নভেম্বর
মাসেও বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ
আবহাওয়া অধিদপ্তর। দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি
এ পূর্বাভাস দিয়েছে।
মঙ্গলবার
(১ নভেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকার ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রে ও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে
কমিটির নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান
মো. আজিজুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
অক্টোবরের
শেষ সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে।
দীর্ঘমেয়াদি
পূর্বাভাস দিতে বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, এ মাসে (নভেম্বর) বঙ্গোপসাগরে এক
থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, এরমধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
বঙ্গোপসাগরের
নতুন করে কোনো ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে এর নাম হবে ‘ম্যান্দোস (Mandous)’। এ নামটি সংযুক্ত
আরব আমিরাতের দেওয়া।
নভেম্বর
মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে জানিয়ে কমিটির চেয়ারম্যান
বলেন, এ মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাবে। তবে এ মাসে দিন ও রাতের
তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে।
চলতি
মাসে দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা বা মাঝারি
ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। নভেম্বর মাসে দেশের প্রধান নদ-নদীর প্রবাহ স্বাভাবিক থাকতে
পারে বলেও জানান আজিজুর রহমান।
অন্যদিকে
বিশেষজ্ঞ কমিটি অক্টোবর মাসের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অক্টোবর মাসে
সার্বিকভাবে সারাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪২ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে, তবে
রাজশাহী বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে কম এবং চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত
হয়েছে।
দক্ষিণ-পশ্চিম
মৌসুমি বায়ু (বর্ষা) ২০ অক্টোবর বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া
অধিদপ্তর।
গত
২০ অক্টোবর আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ
সৃষ্টি হয়, যা ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এ পরিণত হয়। ঘূর্ণিঝড়
‘সিত্রাং’ প্রথমে উত্তর দিকে এবং পরবর্তীতে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ২৪
অক্টোবর রাত ৯টা থেকে পরবর্তী ৩ ঘণ্টার মধ্যে ভোলার কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল
অতিক্রম করে।
ঘূর্ণিঝড়ে
মোট ৩৩ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
হয়।
অক্টোবরে
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস সৈয়দপুরে (০১ অক্টোবর ২০২২)
এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তেঁতুলিয়ায় (৩১ অক্টোবর) রেকর্ড করা
হয়। এ মাসে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা শূন্য দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন
তাপমাত্রা শূন্য দশমিক ২ ডিগ্রি বেশি ছিল।
আবহাওয়া
শুষ্ক থাকতে পারে
বুধবার
সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার
হোসেন বলেন, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধাণত শুষ্ক থাকতে
পারে। এসময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
তবে
আগামী তিন দিনের মধ্যে রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ।
বুধবার
সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল কক্সবাজারে।
মন্তব্য করুন
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আট জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে এসব জেলায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা, ময়মনসিংহ, মাদারীপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
গত এপ্রিল থেকে
তীব্র আকার ধারণ করেছে তাপপ্রবাহ । এশিয়ার ছয়টি দেশে যা এখনো অব্যাহত। আগামী বছরগুলোতে
গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশ সহ পুরো এশিয়া জুড়ে আঘান হানা তাপপ্রবাহ আরও প্রাণীঘাতি হয়ে উঠতে
পারে। আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন ও রেডক্রস ক্লাইমেট সেন্টার থেকে যৌথভাবে প্রকাশ করা এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সংস্থা (ইউএনওসিএইচএ) থেকে গতকাল এশিয়া অঞ্চলের চলমান তাপপ্রবাহ নিয়ে প্রকাশ করা প্রতিবেদনেও ওই গবেষণার ফলাফলকে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেন, ‘আমরা তাপপ্রবাহকে একটি দুর্যোগ হিসেবে মনে করছি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত ও মৃত্যুর শিকার হওয়া মানুষদের সহায়তা দেওয়ার কাজ শুরু করছি। কৃষি, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য খাতে যে ক্ষতি হচ্ছে, তা মোকাবিলায়ও সরকার কাজ করছে।’
ইউএনওসিএইচএর প্রতিবেদনে ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, তাপপ্রবাহের কারণে দেশের ১২ কোটি ৫০ লাখ মানুষের জীবন ও জীবিকাকে তা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এর মধ্যে অন্তত ১০ লাখ মানুষের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও এ তাপপ্রবাহের ফলে সরকারি ও বেসরকারি হিসাব মিলিয়ে ২০ জনের মৃত্যুর তথ্য তুলে ধরেছে সংস্থাটি।
ইউএনওসিএইচএর প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে তাপপ্রবাহের কারণে অনেক মানুষ পানিশূন্যতা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, শরীরে ভারসাম্যহীনতা, বমি, জ্বর, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন।
গত ২৯ এপ্রিল ঢাকায় সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল। ওই দিন রাজধানীতে মোট ৬ জন মারা যান। তখন বাংলাদেশের স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু বেশির ভাগ সময়জুড়ে তাপমাত্রা অনুভূত হয়েছে তার চেয়ে ৬ ডিগ্রি বেশি।
জাতিসংঘের হিসাবে, তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে মাগুরা জেলায়। এপ্রিলের শুরু থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হলেও তা মারাত্মক তীব্রতা পায় ২১ এপ্রিল। আর সবচেয়ে উত্তপ্ত দিন ছিল ২৪ এপ্রিল। ওই দিন রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। চুয়াডাঙ্গা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, বগুড়া, রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর ও পটুয়াখালীতে সবচেয়ে বেশি গরম ছিল। এর আগে ২০১৯ সালের এপ্রিলে টানা ২৩ দিন তাপপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়। গত এপ্রিলের তাপপ্রবাহ আগের রেকর্ড ভেঙে ফেলে। এসময় বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ এলাকা তাপপ্রবাহের কারণে ঝুঁকিতে ছিল।
মন্তব্য করুন
কয়েকদিনের তীব্র গরমে স্বস্তি ফিরে এসেছে রাজধানীবাসীদের মাঝে। শনিবার (১৮ মে) সকালে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়।
ঢাকার আকাশ ভোর থেকেই ছিল মেঘলা। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। রামপুরা বাড্ডা, নতুনবাজারসহ বেশ কিছু এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়।
এদিকে বৃষ্টি প্রশান্তি আনলেও অফিসগামী ও শিক্ষার্থীদের কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। অনেকে ছাতা নিয়ে বের না হওয়ায় বৃষ্টিতে ভিজছেন। তবে বৃষ্টি নামায় সবাই স্বস্তিবোধ করেছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছিল শুক্রবার ঢাকায় বৃষ্টি হতে পারে।
ঢাকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আবহাওয়া অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
গত কয়েকদিন থেকেই দেশব্যাপি
ছিল তাপপ্রবাহ। এর মধ্যেই শুক্রবার (১৭ মে) সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির দেখা
মেলে। এ অবস্থায় আবহাওয়া জানিয়েছে অন্য খবর।
শনিবার (১৮ মে) সকাল ৯টার মধ্যে বিভাগের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
নদীবন্দরের জন্য দেওয়া সতর্ক বার্তায় বলা হয়, সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়, সিলেটে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া রাজশাহীতে ৩, নওগাঁর বদলগাছী ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ২ ও বগুড়ায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যার মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এরপরের ২৪ ঘণ্টা ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ এবং রংপুর, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন
হিট অ্যালার্ট আবহাওয়া অধিদপ্তর
মন্তব্য করুন
গত এপ্রিল থেকে তীব্র আকার ধারণ করেছে তাপপ্রবাই। এশিয়ার ছয়টি দেশে যা এখনো অব্যাহত। আগামী বছরগুলোতে গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশ সহ পুরো এশিয়া জুড়ে আঘান হানা তাপপ্রবাহ আরও প্রাণীঘাতি হয়ে উঠতে পারে। আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন ও রেডক্রস ক্লাইমেট সেন্টার থেকে যৌথভাবে প্রকাশ করা এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সংস্থা (ইউএনওসিএইচএ) থেকে গতকাল এশিয়া অঞ্চলের চলমান তাপপ্রবাহ নিয়ে প্রকাশ করা প্রতিবেদনেও ওই গবেষণার ফলাফলকে উল্লেখ করা হয়েছে।