ইনসাইড বাংলাদেশ

ভালো কাজে পুলিশ ও জনতার সম্পৃক্ততা বেড়েছে: খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২৯ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail ভালো কাজে পুলিশ ও জনতার সম্পৃক্ততা বেড়েছে: খাদ্যমন্ত্রী

ভালো কাজে পুলিশ ও জনতার সম্পৃক্ততা বেড়েছে বলে জনাইয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন। তিনি বলেন, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ ও জনতা একসঙ্গে ভালো কাজে সহযোগিতা করছে ও মন্দ কাজের কারণ খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) নওগাঁ পুলিশ সুপারের কার্যালয় চত্বরে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত র‌্যালি উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, পুলিশের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি ও অপরাধ দমনের অন্যতম কৌশল হিসেবে কমিউনিটি পুলিশিং বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে।

তিনি আরও বলেন, কমিউনিটিং পুলিশ জনগণের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নারী নির্যাতন, মাদক, সন্ত্রাস ও ইভটিজিংসহ অন্যান্য অপরাধ নির্মূল করে থাকে। সেজন্য জনগণের উচিত পুলিশকে সহযোগিতা করা, যাতে দেশের সকল ধরনের অপরাধ নির্মূল করতে পারে।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাই প্রথম সম্মুখযুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন। দেশের প্রয়োজনে তারা আবারও এগিয়ে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, পুলিশের কাজে সহযোগিতা, বাল্যবিয়ে রোধ, ইভটিজিং প্রতিরোধ, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস দমন, মাদকের কুফল, নারী-শিশু নির্যাতন, যৌতুক নিরোধসহ বিভিন্ন কাজে কমিউনিটি পুলিশের সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। আর এটি সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এ সময়  উপস্থিত ছিলেন আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শহিদুজ্জামান সরকার এমপি, সলিম উদ্দিন তরফদার এমপি, জেলা প্রশাসক মো. খালিদ মেহেদী হাসান এবং পুলিশ সুপার মো. রাশিদুল হক।

খাদ্যমন্ত্রী   সাধন চন্দ্র মজুমদার   কমিউনিটি পুলিশিং ডে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আমরা দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের প্রস্তুতি নিচ্ছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:৪৮ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট নিয়ে নতুন আভাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এখন দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

রোববার (২ জুন) সকাল ১০টায় গণভবনে 'আমার চোখে বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক এক মিনিটব্যাপী ভিডিওচিত্র তৈরি প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিতদের সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও আর্থিক পুরস্কার প্রদান শেষে এসব কথা বলেন তিনি। 

তিনি বলেন, আমরা যখন ১৯৯৬ সালে ক্ষমতা এলাম তখন কম্পিউটার শিক্ষার ওপর জোর দিলাম। তখন সব ছিল অ্যানালগ। দ্বিতীয়বার আমরা ক্ষমতায় এসে ঘোষণা দিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ করবো। এখন আমাদের স্যাটেলাইট আছে।

তিনি বলেন, অনেকে বলেন স্যাটেলাইটের কী দরকার ছিল! আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে, যাদের সবকিছুতে কিছু ভালো লাগে না। যেটাই করবো, তারা বলে এটা কী দরকার ছিল। মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে এটার কী দরকার! খামাখা পয়সা নষ্ট! এরকম নেতিবাচক মনোভাব নিয়েই তারা চলে। আবার যখন তৈরি করি তখন খুব মজা করে ব্যবহার করে।

তিনি আরও বলেন, 'ভিক্ষুক জাতির কোনো ইজ্জত থাকে না। ১৯৭৫ এর পর আমরা ভিক্ষুক জাতিতে পরিণত হয়েছিলাম। বিদেশে যখন যেতাম, বাংলাদেশ শুনলে বলতো- তোমাদের ওখানে তো দুর্ভিক্ষ হয়, ঝড় হয়, জলোচ্ছ্বাস হয়, বন্যা হয়। খুব করুণার পাত্র। 

এছাড়াও তিনি বলেন, এয়ার এমিরেটসে উঠলে দেখতাম বাচ্চাদের জন্য চাঁদা তোলা হতো, সেখানে বাংলাদেশের নাম আছে। আমার আত্মমর্যাদায় লাগলো। আমি সরকারে আসার পর বললাম এই জিনিসটা যেন না থাকে। আমরা আসার পর খাদ্য নিরাপত্তা, লেখাপড়া নিশ্চিত করেছি। আমরা বলেছি আমরা কারও কাছে হাত পাতবো না।


স্যাটেলাইট   প্রধানমন্ত্রী   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রি পেইড মিটার বিড়ম্বনার?

প্রকাশ: ০১:২৩ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ডিজিটাল থেকে স্মার্ট  হওয়ার পথে দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশে প্রি পেইড মিটার স্থাপনের উদ্দেশ্য ছিল বিদ্যুতের অপচয় নিয়ন্ত্রণ এবং ভুতুড়ে বিল নিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি কমানো। বিদ্যুৎ খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নে সরকার ২০১৫ সালে প্রি পেইড মিটার সিস্টেম চালু করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপযুক্ত পরিকল্পনার অভাবে তা গ্রাহক ভোগান্তিতে রূপ নিয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। 

প্রি পেইড মিটারে প্রতিমাসে একবার করে গ্রাহকের ডিমান্ড চার্জ, মিটারের ভাড়া এবং ভ্যাটের টাকা কেটে নেয়া হয়। মিটার ভাড়া ছাড়া বাকি দুটো চার্জ পোস্ট পেইডেও দিতে হতো। প্রি পেইড মিটারে ডিমান্ড চার্জ বাড়তি সংযুক্তি।

জানা গেছে, বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার রিচার্জের ক্ষেত্রে সাধারণত ২০ ডিজিটের একটি টোকেন নম্বর আসে গ্রাহকের মুঠোফোনে। সেই টোকেন নম্বরটি মিটারে প্রবেশ করালে রিচার্জ সম্পন্ন হয়। কোনো ধরনের ভুল হলে সেই রিচার্জ আর সফল হবে না। একাধিকবার ভুল হলে মিটারটি লক হয়ে যায়। তবে ২০ ডিজিটের নম্বরটি কিছুটা সহজ হলেও বর্তমানে বিপত্তি বেঁধেছে। সেই ২০ ডিজিটের নম্বরটি এখন স্বাভাবিকের চেয়ে ১০-১২ গুণ বেশি অর্থাৎ ২০০ থেকে ২২০ ডিজিট আসছে। এ নিয়ে ভোগান্তিতে গ্রাহকরা। লম্বা এ ডিজিট মিটারে প্রবেশ করাতে একদিকে যেমন ভোগান্তি, ভুলের কারণে কখনো কখনো লক হচ্ছে মিটার।

অন্যদিকে প্রিপেইড মিটারের প্রয়োজনীয় ও সর্বশেষ ব্যালেন্স সংকেত না পাওয়ায় হুট করে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হওয়ার ভোগান্তি আরও বেশি পীড়াদায়ক। অভিযোগ, প্রিপেইড মিটারে ব্যালেন্স শেষ হয়ে রাতে কোনো গ্রাহকের বিদ্যুৎ চলে গেলে গোটা রাত বিদ্যুৎবিহীন কাটাতে হয় ওই পরিবারকে। এ অবস্থার পরিত্রাণ চেয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ সংশ্লিষ্টদের বারবার অবহিত করেও গ্রাহকরা সুফল পাচ্ছেন না। সেইসঙ্গে বাড়তি ভোগান্তি হিসেবে যোগ হয় এই মিটারের বিল পরিশোধের বিষয়টি। কেননা এখনও এই সেবা সব জায়গায় না থাকায় বিল পেমেন্ট করা যায় হাতে গোনা কয়েকটি স্থানে।

এছাড়া কম্পিউটারের মাধ্যমে শুধু কার্ড রিচার্জ করলেই শেষ নয়, ফিরে এসে মিটারে ওই কার্ড পাঞ্চ করলে তবেই বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়। এভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার যেন রীতিমতো বিরক্তিকর একটি বিষয়ে পরিণত হয়েছে গ্রাহকদের জন্য।

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) এর কর্তা ব্যক্তিরা বলছেন, মানুষ যেভাবে মোবাইলে ক্রেডিট রিচার্জ করে ঠিক সেভাবেই যেন বিদ্যুতের প্রি পেইড কার্ড রিচার্জ করা যায়, সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে।

তবে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর খামখেয়ালিপনার ফলে গ্রাহকদের এ ভোগান্তি হচ্ছে বলে দাবি তথ্য প্রযুক্তিবিদদের। তাদের মতে বিকল্প আছে অনেক, প্রয়োজন কেবল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের সদিচ্ছা। সকল প্রস্তুতি যথাযথ ভাবে সম্পন্ন করে এরপর গ্রাহকের কাছে নির্বিঘ্নে প্রি পেইড সিস্টেমে বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছে দেয়া যেত কিনা সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক গ্রাহক লিখেছেন, “বিড়ম্বনার আরেক নাম ডিজিটাল প্রি পেইড মিটার। এই মিটার ব্যবহার করতে গিয়ে ইতিমধ্যেই বিরক্তির সীমা ছাড়িয়ে গেছে। 

১. ধরুন আপনি ৫/৭ দিনের জন্য বাড়ির বাইরে আছেন, এখন টাকা শেষ হয়ে গেলো। তো আপনার ঘরের ফ্রিজে রাখা সমূহ দ্রব্য পচে যাবার সম্ভাবনা আছে। 

২. এমন সময়ে আপনার টাকা শেষ হয়ে গেল, তখন আপনার হাতে টাকা নেই। হয়তো দুই/তিন দিন পরে আপনার টাকা হবে। তাহলে এই দুই/তিন দিন কিভাবে চলবে? হয় আপনাকে বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হবে, নতুবা অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে কারো কাছে টাকা ধার করতে হবে। 

৩. আপনার মিটারে মধ্যরাতে টাকা শেষ হয়ে গেল তখন আপনার বিকাশে/নগদে টাকা নেই। বাকি রাতে আপনি বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। গরমে ঘুম হল না। পরের দিন আপনার ব্যক্তিগত বা অফিসিয়াল কাজের ব্যাঘাত ঘটবে। অন্ধকার রুমে আপনি কোথাও ধাক্কা খেয়ে আহতও হতে পারেন।

৪. বাড়িতে আপনার বৃদ্ধ বাবা-মা আছেন। তাদের বিকাশে বা দোকানে টাকা রিচার্জ করার অভিজ্ঞতা নেই বা সুযোগ কম। তাহলে তাদের মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়তে হবে।

৫. রিচার্জ করার সাথে সাথে একটা অংশ সার্ভিস চার্জ, ডিমান্ড চার্জ, মিটার ভাড়ার জন্য কেটে নেয়। এতো টাকা কেন একজন গ্রাহককে দিতে হবে?”

বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে মোট বিদ্যুৎ গ্রাহক ৪ কোটি ৭০ লাখ। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ৬০২ কিলোওয়াট ঘন্টা। আর এইসব গ্রাহকদের ধাপে ধাপে প্রি পেইড মিনারের আওতায় আনার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। দেশব্যাপী প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজ করছে বিদ্যুৎ বিতরণকারী ছয়টি কোম্পানি।

এগুলো হল-বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি), বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো), ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো), এবং নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)। বর্তমানে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের ছয়টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।


প্রি পেইড   মিটার   পোস্ট পেইড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীন ও ভারতের মধ্যে টানাপোড়েন

প্রকাশ: ১২:২৫ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প নিয়ে চীন ভারতের মধ্যে একটা অদৃশ্য টানাপোড়েন চলছে। চীন এখানে অর্থায়ন করতে চায়। কিন্তু ভারত বরাবর নানা ইঙ্গিতে আপত্তি জানিয়ে আসছে। সম্প্রতি ভারত অর্থায়নে আগ্রহ দেখিয়েছে। অবস্থায় প্রকল্পটি আদৌ আলোর মুখ দেখবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন দিল্লি বেইজিং সফরে বিষয়ে একটা মীমাংসা হতে পারে। জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রথমার্ধে দ্বিপক্ষীয় সফরে বেইজিং যাওয়ার কথা রয়েছে সরকারপ্রধানের। ভারতে কবে যাবেন সে বিষয়ে এখনো দিন-তারিখ ঠিক হয়নি। তবে চীনের আগেই প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর হতে পারে।

চীনে প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা করতে ইতোমধ্যে বেইজিং গিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। আগামীকাল সোমবার ( জুন) বিকেলে সেখানে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকের লিখিত এজেন্ডায় তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের কথা উল্লেখ না থাকলেও বিষয়টি উঠবে-এমন ইঙ্গিত মিলছে বিভিন্ন সূত্রে।

ধারণা করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন দিল্লি বেইজিং সফরেতিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পনিয়ে একটা মীমাংসা হতে পারে। জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রথমার্ধে দ্বিপক্ষীয় সফরে বেইজিং যাওয়ার কথা রয়েছে সরকারপ্রধানের। ভারতে কবে যাবেন সে বিষয়ে এখনো দিন-তারিখ ঠিক হয়নি। তবে চীনের আগেই প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর হতে পারে

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে গত ২৬ মে সচিব পর্যায়ের বৈঠকের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। এর দুদিন পর প্রধানমন্ত্রীর বেইজিং সফরের প্রস্তুতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকেও তিস্তার প্রসঙ্গ ওঠে।

হিমালয় থেকে ভারতের সিকিম এবং পশ্চিমবঙ্গের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তিস্তা নদী। দুই দেশের অর্থনীতির জন্য নদী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

তিস্তা প্রকল্পের আওতায় আছে নদী খনন করে গভীরতা বাড়ানো, সারা বছর নৌ-চলাচলের ব্যবস্থা করা, নদীর দুই তীরে স্যাটেলাইট শহর নির্মাণ করা প্রভৃতি। এটি মূলত বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে তৈরি একটি প্রকল্প প্রস্তাব। যেটিতে বিদেশি অর্থায়ন দরকার। চীন বিষয়ে প্রথমে এগিয়ে আসে। অনেকে মনে করেন, চীনের এখানে আগ্রহের একটি বড় কারণ হচ্ছে তাদেরবেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভপ্রকল্প। প্রকল্পের মাধ্যমে এশিয়া, ইউরোপ আফ্রিকা মহাদেশকে এক সুতোয় গাঁথতে চায় বেইজিং।

প্রকল্প নিয়ে চীনেরঅতিআগ্রহ ভারত প্রথম থেকে সন্দেহের চোখে দেখে এসেছে। দেশটি মনে করে চীন তাদের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে ভারতকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলতে চায়।

চীনের তৎপরতা কিছুটা হলেও সেদিকে ইঙ্গিত করে। বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন, নির্বাচনের পর তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার বিষয়ে তিনি আশাবাদী।

নির্বাচনের ঠিক পরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে হওয়া এক বৈঠকের পর চীনা রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ চাইলে তিস্তা প্রকল্পের কাজ শুরু করার বিষয়ে চীন তৈরি আছে!

এদিকে, ভারতও এখন তিস্তা প্রকল্প নিয়ে নিজেদের আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছে। গত মাসে ঢাকা সফরে এসে দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা তিস্তার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান কিছুটা খোলাসা করেন। তার মাধ্যমে ঢাকাকে তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়নের প্রস্তাব দেয় দিল্লি।

ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র বলছে, পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে। তবে এবারের আলোচনায় বেশি গুরুত্ব পাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন বেইজিং সফর। বিশেষ করে সফরের তারিখ, দুই দেশের চাওয়া-পাওয়া, সইয়ের জন্য চুক্তি সমঝোতা স্মারক তৈরি, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পসহ নানা উদ্যোগ আসতে পারে আলোচনায়। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ চীনের কাছ থেকে ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ চীনা মুদ্রার সহায়তা চাইতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। আর প্রধানমন্ত্রীর সফরেআর্থিক সহায়তাঘোষণা করতে পারে চীন।


তিস্তা প্রকল্প   চীন   ভারত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ইসির সঙ্গে বৈঠকে টিআইবির প্রতিনিধি দল

প্রকাশ: ১২:২০ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) একটি প্রতিনিধি দল। 

রোববার (২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাকক্ষে এই বৈঠক শুরু হয়। এতে টিআইবির পক্ষ থেকে নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানসহ মোট ৫ জন অংশ নিয়েছেন।

এছাড়াও। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে অংশ নিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব:),  নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম। 

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সভা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকের বিষয়ে জানানোর কথা রয়েছে।


ইসি   বৈঠক   টিআইবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে তাদের নিয়েই চলবো: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:০২ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

যেসব দেশ উন্নয়নে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ তাদের নিয়ে চলবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

রোববার (২ জুন) সকাল ১০টায় গণভবনে 'আমার চোখে বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক এক মিনিটব্যাপী ভিডিওচিত্র তৈরি প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিতদের সম্মাননাপত্র, ক্রেস্ট ও আর্থিক পুরস্কার প্রদান শেষে এসব কথা বলেন তিনি। 

তিনি বলেন, কার দেশের সঙ্গে কার দেশের ঝগড়া সেটা আমার দেখার দরকার নেই। নিজের দেশের উন্নয়নটা আমার আগে দরকার। উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে আমি তাদের নিয়েই চলবো। সেভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা সবসময় শান্তি চাই, যুদ্ধ চাই না। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই এবং সেই বন্ধুত্ব রেখেই কিন্তু আমি এগিয়ে যাচ্ছি।

সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি মনে করি, এ বাংলাদেশকে আর কেউ পেছনে টানতে পারবে না। ১৫ আগস্টের পর আমাদের যেভাবে ভিক্ষুক জাতিতে পরিণত করেছে আর যেন এটা না করতে পারে কেউ সেজন্য আমাদের সবসময় সজাগ থাকতে হবে। দেশটাকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে আমাদের ইতিহাস বিকৃতি শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা হয়। সকলের নামে নানা ধরনের কুৎসা রটনা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়। ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ হয়ে যায়। যে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে, সেই জয় বাংলা স্লোগানটাও বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমি জানি না পৃথিবীর আর কোন দেশে এভাবে একটা যুদ্ধ করে যারা এত আত্মহুতি দেয় তাদের এত অবমাননা করে। বাংলাদেশে এমন একটা সময় এসেছিল যখন, আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি এ কথাটা বলার সাহস ছিল না।


প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন