ইনসাইড ইকোনমি

হুন্ডিতে রেমিট্যান্স পাঠানোর দায়ে ২৩০ হিসাব জব্দ

প্রকাশ: ১০:২১ এএম, ১৮ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

অবৈধ হুন্ডিতে রেমিট্যান্স পাঠানোর দায়ে বিকাশ, রকেট ও নগদের ২৩০টি হিসাব জব্দ করেছে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধে গঠিত আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিকাশ, রকেট ও নগদসহ সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি এমএফএস প্রতিষ্ঠানকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেয় বিএফআইইউ। এসময় বেশ কয়েকটি এমএফএস এজেন্টসহ ২৩০ হিসাব জব্দ করা হয়।  

এসব হিসাবে গ্রাহক লেনদেন করতে পারবে না। তবে ভবিষ্যতে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাবে এমন প্রতিশ্রুতি দিলে হিসাবগুলো খুলে দেওয়া হবে। হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রতিরোধে এ নতুন কৌশল নিয়েছে বিএফআইইউ। সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।  

বিএফআইইউর সংশ্লিষ্টরা জানান, হুন্ডি ও ডিজিটাল হুন্ডি ব্যাপক বিস্তার রোধে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে বিএফআইইউ ও বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। এ বিষয়ে বিএফআইইউ এর গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ ৫টি মামলাসহ এ প্রক্রিয়ায় জড়িত একাধিক ব্যক্তিকে আটক করে। এছাড়া বিএফআইইউ সকল ব্যাংক ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে একযোগে কাজ করে হুন্ডির লেনদেন শনাক্ত ও তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে। অপরদিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের সহযোগিতায় হুন্ডি চক্র ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ চলমান রয়েছে।

এ পর্যায়ে হুন্ডি প্রতিরোধের নতুন কৌশল হিসেবে হুন্ডির মাধ্যমে প্রেরিত বেনিফিশিয়ারিদের মাধ্যমে প্রবাসী রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের উদ্বুদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে বিএফআইইউ। ইতোমধ্যেই হুন্ডির মাধ্যমে প্রেরিত রেম্যিট্যান্সের ২৩০ জন বেনিফিশিয়ারির হিসাবে সাময়িকভাবে উত্তোলন স্থগিত রাখা হয়েছে। তারা তাদের বিদেশে অবস্থানরত আত্মীয় স্বজনরা যাতে ভবিষ্যতে বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স পাঠান এ বিষয়ে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করবেন এমন শর্তে পুনরায় হিসাবগুলো সচল করে দেওয়া হবে।

এর আগে বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিএফআইইউ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রবাসী বাংলাদেশিদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে (হুন্ডি বা অন্য কোনো অবৈধ পথে) প্রেরণ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ এবং এতে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আপনাদের অর্জিত মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা হুন্ডি বা অন্য কোনো অবৈধ পথে না পাঠিয়ে বৈধ পথে বা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে প্রেরণ করুন, দেশ গড়ায় মূল্যবান অবদান রাখুন এবং আপনার প্রিয়জনকে ঝুঁকি মুক্ত ও নিরাপদ রাখুন।

অবৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে প্রমাণ সাপেক্ষে প্রচলিত আইনে বিএফআইইউ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এদিকে নানা উদ্যোগ নিয়েও রেমিট্যান্স বাড়াতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি ২০২২-২৪ অর্থবছরের চতুর্থ মাস অক্টোবরে ১৫২ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এই অংক গত ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশে ১৪৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।

হুন্ডি   রেমিট্যান্স   হিসাব জব্দ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

আসছে বাজেটে বাড়ছে মোবাইল ও ইন্টারনেটের মূল্য!

প্রকাশ: ০৩:১০ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৬ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করা হবে। টানা চতুর্থ মেয়াদের মত দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ সরকারের এটিই হবে প্রথম বাজেট। আর এমন এক সময়ে এবার বাজেট দেওয়া হচ্ছে যখন অর্থনৈতিক সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। কিছু কিছু দৃশ্যমান সংকট সকলের জন্য উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

এবার আসছে বাজেটে মোবাইল ব্যবহারে খরচের বোঝা চাপছে গ্রাহকের কাঁধে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ বাজেটে হ্যান্ডসেট উৎপাদনে ৫ শতাংশ ভ্যাট বাড়াতে চায়। এতে প্রতিটি হ্যান্ডসেটে দাম বাড়তে পারে প্রায় এক হাজার টাকা। সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ করার প্রস্তাবে টকটাইম ও ইন্টারনেট ব্যবহারে ১০০ টাকায় অতিরিক্ত গুনতে হবে প্রায় ৬ টাকা।

ফেসবুক ব্রাউজিং থেকে শুরু করে পড়াশোনা, কেনাকাটা, দাপ্তরিক কাজ- সব ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বলছে, ১৯ কোটি ২২ লাখ সিমকার্ডধারীর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন ১২ কোটির বেশি গ্রাহক। বর্তমানে মোবাইলে কথা বলায় ১০০ টাকা রিচার্জে গ্রাহকরা ৩৩ টাকার বেশি কর দেন। একই পরিমাণ কর দিতে হয় ইন্টারনেট কিনতেও।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আসছে বাজেটে উভয় ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এতে অতিরিক্ত ৫ দশমিক ৭৫ টাকা কর বাড়বে। ফলে ১০০ টাকার মোবাইল সেবায় সর্বমোট ৩৯ টাকা কর দিতে হবে, যা হবে দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ।

গ্রাহকরা বলছেন, এভাবে ভ্যাট বাড়ানো সাধারণ মানুষকে শোষণ করার একটা প্রক্রিয়া। ভ্যাট বাড়ালে মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার করা অনেক কষ্ট হয়ে যাবে। তাই সরকারের কাছে আবেদন, ভ্যাট যেন বাড়ানো না হয়।

মোবাইল অপারেটররা বলছে, সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব মিলবে। করের পরিবর্তে ডাটা ব্যবহার বাড়িয়েও এ রাজস্ব আদায় সম্ভব। দেশে একজন গ্রাহক মাসে গড়ে সাড়ে ৬ জিবি ডাটা ব্যবহার করেন; ভারতে যার পরিমাণ সাড়ে ১৭ জিবি।

মোবাইল ফোনেও স্বস্তির খবর নেই। বর্তমানে হ্যান্ডসেট উৎপাদনে ৩ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ পর্যন্ত ভ্যাট দিতে হয় ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে। বিক্রয় পর্যায়ে রয়েছে ৫ শতাংশ ভ্যাট। আসছে বাজেটে এ খাতে ভ্যাট বাড়তে পারে আরও ৫ শতাংশ। এতে সরকার ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব পাবে। তবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা ফোন বিক্রি বন্ধ হলে এখাত থেকে বছরে রাজস্ব মিলবে প্রায় এক হাজার ২০০ কোটি টাকা।

মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহসভাপতি রেজোয়ানুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘৫০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছি।’

যদিও ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলছেন, মোবাইল সেবায় এবং হ্যান্ডসেট সংযোজনে কর ভার কমাতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেটের দাম এবং ভ্যাট কমানোর ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং এনবিআরের চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছি।’ বর্তমানে ব্রডব্যান্ড সেবায় ৫ শতাংশ করে তিন স্তরে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিচ্ছেন এক কোটি ৩৪ লাখ গ্রাহক।


মোবাইল বিল   ইন্টারনেট   ভ্যাট   অর্থনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি খলীকুজ্জমান, সম্পাদক আইনুল ইসলাম

প্রকাশ: ০৮:৫৪ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন . কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন অধ্যাপক . মো আইনুল ইসলাম।

কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে . কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ অধ্যাপক . মো. আইনুল ইসলামের প্যানেল সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ ২৯টি পদের মধ্যে ২৭টি পদে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেছে। নতুন কমিটি আগামী দুই বছর (২০২৪-২০২৬) দায়িত্ব পালন করবে।

শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের শেষদিন শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সভা কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সারাদেশের সাড়ে চার হাজার অর্থনীতিবিদ অংশ নেন।

অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন-সহসভাপতি যথাক্রমে . জামালউদ্দিন আহমেদ এফসিএ, জেড এম সালেহ্, . মো. লিয়াকত হোসেন মোড়ল, সৈয়দা নাজমা পারভীন পাপড়ি (স্বতন্ত্র) মো. মোস্তাফিজুর রহমান সরদার। কোষাধ্যক্ষ বদরুল মুনির। যুগ্ম সম্পাদক শেখ আলী আহমেদ টুটুল, মোহাম্মদ আকবর কবীর। সহসম্পাদক নেছার আহমেদ, মনছুর এম ওয়াই চৌধুরী, মো. জাহাঙ্গীর আলম, পার্থ সারথী ঘোষ সৈয়দ এসরারুল হক সোপেন।

কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন অধ্যাপক . আবুল বারকাত (গঠনতন্ত্রবলে), অধ্যাপক হান্নানা বেগম, অধ্যাপক . মো মোয়াজ্জেম হোসেন খান, অধ্যাপক . মো. জহিরুল ইসলাম সিকদার, অধ্যাপক শাহানারা বেগম, . নাজমুল ইসলাম, . শাহেদ আহমেদ, অধ্যাপক . মোহাম্মদ সাদেকুন্নবী চৌধুরী, অধ্যাপক . মো. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, মো. মোজাম্মেল হক, অধ্যাপক . মো. মোরশেদ হোসেন, অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান খান খোরশেদুল আলম কাদেরী।


বাংলাদেশ   অর্থনীতি   খলীকুজ্জমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

স্বর্ণের বাজারে এত অস্থিরতা কেন?

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্রমেই ঊর্ধ্বমূখী স্বর্ণের বাজার। দেশের বাজারে টানা পঞ্চমবার বাড়লো স্বর্ণের দাম। ফলে নতুন দাম নির্ধারণ হয়েছে। গত কিছু দিন ধরে বেশ কয়েকবার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ঘন ঘন দাম পরিবর্তনে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে দ্বিধাদ্বন্দ্ব। 

শনিবার (১৮ মে) সবশেষ ভালো মানের স্বর্ণের প্রতি ভরিতে বেড়েছে এক হাজার ১৭৮ টাকা। ফলে দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের বিক্রি হবে এক লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকায়। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম বাড়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আর আজ রোববার থেকে সারা দেশে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হবে। 

ব্যবসায়ীরা জানান, স্বর্ণের দামের এই হুটহাট পরিবর্তনে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাদেরও। তারা বলছেন, স্বর্ণের এই হুটহাট দাম পরিবর্তনে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রায়ই কথাকাটাকাটি হচ্ছে। কারণ তারা দেখে আসছেন এক দাম, কিন্তু বাজারে এসে দেখছেন আরেক দাম।

তবে বাজুস বলছে, বিশ্ববাজারে ঘণ্টায় ঘণ্টায় স্বর্ণের দাম ওঠানামা করায় দেশের বাজারে ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে বা ২-১ দিনের ব্যবধানে দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।

বাজুস বলছে, বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় দাম ওঠানামা করছে। এজন্য ২৪ ঘণ্টার কম সময় বা ২-১ দিনের ব্যবধানে সমন্বয় করা হচ্ছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিশ্ববাজারে দ্রুত ওঠানামা করছে স্বর্ণের দাম। মূলত ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার ও ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাবে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ওঠানামা করছে। তাই দেশের বাজারেও দাম সমন্বয় করতে বাধ্য হচ্ছে বাজুস।

বাজুসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি (পিওর গোল্ড) স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে স্বর্ণের দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস। 

২২ ক্যারেটের মূল্য যখন ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা, তখন নতুন মূল্য অনুযায়ী ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৯৬ হাজার ৯১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

তবে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ১০০ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৬ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি এক হাজার ৭১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। 

কিন্তু সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনা ৮০ হাজার ১৩২ টাকা করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ২৮৩ টাকা।


বাজুস   সোনা   দাম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

অর্থনৈতিক সংকট: তিন ইস্যুতে কঠোর হচ্ছে সরকার

প্রকাশ: ০৮:০১ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ৬ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করা হবে। টানা চতুর্থ মেয়াদের মত দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে আওয়ামী লীগ সরকারের এটিই হবে প্রথম বাজেট। আর এমন এক সময়ে এবার বাজেট দেওয়া হচ্ছে যখন অর্থনৈতিক সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। কিছু কিছু দৃশ্যমান সংকট সকলের জন্য উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

সরকারও অর্থনৈতিক সংকটের কথা অস্বীকার করছে না বরং অর্থনৈতিক সংকট সমাধানের জন্য সরকার বিভিন্ন রকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থনৈতিক সংকট নিরসনের জন্য দফায় দফায় নানা রকম সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সে সমস্ত সিদ্ধান্ত অনেক ক্ষেত্রেই তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে বলেও বিভিন্ন মহল অভিযোগ করেছেন।

বিশেষ করে ব্যাংকের সুদ সীমা উঠিয়ে দেওয়া, এক ধাপে ডলারের মূল্য ৭ টাকা বাড়ানো কিংবা ক্রলিং পদ্ধতি প্রবর্তন ইত্যাদি সিদ্ধান্তগুলো কতটা বাস্তবসম্মত, কতটা দাতাদের চাপে সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আর এ কারণেই এবারের বাজেট অর্থনীতির জন্য একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন।

সরকারের পক্ষ থেকে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন যে, এবারের বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হল মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস করা এবং জীবনযাত্রাকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা। তবে সরকারের পক্ষ থেকে আগামী অর্থ বছরে বড় অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য তিনটি ইস্যুকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এবং এই তিনটি ইস্যুতে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সরকার এই নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

যে তিনটি ইস্যুতে সরকার কঠোর হবে তার মধ্যে রয়েছে-


১. ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ
ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কী কী ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে সেটির একটি নির্দেশনা চূড়ান্ত করে ফেলেছে। এই সমস্ত ঋণখেলাপিরা ১ জুলাই থেকে বিদেশে যেতে পারবেন না, তারা কোন সুযোগ সুবিধা পাবেন না, কোন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য ট্রেড লাইসেন্স বা কোম্পানি করতে পারবেন না- ইত্যাদি নানা রকম বিধি-নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে দুষ্ট ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে।

২. দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান
আওয়ামী লীগ তার চতুর্থ দফার নির্বাচনী ইস্তেহারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি ঘোষণা করেছিল এবং দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছিল। এবার সরকার এ ব্যাপারে কঠোর হতে যাচ্ছে বলেই জানা গেছে।

চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনা এবং তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার একটি সংস্কৃতি চালু করতে চাইছে এবং সরকারি কেনাকাটায় দুর্নীতি বন্ধের জন্য সরকার আরও স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে উদ্যোগ গ্রহণ করছে। দুর্নীতির পাশাপাশি অপচয় বন্ধের জন্য সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, যা আগামী বাজেটে জানা যাবে বলে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে।

৩. অর্থ পাচার
অর্থ পাচার প্রতিরোধে সরকার গতবছর থেকেই বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু সেই উদ্যোগ সফলতার মুখ দেখেনি। অর্থ পাচার বন্ধের জন্য এবং পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য গত বছরই সরকারের পক্ষ থেকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। যারা বিদেশ থেকে অর্থ নিয়ে আসবেন তাদেরকে কোনো কিছু জিজ্ঞেস করা হবে না বলেও ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু তার ব্যাপারে কোন ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যায়নি। এখন সরকার কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে। অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করার ব্যাপারে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

ইতোমধ্যে অর্থ পাচার প্রতিরোধের জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সরকারের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। আর বিদেশে যারা অবৈধভাবে অর্থ পাচার করেছে তাদের তালিকা প্রস্তুত করার কাজটিও চলছে। তবে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, এটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়, সহজ নয়। আর এ কারণেই সরকারের পক্ষ থেকে অর্থ পাচার প্রতিরোধে দ্রুত কোনও ফলাফল নাও পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে এই তিনটি ইস্যুকে আগামী অর্থবছরের বাজেটে জোর দেওয়া হবে এবং সরকারের ধারণা খেলাপি ঋণ, দুর্নীতি এবং অর্থ পাচার বন্ধ করলে অর্থনীতির চেহারা পাল্টে যাবে।


বাংলাদেশ   ইকোনমি   সরকার   অর্থনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড ইকোনমি

এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমল ৫ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া সূচকের বড় পতনের মধ্যদিয়ে লেনদেন হয়েছে শেয়ারবাজারে। এতে সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধনও পাঁচ হাজার কোটি টাকার ওপরে কমেছে। 

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক এবং লেনদেনের গতিও কমেছে। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৮৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৯০টির। আর ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৭ হাজার ২৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ২০২ কোটি টাকা বা দশমিক ৭৪ শতাংশ।

এদিকে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৪৩ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৪৫ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বা দশমিক ৮১ শতাংশ। প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি কমেছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গত সপ্তাহজুড়ে এ সূচকটি কমেছে ৪১ দশমিক ২৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৭ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৭ শতাংশ।

আর ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচকেরও গত সপ্তাহে বড় পতন হয়েছে। গত সপ্তাহে এ সূচকটি কমেছে ৩০ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১০ দশমিক ১৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৮২ শতাংশ।

সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি লেনদেনের গতিও কমেছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭৬৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৯৬০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৯৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা বা ২০ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

আর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৮২১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয় ৪ হাজার ৮০২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ৯৮১ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ই-জেনারেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৬ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ২৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাভেলো আইসক্রিম।

এছাড়া লেনদেনে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস, বেস্ট হোল্ডিং, ওরিয়ন ইনফিউশন, গোল্ডেন সন, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ফারইস্ট নিটিং এবং অ্যাডভেন্ট ফার্মা।


ডিএসই   মূলধন   শেয়ারবাজার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন