ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বাচিপের ৫ম জাতীয় সম্মেলন আজ

প্রকাশ: ০৮:০৩ এএম, ২৫ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) ৫ম জাতীয় সম্মেলন আজ। রাজধানীর ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীসহ সারাদেশ থেকে চিকিৎসক ও আমন্ত্রিত অতিথিরা সকাল ১০টা থেকে সম্মেলন স্থলে আসা শুরু করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনে উপস্থিত হবেন দুপুর ২টা ৩০মিনিটে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেল ৩টা ১০মিনিটে স্বাচিপের নিজস্ব কার্যালয় উদ্বোধন করবেন।

সাত বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সম্মেলনকে ঘিরে চিকিৎসকদের মধ্যে নানামুখী আলাপ-আলোচনা চলছে। স্বাচিপের সম্মেলনে সভাপতি ও মহাসচিব পদে কারা আসছেন, তা নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।

সম্মেলনে বিশেষ অথিতি হিসবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক, পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছে আলী, অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য এবং সম্মেলন প্রস্তুতি উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ, স্বাচিপের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনসহ আরও অনেকেই।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সমর্থক চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) গঠিত হয় ১৯৯৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর। স্বাচিপের প্রতিষ্ঠাকালে অধ্যাপক এম এ কাদেরী সভাপতি ও মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সালের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে অধ্যাপক আ ফ ম রুহুল হক সভাপতি ও অধ্যাপক এম ইকবাল আর্সলান মহাসচিব নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১৫ সালে অধ্যাপক এম ইকবাল আর্সলান সভাপতি ও অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ মহাসচিব নির্বাচিত হন।


স্বাচিপ   নির্বাচন   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ওই কর্মকর্তার অপেক্ষায় ২১৮ দিন ফাঁকা চেয়ার!

প্রকাশ: ০২:৩৮ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail ওই কর্মকর্তার অপেক্ষায় ২১৮ দিন ফাঁকা চেয়ার!

পারিবারিক কারণ দেখিয়ে মাত্র ৩ দিনের ছুটি নিয়েছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুরেজা তালুকদার। এরপর আর খোঁজ নেই। অফিসে আসেন না ৭ মাস ধরে। তাকে দফায় দফায় লিখিত তলব করেছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। তারপরও হদিস মেলেনি। এমনকি তিন দিনের ছুটি তিন মাস গড়ানোর মধ্যেই বদলির আদেশ দেয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর। নতুন কর্মস্থলেও যোগদান না করে অনুপস্থিত থাকেন তিনি। ওই কর্মকর্তার অপেক্ষায় ২১৮ দিন ফাঁকা চেয়ার!

বিভাগীয় ও জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ডা. মো. আবুরেজা তালুকদার গত বছরের আগস্টের ১৫ থেকে ১৭ তারিখ মোট তিন দিনের ছুটি নিয়েছিলেন। পারিবারিক জরুরি কাজ জানিয়ে তিনি কর্মস্থল ত্যাগ করেন। ১৭ দিন পেরিয়ে গেলে সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখে গণকর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ, ১৯৮২ অনুযায়ী কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান। একই সঙ্গে বিভাগীয় ও প্রাণিসম্পদ মহাপরিচালক বরাবর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি। কিন্তু তাতে কোনো সদুত্তর মেলেনি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গত বছরের ১৪ আগস্ট সর্বশেষ অফিস করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুরেজা তালুকদার। এরপর তার মেয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য পারিবারিক কারণ দেখিয়ে তিন দিনের ছুটি নেন। তবে কি কারণে গত ৭ মাস অফিসে অনুপস্থিত- তা নিশ্চিত করে কেউই বলতে পারেননি। এদিকে, দীর্ঘ ৭ মাস পর চলতি বছরের ১৩ মার্চ অফিসে এসেছিলেন আবুরেজা তালুকদার।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের অফিস সহকারী তরিকুল ইসলাম জানান, গত ৭ মাসে একদিনও অফিসে আসেননি ইউএলও মো. আবুরেজা তালুকদার স্যার। কি কারণে বা কেন আসেননি তা আমরা বলতে পারব না। তবে তার অনুপস্থিতির কারণে একটি প্রকল্পের পুরো অর্থ ফিরে গেছে। এছাড়াও বাধাগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ। 

এলএইও ডা. শামীমা নাসরিন জানান, স্যার গত বছরের আগস্টে তিন দিনের ছুটি নিয়ে এখন পর্যন্ত একদিনও অফিস করেননি। প্রকল্পের কাজ যখন আটকে গিয়েছিল তখন ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. আখতারুজ্জামান স্যারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি কাজগুলো করিয়ে নেন। আমরা এভাবেই কাজ করে যাচ্ছি সমস্যার মধ্য দিয়ে। স্যার কোথায় আছেন, কেন আসেননি আমরা তা জানি না।

ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. আখতারুজ্জামান জানান, ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট স্যার (আবুরেজা তালুকদার) সর্বশেষ অফিস করেছেন। এরপর গত ১৩ মার্চ হঠাৎ করেই দীর্ঘ ৭ মাস পর অফিসে এসেছিলেন। এরপর গত কয়েকদিনে আর আসেননি। এমনকি এই ৭ মাসের মধ্যে তার বদলির আদেশ হলেও এখানকার চার্জ বুঝিয়ে দেননি। ১৩ মার্চ এসে অনুপস্থিতির কারণ জানিয়ে ছুটির আবেদন করেছেন বলে জানতে পেরেছি। তার অনুপস্থিতির কারণে অফিসের আর্থিক ব্যবস্থাপনার সব কার্যক্রম বন্ধ ছিল। গত ৪ মার্চ থেকে যা আমি করছি। ১৪ আগস্টের পর দীর্ঘ এক মাসের অধিক সময় তার উপস্থিতির (হাজিরা) সইয়ের স্থান ফাঁকা ছিল। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নির্দেশে আমি তার হাজিরার জায়গায় সই করছি। আমার কাজ মূলত চিকিৎসা দেওয়া হলেও তার অনুপস্থিতির কারণে অনেক অফিসিয়াল কাজ করতে হচ্ছে। এতে চিকিৎসা প্রদান ব্যাহত হচ্ছে চরমভাবে।


ওই কর্মকর্তা   অপেক্ষা   ২১৮ দিন ফাঁকা চেয়ার!  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রমজানের প্রথম জুমায় মুসল্লিদের ঢল

প্রকাশ: ০২:৩২ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

নারায়ণগঞ্জে পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম জুমার নামাজে মসজিদগুলোতে মুসুল্লিদের ঢল দেখা গেছে।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) নামাজের আগে শহরের মাসদাইর সিটি করপোরেশন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, চাষাঢ়া নূর মসজিদ, ডিআইটি মসজিদ, চাষাঢ়া রেললাইন মসজিদ, বাগে জান্নাত মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে এ চিত্র দেখা গেছে।

ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা এদিন নামাজের আগে থেকে বয়ান শুনতে মসজিদগুলোতে উপস্থিত হন। প্রতিটি মসজিদে রমজান মাসের ইমান, আমল ও গুরুত্ব নিয়ে বিশেষ বয়ান করা হয়। নূর মসজিদ, ডিআইটি মসজিদ, রেললাইন মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে নামাজের সারি মসজিদ পেরিয়ে মূল সড়কে চলে যায়।

সিটি করপোরেশন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মেহেদী হাসান বলেন, আজ মাহে রমজানের প্রথম জুমা।  ভিড় একটু বেশি হবে জেনে আগে আগে এসেছি। এ মাসে বেশি বেশি ইবাদত করে আমরা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে চাই।

সিটি করপোরেশন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম বদরশাহ বলেন, আজ মুসল্লিরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে মসজিদে এসেছেন। রমজানে আল্লাহর বিশেষ নেয়ামতের আশায় এখানে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

রমজান   মুসল্লি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১২:৪২ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

ঝালকাঠির রাজাপুরে বিআরটিসি বাস দুর্ঘটনায় বাসের সুপারভাইজারসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকালে সড়কের পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (রাজাপুর সার্কেল) মাসুদ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিস্তারিত আসছে...

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তিস্তা নিয়ে চিঠি, দিল্লির জবাবের অপেক্ষায় ঢাকা

প্রকাশ: ১১:২৬ এএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

অভিন্ন তিস্তা নদীর বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণের জন্য ভারতকে দেওয়া ভারবাল নোট বা কূটনৈতিক চিঠির জবাবের অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ। নয়াদিল্লি থেকে এখনো চিঠির কোনো জবাব আসেনি। জবাব পেলে তিস্তা বিষয়ে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন।

সম্প্রতি পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তিস্তায় প্রবাহ হ্রাস করার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলোর ব্যাখ্যা চেয়ে বাংলাদেশ নয়াদিল্লিতে ভারবাল নোট পাঠিয়েছে। এর কয়েকদিন পর মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এ তথ্য করেছেন।

সেহেলি সাবরিন বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে পানির প্রবাহ হ্রাসের বিষয়ে ভারবাল নোট বা কূটনৈতিক চিঠি পাঠিয়েছে। একই সঙ্গে আন্তঃসীমান্ত অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের জন্য দীর্ঘ প্রত্যাশিত চুক্তি করতে বাংলাদেশের বিশেষ আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।

নিউইয়র্কে চলমান জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে ঢাকা আন্তঃসীমান্ত নদীর পানি বণ্টনের বিষয়টি উত্থাপন করেছে কি না, জানতে চাইলে সাবরিন বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশ পানিসম্পদের টেকসই উন্নয়নের বিষয়ে দেশের জাতীয় নীতি তুলে ধরেছে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে। ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরকালে ঢাকা এবং নয়াদিল্লি তিস্তা চুক্তি সই করার জন্য নির্ধারিত ছিল। তখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিরও সে সফরে থাকার কথা ছিল। কিন্তু মমতা চুক্তির বিরোধিতা করে শেষ মুহূর্তে নিজের সফর বাতিল করেন। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও বাংলাদেশ চুক্তি স্বাক্ষরে সায় দিলেও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বিরোধিতার মুখে তা আলোর মুখ দেখেনি।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলায় সেচের উদ্দেশে তিস্তার পানি সরানোর জন্য দুটি নতুন খাল খননের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার তিস্তার পানি ব্যবহার করে দুটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। যা বাংলাদেশের ভাটির দিকে পানি প্রবাহকে প্রভাবিত করবে।

কদিন আগেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ নয়াদিল্লির সঙ্গে যে কোনো বিরোধ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।

১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা আগের মেয়াদে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা দূর করে গঙ্গার পানি বণ্টনের বিষয়ে একটি যুগান্তকারী ৩০ বছরের চুক্তি সই করেছিলেন। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতি বসু। চুক্তিটি শুষ্ক মৌসুমে গঙ্গা নদীতে ন্যূনতম পানি প্রবাহ নিশ্চিত করেছিল।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভাত খেতে চাইলেন বানারীপাড়ার মনোয়ারা বেগম

প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের পাকা ঘর ও দুই শতক জমি পেয়েছেন বরিশালের বানারীপাড়ার মনোয়ারা বেগম সুন্দরী। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভাত খাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন মনোয়ারা বেগম।

তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি আমার মা। মা জীবনে আপনার কাছে আর কিছুই চাই না। আপনি জমিসহ পাকা ঘর দিয়েছেন। আপনার সঙ্গে একসাথে বসে একটু খেতে চাই। আমার জীবনে আর কোনো চাওয়া পাওয়া নেই।

স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ১৮ বছর আগে আপনার সঙ্গে বসে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় ভাত খেয়েছিলাম, নামাজ আদায় করেছিলাম। এবার আপনি বানারীপাড়ায় আসবেন। আপনার সঙ্গে বসে একটু ভাত খাব। এটাই আমার জীবনের শেষ চাওয়া।

বুধবার (২২ মার্চ) সকালে গণভবন থেকে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় আবেগাপ্লুত মনোয়ারা বেগম সুন্দরী কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে ভাত খাওয়ার আবদার জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার আবেগঘন কথা শুণে অশ্রুসজল হয়ে পড়েন এবং বলেন, আমি আসবো বানারীপাড়ায়।

মনোয়ারা বেগম বলেন, ১৯৭১ সালে পাকবাহিনী আমাদের ঘর বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। তারপর আমার মা ভিক্ষা করে একটা ঘর তুলেছিল। সেই ঘরও বন্যা নিয়ে যায়। এরপর আর নিজের ঘরে থাকতে পারিনি। আজ আপনি ঘর দিয়েছেন। আমি পাকা ঘর পেয়েছি এটা স্বপ্ন না সত্যি বিশ্বাস করতে পারছি না।

তিনি বলেন, বানারীপাড়া সাধারণ মানুষের আপনাকে দেখার জন্য অপেক্ষায় আছে। মা আপনি একবার বানারীপাড়া আসেন। বানারীপাড়া গরীব দুঃখী সাধারণ মানুষের একমাত্র ভরসা আপনি, আপনি আবারও প্রধানমন্ত্রী হন। হাজার বছর প্রধানমন্ত্রী থাকেন এ দোয়া করি। আপনারও মা-বাবা, ভাই নেই আমারও মা-বাবা, কোন ভাই-বোন নেই। বানারীপাড়া থেকে আপনাকে আবারও জয়েরমালা পড়াবো।



মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন