বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের
(বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূরকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়া বা চনপাড়ার আশপাশে
কোথাও খুন করা হয়েছে বলে ছায়া তদন্তে উঠে এসেছে। এরই সঙ্গে চনপাড়াকেন্দ্রিক অপরাধী
চক্রের সদস্যরা এই খুনে জড়িত এ নিয়েও সন্দেহ বাড়ছে।।
তবে কেন ফারদিনকে হত্যা করা হলো কিংবা
কেনইবা তাঁকে চনপাড়ায় নেওয়া হলো—এ বিষয়ে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তারা।
ফারদিনের গতিবিধি পর্যালোচনা করে ছায়া
তদন্তের সঙ্গে যুক্ত একটি সংস্থার তদন্তকারীরা বলছেন, রাত ১০টার পর থেকে রাত আড়াইটা
পর্যন্ত ফারদিনের গতিবিধির হিসাব মেলাতে পারছেন না তাঁরা। পরদিন একটি গুরুত্বপূর্ণ
পরীক্ষা থাকার পরও কেন তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন, এ নিয়েই রহস্য তৈরি হয়েছে।
৪ নভেম্বর দিবাগত রাতে ফারদিন নিখোঁজ
হন। পরদিন ৫ নভেম্বর রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তাঁর বাবা কাজী নূর উদ্দিন।
সেই জিডির তদন্ত করেছে রামপুরা থানা-পুলিশ। নিখোঁজের তিন দিন পর ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের
শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। এ ঘটনায় ৯ নভেম্বর তাঁর বন্ধু
আয়াতুল্লাহ বুশরাকে আসামি করে মামলা করেন তাঁর বাবা নূর উদ্দিন। পাঁচ দিনের রিমান্ড
শেষে বুশরা কারাগারে আছেন।
ফারদিনের বাবা কাজী নূর উদ্দিন বলেন,
পরদিন ফারদিনের পরীক্ষা ছিল। সুতরাং আগের রাতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তাঁর ঘুরে বেড়ানোর
কথা নয়।
ফারদিনের ঘোরাফেরা
ফারদিন বেলা তিনটার দিকে ডেমরার বাসা
থেকে বুয়েটের উদ্দেশে বের হন। তবে তিনি হলে না গিয়ে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত
বন্ধু বুশরার সঙ্গে ছিলেন।
রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি বুশরাকে রামপুরায়
নামিয়ে দেন। মুঠোফোনের প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায়, রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে তিনি
কেরানীগঞ্জে, রাত ১০টা ৫৩ মিনিটে বাবুবাজার ব্রিজ এলাকায়, রাত ১১টা ৯ মিনিটে জনসন রোড
এলাকায় এবং দিবাগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটে গুলিস্তানের পাতাল মার্কেট এলাকায় ছিলেন। পরে
রাত ২টা ১ মিনিটে যাত্রাবাড়ীর বিবিরবাগিচা এলাকায় তাঁর অবস্থান ছিল।
একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, রাত ২টা ৩ মিনিটে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে চারজনের সঙ্গে লেগুনায় ওঠেন ফারদিন। রাত ২টা ১৩ মিনিটে তিনি ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার মোড়ে নেমে ওই চারজনের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। রাত ২টা ২৩ মিনিটে চনপাড়ায় যান। রাত ২টা ৩৪ মিনিটে সেখানেই তাঁর মুঠোফোন বন্ধ হয়ে যায়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সাবেক ভূমিমন্ত্রী দুর্নীতি দুদক সাইফুজ্জামান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
মাহমুদা খানম মিতু পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি ‘দুবাই আনলকড’ শিরোনামে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দুবাইয়ে সারা বিশ্ব থেকে অর্থপাচারকারীদের অর্থের এক ফিরিস্তি দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যক্তিদের নাম যেমন আছে তেমনি আছে বাংলাদেশের নামও। ‘দুবাই আনলকড’ শীর্ষক এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ৩৯৪ জন বাংলাদেশির ২ হাজার ছয়শ ৩৬ কোটি টাকা মূল্যের ৬৪১ টি সম্পত্তি রয়েছে বলে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের যারা দুবাইয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।