ইনসাইড ট্রেড

এক ঘণ্টায় ৪৬০ কোটি টাকা ছাড়ালো ডিএসইর লেনদেন

প্রকাশ: ১১:১৭ এএম, ০৮ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে আজ মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) লেনদেন চলছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। এক ঘণ্টায় ডিএসইর লেনদেন ৪৬০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার লেনদেন শুরুর এক ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৭ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৪১০ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইর শরীয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১৪০১ ও ২২৪৬ পয়েন্টে রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ৪৬০ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

এদিন এ সময়ে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৪টির, কমেছে ৩৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৩টি কোম্পানির শেয়ার।

এর আগে এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম ১০ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ১৬ পয়েন্ট। সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে ৭ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর সকাল ১০টায় সূচক আগের দিনের চেয়ে ২২ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে অবস্থান করে।

অপরদিকে লেনদেন শুরুর এক ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সিএএসপিআই সূচক ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৯২৬ পয়েন্টে অবস্থান করে। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ সময়ের মধ্যে ৫২টি কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ২২টি কোম্পানির দর। অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৪টি কোম্পানির শেয়ারের দর।


ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ   ডিএসই   চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

রমজানের প্রথম দিনে জমে উঠেছে ইফতার বাজার

প্রকাশ: ০৫:৩৩ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জন্য পবিত্র মাস রমজানের প্রথমদিন আজ। সংযম ও ত্যাগের এই মাসে রাজধানীর প্রতিটি অলিগলি থেকে শুরু করে হাট-বাজারে জমে উঠে ইফতার আয়োজন।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) প্রথম রোজার দিনে বিকেলে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব, এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট, আজিমপুর, কাওরানবাজার, শ্যামলি, ধানমন্ডি, কল্যাণপুর, মিরপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে রাস্তার পাশের অস্থায়ী দোকানে বিক্রি হতে দেখা গেছে ইফতার সামগ্রী। প্রায় সব দোকানেই ছিল উপচে পড়া ভীড়। ছোলা, বুট, মুড়ি, পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, ডিম চপ, দই বড়া, ডাবলির ঘুঘনি, মিষ্টি, শাহী হালিম, গরু-মুরগি-খাসির হালিম, কাবাব, সবজি পাকোড়া, মাংসের চপের পাশাপাশি অনেকে তাদের নিজস্ব বিশেষ আয়োজন নিয়ে বসেছেন।

রেস্তোরাঁগুলোর বাহারি ইফতার আয়োজনের মধ্যে রয়েছে বিফ চাপ প্রতি কেজি ১ হাজার টাকা, খাসির গ্রিল চাপ কেজি ১২০০ টাকা, খাসির লেগ কাবাব প্রতি পিস ৫৫০ টাকা, খাসির লেগ রোস্ট প্রতি পিস ৫৫০ টাকা, খাসির হালিম প্রতি পেয়ালা ১০০ টাকা, চিকেন ফুল রোস্ট (বড়) প্রতি পিস ৫০০ টাকা, চিকেন রোস্ট (ছোট) (পাকিস্তানি) প্রতি পিস ৪০০ টাকা, চিকেন রোস্ট (প্রতি পিস ১২০ টাকা), চিকেন ফ্রাই (ব্রয়লার) প্রতি পিস ৭৫ টাকা, চিকেন ফ্রাই প্রতি পিস ১২০ টাকা, চিকেন সাসলিক প্রতি পিস ৬০ টাকা, চিকেন উইংস প্রতি পিস ৩০ টাকা, চিকেন চিজ বল প্রতি পিস ২৫ টাকা, চিকেন অনথন প্রতি পিস ২৫ টাকা, ফিস ফিঙ্গার প্রতি পিস ৬০ টাকা, জালি কাবাব প্রতি পিস ২৫ টাকা, শামি কাবাব প্রতি পিস ২৫ টাকা, চিকেন ড্রাম স্টিক প্রতি পিস ৬৫ টাকা, চিকেন চিজ বল প্রতি পিস ৩০ টাকা, চিকেন চিজ রোল প্রতি পিস ৩৫ টাকা, চিকেন রোল প্রতি পিস ৩০ টাকা, চিকেন সমুচা প্রতি পিস ২০ টাকা, চিকেন পরোটা প্রতি পিস ৫০ টাকা, কিমা সমুচা প্রতি পিস ২০ টাকা, পনির সমুচা প্রতি পিস ২৫ টাকা, পিঁয়াজু প্রতি পিস ৮ টাকা, আলুর চপ প্রতি পিস ৮ টাকা, বেগুনি প্রতি পিস ৮ টাকা, ভেজিটেবল রোল প্রতি পিস ২৫ টাকা, স্প্রিং রোল প্রতি পিস ২৫ টাকা, চাইনিজ রোল প্রতি পিস ২৫ টাকা, চিকেন কাটলেট প্রতি পিস ৬০ টাকা, কিমা পরোটা প্রতি পিস ৫৫ টাকা, টানা পরোটা প্রতি পিস ৩৫ টাকা, বাটার পরোটা প্রতি পিস ৫৫ টাকা, জিলাপি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, রেশমি জিলাপি প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, লাবাং লিটার ২০০ টাকা।



কাওরান বাজারের ইফতার বিক্রেতা মুরাদ জানান, ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার কথা চিন্তা করে পাঁচ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামের ইফতারের আয়োজন রাখা হয়েছে তার দোকানে। এছাড়া রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিক্রি হতে দেখা যায় কলা, বাঙ্গি, তরমুজ, আনারস, আপেল, আঙ্গুর, লেবু, শশা, ধনিয়াপাতা, মরিচসহ বিভিন্ন ধরনের খেজুর। ইফতারে খেজুর ও ফলের চাহিদা বেশি থাকায় এসব দোকানে বেশি ভিড় দেখা যায়।



রোজার প্রথম দিনে ফলের প্রতিও মানুষের আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। তরমুজ, মালটা, কলা, আপেলের চাহিদা ছিল বেশি। আপেল, মালটার দাম অন্যান্য সময়ের মতো থাকলেও তরমুজ এবং কলার দামে আগের তুলনায় অনেক বেশি। ছোট আকৃতির তরমুজ কিনতেও লাগছে দুইশ থেকে আড়াইশ টাকা। বড় আকৃতির তরমুজে বিক্রেতারা দাম হাঁকছেন পাঁচশ-ছয়শ টাকা।

রমজান   ইফতার বাজার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

দাম কমতে শুরু করেছে ব্রয়লার মুরগির

প্রকাশ: ০৩:১২ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

খামার পর্যায়ে মুরগির দাম ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় চারটি প্রোল্ট্রি ফার্ম। এরপর খুচরা বাজারে পণ্যটির দাম কমতে শুরু করেছে।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকা দরে। যা গতকাল বৃহস্পতিবারও ছিল ২৭০-২৮০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আগামী দু-একদিনের মধ্যে দাম আরও কমবে। খামারে মুরগি ১৯০ টাকা বিক্রি হলে সেটা খুচরা বাজারে ২৩০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। তবে সেজন্য দু-একদিন সময় লাগবে।

শীর্ষ চার প্রতিষ্ঠানের দাম কমানোর ঘোষণায় মুরগির দাম কমেছে কি না, এমন প্রশ্ন করলে কারওয়ান বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানে অধিকাংশ রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকে বলে মুরগির চাহিদা কমে গেছে।

তাই দাম কিছুটা কমেছে। ফার্ম থেকে ১৯০-১৯৫ টাকায় মুরগি বিক্রি করলেও খুচরায় ২৩০-২৪০ টাকা কেজি দরে কিনতে হবে বলে দাবি করলেন তাঁরা।

সকাল সাড়ে ৯টায় কারওয়ান বাজার গিয়ে দেখা গেল, মুরগির দোকানে ভিড় তুলনামূলক কম। একইভাবে সবজির বাজারেও ক্রেতা কম। তবে বেলার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতার সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।

আসরাফুল হক নামের এক বিক্রেতা ব্রয়লার মুরগি ২৫০ টাকা ও সোনালি মুরগির দাম ৩৬০ টাকা দাম চাচ্ছেন। আজকে পাইকারি বাজার থেকে কত দামে মুরগি কিনেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্রয়লার ২৩৫ আর সোনালি ৩৪০ টাকা কিনেছি।’

শাহীনুর নামের এক বিক্রেতা ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৬০ আর সোনালির দাম ৩৬০ টাকা দর হাঁকছেন। শীর্ষ চার প্রতিষ্ঠানের দাম কমানোর ঘোষণার কী প্রভাব পড়ল, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসল জায়গায় (পাইকারি বাজার) না কমলে আমরা কী করব। সেখানে কমলে আমরাও কমে দেব।’

মুরগি বিক্রির এক দোকানের মূল্যতালিকায় দেখা গেল, ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৬০ টাকা। আর সোনালি মুরগি ৩৬০ টাকা। সেই ছবি তুলতে গেলে দোকানি বদল আলী বললেন, ‘ভাই এটা কালকের দাম। আজকে ব্রয়লার ২৪৫-২৫০ টাকায় বিক্রি করছি। আর সোনালি ৩৬০ টাকা। পাইকারিতে দাম কিছুটা কমায় আমরাও দাম কমিয়েছি।’

ব্রয়লার মুরগি   রমজান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

বাংলাদেশ-ভুটান ট্রানজিট চুক্তি ও প্রোটোকল স্বাক্ষরিত

প্রকাশ: ০৫:১২ পিএম, ২২ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail বাংলাদেশ-ভুটান ট্রানজিট চুক্তি ও প্রোটোকল স্বাক্ষরিত।

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজতর করার লক্ষ্যে ‘Agreement on the Movement of Traffic-in-Transit and Protocol’ স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ভুটানের শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী কর্মা দর্জি (Karma Dorji) ট্রানজিট চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

বুধবার (২২ মার্চ) ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

চুক্তি স্বাক্ষরের সময় ভুটানের শিল্প বাণিজ্য কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব দাশ তাশি ওমাং এবং শক্তি ও নবায়নযোগ্য সম্পদ বিষয়ক সচিব জনাব দাশ কর্মা শেরিং, ভুটান চেম্বার অব ইন্ডাষ্ট্রিজ এর সভাপতি এবং ভুটানের বিভিন্ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকবৃন্দসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন যুগান্তকারী এই চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সহজতর হওয়ার পাশাপাশি বাণিজ্য সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাবে। স্বাক্ষরিত চুক্তি দেশের জন্য কুটনৈতিক, অর্থনৈতিক, সংযোগ এবং কৌশলগত সুবিধা বয়ে আনবে বলেও জানান তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ আন্ত:যোগাযোগ বৃদ্ধি ও আঞ্চলিক ভ্যালু চেইন সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে চায়। এর অংশ হিসেবে চারিদিকে স্থলভাগ বেষ্টিত ভুটানকে বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তির আওতায় বিমান, রেল, স্থল, নৌবন্দর ও সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের সুযোগ প্রদান করছে। 

এ চুক্তির ফলে উভয় দেশের কুটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক যোগাযোগে ব্যাপক প্রসার ঘটবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ভুটানের পণ্য রপ্তানি ও আমদানি করলে বাংলাদেশ বিভিন্ন ফি এবং চার্জ লাভ করবে। এছাড়া অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটবে। ট্রানজিট এগ্রিমেন্ট বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের সমুন্দ্র বন্দরসমূহ অধিকতর কর্মক্ষম হবে এবং রাজস্ব আয় বাড়বে। অধিকন্ত কর্মসংস্থান বৃদ্ধিসহ বন্দরসমূহের সার্বিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন করবে। 

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পেরে তিনি গর্বিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের সমাপ্তির প্রাক্কালে ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে সর্বপ্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় তিনি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং বাংলাদেশ ভুটানের নিবিড় বন্ধুত্বকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং দ্বিপাক্ষিক এই সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত ও শক্তিশালী করতে উভয় রাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত এক দশকে অর্থ-বাণিজ্য, স্বাস্থ্য-শিক্ষা এবং যোগাযোগ ও অবকাঠামোসহ সকল খাতে অসাধারণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি দেশে রুপান্তরিত হয়েছে, পরিচিতি পেয়েছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে।

এ সময় বিগত বছরগুলির ন্যায় সমস্ত আঞ্চলিক এবং বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশকে সমর্থন প্রদান অব্যাহত রাখা ছাড়াও জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে সহযোগীতার মাধ্যমে বাংলাদেশের ট্রিলিয়ন ডলারের যাত্রায় ভুটানকে উন্নয়ন অংশীদার হওয়ার আহবান জানান তিনি ৷

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পর ভুটানের মন্ত্রী, সচিব ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগনের সাথে বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী কৃষিখাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বিশেষ করে মাশরুমসহ কৃষিপণ্যের বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ের গুরুত্ব আরোপ করেন।

উল্লেখ্য, তিন দফা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে উক্ত চুক্তি এবং এর আওতায় প্রোটোকল চুড়ান্ত করা হয়। গত ১৩ মার্চ ২০২৩ তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়। ইতো:পূর্বে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-ভুটান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (PTA)কে  সম্পাদিত চুক্তি ও প্রোটোকল অধিকতর কার্যকর করবে। স্বাক্ষরিত চুক্তিটি উভয় দেশ কর্তৃক রেটিফিকেশনের পরে কার্যকর হবে।


বাংলাদেশ   ভুটান   ট্রানজিট চুক্তি   প্রোটোকল   স্বাক্ষরিত   বাণিজ্যমন্ত্রী   থিম্পু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেডের আঞ্চলিক সেলস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৭:৫২ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

বগুড়ার মোমো ইন হোটেলে বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেডের আঞ্চলিক সেলস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের সেলস এন্ড মার্কেটিং এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা জনাব এম এম জসীম উদ্দিন। 

তিনি সবাইকে স্বাগত জানিয়ে কোম্পানির গত বছরের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি ২০২৩ সনের কর্মপরিকল্পনাও ঘোষণা করেন। ২০২২ সালের বাধাবিপত্তিকে অতিক্রম করে ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের পক্ষে আরও বক্তব্য রাখেন, চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার জনাব মাহবুব আলম। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজারে বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের নেতৃত্ব ধরে রাখতে পরিবেশকদের জন্য আমাদের কৌশলগত নীতি নির্ধারণ অব্যাহত থাকবে। 

সেলস কনফারেন্সে বগুড়া, রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগের পরিবেশক এবং বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীদের কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সেরা পারফরমার স্বীকৃতি দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের প্রায়  শতাধিক পরিবেশক  এবং আঞ্চলিক কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। 

বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জনাব খান আতাউর রাহমান (এজিএম, সেলস, নর্থ উইং), জনাব সাঈদ ইমাম (এজিএম, প্রজেক্ট এন্ড অপারেশন), জনাব আবুল হাসান (এজিএম, বগুড়া প্ল্যান্ট ইনচার্জ) সহ বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ।

বসুন্ধরা   এলপি গ্যাস   বসুন্ধরা গ্রুপ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ট্রেড

লাখ টাকা ছাড়িয়ে রেকর্ড গড়লো রডের দাম

প্রকাশ: ০৯:৩১ পিএম, ১৬ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

আগের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়লো রডের দাম। নির্মাণশিল্পে ব্যবহৃত এই উপকরণটির দাম ছাড়িয়েছে লাখ টাকা। গত পাঁচ মাসের ব্যবধানে প্রতি টন রডের দাম বেড়েছে ১৪-১৫ হাজার টাকা।

গতকাল বুধবার রডের বাজারের শীর্ষ সারির কোম্পানিগুলো প্রতি টন রডের দাম ৫০০ টাকা বাড়িয়েছে। তাতে তিনটি (বিএসআরএম, একেএস, জিপিএইচ) কোম্পানির রডের দাম প্রতি টন এক লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে। এর আগে কখনোই লাখ টাকায় রড বিক্রি হয়নি বলে উৎপাদকেরা জানিয়েছেন। তবে দেশীয় ইস্পাত শিল্পের আরেক ব্র্যান্ড কেএসআরএমের লোহার রড পাওয়া যাচ্ছে লাখ টাকার কমে। সবশেষ বৃহস্পতিবার সকালে এই ব্র্যান্ডের রড টনপ্রতি ৯৮ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় রডের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে উৎপাদকেরা জানিয়েছেন। তাঁদের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারিতে গ্যাস–বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, বেশি দামে ডলার কিনে আমদানি মূল্য পরিশোধ, তুরস্কের ভূমিকম্পের পর বিশ্ববাজারে কাঁচামালের দাম আরেক দফা বৃদ্ধির কারণে রডের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তাতে গ্যাস–বিদ্যুৎ ও ডলারের দাম বাড়ার প্রভাব শেষ পর্যন্ত ভোক্তার কাঁধে এসে পড়েছে।

রড-সিমেন্টের খুচরা ব্যবসায়ী, ডিলার, মিল মালিক এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এক মাসের বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এখন প্রতি টন এমএস রড বিক্রি হচ্ছে এক লাখ ৫০০ টাকায়। মাত্র এক মাস আগেও এ রডের দাম ছিল ৯০ হাজার টাকার ঘরে, অর্থাৎ ৯৮ হাজার ৫০০ টাকা। আর পাঁচ মাস আগেও এই রডের দাম ছিল টনপ্রতি ৮৪-৮৫ হাজার টাকা।

বর্তমানে নির্মাণকাজ আগের চেয়ে বেড়েছে। ১০-১৫ দিন আগেও বুকিং দিয়ে পাওয়া যাচ্ছে না রড। সামনে রডের দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেশের শীর্ষ রড উৎপাদনকারী একটি প্রতিষ্ঠানের বিপণন কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে ডলারের সংকট রয়েছে। চাইলেই স্ক্র্যাপ আমদানির জন্য এলসি খোলা যাচ্ছে না। আবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে স্ক্র্যাপ জাহাজের বুকিং রেট বেড়ে গেছে। পাশাপাশি জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে বেড়েছে জাহাজভাড়াও। এতে স্ক্র্যাপের আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে, যা রড উৎপাদনে প্রভাব ফেলছে। ফলে বাজারে বাড়ছে রডের দাম।


রডের দাম   রড  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন