প্রেস ইনসাইড

এবার ব্যাংকিং খাতে সংকট সৃষ্টির মিশনে ‘প্রথম আলো’

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৬ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

বাংলাদেশ গত কিছুদিন ধরে ব্যাংকে তারল্য সংকট নিয়ে গুজব এবং অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এই ব্যাপারটি শুরু হয়েছিল দুই সপ্তাহ আগে থেকে। সেদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির কয়েকজন নেতা এবং কিছু ব্যক্তি ব্যাংকে গিয়ে টাকা পাননি বলে মর্মে অভিযোগ করেছেন। এ অভিযোগে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। তিনি তার ফেসবুক পেইজে একটি ব্যাংকে গিয়ে দুই লাখ টাকা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন, যেখানে তার ব্যাংকের একাউন্টে টাকা ছিল মাত্র ৫ হাজার। কিন্তু বিএনপির অন্য দুই জন নেতার ব্যাপারে কোনো আলাপ-আলোচনাই হচ্ছেনা। বাংলাদেশে এখন গুজব ছড়ানো এবং সরকারকে চাপে ফেলার কৌশল হিসেবে প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা অপপ্রচার ছড়িয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। এরপর ওই বিষয়টি নিয়ে সুশীল সমাজের লোকজন কথাবার্তা বলেন এবং তারপর সুশীল সমাজ নিয়ন্ত্রিত দুটি মূলধারার গণমাধ্যম প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার এ নিয়ে লাগাতার প্রতিবেদন প্রকাশ করে জনগণকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করায় যে, একটি সংকট রয়েছে। পরবর্তীতে এটিকে একটি জাতীয় ইস্যু করা হয় এবং জোর করে একটি সংকট সৃষ্টির চেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। যেমন- সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকে তারল্য সংকট নিয়ে। প্রথমে এটি নিয়ে গুজব ছড়ানো হলো। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হলো যে, ব্যাংকে কোনো তারল্য সংকট নেই। কিন্তু তারপরও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গুজবকে এখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হচ্ছে এবং এই রূপ দেয়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব নিয়েছে বাংলাদেশের সুশীল সমাজ নিয়ন্ত্রিত মাইনাস ফর্মুলার প্রবর্তক পত্রিকা প্রথম আলো।

প্রথম আলো গত ২২ নভেম্বর ‘খেলাপি ঋণ কমাতে হবে’ শিরোনামে লিড নিউজ প্রকাশিত হয়েছে। সেই সংবাদে বলা হয়েছে, ছয় সরকারি ব্যাংকে খেলাপি ঋণ ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ, সেটিকে আইএমএফ শর্ত দিয়েছে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের আকার ছোট করতে বলা হয়েছেসহ বিভিন্ন আইএমএফের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কিন্তু এই রিপোর্টের সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো যে, আইএমএফ যে শর্তগুলো দিয়েছে সেটি নিয়েই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবেদনে ঋণ খেলাপির বিষয়টিকে সামনে নিয়ে আসা হয়েছে যেন ব্যাংকিং খাতের প্রতি মানুষের অনাস্থা তৈরি হয়। পরেরদিন অর্থাৎ ২৩ নভেম্বর প্রথম আলো আরেকটি লিড নিউজ করেছে। সেটি হলো টাকাও এখন দামি হয়ে উঠছে, ব্যাংকে তারল্য পরিস্থিতি। এই শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে যে, মার্কিন ডলারের মতো টাকার দামও ধীরে ধীরে বাড়ছে। ব্যাংকগুলো আগের চেয়ে বেশি সুদে অন্য ব্যাংক থেকে টাকা ধার করছে। আবার কোনো কোনো ব্যাংক আমানতের সুদও বাড়াচ্ছে। এমন পরিস্থিতি হয়েছে মূলত ডলার বৃদ্ধি এবং সংকটের জন্য। কারণ, ডলার বিক্রি করে ব্যাংকগুলো থেকে প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক তুলে নিয়েছে। অর্থাৎ এই প্রতিবেদনটি যদি কেউ ভালো মতো পড়ে তাহলে বুঝতে পারবে যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে তাকে পরিশীলিত ভাবে সত্য হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করা হয়েছে। পরোক্ষ ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে, ব্যাংকে তারল্য সংকট নেই বলে বাংলাদেশ ব্যাংক যেটি বলছে সেটি আসলে সঠিক নয়। ব্যাংকের তারল্য সংকট আস্তে আস্তে দৃশ্যমান হচ্ছে।

আর ২৪ নভেম্বর তৃতীয় রিপোর্টে ইসলামী ব্যাংকে ‘ভয়ংকর নভেম্বর’ হিসেবে একটি আলোচিত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে ইসলামী ব্যাংক থেকে নভেম্বরে তুলে নেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে তিন ব্যাংকের সন্দেহজনক লেনদেন নয় হাজার পাঁচশ কোটি টাকা। ইসলামী ব্যাংক আজ একটি বিবৃতিতে বলেছে যে, ইসলামী ব্যাংক লি: ৪০ বছর ধরে সুনামের সাথে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এবং কোনো ঋণই ভৌতিক ঋণ দেওয়া হয়নি এবং ইসলামী ব্যাংক গ্রাহকের ব্যবসায়িক স্থাপনা, চলতি মূলধনের প্রয়োজনীয়তা, ব্যবসায়িক দক্ষতা-অভিজ্ঞতা ও সরবরাহ ব্যবস্থাপনাসহ ব্যাংকের বিনিয়োগ নীতিমালা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা অনুসরণ করেই বিনিয়োগ প্রদান করছে, এটি কোনো অস্বাভাবিক বা ভৌতিক ঋণ নয় বলে তারা জানিয়েছে। কিন্তু প্রথম আলো টানা তিনদিন তিনটি প্রতিবেদনের মধ্য দিয়ে কি প্রমাণ করতে চেয়েছে? তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে পরিকল্পিত গুজব ছড়ানো হচ্ছিলো যে ব্যাংকিং তারল্য সংকট সেটিকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার চেষ্টা করছে। মানুষ যেন ব্যাংকে টাকা না রাখে এবং ব্যাংকগুলো যেন গ্রাহকদের টাকা তোলার চাপে বিপর্যস্ত হয় সেই মিশনেই কি প্রথম আলো অংশীদার? অতীতের মতো আবার কি প্রথম আলো সেই বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়াকে উস্কে দেওয়ার জন্য একের পর এক ব্যাংকিং খাতের সর্বনাশ ডেকে আনার চেষ্টা করছে?


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

বাংলাদেশ প্রতিদিনের ১৪ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের শুভেচ্ছা

প্রকাশ: ০৮:২৫ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশ প্রতিদিনের ১৪ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেড,পরিপ্রেক্ষিত এবং বাংলা ইনসাইডারের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। রোবাবার (১৯ মার্চ) বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এই শুভেচ্ছা জানানো হয়। 

কেক কেটে ১৪ বছরে পদার্পণ অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়। এ সময় ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের হেড অফ এইচ আর এন্ড এডমিন মাহাবুবুর রহমান ও বাংলা ইনসাইডারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত ছিলেন চিফ রিপোর্টার আসিফ আলম। 

এ সময় তারা বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজামের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং বাংলাদেশ প্রতিদিনের আগামীর পথচলা যেন আরও সুন্দর হয় সেই শুভকামনা জানান।

এদিকে সকাল থেকে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশনের নবরাত্রি সেন্টারে বাংলাদেশ প্রতিদিনের ১৪ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তি থেকে শুরু করে শোবিজের অনেক তারকাই এসেছিলেন শুভেচ্ছা জানাতে। 


বাংলাদেশ প্রতিদিন   ক্রিয়েটিভ মিডিয়া  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

গণমানুষের সংবাদপত্র গড়ে তোলা একটি বড় চ্যালেঞ্জ: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:৫৪ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বর্তমান দ্রুততার প্রতিযোগিতার মধ্যে ঠিক সাংবাদিকতা, ঠিক সংবাদ পরিবেশন এবং একটি সংবাদপত্রকে গণমানুষের সংবাদপত্র হিসেবে গড়ে তোলা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।’

তিনি বলেন, ‘দেশে গত ১৪ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ বা এক্সপোনেন্সিয়াল গ্রোথের পাশাপাশি অনেকগুলো চ্যালেঞ্জও যুক্ত হয়েছে। শুরু হয়েছে সবার আগে সর্বশেষ সংবাদ দেওয়ার প্রতিযোগিতা। আর এটি করতে গিয়ে দেখা যায় এমন অনেক সংবাদ পরিবেশিত হয় যেগুলো আসলে ঠিক নয় এবং বিভ্রান্তিকর। অনলাইনের ক্ষেত্রে এটি বেশি ঘটে। এ কারণেই স্বাধীনতার পাশাপাশি প্রয়োজন দায়িত্বশীলতা।’

রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে দৈনিক দেশ বর্তমান পত্রিকার নবরূপে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পত্রিকা বা যে কোনো গণমাধ্যম শুধুমাত্র সংবাদ পরিবেশন কিম্বা বিনোদনের জন্য নয়। একটি পত্রিকা মানুষের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়, অনুন্মোচিত বিষয়গুলোকে উন্মোচিত করতে পারে। সমাজ, রাষ্ট্র, সরকার যে দিকে দৃষ্টিপাত করছে না, সে দিকে দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে এবং করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দিতে পারে।’

মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা একটি বহুমাত্রিক গণতান্ত্রিক বিতর্কভিত্তিক সমাজে বসবাস করি। এই গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অবশ্যই প্রয়োজন। বাংলাদেশে গণমাধ্যম যে পরিমাণ স্বাধীনতা ভোগ করে, যেভাবে অবাধে সবকিছু লিখতে পারে পৃথিবীর অনেক উন্নয়নশীল দেশে সেটি পারে না। অনেক উন্নত দেশেও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যেমন আছে একইভাবে তাদের কাজ ও প্রকাশ সম্পর্কে দায়িত্বশীলও থাকতে হয়। সেখানে ভুল বা অসত্য সংবাদের জন্য জরিমানা গুণতে হয়, শাস্তি পেতে হয়। আমাদের দেশে এমন নজির এখনো হয়নি। মাঝে মধ্যে প্রেস কাউন্সিল থেকে তিরস্কার করা হয়েছে। কারণ তিরস্কার করা ছাড়া কাউন্সিলের আর কোনো ক্ষমতা নাই। সুতরাং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পাশাপাশি আমাদের সবার সম্মিলিত দায়িত্বশীলতাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’ 

একই সাথে একটি সংবাদপত্র শিশু-কিশোর, তরুণ ও যুব সমাজের মনন তৈরিতে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমার ছেলেবেলায় অনেক দৈনিক পত্রিকায় ছোটদের পাতা থাকতো, সেখানে আমিও লিখেছি, সেটি অনেক আনন্দের। কিন্তু এখন আর ছোটদের পাতা নেই, হারিয়ে গেছে। রূপচর্চার পাতা আছে, রান্নাবান্নার পাতা আছে কিন্তু ছোটদের পাতা অনেক ক্ষেত্রে হারিয়ে গেছে। দৈনিক দেশ বর্তমান পত্রিকার কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাবো, যেন সপ্তাহে না হোক, অন্তত ১৫ দিনে ছোটদের একটা পাতা থাকে। এটি আমাদের কিশোর-তরুণদের মনন তৈরি এবং প্রতিভা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’ 

সম্প্রচারমন্ত্রী এ সময় পত্রিকায় সমাজের অনুন্মোচিত বিষয়গুলো নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করাকে উৎসাহ দিয়ে বলেন, ‘রাস্তায় যে পাগলটা বিড়বিড় করে কথা আওড়ায় তার পাগল হওয়ার পেছনে একটা গল্প আছে। কিন্তু কেউ তা শোনে না, শোনার প্রয়োজনও মনে করে না। যে মানুষটি নদী ভাঙ্গনে কিম্বা অন্য কারণে বাস্তুচ্যুত হয়ে শহরের ফুটপাতে আশ্রয় নিয়েছে তাদের স্বপ্নের কথা কেউ লেখে না। যে মেয়েটি পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে হয়তো নিষিদ্ধ কোনো জায়গায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে, তার বেদনার কথা কেউ ভাবে না, লেখে না। সেগুলোও  উন্মোচিত হওয়া প্রয়োজন।’ 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার গণমাধ্যমের বিকাশের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, কাজ করে যাচ্ছে। সে কারণে ২০০৯ সালে যেখানে দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ছিল মাত্র সাড়ে ৪শ’ এটি এখন সাড়ে ১২শ’র বেশি। টেলিভিশনের সংখ্যা ছিল ১০টি এখন সম্প্রচারে আছে ৩৬টি, আরো কয়েকটি খুব সহসা সম্প্রচারে আসবে। বেসরকারি রেডিও লাইসেন্স দেওয়া আছে ২৪টি, ১৪-১৫টি সম্প্রচারে আছে। কমিউনিটি রেডিও’র লাইসেন্স দেওয়া আছে প্রায় ৩ ডজনের কাছাকাছি এবং বেশির ভাগই সম্প্রচারে আছে। একই সাথে গত ১৪ বছরে অনলাইন গণমাধ্যমেরও ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে, হাজার হাজার অনলাইন প্রকাশিত হয়, আমাদের কাছে ৫ হাজারের বেশি আবেদন আছে রেজিস্ট্রেশনের জন্য। ইতিমধ্যে কয়েকশ’ রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে।’ 

দৈনিক দেশ বর্তমান পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাসিরুদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা এবং ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, দৈনিক দেশ বর্তমান পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এস এম জমির উদ্দিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, সিনিয়র সাংবাদিক  শাহিন উল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ। 

বক্তৃতাপর্ব শেষে কেক কেটে পত্রিকার নবরূপে প্রকাশ উদ্বোধন করেন অতিথি ও আয়োজকবৃন্দ।    


তথ্য   সম্প্রচারমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ   পত্রিকা   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

সিন্ডিকেট রিপোর্ট সাংবাদিকতার জন্য খারাপ: পিআইবি মহাপরিচালক

প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ১৮ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ।

প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেছেন, ‘সিন্ডিকেট রিপোর্ট সাংবাদিকতার জন্য খারাপ। ঢাকার সাংবাদিকতার মান খুবই নিম্ন। একজন একটা রিপোর্ট করলে ওই একই রিপোর্ট আরও তিন চারজন করে। ফলে সিন্ডিকেট সাংবাদিকতা তৈরি হয়েছে।’

শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুর দুইটায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে 'তারুণ্যের বোঝাপড়ায় বাংলাদেশের সাংবাদিকতা' শীর্ষক এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিআইবি'র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, আমাদের দেশে প্রেসক্লাবে অনেক লোক আছে যারা কলম চালাতে জানে না। আমরা অনেক মিডিয়া তৈরি করেছি কিন্তু সাংবাদিক তৈরি করতে পারিনি। আমরা প্রেস ইন্সটিটিউট নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি কিন্তু সাংবাদিকরা সেভাবে কাজ করে না। আবার অনেক জেলার সাংবাদিক আছে যারা প্রশিক্ষণ নিয়ে খুবই ভালো কাজ করে।

জাফর ওয়াজেদ বলেছেন, আমাদের দেশে অনেকে আছে যাদেরকে বলা হয় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাংবাদিক। কিন্তু তাদের লেখা খুঁজে পাওয়া যায় না। কেউ না লিখলে সে সাংবাদিক হয় কীভাবে? আমাদের দেশে সাংবাদিক বাড়লেও সাংবাদিকতার মান বাড়েনি। তিনি বলেন, আমাদের দেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগ রয়েছে। কিন্তু সাংবাদিকতার মান বাড়েনি। আমাদের দেশে এখন অজস্র গণমাধ্যম কিন্তু এমন কোনো রিপোর্টার নেই যার রিপোর্ট পড়ার জন্য পাঠক অপেক্ষায় থাকে। আর বর্তমানে প্রযুক্তির এমন বিকাশ ঘটেছে যে এই সাংবাদিকতা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে এখনই স্পষ্ট বলা যাচ্ছে না।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে 'তারুণ্যের বোঝাপড়ায় বাংলাদেশের সাংবাদিকতা' শীর্ষক এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিআইবি'র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, আমাদের দেশে প্রেসক্লাবে অনেক লোক আছে যারা কলম চালাতে জানে না। আমরা অনেক মিডিয়া তৈরি করেছি কিন্তু সাংবাদিক তৈরি করতে পারিনি। আমরা প্রেস ইন্সটিটিউট নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি কিন্তু সাংবাদিকরা সেভাবে কাজ করে না। আবার অনেক জেলার সাংবাদিক আছে যারা প্রশিক্ষণ নিয়ে খুবই ভালো কাজ করে।

জাফর ওয়াজেদ বলেছেন, আমাদের দেশে অনেকে আছে যাদেরকে বলা হয় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাংবাদিক। কিন্তু তাদের লেখা খুঁজে পাওয়া যায় না। কেউ না লিখলে সে সাংবাদিক হয় কীভাবে? আমাদের দেশে সাংবাদিক বাড়লেও সাংবাদিকতার মান বাড়েনি। তিনি বলেন, আমাদের দেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগ রয়েছে। কিন্তু সাংবাদিকতার মান বাড়েনি। আমাদের দেশে এখন অজস্র গণমাধ্যম কিন্তু এমন কোনো রিপোর্টার নেই যার রিপোর্ট পড়ার জন্য পাঠক অপেক্ষায় থাকে। আর বর্তমানে প্রযুক্তির এমন বিকাশ ঘটেছে যে এই সাংবাদিকতা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে এখনই স্পষ্ট বলা যাচ্ছে না।


প্রেস ইনস্টিটিউট   বাংলাদেশ   মহাপরিচালক   জাফর ওয়াজেদ   সাংবাদিকতা  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

বাঙালি গুণিদের সম্মান করে বলেই বঙ্গবন্ধুর মতো মহান ব্যক্তিত্বের জন্ম হয়েছে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৫:৫৬ পিএম, ১৮ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, ‘বাঙালি জাতি গুণিদের সম্মান দিতে জানে বলেই এ ভূখণ্ডে বঙ্গবন্ধুর মতো মহান ব্যক্তিত্বের জন্ম হয়েছে। যাঁর সুমহান নেতৃত্বে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। যে দেশে গুণীর কদর নেই, সে দেশে গুণী জন্মায় না।’ 

শনিবার (১৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার মেলা ভবন মিলনায়তনে পুষ্পকলির কথা পত্রিকা ও পুষ্পকলি শিশু সংগঠনের ৫ম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষ্যে ‘পুষ্পকলি সাহিত্য সম্মেলন’ ও ‘কবি কুসুমকুমারী দাশ পদক ২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, লেখক ও জার্মান বাংলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খান লিটন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তৃতা করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রূপা চক্রবর্তী, একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণিজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (প্রশাসন) আতিকা ইসলাম পিপিএম, এনডিসি ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশু সাহিত্যিক রহিম শাহ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন পুষ্পকলির কথা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং পুষ্পকলি শিশুসাহিত্য সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শামীমা সুলতানা। 

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বরেণ্য ব্যক্তিদের সম্মান জানানোর মহতী উদ্যোগ নেয়ায় অনুষ্ঠানের আয়োজকদের সাধুবাদ জানান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার আশ্বাস প্রদান করেন।


সংস্কৃতি   প্রতিমন্ত্রী   কে এম খালিদ   এমপি   পুষ্পকলি সাহিত্য সম্মেলন   কবি কুসুমকুমারী দাশ পদক ২০২২  


মন্তব্য করুন


প্রেস ইনসাইড

সাংবাদিকের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ: ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রধান বিচারপতির

প্রকাশ: ০২:৪৫ পিএম, ১৫ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ঘিরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের বেপরোয়া হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিকরা। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক।

সাংবাদিকদের ওপর লাঠিচার্জ ও মারধরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি বলেছেন, এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত। দায়িত্ব পালনের সময় সবার সতর্ক হওয়া উচিত। এসময় তিনি অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে প্রধান বিচারপতির দপ্তরে ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতির নেতৃত্বে সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধি দল অভিযোগ জানাতে গেলে তিনি এ আশ্বাস দেন। এসময় প্রধান বিচারপতি সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকার, সাধারণ সম্পাদক আহমেদ সারওয়ার ভুঞা, সহ-সভাপতি দিদারুল আলম দিদার, সাবেক সভাপতি এম বদিজ্জামান ও সাবেক সভাপতি ওয়াকিল আহমেদ হিরন।


প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাংবাদিকদের সাক্ষাতের সময় আপিল বিভাগের সব বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন। এদিন দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর লাঠিচার্জ ও মারধর করে পুলিশ। এতে বেশ কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক আহত হয়েছেন।  লাঠিচার্জে আহত হন এটিএন নিউজের রিপোর্টার জাবেদ আক্তার, আজকের পত্রিকার রিপোর্টার এস এম নূর মোহাম্মদ, জাগো নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার ফজলুল হক মৃধা, মানবজমিনের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আব্দুল্লাহ আল মারুফ, এটিএন বাংলার ক্যামেরাপার্সন হুমায়ুন কবির, সময় টিভির ক্যামেরাপার্সন সোলাইমান স্বপন, ডিবিসির ক্যামেরাপার্সন মেহেদী হাসান মিম ও বৈশাখী টিভির ক্যামেরাপার্সন ইব্রাহিম।

এটিএন নিউজের জাবেদ আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও পুলিশ আমাকে পায়ের নিচে ফেলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও নির্যাতন করেছে।’ প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন সাংবাদিক গণমাধ্যমকে জানান, ‘সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত অডিটোরিয়ামে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবিতে বিক্ষোভ করছিলেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।’ তাদের অডিটোরিয়াম থেকে বের করে দেওয়ার জন্য সেখানে প্রবেশ করেন বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য। তারা সেখানে ঢুকেই বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের ওপর লাঠিচার্জ করেন। এ ঘটনার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ নিচ্ছিলেন সাংবাদিকরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অতর্কিতভাবে সাংবাদিকদের মারধর ও লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ।


সুপ্রিম-কোর্ট   সাংবাদিক   গণমাধ্যম   পুলিশ   হামলা   প্রধান বিচারপতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন