ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিনিয়োগে মন্দা, বেকারত্ব বাড়ার আশঙ্কা

প্রকাশ: ০৯:২১ এএম, ০৬ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail বিনিয়োগে মন্দা, বেকারত্ব বাড়ার আশঙ্কা

বিশ্বজুড়ে রেকর্ড উচ্চতায় মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো আগ্রাসীভাবে সুদের হার বাড়াচ্ছে। এদিকে এখনো অব্যাহত রয়েছে করোনা মহামারীর কারণে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিপর্যস্ত অবস্থা পার করছে বিশ্ব অর্থনীতিতেও। এ অবস্থায় আগামী বছর বৈশ্বিক অর্থনীতি মন্দায় পড়তে যাচ্ছে।

অপরদিকে বিদ্যমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল দুঃসংবাদই দিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, আগামী বছরেও বিশ্বের প্রায় সব দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার কমবে, মূল্যস্ফীতির থাবা আরও বেড়ে যাবে।

বিনিয়োগ মন্দায় বাড়বে বেকারত্ব, শ্রমের মূল্য কমে যাবে। একই সঙ্গে উৎপাদনশীলতাও কমে যাবে। কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এ খাতেও উৎপাদন কমবে। এতে পণ্যের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে।

বিশ্বের প্রায় সব দেশ এখন চড়া মূল্যস্ফীতির কবলে আক্রান্ত। আগামী বছরে এ হার আরও বাড়বে। মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় অস্থিরতা আরও বেড়ে যাবে। সুদের হার বেড়ে গিয়ে বিশ্বব্যাপী বৈদেশিক বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করবে।

এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে। এর মধ্যে বাংলাদেশের মুদ্রার মান আরও কমে যাবে। রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আইএমএফ ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক অক্টোবর’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি বুধবার তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। এছাড়া আইএমএফ এ দিনে বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে আরও কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় যে বিঘ্ন করোনার সময় থেকে ঘটছে, তা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর আরও বেশি প্রকট হয়েছে। এ কারণে বিশ্বব্যাপী পণ্যের সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় একদিকে দাম বেড়েছে, অন্যদিকে উৎপাদনও কম হয়েছে।

পণ্যমূল্য বাড়ার কারণে প্রায় সব দেশেই মূল্যস্ফীতির হার রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে। ইউরোপ-আমেরিকায় গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন। থাইল্যান্ডে গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে সুদের হার বেড়ে গেছে। এ হার আরও বাড়বে। সুদের হার বাড়ার কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব আরও বাড়বে। 
এতে বলা হয়, মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে উন্নত দেশগুলো সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে।

এতে অর্থের প্রবাহ কমে যাবে। কিন্তু এতে মূল্যস্ফীতির হার কতটুকু কমবে সে নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কেননা বিশ্ববাজারে পণ্য বাড়ছে এবং মুদ্রার মান কমে যাচ্ছে। একই সঙ্গে সরবরাহ ব্যবস্থাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। 

তবে প্রতিবেদনে সুখবর দিয়ে বলা হয়, আগামী বছরে জ্বালানি তেলের দাম আরও কমবে। এর প্রভাবে মূল্যস্ফীতির চাপ কিছুটা কমতে পারে। তবে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় কর্মসংস্থানের গতি বাড়বে না। ফলে বেকারত্ব আরও বেড়ে যাবে। 

প্রতিবেদনে আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চীনের অর্থনীতি পর্যালোচনা করে বলা হয়, এদের জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার কমার কারণে ভোগের মাত্রা কমে যাবে। এর প্রভাবে বিশ্বের স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পণ্য রপ্তানি বাধাগ্রস্ত করবে।

যা ওইসব দেশের ব্যালেন্স অব পেমেন্টে আঘাত করবে। বেসরকারি খাতের প্রবাহ কম হওয়ার কারণে শ্রমিকদের ভাতা কমে যাবে। এতেও ভোগের মাত্রা কমে যাবে। 

এতে বলা হয়, ২০২৪ সাল পর্যন্ত অর্থনীতিতে একটি অস্থিতিশীলতা বজায় থাকবে। এরপর থেকে অর্থনীতি স্বাভাবিক ধারায় এগোবে। 

আইএমএফ’র অন্য এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির হার আরও বাড়বে। তবে জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা বাড়তে পারে। ইউরোপ-আমেরিকার মন্দার কারণে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

করোনার প্রভাবে গত বছর মজুরির হার বৃদ্ধি পায়নি। এ বছরও এ খাতে সুখবর নেই। কারণ মুদ্রা সরবরাহ কমানোর কারণে বেসরকারি খাতের তৎপরতা কমে যাবে। ইতোমধ্যে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

ফলে মজুরিতে নেতিবাচক প্রভাব চলতি বছরও অব্যাহত থাকবে। সূত্র জানায়, ইউরোপ-আমেরিকার মন্দার কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় সেপ্টেম্বরে কমে গেছে।

আগামীতে এ হার আরও কমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া রেমিট্যান্সও কমেছে। তবে রেমিট্যান্স বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিনিয়োগ   মন্দা   বেকারত্ব  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ক্ষমতায় আসতে মুসলিমদেরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে মোদি!

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচনের ১ম দফায় আশানুরূপ ভোট না পরায় এক ধরনের শঙ্কা তৈরি হয় বিজেপি নেতাদের মধ্যে।  ভোটের হার বাড়াতে বিজেপি ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নেয়া শুরু করে দিয়েছে।

সম্প্রতি বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি হিন্দু ভোটারদের আকৃষ্ট করতে 'মুসলিম বিদ্বেষী' বক্তব্য রেখেছেন এবং দ্বিতীয় দফার ভোটে ট্রেন বাতিল করেন যেন মুসলিমরা  ভোট কেন্দ্রে যেতে না পারে।

হিন্দুদের মধ্যে যারা মোদির প্রতি আগ্ৰহ হারিয়েছেন বা যারা ধরেই নিয়েন বিজেপিই আবার ক্ষমতায় আসবে তাই অযথা ভোট কেন্দ্রে যাবার প্রয়োজন নেই, তাদের আগ্ৰহকে চাঙ্গা করতেই কি 'মুসলিম বিদ্বেষ' মনোভাবকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি??

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, ১ম পর্বের ভোটের পর রাজস্থানে এক নির্বাচনী জনসভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন,কংগ্রেসকে ভোট না দিতে।

তার বক্তব্য ছিল, 'কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনবেন না। এদের ক্ষমতায় আনলে তারা আপনার সম্পদ নিয়ে অণুপ্রবেশকারীদের মাঝে বণ্টন করে দেবে। আপনার কঠোর পরিশ্রমের সম্পদ অনুপ্রবেশকারীদের দিয়ে দিক, সেটা কি আপনি চান? আপনি কি এটা মেনে নেবেন?'

এমনকি ওই বক্তব্যে ২০০৬ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ড. মনমোহন সিং-এর একটি বক্তব্যের উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ক্ষমতায় থাকার সময় তারা (কংগ্রেস) বলেছিল, দেশের সম্পদে প্রথম অধিকার মুসলমানদের। তারা আপনাদের সবার সম্পদ নিয়ে তাদেরকে দিয়ে দেবে, যাদের বেশি সন্তান। অণুপ্রবেশকারীদের বণ্টন করে দিয়ে দেবে এসব সম্পদ। কংগ্রেসের ইশতেহারেই বলা হচ্ছে যে মা-বোনদের স্বর্ণের হিসাব করা হবে। তারপর সেই সম্পদ বণ্টন করা হবে তাদের মধ্যে, যাদের দেশের সম্পত্তিতে সবচেয়ে আগে অধিকার বলে মনমোহন সিংয়ের সরকার জানিয়েছিল। শহুরে নকশালদের এই ভাবনা মা-বোনদের মঙ্গলসূত্রকে পর্যন্ত ছাড়বে না।'

অথচ এ ধরনের কোনো কথা মনমোহন সিং ক্ষমতায় থাকাকালে বলেননি বলে বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যম ফ্যাক্টচেক করে জানিয়েছে।

আসলেই কি ভারতে অন্য ধর্মের মানুষের চেয়ে মুসলিম পরিবারে সন্তান সংখ্যা বেশি? আসুন জেনে নেই পরিসংখ্যান কী বলছে?

২০১১ সালের আদমশুমারি থেকে জানা যায়, ভারতে মুসলমানদের সংখ্যা ১৭ কোটি ২২ লাখ, যা তখনকার সময়ে ভারতের মোট জনসংখ্যার ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। এর আগে ২০০১ সালের আদমশুমারিতে বলা হয়, ভারতে মুসলমানদের সংখ্যা ১৩ কোটি ৮১ লাখ, যা তখনকার সময়ে ভারতের মোট জনসংখ্যার ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত ১০ বছরে ভারতের মুসলমানের সংখ্যা বেড়েছে ২৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এর আগে এত কম বাড়েনি। আগের দশ বছরে (১৯৯১-২০০১) বেড়েছিল ২৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

এক পরিবারে কত সদস্য থাকেন, তা নিয়ে ২০১২ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ভারতের জাতীয় নমুনা জরিপ কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়, প্রতি মুসলমান পরিবারে গড়ে ৫ জন করে সদস্য রয়েছে। আর হিন্দু পরিবারের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৪ দশমিক ৩।

তবে, ভারতের শ্রমবাজারে মুসলমানদের অংশগ্রহণ কমে আসছে। এমনকি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মুসলিম কর্মীদের হার এখন অনেক কম। ভারতের সরকারি বিভিন্ন পরিসংখ্যান সে কথাই বলছে।

ভারতে মুসলমানদের জন্মহার নিয়ে ২০২১ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে পিউ রিসার্চ সেন্টার। যেখানে বলা হয়, ভারতে মুসলমানদের জন্মহার সবচেয়ে বেশি। তবে ক্রমেই তা কমে আসছে। ১৯৯২ সালে নারীপ্রতি সন্তান জন্মহার ছিল ৪ দশমিক ৪ জন। ২০১৫ সালে এই হার কমে ২ দশমিক ৬ তে নেমে আসে। সেখানে হিন্দু নারীদের সন্তান জন্মহার ২ দশমিক ১। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমস বলছে, সব ধর্মেই জন্মহার কমে এসেছে।

বর্তমানে ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ ভাগ মুসলমান। আর এই ২০ শতাংশ নেহাতই কম নয়। কেননা, সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের চেয়ে দেশটির মুসলিম সম্প্রদায় ভোট দানে বেশি আগ্ৰহী। আর একারণেই বিজেপি মুসলিমদের নিয়ে শঙ্কিত। 

নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে, মুসলিমরা যেন ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হতে না পারে সেজন্য নির্বাচনের দিন ভারতের বেশ কয়েকটি ট্রেন বন্ধ করে দেন নরেন্দ্র মোদি। 

মূলত বিজেপি ৪০০ জয়ের স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু প্রথম দফার ভোটে বিজেপি এমন কিছু প্রত্যক্ষ করেছে, যা তাদের নেতিবাচক কিছুর আভাস দিয়েছে। এখন তারা ৪০০ আসন জয়ের হুঙ্কার ছেড়ে মেরূকরণ কৌশলে ভর করে নির্বাচনীয় বৈতরণী পার হতে চাইছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রথম দফার ভোটে প্রত্যাশামাফিক কিছু করতে না পেরেই দ্বিতীয় পর্বে আগ্রাসী কৌশল বেছে নিয়েছেন তারা।

তবে কি প্রধানমন্ত্রিত্বের পদ নিয়ে শঙ্কা ও হতাশা থেকেই 'মুসলিম বিদ্বেষী' আচরণ করছেন নরেন্দ্র মোদি?

মোদি তার বক্তব্যে এতটুকু স্পষ্ট করা করেছেন যে, হিন্দুদের স্বার্থের সুরক্ষা মানে মুসলমানদের কাছ থেকে তাদেরকে সুরক্ষিত রাখা।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দল বিজেপি হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষার ত্রাণকর্তা হিসেবে লড়ার কৌশল হিসেবেই কি তাহলে 'মুসলিম বিদ্বেষ' বেছে নিয়েছেন?


মুসলিম   বিজেপি   নির্বাচন   নরেন্দ্র মোদি   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মদ খাইয়ে নারী এমপিকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ

প্রকাশ: ০২:১৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাদক ও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের ব্রিটানি লউগা নামের এক নারী এমপি। এ ঘটনায় তিনি পুলিশে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

রোববার (০৫ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুইন্সল্যান্ডের এমপি ব্রিটেনি লগা অস্ট্রেলিয়া পুলিশে অভিযোগ করেছেন যে সম্প্রতি তাকে জোরপূর্বক মাদক দেওয়া হয়েছে এবং যৌন হয়রানি করা হয়েছে। নিজের সংসদীয় সীমানার বাইরে ইয়েপুনে রাতে তিনি আক্রমণের শিকার হন। ব্রিটেনি অস্ট্রেলিয়ার সহকারী স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

অস্ট্রেলিয়া নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর গত রোববার (২৮ এপ্রিল) তিনি প্রথমে পুলিশ স্টেশনে যান এবং পরে হাসপাতালে যান। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে তিনি জানান, হাসপাতালে পরীক্ষায় শরীরে মাদকের অস্তিত্ব মিলেছে। আমি এসব মাদক গ্রহণ করিনি। এগুলো শরীরে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে বলেও জানান তিনি।

কুইন্সল্যান্ড পুলিশ সার্ভিস (কিউপিএস) নিশ্চিত করেছে যে তারা ইয়েপুনে রোববার যৌন হয়রানির অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে।

তারা জানিয়েছে, তারা পানীয়র বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং পানীয়ের মধ্যে নেশাজাতীয় দ্রব্য মেশানোর বিষয়টি কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে তদন্ত করছে। এ ছাড়া যৌন হয়রানির সঙ্গে নেশাজাতীয় পানীয়ের সম্পর্কও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার এ নারী এমপি কেপাল থেকে ২০১৫ সালে নির্বাচিত হন। এরপর থেকে প্রায় এক দশক ধরে তিনি সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন।

অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কুইন্সল্যান্ডের আবাসনমন্ত্রী মিয়াগান স্ক্যানলন এ ঘটনাকে বিস্ময়কর এবং ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ব্রিটেনি আমাদের সহকর্মী। সে অমার বন্ধু। এটা অগ্রহণযোগ্য যে নারীরা ঘরে এবং বাইরে যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছে। আমাদের সরকার নারীদের সুরক্ষা এবং সহিংসতা বন্ধ করতে যা যা করণীয় তা করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।


নারী এমপি   যৌন হেনস্তা   অস্ট্রেলিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়ার 'ওয়ান্টেড' তালিকায় জেলেনস্কি

প্রকাশ: ০২:০১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করেছে রাশিয়া। মামলাটি করে তার নাম 'ওয়ান্টেড' তালিকায় যুক্ত করেছে দেশটি।

শনিবার (৪ মে) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। খবর রয়টার্স।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর থেকে ইউক্রেন ও ইউরোপের কয়েকটি দেশের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

রাশিয়ার পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাজা কাল্লাস, লিথুয়ানিয়ার সংস্কৃতিমন্ত্রীসহ লাটভিয়ার আইনসভার সাবেক কয়েকজন সদস্যকে 'ওয়ান্টেড' তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সোভিয়েত যুগের স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে ফেলার অভিযোগ আনা হয়।

রাশিয়ার পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এক কৌঁসুলির বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ওই কৌঁসুলি গত বছর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রস্তুত করতে কাজ করেছিলেন।

এদিকে জেলেনস্কিকে ওয়ান্টেড তালিকায় যুক্ত করায় রাশিয়ার সমালোচনা করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজেই আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের ওয়ারেন্টের অধীনে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

জেলিনস্কিকে ওয়ান্টেড তালিকায় রাখার বিষটিকে রাশিয়ার মিথ্যা প্রপাগান্ডা চর্চার প্রমাণ বলে মন্তব্য করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।


রাশিয়া   ওয়ান্টেড   জেলেনস্কি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে শিকাগোতে ৬৮ জন গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০১:৩৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ধরপাকড় অব্যাহত রেখেছে মার্কিন প্রশাসন। এবার ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগো শহরের 'শিকাগো আর্ট ইনস্টিটিউট' এর বিক্ষোভ থেকে ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কলাম্বিয়া কলেজ এবং শিকাগোর স্কুল অব আর্ট ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের স্থাপন করা ক্যাম্পে হানা দেয় স্থানীয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের স্থাপন করা তাঁবু গুড়িয়ে দিয়ে সেখান থেকে অন্তত ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এবিসি৭ টেলিভিশন জানিয়েছে, ছয় দিন ধরে এই আন্দোলন অব্যাহত রেখেছিল শিক্ষার্থীরা। তবে এই প্রথম ফিলিস্তিনিপন্থী ওই শিবিরে পুলিশ এভাবে চড়াও হল।


ইসরায়েল   বিক্ষোভ   শিকাগো   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ঘুমিয়ে ছিলেন স্টেশন মাস্টার! সিগন্যালের অপেক্ষায় ট্রেন

প্রকাশ: ১২:১২ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

অনেক সময় চালকের ঘুমের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এবার ঘটেছে এক ভিন্ন ঘটনা। ডিউটির মধ্যেই ঘুমিয়ে গেছেন স্টেশন মাস্টার! এর ফলে প্রায় আধা ঘণ্টা সিগন্যালের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেন। এ ঘটনা ভারতের উত্তরপ্রদেশের। 

একটি স্টেশনে কর্তব্যরত অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন স্টেশন মাস্টার। এর ফলে প্রায় আধা ঘণ্টা সিগন্যালের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে পাটনা-কোটা এক্সপ্রেস। 

গত ৩ মে (শুক্রবার) এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে ইটাওয়াহর কাছে উড়ি মোর রোড স্টেশনে। পরে অভিযুক্ত স্টেশন মাস্টারকে শোকজ করেছে রেল কতৃপক্ষ। 

জানা গেছে, পাটনা-কোটা এক্সপ্রেসের চালক বারবার হর্ন দিয়েও ঘুম ভাঙাতে পারছিলেন না স্টেশন মাস্টারের। শেষ পর্যন্ত ট্রেনটি প্রায় ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর স্টেশন মাস্টারের ঘুম ভাঙে এবং সেটি সবুজ সিগন্যাল পায়। 

ইতোমধ্যে দোষ স্বীকার করে ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন অভিযুক্ত। তিনি যুক্তি দেন, ঘটনার সময় পয়েন্টম্যান লাইন পর্যবেক্ষণে গিয়েছিলেন। ঘুম ভাঙাতে পাশে কেউ ছিলেন না। তার ফলেই বিপত্তি ঘটে।

আগ্রা রেলওয়ে ডিভিশন পি আর ও প্রশান্ত শ্রীবাস্তব বলেন, গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বিষয়টিকে। ইতোমধ্যে স্টেশন মাস্টারের বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে। দোষ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


স্টেশন মাস্টার   ট্রেন   সিগন্যাল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন