীরিক নির্যাতন করেছে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, গত বছরই বিয়ে হয়েছে ওই দম্পতির। তবে যুবতীর ডিভোর্সের দাবির বিপরীতে তাদের মতভেদ মেটানোর এবং সংসার রক্ষা করার প্রচেষ্টায় পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের ফ্যামিলি কাউন্সেলিংয়ে পাঠানো হয়েছে।

উত্তর প্রদেশের শাহগঞ্জ থানা এলাকার ওই তরুণীর বিয়ে হয় সদর থানা এলাকার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে। ২০২৩ সালে হিন্দু রীতি অনুযায়ী তাদের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর বেশ সুখেই সংসার করছিলেন তারা। কিন্তু স্ত্রীর অতিরিক্ত কুরকুরে খাওয়ার অভ্যাসই দুজনের মধ্যে বিবাদ তৈরি করে বলে অভিযোগ স্বামীর। 

এদিকে ৫ রুপির কুরকুরের জন্য স্ত্রী যে বিবাহবিচ্ছেদের পথে যেতে পারেন এমনটা ভাবতেও পারেননি ওই যুবক। স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে বাপের বাড়িতেই রয়েছেন স্ত্রী। যুবকের অভিযোগ, 'আমার স্ত্রী প্রতিদিন কুরকুরে খেতে চায়। প্রতিদিন কুরকুরে আনতে আনতে আমি ক্লান্ত।'

সংবাদমাধ্যম বলছে, স্বামী-স্ত্রী ইতোমধ্যেই মনোরোগ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু এখনও কোনও সমাধান আসেনি। চিকিৎসক তাদের নিজেদের মধ্যে কথা বলে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। 


কুরকুরে চিপস   ডিভোর্স   স্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পেরুতে বাস দুর্ঘটনায় ১৬জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০১:৩৭ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

পেরুতে পাহাড়ী আয়াকুচো অঞ্চলে বাস উল্টে একটি ঢালে গড়িয়ে পরে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছে।  

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার(১৫ মে) এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। বাসটি ৪০ জন আরোহী নিয়ে আন্দিজ পর্বতের দিকে যাচ্ছিল। সেখানে প্রায়ই এ ধরনের দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। খবর এএফপির। 

আয়াকুচোর কর্মকর্তা ওয়াইবার ভেগা সাংবাদিকদের বলেন, ইতোমধ্যেই ১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আরও তিনজনের মরদেহ বাসের নিচে আটকা পড়ে আছে। তিনি ওই দুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওয়াইবার ভেগা জানিয়েছেন, শিলাবৃষ্টিসহ খারাপ আবহাওয়ার কারণে বাকি তিনজনের মরদেহ উদ্ধারে সময় লাগছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে লিমা থেকে আয়াকুচো শহরের যাওয়ার সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।

দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে পেরুতে ট্রাফিক দুর্ঘটনায় মোট তিন হাজার ১৩৮ জন প্রাণ হারায়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ৭০ শতাংশ দুর্ঘটনা চালকের দক্ষতার অভাব, ক্লান্তি বা সাধারণ কিছু কারণে হয়ে থাকে।


পেরু   বাস দুর্ঘটনা   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ছাত্র আন্দোলনে কেন বার বার জড়াচ্ছে মার্কিন শিক্ষার্থীরা?

প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। গত ১৭ এপ্রিল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর দাবানলের মত বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরে বিশ্বের বিভিন্ন  দেশে। 

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ থামাতে মারমুখী অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অনেক ক্যাম্পাসে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী তাঁবু। শুধু তাই নয়, তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে প্রাণঘাতী নয়, এমন গ্রেনেড ও গুলিও ব্যবহার করেছে পুলিশ। এছাড়াও গ্রেপ্তার করেছে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে। এ ঘটনায়, বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদেরও গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু এত কিছুর পরেও পিছপা হয়নি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তারা এখনও অটুট। 

মূলত, দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ইতিহাস বহু পুরনো। যুক্তরাষ্ট্রের ছাত্র আন্দোলন এটাই প্রথম নয়। প্রায় প্রতি বছরই মার্কিন শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন বিক্ষোভ বা আন্দোলন করতে দেখা যায়। আর এই আন্দোলন গুলো সব সবসময় তাদের নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য  করে না। বরং বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে নানা তারা আন্দোলন করে।   

এর আগেও, ১৯৬৮ সালে ভিয়েতনামে যুদ্ধের সময় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের দেশের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন শুরু করেছিল। আর এই আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ায় মাত্র ৭ দিনে ৭০০ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছিল নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এনওয়াইপিডি)। কিন্তু তারপরেও দমিয়ে রাখতে পারেনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। ভিয়েতনাম যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত তারা কমান্ড দিয়ে গেছে। 

সেসময় শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিলেও চলমান আন্দোলনের  কোনো দাবি এখনও পর্যন্ত মেনে নেয়নি মার্কিন সরকার। 

দীর্ঘ ৫৬ বছর পর আবারও যখন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের ক্ষতির কথা না ভেবে আন্দোলনের জড়ালো তখন শুধু একটা প্রশ্ন থেকেই যায় যে, কেন বারবার যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত হয়?

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চিন্তা-চেতনায় থাকে মানবতাবাদ। যেখানে ধর্ম,বর্ণ বা জাতি কোনটাই ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে না। এখন যে আন্দোলনটা চলমান সেখানেও সবাই মুসলমান বা সবাই ইহুদি নয়। সব ধর্মের ছেলেমেয়েরাই রয়েছে আন্দোলনে। এমনকি অনেক ইহুদি ছেলেমেয়েরাও এ আন্দোলনে রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ফলে শিক্ষার্থীদের চিন্তা-চেতনায় যে মানবতাবাদ সেটা স্পষ্ট হয়েছে।

আর এই মানবতাবাদী চিন্তা থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


ছাত্র আন্দোলন   মার্কিন শিক্ষার্থী   ফিলিস্তিন   ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন