ইনসাইড গ্রাউন্ড

আট বছরে ক্রিকেটের আয় ১২০৭ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:১০ পিএম, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৮


Thumbnail

ক্রিকেট শুধু নিছক আনন্দ বিনোদনের মাধ্যম নয়। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে এর আর্থিক দিকটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই এই আর্থিক দিকের সমালোচনা করলেও ক্রিকেট উন্নয়নের পূর্বশর্ত যে আর্থিক উন্নয়ন তা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। তবে এই লক্ষ্যে কতোটা সফল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)?

সেই প্রশ্নের উত্তর জানা গেলো সোমবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদারের কাছ থেকে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের বিগত ৮ বছরে ১ হাজার ২০৭ কোটি ৩ লাখ টাকা আয় করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এর মধ্যে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২২৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা আয় হয়।’

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মো. নজরুল ইসলাম বাবুর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, বিসিবি ২০০৯-১০ অর্থবছরে ১০৪ কোটি ৩ লাখ টাকা, ২০১০-১১ অর্থবছরে ১৩৯ কোটি ৪৮ হাজার টাকা, ২০১১-১২ অর্থবছরে ১২৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১০১ কোটি ১ লাখ টাকা, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১৫৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৬৫ কোটি ২২ লাখ টাকা এবং সর্বশেষ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১৮১ কোটি ১৬ লাখ টাকা আয় করেছে।

এসময় তিনি আরো বলেন, ‘বিসিবিকে সরকার কোনো অর্থ দেয় না। সব কাজ তারা নিজস্ব অর্থায়নে করে।’ সালমা ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রতি বছর ক্রীড়া সামগ্রী বাবদ ৮ বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাকে ৫০ হাজার টাকা এবং ৬৪ জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে ১ লাখ টাকা করে দেয়া হয়। চলতি অর্থবছরে ৪৯০টি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থাকেও ১ লাখ টাকা করে দেয়া হচ্ছে।

গত কয়েক বছরে ক্রিকেট মাঠে দূর্দান্ত সময় পার করেছে টাইগাররা। আর তার আর্থিক সুফলটাও পেতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। এই আর্থিক জোয়ার ক্রিকেটের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জোয়ার নিয়ে আসুক এমনটাই প্রত্যাশা সবার।


বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-২০ বিশ্বকাপ: অভিবাসীদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আস্তানা

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২২ মে, ২০২৪


Thumbnail

আর মাত্র ১০ দিন। এরপরই মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের কুড়ি ওভারের মহাযজ্ঞ। সংক্ষিপ্ত এই সংস্করণে কবজির জোর যার বেশি, মাঠের লড়াইয়ে দাপটটাও তাদেরই বেশি। আর এজন্যই অংশগ্রহণকারী প্রায় প্রতিটি দলই নিজেদের সেরা সৈন্যদের নিয়েই সাজিয়েছে দল।

আগামী ২ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যৌথভাবে আয়োজক দেশ দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইডিন্জও। আর এই দুই দেশের ৯ ভেন্যুতে চলবে বৈশ্বিক ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্ট।

অন্যান্যবার এই বিশ্বযজ্ঞে ১০টি দল অংশগ্রহণ করলেও এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে ২০ দল। যেখানে সেরা আট দল বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছিল আগেই। এর সঙ্গে অটোমেটিক চয়েজে বিশ্বকাপের টিকিট পায় সেরা র‌্যাংকিংয়ে অবস্থান করা দুদল এবং আয়োজকরা। বাকি ৮ দলকে বিশ্বকাপের টিকিট পেতে আঞ্চলিক পর্যায়ে লড়াই করতে হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আফ্রিকা, ইউরোপা, এশিয়া থেকে দুটি করে দল সুযোগ পেয়েছে। সেইসঙ্গে আমেরিকা এবং ইস্ট-এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে একটি করে দল বিশ্বকাপে খেলবে।

আর দল বেশি হওয়ায় এবারের সমীকরণটাও কিছুটা ভিন্ন। নতুন আদলের এবারের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে ভাগ করা হবে চার গ্রুপে। যার মধ্যে প্রতিটি গ্রুপে থাকবে ৫টি করে দল।

রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে প্রতি গ্রুপের প্রতিটি দল একে অপরের মোকাবিলা করবে। সেখান থেকে প্রতি গ্রুপের সেরা দুটি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে সুপার এইট। সেখান থেকে সেমিফাইনাল এবং ফাইনালসহ টুর্নামেন্টে মাঠে গড়াবে মোট ৫৫টি ম্যাচ। বৈশ্বিক এই আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই স্কোয়াড ঘোষণা করেছে ১৯টি দল। ব্যাতিক্রম শুধুমাত্র পাকিস্তান। তবে জানা গেছে, তারাও শীঘ্রই দল ঘোষণা করবে।

তবে এবার টি-২০ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ২০ দলের মধ্যে সবচেয়ে বিশেষ নজরে থাকছে সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র। কারণ প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া দলটি এবার তাদের ডেরা পরিপূর্ণ করেছে অভিবাসীদের দিয়ে। নিউজিল্যান্ড থেকে দক্ষিণ আফিকা, ভারত থেকে পাকিস্তান- সব দেশের খেলোয়াড়রাই রয়েছে মার্কিনীদের স্কোয়াডে। আর এমন স্কোয়াড গঠনের পর বলা যায়, ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষদের চ্যালেঞ্জ জানাতে অভিবাসীদের আস্তানা গেড়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আর অভিবাসীদের নিয়ে গড়া আস্তানায় এবার প্রতিপক্ষদের চ্যালেঞ্জ জানাতে মুখিয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর অবশ্য কিছু কারণও রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল-

১. অভিজ্ঞদের সাথে তারুণ্যের মিশেলে স্কোয়াড

যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত স্কোয়াডে এবার নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ক্রিকেটারদের সংখ্যাই বেশি। যেখানে সবচেয়ে বড় নাম কোরি অ্যান্ডারসন। ৩৩ বছর বয়সী অ্যান্ডারসন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর আগে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটার। কিউই জার্সিতে খেলেছেন ২০১৪ ও ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ছিলেন ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের রানার্স আপ দলেও।

২০১৭ সালে টি–টোয়েন্টিতেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪১ বলে ৯৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছিলেন অ্যান্ডারসন। ২০১৮ সালে নিউজিল্যান্ডের হয়ে শেষ ক্রিকেট খেলা অ্যান্ডারসনের গত মাসে কানাডার বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে অভিষেক হয় যুক্তরাষ্ট্র দলে। সবকিছু ঠিক থাকলে এবার স্বাগতিকদের হয়ে ঝড় তুলবেন এই ক্রিকেটার।

শুধু কোরি অ্যান্ডারসনই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের স্কোয়াডে এবার জায়গা করে নিয়েছেন বেশ কিছু ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্রিকেটারও। যার মধ্যে ভারতের গুজরাটে জন্ম নেয়া মোনাক প্যাটেল এবার নেতৃত্ব দিবেন মার্কিনীদের দলকে। তার সঙ্গে তালিকায় আছেন মিলিন্দ কুমার, নিতিশ কুমার, হারপ্রীত সিং ও নিসর্গ প্যাটেলের মতো ক্রিকেটাররা। যাদের প্রত্যেকের নামই ভারতের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।

এছাড়া ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের ক্রিকেটাররাও জায়গা পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বকাপ দলে। যার মধ্যে রয়েছেন শায়ান জাহাঙ্গীরও। সেই সাথে উইন্ডিজের দুজন ও দক্ষিণ আফ্রিকার একজন রয়েছেন তাদের স্কোয়াডে। আর অভিবাসীদের আস্তানা গড়ে বিশ্বকাপে ভালো কিছুর স্বপ্নই দেখছে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে সুযোগ পেলে ব্যাট হাতে অ্যান্ডারসন, মোনাক প্যাটেল ও শায়ানরা চমক দেখাতে পারেন।

২. শক্তিশালী প্রতিপক্ষ নিয়ে দুশ্চিন্তা

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে অভিবাসীদের নিয়ে আস্তানা গড়লেও শেষ পর্যন্ত কতটুকু সুবিধা গড়তে পারবে স্বাগতিকরা তা নিয়ে একটি বড় প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র এবার এমন গ্রুপে রয়েছে যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ প্রায় প্রতিটি দলই বিশ্ব ক্রিকেটের এই সংস্করণের প্রথম সারির। আসন্ন এই বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের মোকাবিলা করতে হবে ভারত, পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে। ব্যাটিং-বোলিং উভয় দিকেই বড় দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের মোকাবিলা করাই বড় চ্যালেঞ্জ হবে স্বাগতিকদের।

৩. নিজদের পারফরম্যান্স

কোরি অ্যান্ডারসন, মোনাক প্যাটেল, শায়ান জাহাঙ্গীরদের মতো খেলোয়াড়দের দলে ভিড়ালেও অভিবাসী এই ক্রিকেটাররা নিজেদের সামর্থ্যের কতটুকু দিতে পারবে তা নিয়েও সংশয় রয়েছে ক্রীড়া বিশ্লেষকদের মনে। কারণ এবার যুক্তরাষ্ট্রের টিম বেশ কিছুটা কোন ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের একটি দলের মতো। বিভিন্ন দেশের সাবেক, বর্তমান মিলিয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরির খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে গড়া এবারের টিম যুক্তরাষ্ট্রের। আর তাই নিজেদের দলের মধ্যে সমন্বয় এবং সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

৪. শক্তিশালী অলরাউন্ড ইউনিট

ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে রীতিমতো অলরাউন্ডারদের পসরা সাজিয়ে বসেছে যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে সবচেয়ে বড় নাম কোরি অ্যান্ডারসন। তার সঙ্গে দেখা যেতে পারে নিগর্স প্যাটেল, অ্যারন জোনস, মিলিন্দ কুমার ও স্টিভেন টেলরদের। আবার প্রতিপক্ষ বিবেচনায় বিশ্বমঞ্চ মাতাতে পারেন জেসি সিং ও শ্যাডলি ভ্যান স্কলওয়াকরা।

নিজেদের দিনে এসব অলরাউন্ডাররা ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিতে পারে মুহূর্তেই। এখন দেখার বিষয় এটাই, ঘরের মাঠে তারা কতটা কার্যকর? সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছুদিন।

৫. ব্যাটিং-বোলিংয়ে ভারসাম্য

ঘরের মাঠে খেলা হলেও ব্যাট হাতে কতটা সুবিধা নিতে পারবে স্বাগতিকরা, সেটিই বড় প্রশ্ন। কারণ, প্রতিপক্ষ দলের বোলার হিসেবে তাদের সামনে থাকবে জাসপ্রিত বুমরাহ, শাহিন আফ্রিদিদের মতো বোলাররা। আর ভারত, পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের মতো বড় দলের অভিজ্ঞ বোলারদের মোকাবিলাই বড় চ্যালেঞ্জ হবে স্বাগতিকদের, এমনটাই ধারণা ক্রিকেট বোদ্ধাদের।

তবে উইকেট সামলানোর পাশাপাশি ব্যাট হাতেও প্রতিপক্ষ বোলারদের চোখ রাঙাবে যুক্তরাষ্ট্র দলপতি মোনাক প্যাটেল। কোনো ইনজুরি না থাকলে গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচেই তাকে দেখা যাবে। সেক্ষেত্রে কপাল পুড়তে পারে আরেক উইকেটরক্ষক-ব্যাটার আন্দ্রিস গুজের। তারা দুজন ছাড়ার ব্যাট হাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারেন নীতিশ কুমার ও শায়ান জাহাঙ্গীররা।

শুধু তাই নয়, ব্যাটারদের পাশাপাশি মার্কিনীদের নজর দিতে হবে বোলিং ইউনিটেও। যদিও যুক্তরাষ্ট্র দলে বোলিং ইউনিটে নেতৃত্ব দিবেন সৌরভ নেত্রাভালকার কিংবা আলী খানের মতো পেসার। তবুও রোহিত শর্মা থেকে বিরাট কোহলি, বাবর আজম থেকে ফখর জামানদের মতো ব্যাটারদের বেঁধে রাখাটা প্রায় দুষ্কর যুক্তরাষ্ট্রের জন্য। তবে একাদশে সুযোগ পেয়ে ঝলক দেখাতে পারেন নশটুশ কেনজিগে।

উল্লেখ্য, আগামী ২ জুন থেকে শুরু হবে টি-২০ বিশ্বকাপ। আসরের উদ্বোধনী ম্যাচেই কানাডাকে চ্যালেঞ্জ জানাবে যুক্তরাষ্ট্র। ম্যাচটি হবে ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে। সেই হিসেবে আর ১৩ দিন পর নামতে হবে তাদের। তারই ধারাবাহিকতায় ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজকরা।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বকাপ স্কোয়াড:

মোনাক প্যাটেল (অধিনায়ক), অ্যারন জোনস, আন্দ্রিস গুজ, স্টিভেন টেলর, কোরি অ্যান্ডারসন, সৌরভ নেত্রাভালকার, জেসি সিং, হারপ্রীত সিং, নশটুশ কেনজিগে, শ্যাডলি ভ্যান স্কলওয়াক, নীতিশ কুমার, আন্দ্রিস গুজ, শায়ান জাহাঙ্গীর, আলী খান, নিসর্গ প্যাটেল, মিলিন্দ কুমার। রিজার্ভ: গাজানান্দ সিং, জুনোয় ড্রাইড্যাল এবং ইয়াসির মোহাম্মদ।


ক্রিকেট   যুক্তরাষ্ট   অভিবাসী   টি-২০ বিশ্বকাপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

এবার যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেও নাস্তানাবুদ হল টাইগাররা

প্রকাশ: ১২:৪৭ এএম, ২২ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ প্রস্তুতি হিসেবে র‍্যাংকিং এ নিজেদের থেকে ১০ ধাপ পেছানো দল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলতে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। যেখানে প্রথম ম্যাচে নাস্তানাবুদ হল টাইগাররা।

হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার (২১ মে) তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিন শুরুতে ব্যাট করে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে তিন বল এবং ৫ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে স্বাগতিকরা। 

মঙ্গলবার (২১ মে) সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর পরও খেই হারায় বাংলাদেশ। তবে তাওহিদ হৃদয়ের ফিফটি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। হৃদয় ৪৭ বলে ৫৮ রান ও মাহমুদউল্লাহ ২২ বলে ৩১ রানে করেন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে স্টিভেন টেইলর নেন ২টি উইকেট।

১৫৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী শুরু করেন দুই ওপেনার স্টিভেন টেইলর ও মোনাক প্যাটেল। তবে দলীয় ২৭ রানে রান আউটের শিকার হন মোনাক। দলীয় ২৭ রানে ১০ বলে ১২ রান করে ফিরে যান তিনি।

এরপর ক্রিজে আসা অ্যান্ড্রিস গিউসকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন টেইলর। তবে দলীয় ৬৫ রানে গিউসকে আউট করে বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন রিশাদ হোসেন। ১৮ বলে ২৩ রান করেন গিউস।

এরপর ২৯ রানের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তিন উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান দুই পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম। টেইলর ২৯ বলে ২৮, অ্যারন জন্স ১২ বলে ৪ ও নিতিশ কুমার ১০ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।

তবে কোরি অ্যান্ডারসন ও হারমিত সিংয়ের ব্যাটে লড়াই করে যুক্তরাষ্ট্র। আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন হারমিত। তার ১৩ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় যুক্তরাষ্ট্র।



যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

হায়দ্রাবাদকে উড়িয়ে ফাইনালে কলকাতা

প্রকাশ: ১১:২৮ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

জিতলেই ফাইনালে, হারলে এলিমিনেটরে- এমন সমীকরণের সামনে দাড়িয়ে আজ আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে কলকাতা নাইট রাইডার্স এর মুখোমুখি হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। যেখানে কলকাতার সামনে টিকতেই পারেনি অরেঞ্জ আর্মিরা। 

বোলারদের দাপটে আর ব্যাটারদের নৈপুণ্যে সহজে ম্যাচ জিতে এবারের আসরের প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে পা রাখল কলকাতা। আর কলকাতার কাছে হেরে কামিন্সদের অপেক্ষা করতে হবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের জন্য।

২০২১ সালের পর আবার আইপিএল ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্স। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৮ উইকেট হারিয়ে দিলেন শ্রেয়স আয়ারেরা। প্যাট কামিন্সদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জ্বলে উঠলেন মিচেল স্টার্ক। প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যে ৩ উইকেট নিয়ে কেকেআরকে চালকের আসনে বসিয়ে দেন ২৫ কোটির বোলার। হায়দরাবাদ ১৫৯ রানের জবাবে কেকেআর ১৩.৪ ওভারে ২ উইকেটে করল ১৬৪ রান।

এদিন টস জিতে আমদাবাদের ২২ গজে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কামিন্স। প্রায় সব দলকে ভোগানো ট্রেভিস হেড-অভিষেক শর্মার ওপেনিং জুটি কোয়ালিফায়ারে ব্যর্থ হল। ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই হেডের (শূন্য) স্টাম্প ছিটকে দেন স্টার্ক। দ্বিতীয় ওভারে অভিষেককে (৩) আউট করেন বৈভব অরোরা। ১৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে চাপে পড়ে যায় হায়দরাবাদ। স্টার্ক প্রতিপক্ষকে আরও কোণঠাসা করে দিলেন নিজের তৃতীয় ওভারে। শেষ দু’বলে পর পর আউট করলেন নীতীশ কুমার রেড্ডি (৯) এবং শাহবাজ় আহমেদকে (শূন্য)। স্টার্ক অবশ্য হ্যাটট্রিক পেলেন না। ১৯তম ওভারে তাঁর হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা নষ্ট করে দেন কামিন্স। হায়দরাবাদের ব্যাটারদের দেখে প্রথম থেকেই বোঝা যাচ্ছিল চাপে রয়েছেন। খুচরো রান নেওয়ার ক্ষেত্রেও ঠিক মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না তাঁরা।

৯ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর হায়দরাবাদকে লড়াইয়ে ফেরান তিন নম্বরে নামা রাহুল ত্রিপাঠী এবং ছ’নম্বরে নামা হেনরিখ ক্লাসেন। পঞ্চম উইকেটে জুটিতে আগ্রাসী মেজাজে তাঁরা তুললেন ৬২ রান। পাল্টা আক্রমণের জন্য হায়দরাবাদের দুই ব্যাটার মূলত বেছে নিয়েছিলেন সুনীল নারাইনকে। বিশেষ করে ক্লাসেনকে আটকাতে পারছিলেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের অলরাউন্ডার। এ সময় শ্রেয়সের এক চালে সাজঘরে আবার লড়াইয়ে ফেরে কেকেআর। আক্রমণে আনেন বরুণ চক্রবর্তীকে। তাঁর বলে ঠকে যান ক্লাসেন (২১ বলে ৩২)। জুটি ভাঙার পর নিজের ভুলে আউট হলেন রাহুলও।

৩৫ বলে ৭টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫৫ রান করে আউট হন তিনি। নিজের ভুলে আউট হয়ে হতাশ রাহুল সাজঘরে ফেরার সিঁড়িতে মাথা নীচু করে বসেছিলেন বেশ কিছু ক্ষণ। তার সেই বসে থাকার ছবি ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। এর পর আর হায়দরাবাদ তেমন রান তুলতে পারেনি। আবদুল সামাদ করেন ১২ বলে ১৬। শেষ দিকে ২টি করে চার এবং ছয়ের সাহায্যে কামিন্সের ২৪ বলে ৩০ রানের ইনিংস হায়দরাবাদকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেয়। ৩ বল বাকি থাকতে ১৫৯ রানে শেষ হয় কামিন্সদের ইনিংস।

এ দিন কেকেআরের সব বোলার উইকেট পেলেন। সফলতম স্টার্ক ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিলেন। ২৬ রানে ২ উইকেট বরুণের। ১৫ রানে ১ উইকেট রাসেলের। ১৭ রানে ১ উইকেট বৈভবের। ২৭ রানে ১ উইকেট নিলেন হর্ষিত রানা। নারাইনের ১ উইকেট এল ৪০ রান খরচ করে।

জয়ের জন্য ১৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা কেকেআর প্রথম থেকেই ছিল সাবলীল। নারাইন-রহমানুল্লাহ গুরবাজ়ের নতুন ওপেনিং জুটিও ভরসা দিলেন দলকে। আফগান উইকেটরক্ষক-ব্যাটার করলেন ১৪ বলে ২৩ রানের ইনিংস। ২টি চার এবং ২টি ছক্কা এল তাঁর ব্যাট থেকে। নারাইন করলেন ১৬ বলে ২১। ৪টি চার মারলেন তিনি। আমদাবাদের ২২ গজে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেললেন বেঙ্কটেশ আয়ার, শ্রেয়সও। কামিন্সেরা তাঁদের সমস্যায় ফেলতে পারলেন না। ব্যাটিং ধস সামলাতে আগেই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে এক জন অতিরিক্ত ব্যাটার নামাতে বাধ্য হয় হায়দরাবাদ। তাতে কামিন্সদের বোলিং আক্রমণও কিছুটা দুর্বল হয়ে যায়। বেঙ্কটেশ ২৮ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকলেন। মারলেন ৫টি চার এবং ৪টি ছক্কা। শ্রেয়সও ৫টি চার, ৪টি ছক্কার সাহায্যে খেললেন ২৪ বলে ৫৮ রানের অপরাজিত ইনিংস।


আইপিএল   ক্রিকেট   খেলাধুলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বাংলাদেশের ১৫৩

প্রকাশ: ১১:১৬ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ প্রস্তুতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। যেখানে তিন ম্যাচের এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে কোনমতে দেড়শ'র বেশি পুঁজি সংগ্রহ করেছে টাইগাররা।  

এদিন অচেনা কন্ডিশন, পিচ সম্পর্কেও ধারণা নেই- এমন মাঠে বলের মতিগতি বুঝতেই খেই হারিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ব্যাট করতে নেমে লিটন দাসের বাজে শুরু এবং এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসানরা অনেক সংগ্রামের পরও রান পাননি। শেষ পর্যন্ত তাওহীদ হৃদয়ের ফিফটি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যামিওতে টাইগাররা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান তুলেছে।

টেক্সাসের হিউস্টনে চলমান বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ সরাসরি দেখা নিয়ে কিছুটা সংশয় ছিল। শেষ পর্যন্ত সিরিজের আগেরদিন বিসিবি সেই দোলাচল কাটিয়ে দেশের বেসরকারি একটি চ্যানেলে খেলা দেখানোর কথা জানায়। ইতোমধ্যে যার সম্প্রচার মান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়েছে। যেমন সম্প্রচার, তেমনই বিব্রতকর খেলা উপহার দিয়েছে টাইগাররা। একের পর এক ওভার-স্টেপ করে পাঁচটি নো বল করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বোলাররা, তবে সেখান থেকে কোনো বাউন্ডারি পায়নি বাংলাদেশ।

টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রান (৪৭ বল) করেছেন তাওহীদ হৃদয়। এ ছাড়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২২ বলে ৩১ রান করেছেন। টপ অর্ডারদের মধ্যে কেবল সৌম্য কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্যে খেলছিলেন, কিন্তু তার ইনিংসটাও বড় করতে পারেননি। অপরপ্রান্তে একের পর এক যাওয়া-আসার মিছিল করেছেন লিটন, শান্ত ও সাকিবরা।

এর আগে প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে প্রবল বাতাসের মাঝে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ফর্মে ফেরার চাপে থাকায় লিটন এদিন শুরুটা দেখেশুনেই করেন। ফর্মে থাকা তানজিদ হাসান তামিমের পরিবর্তে একাদশে ফিরলেও, তিনি নিজের পঞ্চম বলেই এডজ হয়ে ক্যাচ দিয়েছিলেন উইকেটের পেছনে থাকা স্বাগতিক অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেলের হাতে। যদিও সহজ সেই ক্যাচ অবিশ্বাস্যভাবে ফসকে গেছে। নতুন জীবন পেয়ে টাইগার ওপেনার পরের ওভারে ছয় হাঁকিয়েই ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দেন। কিন্তু সেই আলো অন্ধকারে মিলিয়ে যেতে থাকে তার একের পর এক নড়বড়ে শটে।

শেষ পর্যন্ত ১৫ বলে ১৪ রান করার পর লিটন ক্রস ব্যাট চালান জেসি সিংয়ের বলে। সেটি আঘাত করে লিটনের পায়ে, আম্পায়ার এলবিডব্লু আউট দেওয়ার পর সোজা হাঁটা দিয়েছেন টাইগার ওপেনার, সেখানে যে রিভিউ’র কোনো সুযোগ নেই। অবশ্য তাতে হয়তো লাভও হতো না, খালি চোখে যতটুকু আঁচ করা যায় মিডল ও অফ-স্টাম্প বরাবর ভেতরের পায়ে আঘাত করেছে বলটি।

ওই ওভারটিতে শান্ত আসার পর তিন বলই ডট দিয়েছেন, অর্থাৎ মেইডেনসহ এক উইকেট নিয়েছেন জেসি। অন্যপ্রান্তে থাকা সৌম্য খেলছিলেন ঠিকঠাক। লিটনের সহজাত সঙ্গ না পেলেও, নিজের মতো করে বাউন্ডারি খেলে তিনি রানের চাকা সচল রেখেছেন। কিন্তু লিটনের বিদায়ে ছন্দপতন হলো তারও। ডানহাতি অফস্পিনার স্টিভেন টেলরের গুড লেংথে ফেলা বলে উড়িয়ে মারেন সৌম্য। কিন্তু তাতে বেশি জোর ছিল না, ফলে তালুবন্দী হন বাউন্ডারিতে। বিদায়ের আগে এই বাঁহাতি ওপেনার করলেন ১৩ বলে ২০ রান। অল্প সময় ব্যবধানে আউট অধিনায়ক শান্তও। ১১ বলের সংগ্রামী ইনিংসে তিনি করলেন মাত্র ৩ রান।

একইভাবে ফর্ম ফিরে পাওয়ার লড়াই ছিল সাবেক অধিনায়ক সাকিবের সামনেও। কিন্তু সাকিব ১২ বলে ৬ রান করা অবস্থায় তিনিও রানআউট। এরপর মাহমুদউল্লাহ ও হৃদয় মিলে ৬৭ রানের জুটি গড়ছিলেন। সেই জুটিই কিছুটা মান বাঁচিয়েছে টাইগারদের। ১৯তম ওভারে ডিপ মিডউইকেটে টেনে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন মাহমুদউল্লাহ। ইনিংসের শেষ বলে আউট হন হৃদয়ও।


যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে শুরুতেই চাপে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯:৪১ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম টি-২০তে আজ যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারছেন না কেউই। রান করতে ধুঁকছে টাইগাররা।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৯ ওভারে তিন উইকেটে ৬০ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।

টেক্সাসের হিউস্টোনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র। ব্যাট হাতে শুরুটা মোটামুটি ভালো করেছিলেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। ব্যক্তিগত ১৪ রানে লিটন আউট হলে ভাঙে দুজনের ৩৪ রানের জুটি।

সঙ্গীর বিদায়ের পরপরই আউট হন সৌম্য। তিনি ২০ রান করেন। তিনে নেমে ৩ রানের বেশি করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। তাওহীদ হৃদয় ও সাকিব আল হাসান এখন দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন। দুজনে যথাক্রমে ১৮ ও ৩ রানে অপরাজিত আছেন।

বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, জাকের আলি অনিক, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।

টি-২০   যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন