ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউরোপ কি টিকে থাকবে?

প্রকাশ: ০১:০২ পিএম, ০১ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail ইউরোপ কি টিকে থাকবে?

চলতি বছরের শুরুর দিকে ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ নামে রাশিয়া আগ্রাসন শুরু করে। এ আগ্রাসন মোকাবিলা করতে গিয়ে ইইউর মধ্যে প্রথমদিকে বেশ ঐক্য ছিলো। কিন্তু চলতি মাসের শুরুর দিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ‘ইউরোপের ঐক্যই এখন প্রধানতম উদ্বেগ। আমাদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করাই রাশিয়ার পরিচালিত ইউক্রেন যুদ্ধের প্রধান উদ্দেশ্য।‘ মূলত জ্বালানি তেলকে কেন্দ্র করে ইউরোপের ঐক্যে ফাটল দেখা দিতে শুরু করেছে।

ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বাল্টিক অঞ্চল ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর নেতাদের যুদ্ধে প্ররোচনাকারী হিসেবে আখ্যা করায় তাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ম্যাক্রো বলছেন, ‘পূর্বাঞ্চলের দেশগুলোর রাশিয়ার বিরুদ্ধে একা পদক্ষেপ নেওয়া ঠিক হবে না।‘ এদিকে ফ্যাসিবাদি দলগুলো ইউরোপের রাজনীতিতে ধীরে ধীরে শক্ত ভিত্তি গড়ে তুলছে। এ মাসের শেষে ইতালিতে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে কট্টর ডানপন্থিদের জোট। ব্রাদার্স অব ইতালি দলের জর্জা মেলোনির নেতৃত্বে এ জোটে প্রধান দুই সহযোগী হলো নর্দার্ন লিগের মাতেও সালভানি ও ফোরজা ইতালির সিলভিও বারলুসকোনি। ভোটারদের মন জয় করতে মেলোনি ইউক্রেন সংকটকে প্রথাগতভাবেই ব্যবহার করেছেন। অন্যদিকে, তার প্রধান জোটসঙ্গী এবং ইউরোপের জনতাবাদি দলগুলো জ্বালানি সংকটের প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার ওপর কেন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো, সেই প্রশ্ন তুলছে। বাল্টিক ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো ইউরোপে রাজনৈতিকভাবে প্রান্তিক অবস্থায় ছিল। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এ দেশগুলো মহাদেশের রাজনীতিতে জোরালো কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া যে বিপুল শক্তি নিয়ে আগ্রাসন চালাচ্ছে, সে ধারণা এই দেশগুলো আগে থেকেই দিয়েছিল। পশ্চিম ইউরোপের বড় দেশ ফ্রান্স শেষ মুহূর্তে এসে বিষয়টি আঁচ করতে পারে। এ বছরের শুরুতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর ম্যাক্রোঁ বরং বলেছিলেন, ‘ইউক্রেনে বড় কোনো যুদ্ধে জড়াবে না রাশিয়া। প্রেসিডেন্ট পুতিন তার তৎপরতা সম্পর্কে আমাকে নিশ্চিত করেছেন।’ রাশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত খন্ডিত হলে সেটার প্রভাব ইউরোপেও পড়বে বলে জানানো হয় তখন।

যুদ্ধ শুরুর পর বাল্টিক ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো ইউক্রেনের জন্য অস্ত্রের জোগান দিয়েছে। কিয়েভে মানবিক ও সামরিক সহায়তা বাড়ানোর জন্য ইউরোপের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। মাথাপিছু আয় বিবেচনা করলে ইউক্রেনে সামরিক ও মানবিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাল্টিক দেশ এস্তোনিয়া সবচেয়ে এগিয়ে। আর পরিমাণের দিক থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে পোল্যান্ড। গত মাসে পোল্যান্ড নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে। প্রতিবেশী ইউক্রেনকে বড় পরিসরে সামরিক সহায়তা দেওয়ায় তাদের অস্ত্রাগারে টান পড়েছে। সরাসরি এসব সহায়তা ছাড়াও পূর্ব ইউরোপ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও বড় ছাড় দিচ্ছে। ইউরোপের মধ্যে এখন সবচেয়ে বেশি ২৩ শতাংশ মূল্যস্ফীতি এস্তোনিয়ায়। এরপরও ক্রেমলিনের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জোর গলায় বলছে দেশটি। পোল্যান্ড রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য নিজেদের আইন সংশোধন করছে। মস্কোর প্রভাববলয়ে শতাব্দী পর শতাব্দী ধরে থাকার পরও পূর্ব ইউরোপের এই দেশগুলো এখন মস্কোর ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞার জন্য সুপারিশ করছে। এর মধ্যে রাশিয়ার নাগরিকদের ভিসা প্রদান বন্ধের প্রসঙ্গও আছে। গত সপ্তাহে লাটভিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এডগার রিনকেভিকস ঘোষণা দেন, বাল্টিক দেশগুলো শেনজেন ভিসাধারী বাদে রাশিয়ার অন্য নাগরিকদের জন্য তাদের সীমান্ত বন্ধ করতে চলেছেন। অতি সম্প্রতি আটটি বাল্টিক ও নর্ডিক দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকের একটি যৌথ চুক্তিতে পৌঁছাতে সম্মত হয়েছেন। রাশিয়ার নাগরিকদের ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করতে চান তারা। তবে এ চুক্তি পাস হতে গেলে ব্রাসেলসে বড় ধরনের বাধার মুখে পড়বে। এর আগে মস্কো থেকে জ্বালানি আমদানির ওপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবে বিরোধিতা করেছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ। এবারও তিনি রাশিয়ার নাগরিকদের ওপর পূর্ণমাত্রায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আরোপের বিরোধিতা করেছেন। ম্যাক্রোঁও মস্কোর সঙ্গে খোলাখুলি যোগাযোগ বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছেন। চলতি মাসের শুরুর দিকে তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই যে কারও সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলা চালিয়ে যেতে হবে, বিশেষ করে যারা আমাদের সঙ্গে একমত নয়।’ রাশিয়া ফ্রান্সে গ্যাস দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ার পরদিন ম্যাক্রোঁ এ বক্তব্য দেন।

রাশিয়ার ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার ফলে ইউরোপজুড়ে মূল্যস্ফীতির জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বড় দেশগুলোতে বিশাল বিক্ষোভ হচ্ছে। ফলে ক্রেমলিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ জনতুষ্টিবাদী দলগুলো ইউরোপে তাদের ভিত্তি গড়ে তুলছে। ইতালিতে বড় ধরনের রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। জীবনযাত্রার ব্যয় প্রচণ্ড বেড়ে গেছে। বড় ধরনের জ্বালানিসংকট সৃষ্টি হয়েছে। একটা বিষয় স্পষ্ট যে, ইউরোপের জ্বালানি বাজার থেকে শুরু করে রাজনীতির ময়দান সবখানেই গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধ। ইইউ তার মোট গ্যাস ও পেট্রোলিয়াম তেলের যথাক্রমে ৩৯ শতাংশ এবং ৩০ শতাংশ রাশিয়া থেকে আমদানি করে। মধ্য এবং পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো গ্যাসের জন্য রাশিয়ার ওপর ১০০ ভাগ নির্ভরশীল। ইইউ রুশ আমদানির বিকল্প হিসেবে কাতার এবং জাপানকে এলএনজি রপ্তানির অনুরোধ জানিয়েছে।

রাশিয়ার নেয়া পাল্টা পদক্ষেপগুলোর পরিণতি কী হতে পারে, তা নিয়ে অনেক পশ্চিমা নীতিনির্ধারক ভুল ধারণা পোষণ করেছেন। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ জ্বালানির ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি। শীত মৌসুমে গ্যাসের আমদানি ও দাম ইউরোপের রাজনীতির প্রধান বিষয় হয়ে উঠবে। জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালির ট্যাবলয়েড পত্রিকায় শীতের সময় বরফে জমে যাওয়া বাড়িঘরের অবস্থা কেমন হবে, সেই চিত্র তুলে ধরছে। ইউরোপের প্রধান এ তিন দেশের সম্ভাব্য পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। জার্মানির অর্থনীতি নিয়ে সাম্প্রতিক এক হিসাবে দেখা যাচ্ছে, রাশিয়ার গ্যাস যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে দেশটির জিডিপি ৩ শতাংশ কমে যাবে। এখন পর্যন্ত ইউরোপের ৭৮ শতাংশ মানুষ রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করছে। কিন্তু অনেকে এ কথাও বলছে যে, এর ফলে তাদের মূল্য দিতে হচ্ছে। জার্মানিতে ৫১ শতাংশ মানুষ মনে করছে, নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে প্রকৃতপক্ষে রাশিয়ার চেয়ে জার্মানি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে সরে আসেননি। আবার রাশিয়ায় পুতিনের ক্ষমতা আরও সংহত হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে, নিষেধাজ্ঞা আরোপের ছয় মাসে পশ্চিমারা এর প্রভাব যতটা পড়বে বলে মনে করেছিল, বাস্তবে তা হয়নি। তবে রাশিয়ার ওপর যে অর্থনৈতিক চাপ পড়ছে, তার প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এই চাপ তীব্র হতে ২০২৩ সাল পর্যন্ত লেগে যাবে।


বিশ্ব   ইউক্রেন যুদ্ধ   ইউরোপ   ইউরোপীয় ইউনিয়ন   জ্বালানি সঙ্কট   ফ্যাসিবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনের খারকিভে চলছে কঠিন লড়াই

প্রকাশ: ১০:১৫ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনের খারকিভ শহর ঘিরেকঠিন লড়াইচলছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, পরিস্থিতিঅত্যন্ত কঠিন’, তবেনিয়ন্ত্রণেরয়েছে। বৃহস্পতিবার  (১৬ মে) খারকিভের শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপের পর জেলেনস্কি এসব কথা বলেন।

গত সপ্তাহে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ সীমান্তে আকস্মিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। ইতিমধ্যে তারা বেশ কিছু এলাকা দখল করে নিয়েছে, যা গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে মনে করা হচ্ছে।

বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে জেলেনস্কি লিখেছেন, ‘ইউক্রেনের সেনারা রুশ বাহিনীর উল্লেখযোগ্য ক্ষতিসাধন করছে। তবে এলাকাটিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে আমাদের আরও সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার শুরুতে খারকিভ শহরের উপকণ্ঠে পৌঁছে গিয়েছিল রুশ বাহিনী। তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে তারা আবার সীমান্তে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

সম্প্রতি রুশ বাহিনীর সাফল্যের বেশির ভাগই এসেছে খারকিভ অঞ্চলে। অবশ্য পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক দক্ষিণাঞ্চলের জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকাও দখল করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।


ইউক্রেন   খারকিভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নাইজেরিয়ায় মসজিদে আগুন, নিহত ১১ জন

প্রকাশ: ০৯:৩৩ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় মসজিদে আগুনে পুড়ে ১১ মুসল্লি নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। দেশটির কানো প্রদেশের একটি মসজিদে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর  এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সময় মুসল্লিরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

বিবিসি বলছে, উত্তরাধিকার তথা সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে হামলার সূত্রপাত হয়। পুলিশ বলছে, তারা এই ঘটনায় ৩৮ বছর বয়সী সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কানো প্রদেশের গেজাওয়া এলাকায় বুধবার মুসল্লিরা ফজরের নামাজে অংশ নেওয়ার সময় ঘটনা ঘটে।

বাসিন্দারা বলেছেন, হামলার পর মসজিদে আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় মুসল্লিদের কান্নার আওয়াজ শোনা যায় এবং তারা ভেতর থেকেই তালাবদ্ধ দরজা খুলতে চেষ্টা করেন। অবশ্য বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর প্রতিবেশীরা ভেতরে আটকে পড়াদের সাহায্য করতে ছুটে আসেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।

পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার প্রতিক্রিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে কানো শহরে বোমা বিশেষজ্ঞসহ উদ্ধারকারী দলগুলোকে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মসজিদে হামলায় বোমা ব্যবহার করা হয়নি বলেও নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, শিশুসহ আরও অনেকে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিকে পুরো গ্রামে এখন শোকের মাতম চলছে বলেও জানিয়েছে বিবিসি।


নাইজেরিয়া   মসজিদ   আগুন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালাল হিজবুল্লাহ

প্রকাশ: ০৮:৫৮ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের বিমানবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় লেবানন সীমান্ত থেকে ৩৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরে উত্তর ইসরায়েলের লোয়ার গ্যালিলি অঞ্চলে ওই হামলা চালানো হয়।

এর জবাবে উত্তর-পূর্ব লেবাননে হিজবুল্লাহর অস্ত্র উৎপাদন কারখানায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। পাল্টাপাল্টি হামলার তথ্য বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ)

ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে বিস্ফোরক বহনকারী দুটি ড্রোন ছোড়ে হিজবুল্লাহ। এর মধ্যে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই একটি ধ্বংস করে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। অপর ড্রোনটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে।

গত বছরের অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে দেশটির উত্তরাঞ্চলে কয়েক হাজার ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এসব হামলার অধিকাংশই ছিল সীমান্তবর্তী এলাকায়।

গাজা সংঘাত শুরুর পর থেকে ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের নিয়মিত সংরক্ষিত সেনা (রিজার্ভিস্ট) নিহত হয়েছেন ১৪ জন। একই সময়ে সিরিয়া থেকেও ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়েছে। তবে তাতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

অপরদিকে গত সাত মাসে ইসরায়েলের হামলায় নিজেদের ২৯৮ জন সদস্য নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে হিজবুল্লাহ। তাদের অধিকাংশ নিহত হয়েছেন লেবাননে। সিরিয়ায়ও কিছু সদস্যের প্রাণ গেছে। একই সময়ে ইসরায়েলের হামলায় লেবাননের অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ৬০ সদস্য নিহত হয়েছেন। 


ইসরায়েল   বিমানঘাঁটি   ড্রোন   হিজবুল্লাহ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৩৯ জন নিহত

প্রকাশ: ০৮:৪৫ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহত হল প্রায় ৩৫ হাজার ৩০০ জন ফিলিস্তিনি।

এছাড়া গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৫ হাজার ২৭২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এমন তথ্য দিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া এই হামলায় অন্তত ৭৯ হাজার ২০৫ জন আহত হয়েছেন বলেও মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে ইসরায়েল চারটিগণহত্যাচালিয়েছে এবং এতে অন্তত ৩৯ জন নিহত আরও ৬৪ জন আহত হয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না বলেও জানানো হয়।


গাজা   ইসরায়েলি   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশ: ০৮:৩৩ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাদের হামলায় গাজা ধ্বংস নগরীতে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়ে আসছে বহুদেশ। তবু্ও হামলা অব্যাহত রেখেছে তারা। এবার উপত্যাকায় যুদ্ধের পর নিজেদের পরিকল্পনা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শেষ হলে উপত্যাকায় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বাহিনীতি মিসর, সংযুক্ত আবর আমিরাত মরক্কোকে সেনা সরবরাহের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

ওয়াশিংটনের দাবি, গাজায় যুদ্ধ শেষ হলে হামাসকে ঠেকাতে এবং উপত্যাকাকে নিরাপদ করতে এমন পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে তারা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের প্রস্তাব মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মরক্কো বিবেচনা করে দেখছে। তবে তারা এজন্য একটি শর্ত দিয়েছে। এমন কোনো প্রস্তাব বাস্তবায়নের আগে তিনটি দেশই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের থেকে স্বীকৃতি চায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নিজের সেনা যুক্ত করার প্রস্তাব সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলো নাকচ করে দিয়েছে। তবে তারা উপত্যাকায় এক ধরনের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পক্ষে সায় দিয়েছে। কেননা যুদ্ধ শেষে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারের পর সেখানে আর কোনো সেনা থাকছে না।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের বিরোধিতা করে আসছে। পশ্চিমা এক কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েল এটি নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলতে চায় না। আরব দেশগুরো পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে। যদিও পশ্চিমাদের মধ্যে খুব কম দেশ স্বীকৃতির কাছাকাছি রয়েছে।


গাজা   শান্তিরক্ষী   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন