ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চুরির জন্য নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে পশ্চিমারা

প্রকাশ: ১২:২৭ পিএম, ২৬ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চুরির জন্য নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে পশ্চিমারা

ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে স্বর্ণ এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চুরি করার জন্য পশ্চিমা দেশগুলো মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে বলে অভিযোগ করেছে রাশিয়া।

ইউরোপীয় ইউনিয়নে আটক রাশিয়ার বৈদেশিক মুদ্রা ইউক্রেনে পাঠানোর বিষয়ে ইইউভুক্ত দেশগুলো যে প্রস্তাব দিয়েছে সে ব্যাপারে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, পশ্চিমা কয়েকটি দেশ রাশিয়ার সম্পদের একটা বিরাট অংশ চুরি করেছে।

গত সপ্তাহে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচিত রাশিয়ার যে বৈদেশিক মুদ্রা জব্দ করা হয়েছে তা ইউক্রেনে পাঠানো।

এ প্রসঙ্গে দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টের এই প্রস্তাব সম্পূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সাংঘর্ষিক। এটি সরকারি এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পদের ওপর হামলা। রাশিয়ার আটক সম্পদ ইউক্রেনে পাঠানোর এ ধরনের যেকোনো উদ্যোগ আন্তর্জাতিক আইন এবং রীতির লঙ্ঘন হবে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর আমেরিকা এবং তার ইউরোপীয় মিত্ররা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নজিরবিহীনভাবে হাজারও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপের মধ্যদিয়ে রাশিয়ার ৬৪০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের স্বর্ণ এবং বৈদেশিক মুদ্রা আটক করেছে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় দেশগুলো।


ইউক্রেন যুদ্ধ   নিষেধাজ্ঞা   রিজার্ভ চুরি   ইউরোপীয় কাউন্সিল   মস্কো  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ হারানোর পথে মিয়ানমার জান্তা

প্রকাশ: ০২:৩২ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুতে আরও ১০টি জান্তা ক্যাম্প দখল করেছে আরাকান আর্মি। জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীটির দাবি, শহরটিতে লড়াই চলাকালে একজন স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডারসহ প্রায় ২০০ জান্তা সেনা নিহত হয়েছেন। থাইল্যান্ড-ভিত্তিক বার্মিজ সংবাদমাধ্যম ইরাবতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

গত মাসে মংডুর উত্তরাঞ্চল দখলের পর সম্প্রতি দক্ষিণে সামরিক জান্তা ক্যাম্প এবং সীমান্তরক্ষী পুলিশ অবস্থানগুলোকে নিশানা করেছে আরাকান আর্মি।

মূলত, বুথিডাং শহর দখলের পর গত মে মাসের শেষের দিক থেকে মংডু শহরে বড় আকারে আক্রমণ শুরু করে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। দুটি শহরই বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে অবস্থিত। এসব এলাকায় মূলত রোহিঙ্গারা বসবাস করেন।

গত শুক্রবার (১৪ জুন) এক ঘোষণায় আরাকান আর্মি দাবি করেছে, তারা এ সপ্তাহে আরও চারটি জান্তা ক্যাম্প দখল করেছে, যার মধ্যে মাওয়ায়াদ্দি স্ট্র্যাটেজিক কমান্ড বেস এবং না খাউং টো ক্যাম্পও রয়েছে।

লড়াই চলাকালে তাদের হাতে জান্তা বাহিনীর মাওয়ায়াদ্দির স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডার কর্নেল তাইজার হতেসহ প্রায় ২০০ সেনা নিহত হয়েছেন।

গত বুধবার রাতে শহরটির প্রবেশপথে অবস্থিত সুপরিচিত জান্তা ক্যাম্প আহ লেল থান কিয়াও দখল করে আরাকান আর্মি। হামলার আগে সেখানে প্রায় ২০০ জন সেনা এবং সীমান্তরক্ষী কর্মী ছিলেন। তাদের অনেকে অন্যান্য ঘাঁটিতে পালিয়ে গেছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাদের আহ লেল থান কিয়াউ ক্যাম্প এবং মাওয়ায়াদ্দি স্ট্র্যাটেজিক কমান্ড বেস উভয়কে রক্ষা করতে বিমান হামলা এবং কামানের গোলা ব্যবহার করেছিল বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে আরাকান আর্মি ছয়টি জান্তা ঘাঁটি দখল করে, যার মধ্যে মংডু-আগনুমাউ রোডের মিন্ট লুট গ্রামের কাছে বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন নং ৯ এবং ইন দিন গ্রামে বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন নং ৬-এর সদর দপ্তরও রয়েছে।

আরাকান আর্মি বলেছে, তারা আরও কয়েকজন জান্তা সেনাকে বন্দি করেছে এবং পালিয়ে যাওয়া সেনাদের খোঁজে সন্ধান অব্যাহত রেখেছে।

বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ইরাবতির খবরে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার মংডু থেকে অন্তত ২৮ জন জান্তা সেনা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

এর আগে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের ১৩০ জনেরও বেশি নিরাপত্তাকর্মী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের গত রোববার ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ। তার পরেই নতুন করে এই অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটলো।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে শহর রয়েছে প্রায় ১৭টি। এর মধ্যে নয়টিরই নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে আরাকান আর্মি। গত বছরের নভেম্বর থেকে রাজ্যটিতে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে তীব্র লড়াই চলছে তাদের। পার্শ্ববর্তী চিন রাজ্যের পালেতওয়া শহরেরও নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে জাতিগত গোষ্ঠীটি।



রাখাইন   মিয়ানমার   জান্তা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মক্কায় হিটস্ট্রোকে ৬ হজযাত্রীর মৃত্যু

প্রকাশ: ০২:০৯ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

হজের সময় এই বছর মক্কার তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে বলে আগেই সতর্ক করেছিল সৌদি কর্তৃপক্ষ। গরম কমাতে নেওয়া হয়েছিল নানা রকম ব্যবস্থাও। তারপরও হিটস্ট্রোকে অন্তত হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৫ জুন) আরাফাতের ময়দানে জড়ো হওয়ার পর, এই হজযাত্রীদের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন খবর জানিয়েছে।

নিহত সবাই জর্ডানের নাগরিক। জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতি মন্ত্রণালয় বলেছে, মৃতদের দাফন প্রক্রিয়া এবং মৃতদেহ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে তারা জেদ্দার সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করছেন ।

লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’—লাখো কণ্ঠে মহান আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রকাশের মধ্য দিয়ে শনিবার পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা পালিত হয়।

সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীর আরাফাত ময়দানে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সমবেত হন। তাদের কণ্ঠে ছিল ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্‌দা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাক’ (আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার)।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লাখ লাখ মুসল্লি পাপমুক্তি ও আত্মশুদ্ধির আকুল বাসনা নিয়ে এবার পবিত্র হজ পালন করেছেন। তারা গতকাল সূর্যোদয়ের পর মিনা থেকে ট্রেনে, বাসে ও পায়ে হেঁটে রওনা হন আরাফাতের ময়দানের দিকে। তাদের কণ্ঠে ছিল একটাই রব, ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক।’

হজের খুতবা দেন খতিব শায়েখ ড. মাহের আল মুয়াইকিলি। বিশ্বের মুসলমানদের আল্লাহকে ভয় করে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে মুসলমানরা জীবনে কল্যাণ, আল্লাহর সন্তুষ্টি ও মৃত্যু–পরবর্তী জীবনে নিয়ামতপূর্ণ জান্নাত অর্জন এবং জাহান্নামের সব ধরনের শাস্তি থেকে মুক্তিলাভ করতে পারেন।

আরাফাতের ময়দানে সমবেত হয়ে হাজিরা কেউ পাহাড়ের কাছে, কেউ সুবিধাজনক জায়গায় বসে ইবাদত করেন। কেউ যান জাবালে রহমতের কাছে। আবার কেউ যান মসজিদে নামিরায় হজের খুতবা শুনতে।

মূলত ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে হজ পালন করা হয়। এ ময়দানে উপস্থিত হওয়া হজের অন্যতম ফরজ। পবিত্র হজ ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি। আর্থিকভাবে সমর্থ ও শারীরিকভাবে সক্ষম পুরুষ ও নারীর জন্য হজ ফরজ।

সৌদির পরিসংখ্যান বিষয়ক সাধারণ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ বছর ১৮ লাখ মানুষ সারা বিশ্ব থেকে হজ পালনে অংশ নিয়েছে।


হিটস্ট্রোক   হজযাত্রী   মক্কা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় ৫০ হাজার শিশুর জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন: জাতিসংঘ

প্রকাশ: ০১:৪৮ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

গাজা উপত্যকায় ৫০ হাজারের বেশি শিশুর তীব্র অপুষ্টিজনিত জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ত্রাণ কর্ম সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)  শনিবার (১৫ জুন) এক বিবৃতিতে সংস্থাটি তথ্য জানায়। খবর আলজাজিরার।

বিবৃতিতে ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, মানবিক সহায়তা প্রবেশে অব্যাহত বিধিনিষেধের কারণে গাজার বাসিন্দারা তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি হচ্ছে। ফলে ইউএনআরডব্লিউএ দলগুলো বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্যেও ত্রাণ নিয়ে এসব পরিবারের কাছে পৌঁছানোর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।

এছাড়া ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এল্ডার আলজাজিরাকে বলেছেন, জাতিসংঘের আবির্ভাবের পর যে কোনো যুদ্ধের চেয়ে এই যুদ্ধে বেশি ত্রাণকর্মী নিহত হয়েছে।

এল্ডার বলেন, ‘বুধবার গাজায় ১০ হাজার শিশুর জন্য পুষ্টি চিকিৎসা সরবরাহভর্তি একটি ট্রাক নিয়ে যাওয়ার মিশন ছিল ইউনিসেফের। তাদের কাজ ছিল ত্রাণ দেয়া যা আগেই ইসরাইলি বাহিনীর কাছ থেকে অনুমোদন নেয়া ছিল।

তিনি বলেন, ‘ জন্য ১৩ ঘণ্টা সময় লেগেছে। আমরা তাদের আটটি চেকপয়েন্টে  ‘‘এটি একটি ট্রাক নাকি একটি ভ্যান’’- নিয়েই তর্ক করেছি।


গাজা   জাতিসংঘ   জরুরি চিকিৎসা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পশ্চিমবঙ্গে বাড়ছে তিস্তার পানি, শঙ্কায় নদী তীরবর্তী পরিবার

প্রকাশ: ১২:৪১ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের সিকিম রাজ্য থেকে নেমে আসা তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে। ফলে উত্তর সিকিমে তিস্তায় পানি বেড়ে যাওয়ায় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে সিকিম রাজ্য সরকার নিচু এলাকার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে।

তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় জলপাইগুড়ির গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজের ১ হাজার ১০০ কিউসেক পানি গতকাল শনিবার ছাড়া হয়েছে। এই গজলডোবা থেকে তিস্তা নদী বাংলাদেশে গিয়ে পড়েছে।

গজলডোবা এলাকায় তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নদীর দুই পারের মানুষ। তাঁদের আশঙ্কা, সিকিম থেকে নেমে আসা তিস্তার পানিতে বন্যা দেখা দিতে পারে।

উত্তর সিকিমে বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় ধস নামায় ১ হাজার ২০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন। এই পর্যটকদের সিংহভাগ পশ্চিমবঙ্গের। তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশের ১০ পর্যটকসহ থাইল্যান্ডের ২ জন এবং নেপালের ৩ পর্যটক রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধারে সেনা নামানো হয়েছে।

সড়ক ও পাহাড়ের অংশে ধস নামায় পর্যটকেরা আটকা পড়েছেন। পর্যটকদের উদ্ধারে সিকিম সরকার সেনা নামিয়ে নতুন করে বেইলি ব্রিজ তৈরি করে পর্যটকদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় উত্তর সিকিমে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। কুয়াশার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। সিকিম সরকার ওই রাজ্যে আসা পর্যটকদের হোটেল বা যে যেখানে আছেন, সেখানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

সিকিমের পর্যটনসচিব সি এস রাও বলেন, আটকে পড়া বা হোটেলে অবস্থান করা কোনো পর্যটক যেন ঝুঁকি না নেন। তাঁদের জন্য মজুত রয়েছে প্রচুর খাবার। যদিও তিস্তা বাজার থেকে দার্জিলিংয়ে যাওয়ার পেশক রোড এখনো বন্ধ রয়েছে। এ রাস্তার পাশে বিপজ্জনকভাবে বইছে তিস্তা নদী।


পশ্চিমবঙ্গ   তিস্তার পানি   শঙ্কা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জাপানে ছড়াচ্ছে মাংসখেকো ব্যাকটেরিয়া, সংক্রমণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু

প্রকাশ: ১২:১৩ পিএম, ১৬ জুন, ২০২৪


Thumbnail

করোনা ভাইরাসের পর ফের উদ্বেগ ছড়াচ্ছে নতুন এক ব্যাকটেরিয়া। যা এখন জাপানজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। মাংসখেকো এ ব্যাকটেরিয়া এতটাই মারাত্মক যে, এর সংক্রমণের পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

এই ব্যাকটেরিয়ার নাম গ্রুপ এ স্ট্রেপ্টোককাস (জিএএস)। এর সংক্রমণে যে রোগ সৃষ্টি হচ্ছে, তার নাম স্ট্রেপ্টোককাল টক্সিক শক সিনড্রোম।

জাপানের সংক্রামক রোগ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফেকশাস ডিজিজের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে ২ জুন পর্যন্ত দেশটিতে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭৭ জন। গত বছর এসটিএসএসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৪১ জন মানুষ। ১৯৯৯ সাল থেকে এই রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর তথ্য রেকর্ড করছে।

সংক্রমণের এই ধারা অব্যাহত থাকলে এই বছরে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াবে আড়াইহাজারে। এই রোগে মৃত্যুর হার ভয়ঙ্করজনকভাবে বেশি, শতকরা ৩০ শতাংশ।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফেকশাস ডিজিজের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতি বছরই জাপানে এসটিএসসে আক্রান্ত হওয়া রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে।

এই ব্যাকটেরিয়াটির বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে। কিছু কিছু প্রজাতির মূলত শিশুদের আক্রান্ত করে। এতে আক্রান্ত শিশুর গলা ফুলে যায়, সঙ্গে ব্যথাও থাকে। তবে কিছু প্রজাতি মূলত ৫০ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী লোকজনকে আক্রমণ করে ।

এসব প্রজাতির সংক্রমণ ঘটলে প্রথমে গলা ব্যথা এবং পরে মাংসপেশীতে ব্যথা শুরু হয়। হাত-পা-মুখ ফুলে যায়, রক্তচাপ নেমে আসে এবং একপর্যায়ে মাংশপেশিতে পচন ধরে, শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হয়, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে পড়ে এবং রোগীর মৃত্যু ঘটে।

টোকিও উইম্যান্স মেডিকেল ইউনিভার্সিটির সংক্রামক রোগ বিভাগের অধ্যাপক কেন কিকুচি বলেন, এসব লক্ষণ দেখা দিলে একজন রোগীর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হতে পারে।

এই রোগের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা পেতে হাত পরিষ্কার রাখা এবং শরীরের যে কোনো ক্ষতস্থান খোলা অবস্থায় না রাখার পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক কেন কিকুচি। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া


মাংসখেকো   ব্যাকটেরিয়া   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন