ইনসাইড বাংলাদেশ

বরিশালে করোনা প্রণোদনার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৬:০৫ পিএম, ১০ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

বরিশালের বানারীপাড়ায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অধীনস্থ স্বায়ত্তশাসিত অলাভজনক সংস্থা  সোস্যাল ডেপেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এসডিএফ) সদস্যদের জন্য বরাদ্দের করোনা প্রণোদনার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের পশ্চিম আউয়ার এলাকায় সংস্থাটি তাদের গ্রাম সমিতির ১১৯ জন হতদরিদ্র সদস্যকে সম্প্রতি করোনা প্রণোদনা হিসেবে ৫ হাজার টাকা করে দেয়। এর মধ্যে বেশ কিছু সদস্যের বিকাশ নম্বরের স্থলে গ্রাম সমিতির ক্যাশিয়ার খাদিজা ও ভিসিডি সেলিনা তাদের নম্বর দিয়ে টাকা তুলে ওই সদস্যদের এক/দুই হাজার টাকা করে ধরিয়ে দিয়ে বাকীটা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে সদস্যরা এসডিএফের প্রধান কার্যালয় ও স্থানীয় সৈয়দকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মৃধার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। সংস্থার প্রধান কার্যালয় থেকে বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পান। 

এ বিষয়ে ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় এসডিএফ’র সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের পশ্চিম আউয়ার গ্রাম সমিতির স্থায়ী কার্যালয়ে সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক মৃত্যুঞ্জয় সাহা,জেলা ব্যবস্থাপক আজাদুর রহমান ও সৈয়দকাঠি অফিসের ইনচার্জ জাকির হোসেন অভিযুক্ত ও বঞ্চিত সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। এসময় সেখানে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মৃধা,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মৃধা ও আওয়ামী লীগ নেতা বজলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে অভিযুক্তরা সদস্যদের প্রণোদনার আত্মসাৎকৃত ২৮ হাজার ৭০০ টাকা জমা দেন। এসময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মৃধাসহ উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অভিযুক্তদের বিচার ও আত্মসাৎকৃত টাকা সদস্যদের মাঝে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বললে সেলিনার  ভাসুর আলী আকবর ও দেবর ফকরুল ইসলাম ইউপি চেয়ারম্যান ও  তার সঙ্গে থাকা দু’ আওয়ামী লীগ নেতাসহ উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন ও তাদের বিভিন্ন ধরণের হুমকি দেন। ফলে তারা বৈঠক থেকে বের হয়ে যান। 

বঞ্চিত সদস্য ও তাদের স্বজনরা এসময় এসডিএফ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। এ বিষয়ে সংস্থার বরিশালের আঞ্চলিক পরিচালক মৃত্যুঞ্জয় সাহা ও  জেলা ব্যবস্থাপক আজাদুর রহমান জানান,প্রধান কার্যালয় থেকে তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ৯ জন সদস্যের আত্মসাৎকৃত টাকা দুইজন কর্মী তাদের কাছে জমা দিয়েছেন। এখন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সদস্যদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে সৈয়দকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মৃধা অভিযুক্ত সেলিনার ভাসুর আলী আকবর ও দেবর ফকরুল ইসলাম তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন জানিয়ে বলেন, তিনি অনিয়ম ও দুর্নীতির এ বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবেন। তিনি এসডিএফের স্থানীয় কার্যালয়ের ইনচার্জ (সুপারভাইজার) জাকির হোসেনসহ অভিযুক্তদের অপসারণ ও গ্রাম সমিতির কমিটিগুলোর পূর্ণগঠনের দাবি জানান। সদস্যরাও একই দাবি জানিয়েছেন। এদিকে সেলিনা ও খাদিজা টাকা আত্মসাৎ এবং সেলিনার ভাসুর আলী আকবর ও দেবর ফকরুল ইসলাম ইউপি চেয়ারম্যানসহ তার লোকজনের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। উল্লেখ্য এসডিএফ ২০০০ সাল থেকে কমিউনিটি চালিত উন্নয়ন (সিডিডি) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রামীণ দারিদ্র বিমোচনে বিভিন্ন উন্নয়ন  প্রকল্প বাস্তবায়ন করে  করে আসছে।

করোনা প্রণোদনা   আত্মসাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কাঁচা মরিচের কেজি দেড়শ টাকা ছাড়িয়েছে

প্রকাশ: ১০:০৬ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

কোরবানির ঈদের মাসখানেক বাকি। ইতিমধ্যে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম প্রতি কেজি ৮০-১০০ থেকে বেড়ে ১৫০-১৬০ টাকা হয়েছে। গত কোরবানির সময়ে ঢাকায় কাঁচা মরিচের কেজি ৭০০ টাকায় উঠেছিল।

বছরের এই সময়ে দেশে কাঁচা মরিচের কিছুটা সংকট থাকে। তাতে আমদানি করে প্রয়োজন মেটাতে হয়। এবার দাম বাড়তে থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। বাজারে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃষ্টির কারণে মরিচের সরবরাহ কমেছে। এতে বাড়ছে দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা বেড়েছে। এদিকে বাজারে গ্রীষ্মকালীন মরিচের গাছ এখন শুকিয়ে এসেছে। ফলনও আগের তুলনায় কমে এসেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সঙ্গনিরোধ শাখা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশের বাইরে থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেওয়া হয়নি। তবে বাজার পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।


কাঁচা মরিচ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশে দরিদ্র মানুষের খাবারের ব্যয় বেড়েছে ৫৮ শতাংশ

প্রকাশ: ০৯:৪৯ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েই চলছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) চলতি মাসে বাংলাদেশের খাদ্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, খানা জরিপ অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশের দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষের খাবার কেনার খরচ ছিল প্রতি মাসে মাথাপিছু হাজার ৮৫১ টাকা। গত দুই বছরে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে মাথাপিছু খাবার কেনার খরচ বেড়ে হয়েছে দুই হাজার ৯২৩ টাকা; যা দুই বছর আগের তুলনায় ৫৮ শতাংশ বেশি।

সরকারি বেসরকারি সব হিসাব বলছে, গত দুই বছরে দেশের মানুষের আয় বাড়লেও এই সময়ে ধারাবাহিকভাবে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের আশপাশে থেকেছে। সামগ্রিকভাবে দেশের প্রধান খাদ্যগুলোর দাম বেড়েছে। বিশেষ করে চাল, আটা আমিষের প্রধান উৎস মুরগির মাংস, ডিম, মাছ সবজির দাম বাড়তির দিকে। বেড়েছে আলু, পেঁয়াজ, আদা, কাঁচা মরিচ ফলের দামও।

ডব্লিউএফপি গত মাসে (এপ্রিল) বাংলাদেশের খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাব নিয়ে আরেকটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের ১৭ শতাংশ মানুষ খাদ্যঝুঁকিতে ছিল; যা এর আগের মাসের তুলনায় শতাংশ বেড়েছে। দেশের ৬৮ শতাংশ মানুষ জীবনযাত্রার ব্যয় কমিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। আর ৪৩ শতাংশ মানুষ বাকিতে খাবার কিনছে। ২২ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্য চিকিৎসা বাবদ খরচ কমিয়েছে। আর ১৩ শতাংশ মানুষ সঞ্চয় ভাঙছে। খাদ্যঝুঁকিতে থাকা মাত্র ২১ শতাংশ মানুষ বাইরে থেকে সহায়তা পাচ্ছে।

ডব্লিউএফপির চলতি মাসের বাজার তদারকি প্রতিবেদন বলছে, মাথাপিছু খাদ্যের দাম দেশের একেক বিভাগে একেকভাবে বেড়েছে। চট্টগ্রাম, ঢাকা সিলেটে জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি বেড়েছে। রংপুর, রাজশাহী ময়মনসিংহে তুলনামূলকভাবে কম বেড়েছে। বাকি এলাকাগুলোতে দাম অপরিবর্তিত আছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে ছয় মাস ধরে গমের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে। ফলে বাংলাদেশেও গমের আমদানি বেড়েছে। তবে আমদানির তুলনায় গমের দাম কমেনি। মার্চে আটার খুচরা মূল্য প্রতি কেজি প্রায় ৫৭ টাকায় পৌঁছেছে; যা এর আগের মাসের তুলনায় সামান্য বেশি। দেশে গমের চাহিদার ৮৫ শতাংশ আমদানি করা হয়।

টানা চতুর্থ মাসের মতো ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে দেশে চালের দাম বেড়েছে। আমনে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে শতাংশ বেশি উৎপাদন হওয়া সত্ত্বেও দাম বেড়েছে। উৎপাদন বেশি হওয়া সত্ত্বেও চালের দাম বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে চালকল মালিকেরা উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করেছেন।

ডব্লিউএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে দেশে সরকারি খাদ্য মজুত কমতির দিকে ছিল। সাধারণত বছরের এই সময়ে খাদ্যের মজুত কম থাকে। কিন্তু এবার মজুতের পরিমাণ আগের থেকে কম। ফেব্রুয়ারিতে সরকারি খাদ্য মজুত ছিল ১৫ লাখ ৬০ হাজার টন। এর মধ্যে চাল ১৩ লাখ ৩০ হাজার টন, যা আগের এক বছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ কম।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে সরকারি মজুত গত দুই মাসে আরও কমেছে। গত ১৫ মে গুদামে চাল, গম ধান মিলিয়ে মোট মজুত ছিল ১১ লাখ ১২ হাজার ৪২০ টন। এর মধ্যে চাল লাখ ৫১ হাজার ৩২৫ টন আর গম লাখ ৫১ হাজার টন। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে চাল গমের সরবরাহ বাড়িয়ে দেওয়ায় মজুত কমছে। তবে আগামী জুন থেকে বোরো সংগ্রহ শুরু হলে মজুত বাড়তে শুরু করবে বলে মনে করছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

ডব্লিউএফপি চলতি মাসে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে ২০১৯ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত খাদ্য পরিস্থিতির পরিবর্তনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, সংকটের সময় বাংলাদেশে খাদ্য ব্যবস্থাপনা বহুমুখী সমস্যার মধ্য দিয়ে গেছে। কোভিড-১৯ সংকটের পর ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশে খাদ্য আমদানি কমে আসে। এর আগে ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যের উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। ছাড়া ২০১০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গবাদিপশুর উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার গণমাধ্যকে বলেন, ‘আমাদের খাদ্য উৎপাদন যথেষ্ট ভালো। আর সার, জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় চালের উৎপাদন খরচও বেড়েছে। ফলে চালের দাম আরও কমাতে গেলে কৃষক উৎপাদন কমিয়ে দেবেন। তখন চালের জন্য আমাদের আবারও আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভর করতে হবে।

ডব্লিউএফপির হিসাব অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ সালে খাদ্য মূল্যস্ফীতি প্রায় শতাংশে পৌঁছায়। এর আগে ছিল দশমিক শতাংশ। ২০২৩ সাল থেকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দ্রুত বাড়তে থাকে। ওই বছরের অক্টোবরে তা ১৩ শতাংশে পৌঁছায়।

সংকট শুরু হওয়ার পর অর্থাৎ ২০১৭ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে খাদ্যের দাম ৭৫ শতাংশ বেড়ে যায়। এর মধ্যে শক্তি জোগায় এমন খাদ্যগুলোর দাম ২৫ শতাংশ বেড়ে যায়। চাল গমের মতো দানাদার খাদ্য, চিনি, ভোজ্যতেল, মাছ, মাংস মুরগির মতো প্রাণিজ আমিষ সবজি, দুধ ডিমের মতো পুষ্টিকর খাবারের দামও বেড়ে যায়।


দরিদ্র   মানুষ   খাবার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দুবাইয়ে গোপন সম্পদ ৫৩২ বাংলাদেশির, শীর্ষে ভারত ও পাকিস্তান

প্রকাশ: ০৯:৩১ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরের আবাসনবাজার বেশ রমরমা। বিভিন্ন দেশের সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে সন্দেহভাজন অপরাধীরাও এখানে বিনিয়োগ করছে। কিনছে বাড়ি ও ফ্ল্যাট। এই তালিকায় পিছিয়ে নেই বাংলাদেশিরাও।

ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরির বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে ৫৩২ জন বাংলাদেশি সেখানে বাড়ি ও ফ্ল্যাট কিনেছেন। যার মূল্য ৩৭ কোটি ৭৪ লাখ ডলার।

ফাঁস হওয়া সম্পদ কেনার ঘটনার সঙ্গে ট্যাক্স অবজারভেটরি নিজেদের আনুমানিক হিসাবও দিয়েছে। যেখানে ফাঁস হওয়া ঘটনার সঙ্গে ফাঁস না হওয়া ঘটনাও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। তবে কারা এসব সম্পদ কিনেছেন, সেই তথ্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে দুবাইয়ের শতভাগ রেডিমেড (প্রস্তুত) আবাসন সম্পদ কিনেছেন বা অপ্রস্তুত আবাসন সম্পদ কেনার জন্য প্রক্রিয়া অনুসরণ করছেন এমন কিছু ব্যক্তির তালিকা ফাঁস হয়েছে।

তালিকায় ৩৯৪ জন বাংলাদেশির নাম এসেছে। ওই বছর তারা মোট ২২ কোটি ৫৩ লাখ ডলারের সম্পদ কিনেছেন। সেবার বাংলাদেশিরা মোট ৬৪১টি সম্পদ কিনেছিলেন। তবে অবজারভেটরির মতে, ওই বছর সর্বমোট ৫৩২ জন বাংলাদেশি সেখানে বাড়ি-ফ্ল্যাট কিনেছেন।

ব্যাংক লুট করে বিসমিল্লাহ গ্রুপের খাজা সোলায়মান আনোয়ার চৌধুরীসহ অন্তত ২০ জন ঋণখেলাপির সম্পদ এখন দুবাইয়ে। তালিকায় আরও রয়েছে সাবেক মন্ত্রী, রাজনীতিক, অপরাধী, অর্থ পাচারকারীদের নাম।

ওয়ান-ইলেভেনের প্রভাবশালী সাবেক সেনা কর্মকর্তারা সেখানেই অবস্থান করছেন। তাদের রয়েছে বাড়ি, দোকানসহ নানা ধরনের ব্যবসা। আমলাদের অনেকেই তাঁদের বিত্তের ঘাঁটি গড়েছেন দুবাইয়ে। তাঁদের একাধিক বাড়ি আর বিশাল সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। সদ্যবিদায়ী মন্ত্রিসভার একজন মন্ত্রী এবং তাঁর মেয়ের নাম উঠে এসেছে গোপন সম্পদের পাহাড় গড়ার তালিকায়।

গত মঙ্গলবার একটি বৈশ্বিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রকল্প ‘দুবাই আনলকড’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদনে বিশ্বের সম্পদশালীদের গোপন সম্পদের তথ্য ফাঁস করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, দুবাইয়ের আবাসন খাতে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা। তাদের তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশি নাগরিকও। ৩৯৪ বাংলাদেশির ২ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা মূল্যের ৬৪১টি সম্পত্তি রয়েছে দুবাইয়ে। সম্পত্তির মালিকের এ তালিকায় আরও রয়েছেন বিভিন্ন দেশের বড় ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এমনকি বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তি, অর্থ পাচারকারী ও অপরাধীরাও সেখানে বিপুল সম্পদের মালিক।

প্রতিবেদনে ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানির পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির পরিবারের সদস্যদের নাম রয়েছে। তালিকায় দেখা গেছে, দুবাইয়ে সবচেয়ে বেশি সম্পদ রয়েছে ভারতীয়দের। সেখানে ৩৫ হাজার প্রপার্টির মালিক ২৯ হাজার ৭০০ ভারতীয়। এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন পাকিস্তানিরা। দেশটির ১৭ হাজার নাগরিকের দুবাইয়ে ২৩ হাজার প্রপার্টি রয়েছে। এর মূল্য ১ হাজার ২৫০ কোটি ডলার।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মন্ত্রীর নির্দেশের প্রভাব পড়েনি সড়কে

প্রকাশ: ০৯:২২ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

সড়ক পরিবহন সেতু মন্ত্রীর নির্দেশের প্রভাব পড়েনি সড়কে। আগের মতোই রাজধানীর সড়কগুলোয় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। পেট্রল পাম্পগুলোও হেলমেট না থাকলে জ্বালানি দেওয়া বন্ধ করেনি। উল্টো ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশের পরদিনই খাতে বেড়েছে চাঁদার হার। গতকাল সরেজমিনে রাজধানী ঘুরে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

বুধবার (১৫ মে) বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়েবাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৭’-এর অধীনে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন থেকে ব্যাটারিচালিত কোনো রিকশা বা গাড়ি যেন ঢাকা শহরে না চলে। শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, চলতে যেন না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। ছাড়া বুধবার থেকেই সারা দেশেনো হেলমেট, নো ফুয়েলকঠোরভাবে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।

সড়কে অব্যবস্থাপনা নিয়ে তিনি বিআরটিএর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এত উন্নয়নের পরও সড়ক, মহাসড়কে যানজট দুর্ঘটনা কেন?’ দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে এসব নির্দেশ দেন তিনি। তবে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে অবৈধ চাঁদার হার বৃদ্ধি ছাড়া সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রীর নির্দেশের কোনো প্রভাব গতকাল রাজধানীতে দেখা যায়নি।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব--রব্বানী বলেন, মন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। এটা রেজ্যুলেশন হবে। মন্ত্রী স্বাক্ষর করবেন। এরপর আমরা পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সেই নির্দেশনা পাঠাব।

এদিকে পল্টন এলাকার একাধিক রিকশাচালক জানান, রিকশা নামাতে কেউ নিষেধ করেনি; তবে রিকশার মালিক বলেছেন, আগামী মাস থেকে প্রতিদিনের জমা ৫০ টাকা বেশি দিতে হবে। রাস্তায় রিকশা নামাতে উনার নাকি এখন বেশি চাঁদা দিতে হবে। নতুন বাজার এলাকার এক রিকশাচালক জানান, তিনি এক বছর ধরে প্রতিদিন ১০০ টাকা চাঁদা দিয়ে আসছেন। তার আগে দিতেন ৬০ টাকা। গতকাল থেকে চাঁদা ১২০ টাকা করা হয়েছে।

হাই কোর্ট ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলার অটোরিকশা বন্ধের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশের পরও সড়কে নতুন করে নেমেছে কয়েক লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বিপুল পরিমাণ চাঁদাবাজির কারণেই রিকশাগুলো বন্ধ হচ্ছে না। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে প্রায় ৪০ লাখ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা রিকশা চলাচল করছে।

আইনগত অবৈধএসব অটোরিকশার মালিক-চালকদের কাছ থেকে বছরে প্রায় হাজার কোটি টাকা চাঁদাবাজি হচ্ছে। টাকার ভাগ যাচ্ছে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা এবং ট্রাফিক থানা পুলিশের এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার পকেটে। রাজধানীতে প্রতিটি থ্রি-হুইলার অটোরিকশার জন্য এলাকাভেদে মাসে মালিককে দিতে হয় দেড় থেকে হাজার টাকা। টাকা দিলে দেওয়া হয় বিশেষ টোকেন, যা থাকে সিটের নিচে। ওই টোকেন থাকলেই সড়কে চলার অনুমতি মেলে। কিছু এলাকায় কিউআর কোড ব্যবস্থাও চালু করা হয়েছে।


সড়ক   পরিবহন   সেতু   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঝরল ৫ প্রাণ

প্রকাশ: ০৮:৪৯ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১৭ মে) ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার বসন্তপুর এলাকায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম কক্সবাজারগামী রিলাক্স পরিবহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন হলেন, কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মতিউর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন (৩০), চট্টগ্রামের বাশখালীর বাহারছড়া গ্রামের নুরুল আবছারের ছেলে বদরুল হাসান রিয়াদ (২৬)।

আহতরা হলেন, কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মতিউর রহমানের ছেলে ফিরোজ (৪০), একই এলাকার আলী আহমেদের ছেলে মোক্তার হোসেন (৪০), ফজলুর রহমান (৪২), আরাফাত (৩৪), সিয়াম (৩২), সোহাগ (২৮), কামরুন নাহার (২৫), স্বপন শিকদার (২৫), রফিকুল ইসলাম (৩০), মনির (৩০)। এদের মধ্যে চারজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, আমরা ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্তলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস গাড়িতে করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় গাড়ির ভিতর থেকে নিহত পাঁচ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার এসআই নজরুল ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে কক্সবাজার গামী রিলাক্স পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচ জন নিহত হয়েছেন।


মহাসড়ক দুর্ঘটনা   ঢাকা-চট্টগ্রাম  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন