ইনসাইড বাংলাদেশ

‘প্লিজ স্বাধীনতা পদককে কলঙ্কিত করবেন না’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:০৮ পিএম, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৮


Thumbnail

২০০২ সালের ৪ নভেম্বর। এমিরেটসের প্লেন ঢাকা বিমান বন্দর থেকে ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন সময় প্লেনে উঠলেন গোয়েন্দাদের একটি দল। কুখ্যাত কালা ফারুকসহ চ্যানেল আইয়ের একটি দলকে প্লেন থেকে নামিয়ে আনা হলো। কালা ফারুক ছিল সে সময় মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল। চ্যানেল আইয়ের একটি সাংস্কৃতিক দল যাচ্ছিল সুইডেনে। ওই সাংস্কৃতিক দলের সুইডেন সফরের জন্য আমন্ত্রণ পাঠিয়েছিল শাইখ সিরাজের ভাই শেখ নজরুল ইসলামের ভায়রা সুইডেন প্রবাসী মঞ্জুর হোসেন। ভিসার জন্য চ্যানেল আইয়ের প্যাডে চ্যানেল আই কতৃপক্ষকে না জানিয়ে সুপারিশ করেন শাইখ সিরাজ। ওই সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি দলের নামের তালিকায় শুভ্রদেবসহ কয়েকজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তির সঙ্গে শাইখ সিরাজের ভাই নজরুল ইসলাম এবং কালা ফারুকের নামও যুক্ত করা হয়। কালা ফারুককে বিদেশ পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য শাইখ সিরাজের সঙ্গে মোটা অংকের চুক্তি হয়েছিল। ওই ঘটনায় শুভ্র দেব, শাইখ সিরাজের সহকারী নজরুল ইসলাম কোরেশী কালা ফারুকের সঙ্গে আটক হন। শাইখ সিরাজকেও গোয়েন্দা দপ্তরে ডেকে নেওয়া হয়। কিন্তু বিএনপি তখন ক্ষমতায়, হাওয়া ভবনের হস্তক্ষেপে শাইখ সিরাজ ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যান। মামালা ধামাচাপা পড়ে কালা ফারুক কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এরকম একটি ঘটনা নয়, এরকম অনেক ঘটনা রয়েছে। যেখানে দেখা যাবে হাওয়া ভবনের সঙ্গে শাইখ সিরাজের ঘনিষ্ঠতা। হাওয়া ভবনের এই ঘনিষ্ঠ ব্যাক্তি এ বছরের স্বাধীনতা পদকের জন্য কীভাবে মনোনীত হলেন, সে ব্যাপারে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন খোদ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেছেন ‘এটা যদি হয় তা হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর একটি বড় আঘাত।’ দেশের একাধিক গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব বলেছেন, ‘একজন অসাংবাদিককে যদি সাংবাদিকতার জন্য স্বাধীনতা পদক দেওয়া তাহলে সেটা হবে এই পুরস্কারকে কলঙ্কিত করা।’ একজন প্রবীণ সম্পাদক বলেছেন, ‘বিএনপি-জামাত জোট বহুবার স্বাধীনতা পদক রাজাকার এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে দিয়ে কলঙ্কিত করেছে। আওয়ামী লীগ যেন এমনটা না করে।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীত অনুরোধ প্লিজ স্বাধীনতা পদক অপাত্রে তুলে দেবেন না।’

 

বাংলা ইনসাইডার/



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কুতুবদিয়ায় পৌঁছেছে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশ: ০৭:০৭ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিক এক মাস পর কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় এসে পৌঁছেছে। 

সোমবার (১৩ মে) বিকেলে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে এসে পৌঁছায় জাহাজটি। আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে সদরঘাট জেটিতে তাদের বরণ করবেন স্বজনরা। 

এমভি আবদুল্লাহর ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ তানভীর গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা উপকূল থেকে ৫-৬ নটিক্যাল মাইল দূরে আছি। সাড়ে চারটার দিকে আমরা কুতুবদিয়া পৌঁছেছি। কিছুক্ষণ পর জাহাজ নোঙর করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ৩২ দিন জিম্মি থাকার পর মুক্তিপণ নিয়ে ১৪ এপ্রিল জাহাজটি মুক্ত করে দেয় তারা। এরপর আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পণ্য খালাস করে জাহাজটি আরেকটি বন্দরে নতুন পণ্য বোঝাই করে। সেখান থেকে রওনা দেয়ার পর গত শনিবার জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় আসে। এর আগে একই মালিক গ্রুপের এমভি জাহান মনিকে নাবিকসহ ২০১০ সালে জিম্মি করেছিল জলদস্যুরা। সেবারও মুক্তিপণ দিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।

কুতুবদিয়া   এমভি আবদুল্লাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা পুত্র হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশ: ০৬:৩১ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধার পুত্র রাজিব হত্যা ও তানভীর হোসেন তান্নার উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

সোমবার (১৩ মে) সকালে নাগরপুর সদর সড়কে (রিক্সা স্ট্যান্ড) দাঁড়িয়ে প্রায় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সদস্যদের অংশগ্রহণে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। 

 

এসময় নিহত রাজিবের মা রাজিয়া বেগম বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার সন্তানকে হত্যা করে আমার বুক খালি করা হয়েছে। আমি হত্যার সাথে জড়িতদের ফাঁসি চাই।’

 

নাগরপুর উপজেলার সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সুজায়েত হোসেন জানায়, ‘একই দিনে একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে নৃশংস ভাবে হত্যা ও আরেকজন সন্তানের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তাকে পঙ্গু করার চেষ্টা করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধারা এই তীব্র গরমের মধ্যেও সড়কে নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সদস্যরা আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সংশ্লিষ্ট ঘটনার জড়িত ও মূল পরিকল্পনাকারীদের দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’ 

 

উক্ত কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকাদ্দেস আলী, আলম মিয়া, নজরুল ইসলাম বাদশা খন্দকার আ. করিম, আক্তার হোসেন ভূইয়া, মো: নাজমুল হোসেন খান মো. আব্দুল মতিন ছামি, টাঙ্গাইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সহ সভাপতি আজিজুল হক বাবু সাধারণ সম্পাদক শাকিল কবির সোহেল যুগ্ন সম্পাদক মো মোস্তাফিজুর রহমান রিপন বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সহ উপজেলার অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সকল ইউনিয়ন পরিবার পরিবারের সদস্য বৃন্দরা। 

উল্লেখ্য, গত ২ মে তারিখে ভাদ্রা ইউনিয়নে গাছের বেল পাড়াকে কেন্দ্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলম মিয়ার ছেলে রাজিব হোসেন নিহত হয়। একই দিনে সলিমাবাদ ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাআলম মিয়া ছেলে তানভীর হোসেন তান্না উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয় এবং বর্তমানে তিনি পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।


মুক্তিযুদ্ধা পুত্র হত্যা   মানববন্ধন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গোপালগঞ্জে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালা

প্রকাশ: ০৫:৩৭ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জে জেলা পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এ কর্মশালার আয়োজন করে।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধি করণ প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শোয়েব।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. খায়রুল আলম ও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মুন্নী খাতুন।

কর্মশালায় জনপ্রতিনিধি, হোটেল রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী, খাদ্য ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মী ও সরকারি কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।


নিরাপদ খাদ্য   কর্মশালা   জনসচেতনতা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় মেয়াদপূর্তির পরও মিলছে না বীমার টাকা, ভোগান্তীতে গ্রাহক

প্রকাশ: ০৫:২৯ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail নওগাঁয় মেয়াদপূর্তির পরও মিলছে না বীমার টাকা, ‍কর্মকর্তা-কর্মচারীহীন অফিস

নওগাঁয় বীমার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরও বীমা গ্রহিতাদের টাকা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে ‘প্রগেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেড’ নামে একটি বীমাকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। জমাকৃত টাকা পেতে গ্রাহকরা দিনের পর দিন ওই অফিসে ধর্না দিতে হচ্ছে।

 

জানা গেছে, ২০১৪ সাল থেকে নওগাঁ শহরের হোটেলপট্টিতে আমিন মার্কেট এর তৃতীয় তলায় প্রগেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর অফিস। ভবিষ্যতের জন্য শত শত গ্রাহক এই প্রতিষ্ঠানটিতে টাকা সঞ্চয় বা জমা করেছিল। অনেকের বাৎসরিক মেয়াদ পূরণ হয়েছে আবার অনেকের এখনও মেয়াদ পূরণ হয়নি।

 

যাদের বীমার মেয়াদ পূরণ হয়েছে তারা তাদের সঞ্চয়কৃত টাকা নেয়ার জন্য অফিসে গিয়ে ধর্না দিচ্ছে। প্রতিদিনই গ্রাহকরা গিয়ে ধর্না দিচ্ছে। কিন্তু গ্রাহকদের টাকা না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে তালবাহানা করা হচ্ছে। এতে করে গ্রাহকরা বিড়ম্বনা ও ভোগান্তীরা মধ্যে পড়তে হয়েছে।

 

জেলার রানীনগর উপজেলার হরিশপুর গ্রামে কৃষক সাজেদুল ইসলাম। ভবিষ্যতে সংসারে উন্নয়নের জন্য এ বীমাতে টাকা জমানো শুরু করেছিলেন। গত ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর তার বীমার মেয়াদ পূর্ণ হয়। বীমাতে জমাকৃত টাকা পাওয়ার আশায় দিনের পর দিন অফিসে গিয়ে ধর্না দিলেও মিলছে না বীমার অর্থ।


ভুক্তভোগী সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘বছরে ১০ হাজার ৩৭৩ টাকা হিসেবে ১২ বছর মেয়াদী বীমা করেছি। যেখানে আমার প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার টাকার মতো জমা হয়েছে। মেয়াদ পূর্ণ  হয়েছে আরো প্রায় ১ বছর ৫ মাস আগে।  মেয়াদ পূরণ হওয়ার পর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অফিসে আসতে বলা হয়। তারপর থেকে অফিসে এসে জমাকৃত টাকা পেতে ধর্না দিতে হচ্ছে। অফিস থেকে বলা হচ্ছে আরো এক বছর পরে আসার জন্য। নিজের জমাকৃত টাকা পেতে এতো ঘুরতে হবে কেন। ভবিষ্যতে সংসারে উন্নয়নের জন্য অনেক কষ্ট করে টাকাগুলো জমিয়েছি। এখন ভয় হচ্ছে যদি অফিস সবকিছু নিয়ে পালিয়ে যায় তাহলে কি হবে।’


প্রতিষ্ঠানের হিসাবরক্ষক রাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে শহরের হোটেলপট্টিতে আমিন মার্কেট এর তৃতীয় তলায় বীমার কার্যক্রম করা হচ্ছে। তবে তার আগে শহরের পার-নওগাঁয় অফিস দিয়ে সেখানে কার্যক্রম করা হয়েছিল। করোনা ভাইরাসের আগে গ্রাহকদে টাকা দিতে কোন সমস্যা হয়নি। তবে পরবর্তী সময় থেকে সমস্যা হচ্ছে। সমস্যা উত্তোরণে আমাদের সুযোগ দিতে হবে।’

প্রগেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেড নওগাঁ সার্ভিসিং সেল এর সহকারি পরিচালক (এএমডি) রহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ অফিসের অধীনে প্রায় ৫ শতাধিক গ্রাহক রয়েছে। বর্তমানে কোম্পানি কোন ফান্ড (অর্থ) দিচ্ছে না। ফান্ড পেলে দ্রুত গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ করা হবে। তবে অফিস পালিয়ে যাওয়ার কোন ভয় নেই। করোনা ভাইরাসের পর থেকে প্রতিষ্ঠান অর্থনেতিক ভাবে দুর্দিন যাচ্ছে এবং ভাল সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেসব গ্রাহকদের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে তাদের বিষয় অফিসকে অবগত করা হয়েছে। ফান্ড না পাওয়া পর্যন্ত পাওনা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।’


বীমা   মেয়াদপূর্তি   অর্থ পরিশোধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘ভিসানীতি-র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে লু’র সফরে আলোচনা হবে’

প্রকাশ: ০৪:৫৭ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, র‌্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এবং ভিসানীতি তুলে নেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র আসন্ন ঢাকা সফরে আলোচনা করা হবে। সোমবার (১৩ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই বিষয়গুলো (র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা ও ভিসানীতি) আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছুটা রেখাপাত করেছে তো বটেই। সেগুলো নিয়ে অবশ্যই আমরা আলোচনা করবো। সেগুলো (র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা ও ভিসানীতি) যেন সহজীকরণ হয় বা উঠে যায় তা নিয়ে মার্কিন প্রশাসনে এরই মধ্যে হোয়াইট হাউস এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় এ প্রসঙ্গগুলো স্বাভাবিকভাবে আসতেই পারে। আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে উভয় দেশ কাজ করছি।

তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। প্রধানমন্ত্রী চতুর্থবার নির্বাচিত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট চিঠি লিখে সম্পর্ক এগিয়ে যাওয়ার বা নতুন উচ্চতায় নেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। মার্কিন প্রশাসন থেকে যারাই বাংলাদেশে সফর করুক না কেন, আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে আমরা একসঙ্গে কাজ করবো। সেখানে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আছে, আমাদের নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা আছে।

দুদিনের সফরে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ মে) ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু। ঢাকা সফরের সময় তিনি পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া লুর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের কথা রয়েছে।

দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর চারবার বাংলাদেশ সফর করেছেন লু। গত বছরের জুলাইতে তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। তখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার সঙ্গী হয়ে ঢাকায় আসেন।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ   ডোনাল্ড লু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন